নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদ্ভট

উদ্ভট

উদ্ভট কাব্যখোর

পাগলের প্রলাপ বকা ছাড়া আমার কোন কাজ নাই।

উদ্ভট কাব্যখোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতল যুদ্ধ নিয়ে ................................. ( নিবন্ধ)

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫০

প্রশ্ন হলো এরিয়া ৫১ নিয়ে । হ্যাঁ যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে এবং লাস ভেগাস থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম রেকেল নামক এক গ্রামের কাছে অবস্থিত সেই এরিয়া ৫১ এর কথাই বলছি । যেটি মূলত সামরিক অপরেশন ঘাটি নামে পরিচিত । কিন্তু বেশীরভাগ আমেরিকানরাই এটাকে ইউএফও গবেষণাকেন্দ্র কখনো এলিয়েন গবেষণাগার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। আসলেই কি তাই? পাঠক সভাবতই ভাবছেন আমি হয়তো একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ফাঁদার চেষ্টা করছি , মোটেই তা নয়............

বিজ্ঞজনের নানা সন্দেহ উকি দেয় এরিয়া ৫১ নিয়ে । অনেকের মতেই এটি "এরিয়া অফ কন্সপেরেসি" অথবা 'ষড়যন্ত্রের এলাকা' । ধারণা করা হয়, সেভিয়াতের সাথে কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমেরিকা লোকচক্ষুর অন্তরালে উন্নত মানের যুদ্ধ বিমান এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির গবেষণা এবং পরীক্ষা চলতো এ অঞ্চলে। এখন কথা হচ্ছে কি এই স্নায়ু যুদ্ধ? কেনই বা এর উৎপত্তি ? এর ফলাফলটাই বা কি ছিল?

বিংশ শতকের গোঁড়ায় রাশিয়ায় ঘটে যায় এক মহান বিপ্লব। সেই মহান অক্টবর বিপ্লবের হাত ধরে লেলিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা।

কোল্ড ওয়ারের কিঞ্চিৎ সুত্রপাত মূলত সেখান থেকেই । রাশিয়ায় শ্রমিক ও কৃষকশ্রেনীর এই বিপ্লবের সাফল্যে অনুপ্রানিত হতে থাকে পৃথিবীর মানচিত্র । একসময় দলিত রাষ্ট্রগুলো দলে দলে রাশিয়ার সেই শাসনব্যাবস্থাকে ধারন করতে থাকে । লেলিনের পথ ধরে স্টালিন সরকার আসার পরে ১৯২২ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত রাশিয়ার সাথে একে একে যোগ দেয় আরমেনিয়া, আজারবাইজান, বেলেরুশ, ইস্তনিয়া, জর্জিয়া , কাঝাখ, কির্গিস্তান, ল্যাটভিয়া, লিথুনিয়া, মল্ডোভা, তাজাকিস্তান, ইউক্রেন ও উজবেকিস্তানের মত প্রতিবেশী দেশগুলো। তৈরী হয় সোভিয়াত সোসালিস্ট ইউনিয়ান ।

সোভিয়াতের চেষ্টা ছিলো তাদের মতাদর্শকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার।কাজেই সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশে দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেতে থাকে । অনেকটা একারনে আবার সাথে সাথেই সমাজতন্ত্রেই প্রকৃত মুক্তি দেখে কিউবা , ভেনিজুয়েলার মত ল্যাটিনদেশগুলোতে গড়ে উঠে সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থা। এদিকে চিন তাঁর নিজের মত করে গড়ে তোলে তাদের সমাজতান্ত্রিকতার সরকার ব্যাবস্থা । মূলত কথা সে একেই কিন্তু ভিন্ন আদলে রুপ দেয় চিন। লেলিনের সেই বিপ্লবকে আদর্শ ধরে এশিয়া মাইনর থেকে ল্যাটিন পৃথিবীর সবপ্রান্তে সমাজতান্ত্রিক জ্বরে আক্রান্ত হতে থাকে। আর যেটি পশ্চিমাদেশ ও তাদের মিত্রদের মাঝে মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ায় । এই মাথাব্যাথাই যুক্তরাষ্ট্র কে সাম্রাজ্যবাদীতার মোড়কে নয়া আধিপত্য বিস্তারে আগ্রহী করে তোলে । ফলশ্রুতিতে সমাজতন্ত্র ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে থাকে। ক্ষমতা প্রতিষ্টার দন্দকে কেন্দ্র করে সোভিয়াত ও তাঁর মৈত্রীজোট এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোজোট ভুক্ত দেশ সমূহ ২ বৈপরিত মেরুতে বা ব্লকে অবস্থান নেয় ।

