নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https:/facebook.com/ar.kabir.79

কবির ইয়াহু

সদা সর্বদা সত্যের পক্ষে ।

কবির ইয়াহু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নৈতিকতা : কোরআন এবং হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ অধ্যায়:ধর্ষণ (শেষ পর্ব)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

পূর্ব আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইসলামের প্রতিষ্ঠার সাথে ধর্ষণ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত । যুদ্ধের ময়দান একজন ধার্মিকের জন্যে সম্ভোগ ক্ষেত্র— বন্দী নারীদের যৌনদাসি করা এবং নিজেদের মাঝে তাদের বণ্টন ব্যাবস্থা ইসলাম দ্বারা স্বীকৃত— কোন নারী কে দাসি রূপে ক্রয় করা এবং তার ইচ্ছাধীন ব্যাবহার সৃষ্টিকর্তা নির্দেশিত । বিভিন্ন ইসলামিক পন্ডিত এমন এক উন্মুক্ত সত্যকে কখনো অস্বীকার করেন না, কিংবা করতে পারেন না । প্রচলিত অন্য সব ধর্মের মতই, ইসলাম, পুরুষের সাম্রাজ্যকে পুরুষের স্বার্থ চিন্তা করেই গড়ে দিয়েছে— যেখানে একজন নারী শুধুমাত্র তাদের যৌন সম্পদ, যাদের জীবন-যৌবননিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একমাত্র পুরুষের ।

কোরআন, তার বিশ্বাসী পুরুষকে সম্মতি দিচ্ছে যুদ্ধেবন্দী নারী এবং ক্রীতদাসিদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে, আর হাদিস জানাচ্ছে কিভাবে ধর্মানুসারীরা তার প্রয়োগ বাস্তবে ঘটিয়ে গেছেন । জয়ী মুসলিমগণ পরাজিত যুদ্ধ-ভূমিতে দাঁড়িয়ে লুট করে আনা অসহায় নারীদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে, যাদের পরবর্তীতে বিক্রি করা হয়েছে দাস বাজারে । একজন যুদ্ধবন্দিনীর, যার স্বামী-পরিবার মুসলিমদের হাতে নিহত অথবা বন্দী, সম্মতি থাকতে পারে না সে যৌনতায়; যার ভবিষ্যত লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনি—কোন পুরুষের যৌন-দাসি হয়ে জীবন অতিবাহিত করায় !

একজন নারী ধর্ষিত হলে ইসলাম ধর্ম অনুসারে কী বিধান প্রযোজ্য হবে ?
ঐশীগ্রন্থ কোরআনে সরাসরি ধর্ষণের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই— একজন বিশ্বাসীর কাছে তা যতই পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হোক না কেন । ইসলামিক আইন জানায়, কোন নারী-পুরুষের যৌন-মিলন তখনই ধর্ষণ বলে গণ্য হবে যখন, হয় ধর্ষক নিজে সেটা স্বীকার করবে, অথবা অন্তত পক্ষে চারজন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত হয়ে সে ব্যাপারে সমর্থন দেবে (৪:১৫ এবং ২৪:৪ অনুসারে)— নতুবা এধরণের অভিযোগ গৃহীতই হবে না ।
[সুরা আন-নিসা আয়াত ১৫]

আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।

Those who commit unlawful sexual intercourse of your women – bring against them four [witnesses] from among you. And if they testify, confine the guilty women to houses until death takes them or Allah ordains for them [another] way.

উপরোক্ত আয়াত থেকে স্পষ্টই বোঝা সম্ভব, অনুমোদিত শাস্তির বিধান শুধুমাত্র একজন জিনাকারী (বিয়ে-পূর্ব যৌন সম্পর্ক ও বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক) তথা ব্যাভিচারীর জন্যেই প্রযোজ্য, যেখানে অভিযোগ প্রমানের জন্যে প্রয়োজন চারজন বিশ্বাসযোগ্য পুরুষের সমর্থন । যতদূর বোঝা যায়, ঐশীবানী নাজিলের সময়কালে বল-পুর্বক যৌনতাছিল খুবই সাধারণ ঘটনা, ফলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ নির্দেশনার প্রয়োজন পড়েনি । আর একারনেই বর্তমান সময়কালে ব্যাভিচারের বিধানই হয়েছে ধর্ষণের বিধান । কোন নারী, যিনি ধর্ষনের অভিযোগ এনেছেন, তিনি যদি চারজন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারেন, তবে সেটা শুধুমাত্র তাদের ভেতরকার যৌন সম্পর্কেরই প্রমান দেবে— এক্ষেত্রে তাদের কেউ যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে উলটো তারা উভয়ই ব্যাভিচারের সাঁজা ভোগ করবেন ।

