![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যর্থ, প্রথম পর্বের পর আমার এক সুহৃদ বলেছিল শরীয়তপুর – ২ আসনে নরিয়া এবং সখিপুর থানার যতগুলো চায়ের স্টল আছে তার একটা পরিসংখ্যান আমাকে দিবে। কিন্তু সে ইতিমধ্যেই তার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে, সে ব্যর্থ। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগাম হিসাব কষা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রথম লেখায় অনেকেই আমার প্রতি নাখোশ হয়েছেন। বিশেষ করে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহলও আমাকে ভুল বুঝেছে। আসলে আমি চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করতে। এ অবস্থায় কারো দিকে পাল্লা ভারি হয়ে যেতে পারে। সেটা আমার ইচ্ছাকৃত নয়।
আমার প্রথম পর্বের লেখার বিষয়বস্তু ছিল কে পাচ্ছে নৌকা মার্কা। কিন্তু অনেকেই ভুল বুঝে আমাকে সম্ভাব্য প্রার্থীর সমর্থক মনে করেছে। আসলে কে MP নির্বাচিত হচ্ছে আমি তা বলতে চাইনি। আওয়ামীলীগ থেকে কার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, আমি তাই বলতে চেয়েছি। MP নির্বাচিত তো করবে জনগণ।
আজ আমরা দেখব এ আসন থেকে বিএনপির হয়ে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন। যদিও এ আসনে বিএনপির ভিত খুবই দূর্বল। তারপরও শক্তিশালী যোগ্য প্রার্থী পেলে তাদের নির্বাচনের বৈতরণি পার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এবার আসাযাক মূল কথায়। অসংখ্য চায়ের স্টলের মধ্য থেকে কয়েকটি ঘুরে, একটি হৈচৈ পূর্ণ স্টলে বসেই আমার কাজ সমাধা করছি। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী বাছাই তেমন জটিল কিছু নয়। অনেক নামের ভিতরে ৩টি নাম আপাততঃ বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা জনসম্মুখে তেমন আসতে পারছেন না। তারপরও ৩টি নামকেই আমি প্রাধান্য দেব।
প্রথমতঃ যে নামটি অস্পষ্ট শোনা যায়, তিনি হলেন কর্ণেল আবঃ এস এম ফফয়সাল।হ তিনি সখিপুর চরাঞ্চলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। বিএনপিতে নতুন মুখ। ২০১৩ সালের শেষের দিকে দলে যোগ দিয়েছেন। পার্টির চেয়ে তিনি তার ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া সখিপুর বাড়ি হওয়ায় কিরণকে বাদ দিয়ে তার মনোনয়নের সম্ভাবনা প্রায় নাই বললেই চলে। তারপরও রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছু নাই। তাই মনে হচ্ছে তার মনোনয়নের সম্ভাবনা ১০%।
দ্বিতীয়তঃ যে নামটি স্পষ্ট দৃশ্যপটে ভেসে উঠে, তিনি হলেন এডঃ জমাল শরীফ হিরু। ত্যাগি নেতা। দীর্ঘদিন যাবৎ দলের সাথে আছেন। ৩২ নম্বর রোডের সামনে কলাবাগানের মত জায়গায় বসেও নির্ভয়ে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথেও সর্বসময় জড়িত আছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে একটু দূর্বলতার করনে মনোনয়নের দৌড়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাবনা ৩৫%।
তৃতীয়তঃ যে নামটি মোটামুটি সব স্টলেই প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠে আসছে, তিনি হলেন শরীয়তপুর জেলা কমিটির সভাপতি জনাব শফিকুর রহমান কিরণ। বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি যথাক্রমে শরীয়তপুর-৩ ও শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যদিও তিনি আওয়ামীলীগের শক্তিশালী প্রার্থীর নিকট পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানেই হেরেছিলেন। তাই সার্বিক বিবেচনায় তার মনোনয়নের সম্ভাবনাই বেশি। তবে বিএনপির দলিয় হাই কমান্ড একটা দিক বিবেচনায় আনতে পারে, তা হল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থী দুজনই একই থানার হয়ে যেতে পারে। যদিও জাতীয় নির্বাচনে আঞ্চলিকতা কোন বিষয় নয়।
অনেক রাত হয়ে গেছে। গ্রামের চায়ের স্টলগুলো যেন তারাতারিই লোকশুন্য হয়ে যায়। দোকানি চায়ের কাপ ধুয়ে মুছে গুছাচ্ছে। আমাকেও যেতে হবে। তবে কিরণ সাহেবের নাম্বারটা দিয়ে যাই, মনোনয়নের সম্ভাবনা ৫৫%।
_____ কবির সরদার (২৬/০১/২০১৮)
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৮
কবির সরদার বলেছেন: ধন্যবাদ "সাদা মনের মানুষ" ভাই। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার লেখায় কারো মনে যেন কালা দাগ না লাগে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এক সময় বাগিচা রেল লাইনের সামনে চায়ের দোকানে তুমুল আড্ডা দিতাম। আর চা খেতাম।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
কবির সরদার বলেছেন: ভাই রাজীব নুর, কি বিষয় নিয়ে আড্ডা হতো?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি ভালোএকটা থিম দিয়াছেন, আমিও সময় পেলে আমার এলাকার চায়ের স্টলগুলোতে আলোচনা করতে চাই। তবে অবশ্যই আমার সাবজেক্ট রাজনীতি থাকবে না।