পূর্ব ও পশ্চিম- দুই ব্লকের মধ্যে এ অবস্থা চলতে থাকার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই ইংরেজ ঔপন্যাসিক-সাংবাদিক জর্জ অরওয়েল এই 'শীতল যুদ্ধ' টার্মটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।



সময়কাল ১৯৪৭ , ইতিমধ্যে বিশ্ববাসী দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ দেখে ফেলেছে । আর আধিপত্যবিস্তারের জেরে পৃথিবী ২ খন্ড । শুরু হয় ইতিহাস বিখ্যাত সেই শীতল যুদ্ধ । শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সোভিয়াত ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের যায়গা থেকে শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে । কোল্ড ওয়ারের শুরু থেকেই আমেরিকা,সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধু দেশগুলোকে চাপে রাখার চেষ্টা করে কারন আমেরিকা জানতো যে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আমেরিকাতে ম্যাসিভ এয়ার স্ট্রাইক করার শক্তি নেই কারন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে কোন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই,যেই একটি মাত্র এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আছে সেটাও অ্যামেরিকান এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার গুলোর তুলনাতে অনেক ছোট।তাই তারা রাশিয়ান এয়ারফোর্সকে তেমন বড় হুমকি হিসেবে না ভেবে নিজেদের এয়ারফোর্সকে শক্তিশালী করে তুলেছিল,অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের তার স্থলবাহিনীকে অস্বাভাবিকমাত্রায় বড় করে তোলার কাজে লেগে যায়।তারা জানতো যে তারা অ্যামেরিকাকে আকাশযুদ্ধে হারাতে পারবে না,এবং অ্যামেরিকা প্যাসিফিক এবং অ্যাটল্যান্টিক মহাসাগরে নিজেদের পূর্ণ প্রভাব খাটাতে চাবে,তাই সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা হাতে নেয় যাতে বাল্টিক সাগর,ব্ল্যাক সি,উত্তর সাগর,প্যাসিফিকের পশ্চিম অংশ,অ্যাটল্যান্টিকের পূর্ব অংশ যেন তাদের অধীনে থাকে।এই উদ্দেশ্যে তারা ব্যাপক হারে সাবমেরিন,ডেস্ট্রয়ার,ব্যাটলশিপ,ব্যাটল ক্রুজার তৈরি করা শুরু করে।তাদের নৌবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে গর্ব করা হতো যে সকল সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবমেরিন যদি অ্যাটল্যান্টিকে সারি করে রাখা হয় তাহলে একজন রাশিয়ান সৈন্য হেটে হেটেই অ্যাটল্যান্টিক পাড়ি দিতে পারবে।

নিজেদের চারপাশের সাগরের পূর্ণ নিশ্চয়তা পাওয়ার পরে রাশিয়ানরা তাদের সাগরতীরের অংশ অর্থাৎ কোস্টাল ডিফেন্স নিয়ে কাজ করা শুরু করে।চীনের মিং ডাইনেস্টির রাজারা যেমন গ্রেট ওয়াল বানিয়েছিলেন,সোভিয়েত ইউনিয়ন ঠিক একই কাজ করে ফেললো তাদের সমুদ্র তীরের অংশে।তবে চীনা রাজারা যেই প্রাচীর বানিয়েছেন পাথর দিয়ে,সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই প্রাচীর বানাল মিসাইল সিস্টেম,গ্রেড সেভেন রকেট প্রোপাইলার,১০০ মিটার অন্তর অন্তর এন্টি এয়ারক্রাফট গানপোস্ট বসিয়ে।এমনকি এই আয়োজন দেখে অ্যামেরিকানরাও স্বীকার করতে বাধ্য হল যে রাশিয়ান কোস্টে হামলা চালানো আত্মহত্যার সামিল...............

রাশিয়ান মিলিটারি অর্থাৎ রাশিয়ান স্থলবাহিনী পুরো রাশিয়ায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছিলো ।তাদের টহল দেয়ার পদ্ধতি,মহড়া,যুদ্ধ প্রস্তুতি,সব কিছু দেখে মনে হয় রাশিয়াতে যেন সামরিক শাসন চালু রয়েছে,আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।এইটা তাদের সেনাবাহিনীর নীতি যে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকতে হবে কারন অ্যামেরিকানরা ১ মিনিটের মাঝে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে পারে......