প্রকৃত মানে এই দাড়ায়, ইসলামিক আইন তথা শরিয়াহ মোতাবেক ধর্ষণের ঘটনা প্রমান করা প্রায় অসম্ভব । কেননা যদি অভিযুক্ত ব্যাক্তি দাবি করেন যে তাদের যৌন সম্পর্ক পরস্পরের সম্মতিতে ঘটেছিল, তবে এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারীর করার তেমন কিছুই থাকে না (যেহেতু তিনি কোন প্রকার প্রমান উপস্থিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন) । ইসলামি ফতোয়াঅনুযায়ী, কোন নারীর কাছে যদি এমন কোন প্রমান না থাকে যা তার অভিযোগ সত্য দাবি করে, তবে তার উচিত নয় কোন পুরুষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করা । -এটা অকল্পনীয় এবং হাস্যকর যে, একজন ধর্ষক বল-পুর্বক সঙ্গম-ক্রিয়ার সময় সেখানে কোন সাক্ষী উপস্থিত রাখবে !

ইসলামি আইনে, দাম্পত্য জীবনেও ধর্ষণ বিষয়ক কোন ব্যাপার নেই । একজন স্ত্রীর কোন অধিকার নেই তার স্বামীর যৌন-ডাক উপেক্ষা করার (গুরুতর কোন কারণ ব্যাতিত); একজন পুরুষ যখনি আহ্বান করবে, সাড়া দিতে হবে তার স্ত্রীকে— প্রয়োজনে শারীরিক শাস্তি প্রদানের বিধান দেয় ইসলাম ।

[সুরা নিসা আয়াত ৩৪]

আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।

As to those women on whose part you see ill conduct, admonish them, and abandon them in their beds, and beat them, but if they return to obedience, do not seek a means against them.

আল-বুখারি (৩২৩৭) এবং মুসলিম (১৪৩৬) বর্ণনা করেছেন,

আবু হুরাইরা বললেন : আল্লাহর নবী জানালেন, ‘যদি কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যৌন-ক্রিয়ার উদ্দেশ্যে) এবং সে তা উপেক্ষা করে, এবং উক্ত ব্যাক্তি স্ত্রীর ওপর রাগ নিয়ে রাত্রি যাপন করেন, তবে ফেরেস্তারা সকাল পর্যন্ত ঐ মহিলাকে অভিশাপ প্রদান করতে থাকেন ।’

সুতরাং যখন কোন নারী তার স্বামীর আদেশ উপেক্ষা করে, তাকে তার অবাধ্যতার ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে, আর ভয় প্রদর্শন করতে হবে আল্লাহর নির্দেশ এবং ফেরেস্তাদের অভিশাপের ব্যাপারে । এরপরেও যদি সে স্ত্রী তার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাকে আঘাত করা যাবে শারীরিক ভাবে; অতঃপর যৌনক্রিয়ায় জোর করলেও উক্ত ব্যাক্তি কোনরূপ অভিযুক্ত হবে না ।
বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশই ইসলামিক আইন কঠোর ভাবে অনুসরণ করে না, বরং পাশ্চাত্যের ধার করা নিয়মানুসারেই চলে । ফলে এসব দেশের ধর্ষিতরা প্রায়শই সঠিক বিচার পেয়ে থাকে, এবং তা বিজ্ঞান সম্মত প্রমানের ওপর ভিত্তি করেই ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

দরবেশমুসাফির বলেছেন: কোন নারী-পুরুষের যৌন-মিলন তখনই ধর্ষণ বলে গণ্য হবে যখন, হয় ধর্ষক নিজে সেটা স্বীকার করবে, অথবা অন্তত পক্ষে চারজন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত হয়ে সে ব্যাপারে সমর্থন দেবে (৪:১৫ এবং ২৪:৪ অনুসারে)— নতুবা এধরণের অভিযোগ গৃহীতই হবে না ।

কোরানের ব্যাখ্যা কি নিজের ইচ্ছামত বানানো শুরু করলেন নাকি?? পাঠকরা বিভ্রান্ত না হয়ে কুরআনের ওই আয়াত পড়ে দেখুন।
ব্যভিচার ও ধর্ষণ এক নয়। ওই আয়াত ব্যভিচারের জন্য প্রযোজ্য।

[সুরা নিসা আয়াত ৩৪]

আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।

As to those women on whose part you see ill conduct, admonish them, and abandon them in their beds, and beat them, but if they return to obedience, do not seek a means against them.

