![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই কিছু দিন আগেও একজন ধ্যানী বালকের খোজ পেয়েছিলো সেদেশের সরকার ,জংগলে ১১বছর ধ্যানের পর সরকার টের পায় এবং সে খবরের শিরোনাম হয়। গৌতম বুদ্ধ সিদ্ধার্থ নামে ধ্যান করতেন।নবীজি ৪০বছর ধ্যান করে নবুয়াত লাভ করেন। কার্ল মার্কস,এংগেলস ধ্যান করতেন কিনা জানা নেই তবে একথা সত্য মহা মনীষীদের দীর্ঘ ধ্যানে আবিস্কারে সভ্যতা আলোকিত হয়েছে। ধ্যানরত মজনুর ধ্যানে মননে চিন্তায় একথাগুলোই বার বার মনে হতে থাকে আরো মনে হতে আব্বার ও কি এরকম ইচ্ছা যে তার ছেলে ধ্যান করে মহা মনীষীদের মতো বিখ্যাত হোক।মজনু ভাবে আব্বাকে সরাসরি বলে ফেলি এরকম কোন আশা থাকলে নিরাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।মজনু নিজেকে ভালোমতোই বুঝতে পারে যৌনসুখে এতসুখ যে সবকিছু ছেড়েছুড়ে বৈরাগী সন্ন্যাসী হও ধ্যান করো তারপর বিখ্যাত হও তা কি সম্ভব। নায়িকা সেলিব্রেটিরা যখন বুক আর পেটের সরিয়ে দ্রুততালে ঘুটা শুরু করে তখন ধ্যানরত মজনু বন্ধচোখ পিটপিট করে হালকা খুলে আবার বন্ধ করে ,মনটা উৎফুল্ল হলেও বউ টের পাওয়ার ভয়ে একটু চুপসে যায়।বউ টের পেলেই বলতে শুরু করে হয় ধ্যান কর না হয় দ্রুততালে কোমর ঘুটা দ্যাখ।অগত্যা মজনু চোখ বন্ধ করে ধ্যানে বসে।একঘন্টা ধ্যান করলেই হাজার অসংগতি মননে আসে এত ধ্বংস এত মৃত্যু এত কষ্ট মনুষের তবু শুধু টাকা চাই,অঢেল ধন সম্পদের মালিক হতে চাই চাই খাই খাই মোটে যাচ্ছেনা।শুধু টাকার মালিক হওয়ার নেশায় যতঅপকর্ম হচ্ছে। ঘুষ খাচ্ছে টাকার মালিক হওয়ার নেশায়,দুর্নীতি করছে টাকার মালিক হওয়ার নেশায়,চোরাচালান করছে পাচার করছে টাকার মালিক হওয়ার নেশায়,খুন গুম করছে টাকার মালিক হওয়ার নেশায়,রজনীতি করছে টাকার মালিক হওয়ার নেশায়।টাকা থাকলে ভোগটা বেশ রাজকীয় হয়,মেয়ের হাত খরচ দেয়া যায় মাসে ১০লক্ষ টাকা,বউ ছেলের বিদেশ ট্যুরে খরচ করা যায় লক্ষ কোটি টাকা,নাইট ক্লাব,ফুর্তিতে,জুয়া খেলায় খরচ করা যায় লক্ষ কোটি টাকা।মজনু ভাবে আমার কেনো টাকার নেশা হলোনা।আর টাকার মালিক হওয়ার নেশা হলোনা বলে আব্বা মজনুকে বললেন তোরে দিয়ে আর কিছু হবেনা, তুই চেষ্টা করে দ্যাখ ধ্যানে বসে ভাবনাগুলো লিখে সকল মানুষের জন্য সত্যিকার কল্যানকর কিছু পরিবর্তন আনতে কিছু করতে পারিস কিনা।না আব্বা কল্যানকর কিছুই আমারে দিয়ে হবেনা।মজনুর কাছে যা মানুষের জন্য কল্যান মনে হয় এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তা গ্রহনযোগ্য নয়।আমাদের দেশের রাজিৈতক দলগুলি অসততার তীর্থস্থান,সকল রাজনৈতিক দলগুলি আদর্শ দেশপ্রেমের মোড়কে টাকার মালিক হওয়ায় নেশার কারখানা।অধিক টাকার মালিক হলে কি দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না এ প্রশ্ন মজনুর বউ মজনুকে প্রায় জিজ্ঞাসা করে থাকে। না বা হ্যা কোনটাই মজনু বলতে পারেনা কারন মজনুর জ্ঞান দেশপ্রেম সীমাবদ্ধ কিন্ত টাকার মলিক হওয়ার নেশা অসীম।মজনু শুধু বউকে বলে বুঝলি বউ টাকার মালিক হওয়ার নেশা এত সীমাহীন অসীম যে দেশ আমেরিকা গিলে ফেললো না ভারত খেয়ে ফেললো,দেশের মানুষ মরলো না বাচলো,খেয়ে থাকলো নাকি না খেয়ে থাকলো,বস্তিতে ঘুমালো নাকি ফুটপাতে ঘুমালো লেখাপড়া শিখলো নাকি শিশুশ্রমিক হলো কিছু আসে যায়না।শুধু নিজেদের আরাম আয়েশ ছেলেমেয়েদের দামী স্কুল নাইট ক্লাব,ফুর্তি,জুয়া খেলা বউ ছেলের বিদেশ ট্যুরই দেশপ্রেমে সীমাবদ্ধ।বউ মনে হয় মজনুর কথা কিছুটা বুঝতে পারে তাই বলে এতো খুব সহজেই সমাধান করা যায়।সীমাহীন টাকার মালিক হওয়াই যদি সকল অপকর্মের মুল হয় তাহলে টাকার মালিকানা সীমাবদ্ধ করলে নিশ্চয়ই মানুষ বেশী দেশপ্রেমিক হবে।(চলবে)
©somewhere in net ltd.