এত গেলো রুশ-সোভিয়াত প্রস্তুতি । ঐদিকে যুক্তরাষ্ট্র জোট কি করছিলো সেটা এবার শুনুন। অ্যামেরিকার সমর কৌশল ছিল অনেক নিচু মানসিকতার।রাশিয়া যেখানে নিজেদের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য সমুদ্রে বিস্তার করতে চেয়েছিল,সেখানে অ্যামেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নৌ-ঘাটি তৈরি করে অ্যাটল্যান্টিকের পূর্ব অংশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় যদিও এই ক্ষেত্রে তারা তেমন সফল হতে পারেনি।তারা জানতো তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর নজরে তাদের শক্তি বেশি হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা চালালে তারা মুহূর্তের মধ্যে হেরে যাবে।তাই তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের মনোযোগ অন্যদিকে রাখার চেষ্টা করে এবং রাশিয়ান বন্ধু দেশ,যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী,সেই সকল দেশের সরকার প্রধানকে সরিয়ে নিজের অনুগত সরকার প্রধান বসানোর চেষ্টা করে।এই পদ্ধতিতে তারা কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে হত্যার চেষ্টা করে সবচেয়ে বেশিবার।এমনকি অ্যামেরিকান সরকারী হিসেবেই ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে মারার জন্য ৭ বার সিআইএ চেষ্টা করে।আর এই সংখ্যাটা ৩৮ পার হয়ে যায় রাশিয়া এবং কিউবার মতে ।

আবার অ্যামেরিকার এই প্রচেষ্টার সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল আফগান মুজাহিদ এবং তালেবান প্রতিষ্ঠা করা।এই দুইটি বিষ তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে এসেছে এবং তারা এই ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল । অবশ্য এই তালেবানরাই পরে আমেরিকার জন্য ফ্রাংকেস্টাইন হয়ে দাঁড়ায় ।

আমেরিকার বিরুদ্ধে আরো বড় ধরনের অভিযোগ শোনা যায় মূলত এই কোল্ড ওয়ারকে কেন্দ্র করে যেমন সোভিয়েত ইউনিয়ন চাইলে অ্যামেরিকাকে ধুলোতে মিশিয়ে ফেলতে পারত।কিন্তু তারা কখনো অ্যামেরিকান মাটিতে পা রাখার চেষ্টা করেনি কারন সমগ্র অ্যামেরিকা হচ্ছে একটা বায়োলজিক্যাল মাইন ফিল্ড। সোয়াইন ফ্লু,ইনফ্লুয়েঞ্জা,কিলার রেবিজ,এনথ্রাক্স,ম্যাড কাউ ভাইরাস,৯ রকমের ক্যান্সারের ভাইরাস,ইয়েলো ফিভার,ডেঙ্গুসহ আরো নানা ধরনের প্রানঘাতী জীবানু যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ল্যাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয় চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে ধারনা করা হয় এইডস এর মত রোগ আমেরিকাই তৈরী করেছে শুধুমাত্র শীতলযুদ্ধকালিন সময় প্রতিপক্ষের দেশগুলোর চিন্তাচেতনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে। আমরা জানি আফ্রিকান সবুজ বানরের দেহ থেকে এইডস এর সুত্রপাত হয়েছে। কিন্তু সেই এইডস সর্বপ্রথম ধরা পড়ে অ্যামেরিকান গে সমাজে । এই গে রা কি আফ্রিকা থেকে এসেছিল? অবশ্যই না। তাহলে এই ভাইরাস তাদের দেহে কিভাবে আসলো? সেটাই বলছি তবে তাঁর আগে এইডস ভাইরাস সম্পর্কে কিছু কথা জানিয়ে রাখি , এইডস ভাইরাসের ডিএনএ সুত্রক পরীক্ষা করে দ্যাখা গেছে এই ভাইরাসের জিন ভিসনা এবং HTLV-1 এর সঙ্করায়ন মাত্র । মানে স্পষ্টতই এটি মানুষের দ্বারা তৈরী ।

