নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুড়ো আলেকক্স

বুড়ো আলেকক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রম যত সস্তা ভোগ বলিাস তত রাজকীয়

২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

জাতীয় নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে যে যে অংগিকারে জনগন খুশী হয়ে সেজে গুজে পরিপটি হয়ে হাসিখুশী মনে ভোট দেন তা কি কি ---

১নং--বেশীর ভাগ বৈদেশিক সহায়তায় উন্নয়ন ব্রীজ কালভাট পাকারাস্তা যাতে বাজার প্রসারিত হয়ে সস্তাশ্রম চুষে ধনীর মেয়ের হাত খরচ মসে ১০ লক্ষ টাকা ।

২নং--দারীদ্রতাকে ঘুম পাড়ানী গান ।

৩নং দারিদ্রতাকে যাদুঘরে পাঠানোর গল্প ।ইত্যাদি। ফলাফল : দরিদ্ররা ঘুম পড়ে না,যাদুঘরেও যায় না ।

ব্রীজ কালভাট পাকারাস্তা হবে,স্কুল কলেজ হবে,এলাকার উন্নয়ন হবে । ব্রীজ কালভাট পাকারাস্তা,স্কুল কলেজ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর অংশ। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন যা হয় বাজেটের মাাধ্যমে এবং বেশীর ভাাগ বৈদেশিক লোান। এ ধরনের উন্নয়নে লাভবান হয় দেশী বিদেশী ধার্মিক ধনী মালিক শ্রেনী।মাথাপিছু বৈদেশিক লোান বৃদ্ধি পায়। ধার্মিক ধনী মালিক শ্রেনীর লাগামহীন রাজকীয় ভোগ বিলাাস বৃদ্ধি পায়।শ্রম যত সস্তাা ভোাগ বিলাাস তত রাজকীয়।জনগণের ভোাটের মাাধ্যমে জয়ী নির্বাচিত রাজনৈতিক দল সরকাার গঠন করে থকে।যাবতীয় উন্নয়ন সরকার সমন্বয় ও পরিচালনা করেন।আমাাদের দেশের রাাজাৈনতিক কাালচার হচ্ছে দেশের চেয়ে দল বড়,দলের চেয়ে ব্যাক্তি বড়।রাজনৈতিক দলের নেতা কমীদের উদ্দেশ্য এবং কর্মকান্ড আয়বৃদ্ধিমুলক।রাজনীতি রোজগেরে পেশা।আমাদের দেশের ধার্মিক ধনী মালিক শিল্পপতি ব্যবসায়ীরাই মুলত ছায়ার মত আড়ালে থেকে চাাদা ডোনেশনের মাাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচলনা করেন।ফলে উন্নয়নও হচ্ছে অসম। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো সকল সময় বলে থাকেন আমরা দেশের ও দেশের জনগণের অনেক উন্নয়ন করেছি,করবো।জনগণ মানে দেশের সকল মানুষ।দেশের সকল মানুষের উন্নয়ন হয়েছে কি ! একদিকে রাজপ্রাসাদ,লাগামহীন ভোগবিলাসী জীবন,মেয়ের হাত খরচ মাসে ১০লক্ষ টাকা,বিদেশ ট্যুর লক্ষ লক্ষ টাকা,নাইট ক্লাব ও বেশ্যার খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা অন্যদিকে গরীবের অবর্ণণীয় কষ্টকর অনিশ্চয়তার জীবন,বস্তি ফুটপাত আর গ্রমের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে গাদাগদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস।জনগণ মানে দেশের সকল মানুষ জনগণ শব্দটিকে আমরা আলাদা আলাদা করলে দুটো আলাদা শব্দ হয় প্রথমাংশ জন ২য় অংশ গণ।জন জন মানে কমসংখ্যক গণ মানে বেশী সংখ্যক।আমরা জানি আমাদের দেশে ধনী সম্পদশালী মানুষের তুলনায় সম্পদহীন গরীব মানুষের সংখ্যা বেশী।উন্নয়ন যা হওয়ার ধনী সম্পদশালী মানুষের হয়েছে। আমাদের দেশের বেশীরভাগ ধনীরা তাদের শিশুদের বেশী খরচে দামী স্কুলে আর অগাধ ধন সম্পদ দিয়ে ৬০উ্ের্ধা জীবন বেশ আরাম আয়েশে উপভোগ করেন। আমরা যারা বেশীরভাগ মানুষ আমরা গরীব নিষ্ঠুরতম কষ্টকর অনিশ্চয়তার জীবন আমাদের। এ দেশ ধনী গরীব সকলের। আমরা যারা গরীব আমাদের ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশু এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের জীবন অবর্ণণীয় কষ্টকর,বস্তি ফুটপাত আর গ্রমের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে গাদাগদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস। মানুষ মানবাধিকার সভ্যতা মানে শুধু ধনীদের অভিজাত জীবন যাপন,আর গরীবের নিষ্ঠুরতম কষ্টকর অনিশ্চয়তায় জীবন নয়। আমাদের দেশে পর্যায়ক্রমে খমতায় থাকা দলগুলি ধনীক শ্রেনীর প্রতিনিধি। এই রাজনৈতিক দলগুলিই এ দল ও দলের নিন্দা করে মুলত জনগনকে ধোকা বোকা বানিয়ে নিজেদের,ধনীদের ধন সম্পদ রক্খা ও বৃদ্ধি করতে কাজ করছে। ভোটের আগে --দারীদ্রতাকে ঘুম পাড়ানী গান, দারিদ্রতাকে যাদুঘরে পাঠানোর অবাস্তব আপেক্ষিক গল্পের অংগিকার না করে ভোটের আগে লিখিত বাস্তব অংগিকার করুন আমি এবং আমাদের দল জয়ী হলে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। আরোও অংগিকার করুন আমি এবং আমাদের দল জয়ী হলে ছোট বড় প্রত্যেক ধার্মিক ধনী মালিক শ্রেনী নামাযে পুজায় প্রার্থনায় যেমন ধার্মিক শ্রমিক গরীবের সাথে একই কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করে তেমনি একই মানের খাবার,একই মানের কাপড় একই মানের লেখাপড়া একই মানের ঘরের ব্যবস্থা করবো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

বোকামন বলেছেন:

সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.