এইখানে যানঃ

http://www.quran-islam.org/articles/beating_women_(P1179).html

আরবি না শিখে কুরআন পড়ার এই হল ফল। আপনার সাথে ওই বেকুব অনুবাদকারীদের কোন পার্থক্য পেলাম না।

আবু হুরাইরা বললেন : আল্লাহর নবী জানালেন, ‘যদি কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যৌন-ক্রিয়ার উদ্দেশ্যে) এবং সে তা উপেক্ষা করে, এবং উক্ত ব্যাক্তি স্ত্রীর ওপর রাগ নিয়ে রাত্রি যাপন করেন, তবে ফেরেস্তারা সকাল পর্যন্ত ঐ মহিলাকে অভিশাপ প্রদান করতে থাকেন ।’


এর ব্যাখ্যা হচ্ছেঃ
ইসলাম স্বামীকে পছন্দ না হলে তাকে তালাক দেওয়ার অধিকার নারীদের দিয়েছে:

According to Shariah Law, a Khula is the wife’s right to separate or seek divorce from her husband. The term itself can be defined in Arabic as “removing the union of marriage in exchange for financial settlement” (Ibn Humam, Fath al-Qadir, 3/1999). According to the Holy Quran and Authentic Hadith, a Khula may be obtained by mutual consent between husband and wife, or by judicial decree।

স্বামীর কাছে কোন স্ত্রী যেতে না চাইলে স্বামীকে তালাক দিলেই হয়।

এখন একজন স্ত্রী যদি কোন কারন ছাড়া তার স্বামীর কাছে না যেতে চায় আবার তার স্বামীকে সে তালাকও না দেয় তবে এটা কি স্বামীর প্রতি একধরনের অত্যাচার নয়??

এ অত্যাচারের ফলে যদি স্বামী কোন পতিতার কাছে যেতে বাধ্য হয় তবে??কে দায়ী হবে??

এ কারনেই আল্লাহ্‌ ওই মহিলার প্রতি লানত করা অনুমদন করেছেন যে কোন কারন ছাড়া তার স্বামীর কাছে না যেতে চায় আবার তার স্বামীকে তালাকও দেয় না

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

রসায়ন বলেছেন: দরবেশ ভাই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন । উনার মন্তব্যে প্লাস ।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আহা্ম্মক কোথাকার, ধর্ষন আর জিনা(ব্যভিচার) এক করে ফেলেছেন। এদের কারনে অনেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য এরা মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্যই কুরআন কে বিকৃত করে তুলে ধরে। দরবেশ ভাইকে ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আর একটা বিষয় সেটা হলো চার জন স্বাক্ষীর কথা। চার জন স্বাক্ষী শুধু ব্যভিচারিনী অথবা ব্যভিচারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারন এই বিষয়টা খুবই সপর্শকাতর । অন্য যেকোন অপরাধের জন্য দুইজন স্বাক্ষী হলে যথেস্ট( দু্ই জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ দুইজন মহিলা) কিন্তু ব্যভিচারের ক্ষেত্রে চারজন তাও আবার সব পুরুষ হতে হবে। কারন ইসলাম এই ব্যাপারে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করেছে। কারন অনেক খারপ মানুষের স্বভাব হলো অনেক ভাল মানুষকে ব্যভিচার বলতে পিছপা হয় না। আর ব্যভিচার শাস্তি অনেক কঠিন তাই এর বিচার যাতে সুষ্ট হয় , কেউ যাতে কাউকে এই অপরাধে না ফাসাতে পারে সেই জন্য স্বাক্ষীর সংখ্যা বেশি ।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

তদন্তকারী বলেছেন: সত্য বের করব। আপনিও করেন।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

রাজীব বলেছেন: "-এটা অকল্পনীয় এবং হাস্যকর যে, একজন ধর্ষক বল-পুর্বক সঙ্গম-ক্রিয়ার সময় সেখানে কোন সাক্ষী উপস্থিত রাখবে !"


আপনার কাছে এটা হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু ইসলাম কিন্তু ১৪০০ বছর আগেই এখনকার দিনের কথা ভেবেছে। দেখুন এখন প্রায় প্রতিদিনই পত্রিকায় খবরে দেখবেন যে, জোর করে ধর্ষন করে আবার তা ভিডিও করে রেখেছে। এমনকি সেই ভিডিও নেটও ছড়িয়ে দিয়েছে। তাহলেই বুঝুন??
এখনো কি হাস্যকর মনে হচ্ছে???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.