আবার ফিরে আসি সেই গে সমাজের ঘটনায় ,মিসিসিপি কারাগারে আটক থাকা দুই গে বন্দিকে পরীক্ষণের নামে তাদের দেহে সর্ব প্রথম এইডস এর ভাইরাস প্রবেশ করানো হয়।তাদের আর নয় বছরের সাজা হলেও বিচিত্র কারনে চার মাস পরেই তাদের মুক্তি দেয়া হয়।ছাড়া পেয়ে তারা গে সোসাইটিতে গিয়ে এই ভাইরাস নারী পুরুষের গায়ে ছড়িয়ে দিতে থাকে।অ্যামেরিকানরা জানতো যে মানুষের দেহে এই ভাইরাস কিভাবে এল,এই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।তাই তারা আফ্রিকার এমন একটা গ্রাম বেছে নিল যেই গ্রামের কাছে বিলুপ্তপ্রায় সবুজ বানর পাওয়া যায়।১৯৭০ সালের দিকে সেই গ্রামে গুটিবসন্তের টীকা দেয়ার নাম করে অ্যামেরিকানরা পুরো গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতার মাঝে এইডস ছড়িয়ে দিয়ে আসে।পরের দুইটি বছর আফ্রিকার অনেক দেশেই এইভাবে এইডস ছড়িয়ে দেয়া হয়।মজার ব্যাপার হচ্ছে তখন আফ্রিকার যেই দেশগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছিল,সেইসব দেশে এইডস এর ভাইরাস অ্যামেরিকা ছড়াতে পারেনি,এমনকি দেখা যায় গৃহযুদ্ধের সময় কেউ এইডসে আক্রান্ত না হলেও গৃহ যুদ্ধ শেষ হওয়ার দুই বছরে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত।এর কারন হিসেবে যুদ্ধের পড়ে আসা অ্যামেরিকান ত্রাণ আর টীকাকেই একমাত্র দায়ী করা যাবে।



লেখার শুরুতেই এরিয়া ৫১ নিয়ে কথা বলছিলাম । আসুন দেখি আসলে এরিয়া ৫১ তে স্নায়ুযুদ্ধের সময় আমেরিকা কি করেছিলো এবং এখনও কি করছে ।কোল্ড ওয়ারের শুরু থেকেই পুরো বিশ্বজুড়ে গুজব ছড়িয়ে যায় যে এরিয়া ৫১ তে এলিয়েনদের ফ্লাইং সসার আছে যেটা নিয়ে গবেষণা হয়।কিন্তু আমরা কি কখনো এইভাবে চিন্তা করে দেখি যে এরিয়া ৫১ এর ভিতরে মার্কিন এয়ারফোর্সের সবচেয়ে উন্নত প্লেনগুলোর মডেল নিয়ে গবেষণা করা হয় ।সব থেকে বড় ও বিতর্কিত বিষয়টি উঠে আসে এরিয়া-৫১ এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজারের এক বক্তব্যে। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ওখানে এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষনা করা হয় যা এখনও আবিষ্কারের ঘোষনা দেওয়া হয় নি। তিনি অবশ্য কিছু ধোয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়ে। তারমতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মাত্র ২.২ পাউন্ড ৪৭টি ১০মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট। ওখানে নাকি এমন একটি সরল যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে যা চাকতি আর বল দিয়ে তৈরী। যন্ত্রের বলের চিপে ঐ মৌলটি রাখা হলে সময়কে স্থির করে রাখা যায়। এই বিষয়ে পরীক্ষা চালিয়ে সফলতাও এসেছে। তার মতে ঐ মৌল পদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোন এক প্রক্রিয়ায় অ্যান্টিম্যাটার তৈরী করে এবং তারফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদিত হয়। অ্যার্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদুৎবেগে ছুটতে পারে। এইসব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকা প্রাণঘাতী বিধ্বংসী কোন জেট কিংবা বিস্ফোরক বানাচ্ছে না কে বলতে পারে । কিন্তু সোভিয়াত ভেঙ্গে যাবার পর আজোও কথায় কথায় যেকোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বিস্ফোরক বানানোর অভিযোগ এনে সেখানে সাম্রাজ্যবাদীতা ফলাচ্ছে আমেরিকা ও তাঁর মৈত্রী ন্যাটো। আজ কথায় কথায় ইরানে পারমানবিক চুল্লী পরিদর্শনের ব্যাপারে বাধা এসেছে বলে অভিযোগ উঠায় জাতিসংঘ অথচ তাদের এরিয়া ৫১ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথাই নাই । যেখানে সম্পূর্ন এলাকাটি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঢাকা ও প্রবেশাধীকার নিষিদ্ধ এবং "স্যুট এট সাইট " অর্ডার সম্বলিত।



