![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাক সেনাদের বহর রাজার বাগের দিকে
অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
রাজার বাগের পুলিশও নিজ নিজ পজিশন নিয়ে ফেলেছে, কেউ গাছের আড়ালে কেউ পুকুর পাড়ে কেউ তারকাটার বেড়ার পেছনে কেউ ছাদের উপরে আবার কেউ জানালার পাশে।
পাকিস্তানি আর্মিরা শান্তি নগর, মালিবাগ, আর ফকিরাপুল এই তিন দিক থেকে রাজারবাগে আক্রমনের পরিকল্পনা করে।
রাত আনুমানিক সারে এগারোটার দিকে তাদের একটি গাড়ি বহর এসে পৌঁছায় শান্তিনগর মোড়ে। গাড়ি থেকে নামতেই টোনস গুলোর উপর থেকে পুলিশের প্রথম বুলেট টি ছুটে গিয়ে আগাত করে এক পাকিস্তানি সৈনিক কে, সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে ঐ সৈনিক। টোনস গুলোর উপর থেকে ছুড়ে দেয়া সেই বুলেট টিই ছিল
স্বাধীনতা সশস্ত্র প্রতিরুধ যোদ্ধের প্রথম বুলেট, যা রাজার বাগের পুলিশই ছুড়েছিল।।
ঐ বুলেটের প্রতিউত্তরে
পাকিস্তানিরা হাজার হাজার
গুলি ছুড়তে শুরু করে।
দুপক্ষের এই গোলাগুলিতে সারা রাজারবাগ তখন পরিনত হয়
ভয়ংকর এক যোদ্ধ ক্ষেত্রে।
রাজার বাগ পুলিশ লাইন বেইজ স্টেশন থেকে সারা দেশে জানিয়ে দেওয়া হল
"ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ কে বলছি, তোমরা শোন, পাকিস্তান আর্মি
এরই মধ্যে আমাদের আক্রমণ করেছে, তোমারা নিজেদের রক্ষা কর।"
ওয়ারলেসের মেসেজ মূহুত্বেই ঢাকা সহ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে জানান দিল আক্রান্ত ঢাকা আক্রান্ত দেশ।
পাক সেনারা এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আকাশে ট্রেসার বুলেট আর ম্যাগনেসিয়াম ফ্ল্যায়ার ছুড়ে দিয়ে আলোকিত করতে থাকে চারদিকটা। তারপর পুলিশের অবস্তান লক্ষ করে ছুড়তে থাকে মেসিনগানের গুলি। ধীরে ধীরে এক সময় শেষ হয়ে আসতে থাকে পুলিশের গুলি। তারপরেও পিছুহঠেনি তারা বরং স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর দেশপ্রেমী বীর পুলিশেরা একে একে রাজারবাগের বুকে ডেলে দিতে
থাকে বুকের তাজা রক্ত।
সূত্র: "স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ" প্রামান্যচিত্র
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: রাজারবাগে পুলিশের প্রতিরোধ সারাদেশু মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে ।
ভালো পোস্ট । গতকাল ব্লগডে আসার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
আহলান বলেছেন: অসাধারণ .. সাহস ... কিন্তু আজ আর সেই সাহস নেই ..অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নয়, পয়সার পিছনে বুদ্ধি আর তাকদ লাগাও-এই নীতিতে চলছে সব কিছু ....