![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ও শৈলেন গরুর গাড়ীর কয় গাড়ী টাকা দিলে খুলনারে ইন্ডিয়ার মধ্যি রাখা যাবেনে।
এ উক্তি একজন নারীর। পুরোনো দিনের অভিজাত ধনী নারীরা যাদের স্বামীরা বাবা ভায়েরা যারা অগাধ সম্পদের মালিক ছিলেন সেসব অভিজাত ধনী নারীদের জন্য খরচ হতো রাজ্যের অর্ধেক। গোলাপ জলের এক গোসলে দিল্লীর বাদশাহী বেগমদের যে খরচ হতো তা ছিলো তখনকার দিনে অভিজাত ধনী নারীদের প্রতি সম্মান।ওই একই সময়ে দরীদ্র নারীরা ছিলো মুলত দাসী বান্দী। অভিজাত শৈলেন ঘোষের মা খুলনার পিকচার প্যালেসের জমিদার ৪৭ সালে ভারত পাকিস্থান ভাগ হওয়ার সময় এ উক্তি করেছিলেন,” ও শৈলেন গরুর গাড়ীর কয় গরুর গাড়ী টাকা দিলে খুলনারে ইন্ডিয়ার মধ্যি রাখা যাবেনে”।এখনকার দিনের অভিজাত ধনী নারীদের যে খরচ তা কিছুটা অনুমান করা যায় ঋণ খেলাপীর পরিমান দেখে তারমানে যে সব পুরুষেরা ঋণ খেলাপী তাদের ঘরের নারীদের খরচ হিসাব দেখলেই বোঝা যাবে খেলাপী ঋণের টাকা কোথায়। আর দরিদ্র নারী ইট ভাংগছে রাজমিস্ত্রির যোগালের কাছ করছে কারখানায় ১২ঘন্টা ১৪ঘন্টা দাসত্ব করছে। শৈলেন ঘোষের মা গরুর গাড়ী ভরে টাকা দিয়েও খুলনাকে ইন্ডিয়ার মধ্যে রাখাতে পারেননাই ,আজ শৈলেন ঘোষের মা বেচে থাকলে দেখতেন আল্লাহর কৃপায় শুধু খুলনা নয় পুরো বাংলাদেশই ইন্ডিয়ার মতো কিন্ত তখনার দরিদ্র নারী আর এখনকার দরীদ্র নারী দাস দাসীর অবস্থা থেকে উন্নতি হয়নি বরংদরিদ্র নারী ইট ভাংগছে রাজমিস্ত্রির যোগালের কাছ করছে কারখানায় ১২ঘন্টা ১৪ঘন্টা দাসত্ব করছে।।ধনীর মেয়ের মাসে হাত খরচ ১০লক্ষ টাকা আর অ-নে-ক দরীদ্র নারীর মাসে খাওয়া খরচের (একহাজার) ১০০০টাকা নেই।আমরা কোন নারী স্বাধীনতার কথা বলছি ? যে নারী মাসে ১০লক্ষ টাকা খরচ করে স্বাধীনভাবে সেই নারী নাকি যে নারীর মাসে খাওয়া খরচের ১০০০টাকা নেই। বেগম রোকেয়ার নারী জাগরণ নারীকে যে সম্মানের স্থানে আনছে তাকে এগিয়ে নিতে নারীর প্রতি রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা বৃদ্ধি করতে হবে। সম্পদের সমতা,ক্ষমতায়নে সমতা নারী স্বাধীনতার মুল শক্তি। সম্পদের সমতার কথা বললেই আমাদের সমাজের রাষ্ট্রের ধারক বাহক রাজনৈতিক দলগুলি ও তাদের প্রভু দেশগুলি নাখোশ হন। সম্পদের সমতা দুরে থাক জনগণের প্রতিনিধিদের অগাধ ধনভান্ডারের তথ্য যাতে সাধারন জনগন না জানতে পারে তার জন্য আইন হতে যাচ্ছে অর্থাৎ প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের তথ্য থাকবেনা। সম্পদের মালিক হওয়াই সম্মানের, মর্যাদার সে মুল্যবোধ শিকড়ে শিকড়ে গেথে দেয়া হচ্ছে। যে মুল্যবোধে সত্যিকারের স্বাধীনতা নেই,পরাধীন থাকতেই হচ্ছে দরীদ্র নারী পুরুষদের।আর দেশ পরাধীন থেকেই যাচ্ছে আমেরিকা ভারতের কাছে। দেশের নদী বিলুপ্ত হবে দেশী পণ্য হবে ভারতীয় পণ্য ভাষা সংস্কৃতি হবে আমেরিকান ভারতীয়। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার থাকলো কি ? আমদের দেশ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আমেরিকা ভারতের একচেটিয়া প্রভাবমুক্ত হতে হবে।যতদিন আমেরিকা ভারতের প্রভাবমুক্ত হবেনা দেশ ততদিন নিজগৃহে পরবাস, আর নারী স্বাধীনতার নামে হতেই থকবে নগ্নতা যৌনতার পণ্য। শুধু আমেরিকা ভারতের প্রভাব মুক্ত হলেই বর্তমান সরকারই পারবেন বস্তি ফুটপাত গ্রামের জীর্ণশীর্ণ ঘরের পরিবর্তে দেশের সকল মানুষের জন্য পাকাঘর পাকাপায়খানা সুপেয় পানি মাসে দশ হাজার টাকা ভাতা কার্যকর করতে।০-১৮ সকল শিশু সমমানে রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা নিরাপত্তায় গড়ে উঠলে ২০৫০ সালের আগেই দেশ হতে পারে সত্যিকারের সোনার বাংলা।
©somewhere in net ltd.