আবার ফিরে আসি শীতলযুদ্ধের সময়কালে উল্লেখিত ২ ব্লকের দৃষ্টিভঙ্গিতে । আগেও বলেছি, সে সময়কালে মার্কিন জোট রা চেষ্টা করছিলো তাদের পুজিপতিত্ত্ব ধরে রেখে সাম্রাজ্যবাদের মাধ্যমে অপর রাষ্ট্রের বাজার দখল করে পুজিকে আরো বিকশিত করতে । আর সোভিয়াত চাচ্ছিলো তাঁর মতাদর্শ যেটা মূলত মার্ক্স ও এঙ্গেলস এর দ্বান্দিক রুপের সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে লেলিন গড়ে তুলেছিলো সেই মতাদর্শকে সম্প্রসারণ করে সমাজতান্ত্রিকতার তথা তাদের একক আধিপত্ত্ববিস্তার । এই ২ দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর বেশীরভাগ রাষ্ট্র দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে । বেশীরভাগ লোকের ধারণা ছিলো যেকোন মুহুর্তে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে । কাজেই তাঁরা যেকোন একদিকে যহুকে পড়াকেই গুরুত্ত্ব দিলো । আর এদিকে এ নিতি চলতে লাগলো যে দেশে সোভিয়েত ইউনিয়ন জনগণকে সমর্থন দেয়, সে দেশে পশ্চিমা দেশগুলো সরকারকে সমর্থন দেয়। আবার অন্য দেশে সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের পক্ষে, তো আমেরিকাসহ পুঁজিবাদী দেশগুলো জনগণের পক্ষে। তাঁর একটা ফল আমাদের জন্যও কাজে লেগে যায় । বিশেষত যখন আমেরিকা পাক-বাঙ্গাল যুদ্ধে পাকিস্থানের পক্ষে তাদের সপ্তম নৌ বহর পাঠালো তখন বাঙ্গাল মুলক কে সাহায্য করতে সোভিয়াত তাদের সাবমেরিনের নবম নৌবহর প্রস্তুত করলো । যার ফলে সপ্তম নৌবহর ভারত মহাসাগরে প্রবেশ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। এখানে স্পষ্ট যে আমেরিকা ততকালিন পাকিস্তানের সরকার তথা জেনারেল ইয়াহিয়াকে সমর্থন করেছিলো আর সোভিয়াত করেছিলো পাকিস্থানের সংখ্যাগরিষ্ঠ তথা বাঙ্গালীদের । এরকম উধাহরন আরো ভুরিভুরি আছে । ভিয়েতনামের সাথে সোভিয়াত সাপর্ট থাকাতেই আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধে সুবিধা করতে পারে নাই। আবার কিউবার মত পুচকে রাষ্ট্র বারবার আমেরিকাকে তথা ন্যাটো জোটকে শাসিয়ে গেছে কিন্তু কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রো কে গোপন ষড়যন্তের মাধ্যেমে মারার চেষ্টা ব্যতিত তাঁরা সরাসরি সামরিক আক্রমনে যেতে চায়নি মূলত সোভিয়াত ভয়েই। কাজেই পশ্চিমা ব্লকের কাছে মনে হতে থাকে সোভিয়াতের ভাঙনেই তাদের সাম্রাজ্যবাদীতার মুক্তি । তখন তাঁরা পুনরায় সোভিয়াত ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । ইউনিয়ান ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কখনো অসন্তোষ ছারিয়ে কখনো গণতন্ত্রের বুলি কপচিয়ে সোভিয়াত মতাদর্শ থেকে তাদের বিচ্যুত করার কোনরকম চেষ্টাই তাঁরা বাদ দেয়নি। ফলাফল কাজে লেগে যায় , আশির দশকের শেষ দিক থেকে লিথুনিয়া , ল্যাটভিয়ার মত যেচে সোভিয়াত ইউনিয়ানে যোগ দেয়া দেশগুলো স্বাধীনতা দাবী করতে থাকে। এবং অবশেষে ১৯৯০ এ লিথুনিয়া নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষনা দেয় । লিথুনিয়ার দেখাদেখি ১৯৯১ সালে ইস্তনিয়া , ল্যাটভিয়ার মত দেশগুলি নিজেদের স্বাধীন বলে দাবী করে । যার ফলে ততকালিন সোভিয়াত নেতারা হতাশ হয়ে পড়ে। তাঁরা বুঝতে পারে সোভিয়াতের অনান্য রাষ্ট্রগুলোকেও আর হয়তো ধরে রাখা যাবে না। আর তাই ১৯৯১ সালে সোভিয়াত সোসালিস্ট ইউনিয়ানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেতসিনের সরকার সোভিয়াত ইউনিয়ান ভেঙে বাকি রাষ্ট্রগুলোকে স্বাধীনতা দিয়ে দেয়।

