![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়লোকের দয়ায় আমাদের কাজ আছে,স্বাস্থ্যকর হোক অস্বাস্থ্যকর হোক অল্প কম যাহোক খেয়ে বেছে আছি। জীবন আছে ঘর নেই তা কি হয়েছে,বিনা চিকিৎসায় কষ্ট ভোগ করছি তা কি হয়েছে বেচে তো আছি।জীবন বাচানো ফরজ ।বড়লোকের দয়ায় সে ফরজ আদায় হচ্ছে। তাই আমরা গরীবেরা গরীব হয়েও দু:খ কষ্ট ভুলে বড়লোকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। আমদের বড়লোকেরাও গর্ববোধ করেন কোটি কোটি টাকা বেতন দিয়ে গরীবদের বাচিয়ে রেখেছেন দাস করে। জন্মাধিকার কি ? নাগরিক অধিকার কি ? রাজনৈতিক অধিকার কি ? ন্যায্য মজুরী কি ? ন্যুনতম মজুরী কি ?মানবাধিকার কি ? জাতিসংঘ কি ? তা আমাদের কোন কাজে আসে না। কষ্ট অপমান অর্ধাহার অনাহার আর সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া আমাদের নিয়তি,বড়লোকের দয়া আমাদের ভাগ্য। হাতের পাচ আংগুল যেমন সমান হয়না তেমনি গরীব বড়লোক কখনোও সমান হয়না। বড়লোক বড়লোকই থাকবে গরীব গরীবই থাকবে। দেশের সংবিধানে গরীবের ১টি ভোট = ১ । ধনীর ১টি ভোট = ১ । ভোটের গুরুত্ব বড়লোকদের কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অর্ধাহারী অনাহারী গরীবের ভোট যে কত তাৎপর্যপূর্ণ তা বড়লোকেরা জানেন বোঝেন। তাই সব বড়লোকের কামনা সুষ্ঠু ভোট। সুুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই বৈধতা পায় বড়লোক বড়লোকই থাকবে গরীব গরীবই থাকবে। যেহেতু সব বড়লোকের কামনা সুষ্ঠু ভোট,সেই সুষ্ঠু ভোটের সিষ্টেম নিয়ে,কিভাবে কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে বড়লোকের বড়লোকের ঝগড়া বিবাদে মারা যাচ্ছে গরীব,কষ্ট ভোগ করছে গরীব।তাতেও গরীবের আক্ষেপ নেই,শান্তনা যে পরিমান মারা যাচ্ছে তার দ্বিগুন তিনগুন নতুন জন্ম হচ্ছে।দেশের সুধী সুশীল সমাজ,সকল রাজনৈতিক দল ,বড়লোক ব্যবসায়ীদের জোট, মানবধিকার জোট একতরফা নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। আলেচনার বিষয় শুধু সুষ্টু ভোটেই সীমাবদ্ধ রাখছেঁন। সব সমস্যার সমাধান অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচন। সুষ্ঠ ভোটে সকল গরীবের কোনই কল্যাণ হবেনা সুধী সুশীল সমাজের কেউই তা বলছেন না। সুধী সুশীল সমাজের কেউই বলছেন না গরীবের পক্ষের রাজনৈতিক দল কোনটি ? বি এন পি জামায়াত জাতীয় পার্টি সরাসরি বড়লোকের পক্ষের রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ গরীব ঘেষা বড়লোক বান্ধব দল নির্বাচনী ইশতেহার পড়লে তা অনুমেয়। মুলত বামপন্থীদের গরীবের পক্ষের রাজনৈতিক দল বলা হলে ও পরিকল্পিতভাবে শয়তান আমেরিকা ভারত ধর্মীয় উন্মাদনা জাগ্রত করে বামপন্থীদের একত্রিত হতে দেয়নি। ভারত সরকার ডোন হামলা করে গরীব মানুষ মারছে যাতে করে বামপন্থীরা সংগঠিত হতে না পারে,নাটক সিনেমায় মিনিটে মিনিটে পুজা আর্চনা সংগে সংগে নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক ্ আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটার প্রসার ঘটাচ্ছে যাতে গরীবেরা ধর্ম স¤প্রদায়িকতা আর নগ্নতাতে মজে থাকে এজন্য ভারত আমেরিকার সামরিক চুক্তি । সম্পদের মালিকানা বহাল রেখে শুধু দুর্নীতি রোধ করে গরীবের কল্যাণ আমআদমী কি ভারতের আমেরিকার সমাজতন্ত্রের বিকল্প এক্সপেরিমেন্ট ? যেভাবেই হোক গরীবের কল্যাণ হলেই আমরা গরীবেরা খুশী ।(চলবে)
©somewhere in net ltd.