ফলে সোভিয়াত ভেঙে তৈরী হয় ১৫ টি রাষ্ট্র।

আর একথা আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে এই কথিত শীতল যুদ্ধের আপাতদৃষ্টিতে অবসান হয়েছিল ১৯৯১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার মধ্য দিয়েই । কারন সাপ না থাকলে লাঠির প্রয়োজন পড়ে না ।



এখন প্রশ্ন হলো, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে বটে, কিন্তু দুটি ব্লক কি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল?

অতি সাম্প্রতিক কালের আন্তর্জাতিক ঘটনাবলির দিকে তাকালে মনে হতে পারে, না, সেই ব্লক ভাঙেনি। আসলে হয়তো সুপ্ত অবস্থায় ছিল। আর নতুন এই ব্লক বা বলয় যাঁকে ঘিরে স্ফীত হয়ে উঠেছে, তিনি হলেন সাবেক সোভিয়েত গোয়েন্দা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একদা রাশিয়ার ঔপন্যাসিক আলেকজান্ডার সোলাঝেনিৎসিন লিখেছিলেন, 'সমাজতন্ত্রের ঘড়িটির টিকটিক করা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এর যে কংক্রিটের বিশাল ভবন, তা এখনো ভাঙেনি। সে কারণেই আমাদের নিজেদের মুক্ত করার আগে এই ভবনের ভবিষ্যৎ ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।' তাঁর কথার অন্তত একটি অংশ সত্য। তা হলো, ভবনটি ভাঙেনি। রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমায় রাশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি অত্যন্ত শক্তিশালী। অন্যদিকে পুতিনের নেতৃত্বাধীন আল রাশিয়ান ইউনাইটেড ফ্রন্ট ব্যবসায়ী, সেলিব্রিটি, ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে থাকলেও পশ্চিমাদের প্রতি বহু আচরণেই সমাজতান্ত্রিকদের চেয়েও বৈরী হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী পুতিন এখন একটি কেন্দ্রবিন্দু। কিছুদিন আগেই প্রখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তৃতীয় চায়নিজ প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং, আর অষ্টম অবস্থানে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের নাম। আর করবে না-ই বা কেন? প্রায় একা বিশ্বব্যাপী যে কাণ্ড তিনি শুরু করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

প্রথম তাঁর সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্ব নড়েচড়ে বসেছিল ২০০৮ সালের রাশিয়া-জর্জিয়া যুদ্ধের সময়। তখন ওটেশিয়া ও আবখাজিয়া নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে যুদ্ধ হলেও পেছনে ছিল আরেক কাহিনী। পুতিন ধারণা ছিলো জর্জিয়া ভরে উঠেছে সিআইএর গোয়েন্দা দিয়ে এবং সেটা জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাখাসভেলির জ্ঞাতসারে। সাখাসভেলি নিজেও পশ্চিমা মূল্যবোধে বিশ্বাসী। পুতিন তখন পশ্চিমা বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে উপেক্ষা করে প্রচণ্ড বেগে আক্রমণ চালান জর্জিয়ায়। রাশিয়ার সেনারা দেখতে না দেখতে পৌঁছে গিয়েছিল জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসির দ্বারপ্রান্তে। সেসময় প্রেসিডেন্ট সাখাসভেলিকে প্রায় কান্নাকাটি করে রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে হয়েছে। তবে তখন থেকেই তাঁর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো সতর্ক হয়ে ওঠে। এরপর আবার বড় পরীক্ষা আসে সিরিয়া প্রশ্নে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটোর দেশগুলো যখন সিরিয়া আক্রমণের দ্বারপ্রান্তে, তখন ঘাড়তেরার মত ঘাড় বাঁকা করলেন পুতিন। বিষয়টি কতটা সিরিয়াস, তা বুঝতে ভুল হয়নি ন্যাটো বাহিনীর। যুক্তরাষ্ট্র যখন ভূমধ্যসাগরে নৌবাহিনীর বহর সিরিয়ার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করল, তখন কোনো কিছু চিন্তা না করেই রাশিয়া ভূমধ্যসাগরে নৌবহর পাঠিয়ে দিয়েছে। মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, ল্যান্ডিং ক্রাফট ক্যারিয়ার, মিসাইল ক্রুজার পাঠিয়ে দিল; এমনকি পরমাণু অস্ত্র বহনকারী জাহাজ পিতলভেলিকি প্রস্তুত করা হলো। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বুঝতে বাকি থাকেনি, এ যুদ্ধ শুরু হলে এমন এক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে যে পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যেতে পারে। সুতরাং তিনি সিরিয়া আক্রমণের চিন্তা বাদ দিলেন, কারণ যুদ্ধে কে জয়লাভ করবে, সেটা বড় কথা নয়, রাশিয়া এ যুদ্ধে যোগ দিলে বিশ্বকে চরম খেসারত দিতে হবে এবং মানচিত্র পাল্টে যাবে এটাই বড় কথা ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আরেক সংকটে পড়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাবেক কন্ট্রাক্টর ৩০ বছর বয়সী এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিয়ে। স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে দেশটিকে এক চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে গ্রেপ্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ বছরের ২০ মে ইকুয়েডর যাওয়ার পথে হংকং যান স্নোডেন এবং হংকং সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিলে তিনি ইকুয়েডরের উদ্দেশে যাত্রায় পথিমধ্যে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অবতরণ করেন। বাস্তবতা হলো, তিনি ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলেন যে একমাত্র রাশিয়া ছাড়া আর কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। আইসল্যান্ডেও তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আইসল্যান্ড সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। তবে এটাও ঠিক, ছোট্ট দেশ আইসল্যান্ডে গিয়েও তিনি নিরাপদে থাকতে পারতেন না। যা হোক, স্নোডেন মস্কো এয়ারপোর্টে অবস্থান করেন মাসের পর মাস। সম্প্রতি রাশিয়ায় তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, স্নোডেন রাশিয়ায় একটি প্রভাবশালী ওয়েবসাইটে চাকরি পেয়েছেন। এটি বুঝতে কারো বাকি নেই যে এ চাকরির ব্যবস্থা তাঁকে ভ্লাদিমির পুতিনই করে দিয়েছেন। এই স্নোডেনের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার কারণেই এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মন কষাকষি সৃষ্টি হয়েছে।

আবার ইউক্রেন ক্রিমিয়া আরাক ইস্যু । ক্রিমিয়ার ৯৭ শতাংশ মানুষ চান রাশিয়াতেই যোগ দিতে। এদিকে ক্রিমিয়া ইসুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো নিয়েছে ইউক্রেনের পক্ষ আর রাশিয়া নিয়েছে ক্রিমিয়ার পক্ষ। ফলে ক্রিমিয়ায় রুশ দখলদারি আইনি স্বীকৃতি পেল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। পূর্ব ইউরোপ তথা কৃষ্ণ সাগরের বুকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্ট্র্যাটেজিক বেস হিসেবে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে কবজা করল মস্কো। এই ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চূড়ান্ত কূটনৈতিক সাফল্য দেখছে ওয়াশিংটন। ক্রেমলিনের এই সাফল্য বা ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না হোয়াইট হাউস ও ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। ফলে জার্মানি, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, ইংল্যান্ড, কানাডা সহ ন্যাটো জোটভুক্ত মার্কিন বন্ধুরা এবং মার্কিন নিরপেক্ষ বাকি ইউরোপীয় শক্তিগুলিও রাশিয়ার মধ্যে ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তি এবং গণভোটের ফলকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অবৈধ ও অন্যায় বলে ঘোষণা করেছে। আটলান্টিক জুড়ে, ল্যাটিন আমেরিকান একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে রাশিয়া এর উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধন, populism যুক্তরাষ্ট্রের তাদের ঘৃণা দ্বারা ইউনাইটেড ও হাভানা দ্বারা পরিচালিত হয়. সম্প্রতি Maduro এবং মোরালেস শক্তি বিষয়ে একটি সম্মেলনে মস্কোর ছিল যেখানে রাশিয়ান কোম্পানী Gazprom বলিভিয়া মধ্যে হাইড্রোকার্বন সেক্টরে প্রবেশ করে, যা অধীন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আর এখন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পরিস্থিতি এখন এতটাই নাজুক যে ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো তাঁর কার্যক্রমে নজরদারি যাতে করতে না পারে সেজন্য কম্পিউটার বাদ দিয়ে পুরনো আমলের টাইপরাইটার ব্যবহার করছেন। সিরিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা,বলিভিয়া, ইকুয়েডরসহ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলোর ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাশিয়ার পুতিন। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেকোনো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণে হাঁটলে পুতিনের রাশিয়া হাঁটছে উত্তরে। এসব কি আমাদের সেই সোভিয়াত থাকাকালিন ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কিউবার কথাই মনে করিয়ে দেয় না ? রাশিয়ার উলটো পথে যাত্রাও আমাদের মনে দাগ কাটে সেই সোভিয়াতের বৃহৎ শক্তির কথা ।

রাশিয়ার আশপাশে যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী তৈরি করেছে, সেগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছেন সাবেক কেজিবির পরিচালক এই প্রেসিডেন্ট। কূটনীতিকদের ভাষায়, শীতল যুদ্ধ যাকে বলা হয়েছে, আক্ষরিক অর্থেই সে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। তবে নতুন করে শুরু হওয়া এ শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান আগের মতোই অস্পষ্ট । তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন এই অস্পস্টতার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ মূলত রাশিয়াকেই সমর্থন দিচ্ছে । বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনিতীও অনেক পরিবর্তিত হয়েছে । বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামলীগ আসলে অনেকদিন থেকেই আমেরিকান পক্ষ থেকে বেড়িয়ে এসে ভারত, রাশিয়া ও চিনের সাথে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছে । সর্বশেষ ক্রিমিয়া ইস্যুতেই তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যেখানে ভোটদানে বিরত থাকা ৫৮ টি দেশের ভেতরে বাংলাদেশ একটি। সভাবতই এরফলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপরে বেজায় চটেছে । সমালোচনাও করেছে । অপরদিকে রাশিয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশের এই অবস্থান হয়তো আলোচনার দাবী রাখে কিন্তু দিন শেষে কথা কিন্তু একটাই দাঁড়ায় , শীতল যুদ্ধ চলছে এবং পৃথিবী আবারো ২ মেরুতে যাচ্ছে ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩১

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: মার্কিন সম্রাজ্যবাদের অবসান হোক। সম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: হাজার টা ধন্যবাদ :)

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩২

Alter Ego বলেছেন: পুতিনের মাজায় জোর আছে বটে- শত হলেও সাবেক কেজিবি প্রধান । কিন্তু এ ধরনের দীর্ঘস্থায়ী লড়াই চালাতে গেলে যতটা শক্ত অর্থনীতি প্রয়োজন তা রাশিয়া কীভাবে অর্জন করবে সেটাও গুরুত্বপুর্ণ ।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এরকম সঠিক তথ্যবহুল এবং বিশ্লেষনধর্মী লেখার জন্য। এরকম লেখা এখন প্রায় দেখাই যায়না সামুতে। আমি নিজেও কিছু জানতাম আর আপনার লেখার মাধ্যমে আরও অনেক কিছু জানতেও পারলাম।
আমি শুধু একটা তথ্য এ্যাড করতে চাই। কোল্ড ওয়ারের সময় ১৯৪৯ সালে ন্যাটো গঠনের পরে এই শক্তি কে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরী, আলবেনিয়া,তৎকালীন চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন,পূর্ব জার্মানি এবং পোল্যান্ড কে নিয়ে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ এ একটি চুক্তি হয়েছিল পারস্পরিক সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহযগীতার জন্য যেটা ওয়ারশ চুক্তি কিংবা Warsaw Pact নামে পরিচিত।সেটা নিয়ে কিছু লিখলে আপনার শীতল যুদ্ধ নিয়ে প্রবন্ধটি আরো ভাল হত বলে মনে করি।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

ruhul imran বলেছেন: চুকনগুনিয়াও কি ঐ একই গ্রুপের ভাইরাস?
পরীক্ষামূলক ভাবে এদেশের মানুষের উপরে ছোড়া হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.