![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যা সাতটার সময় নীলার সাথে চাইনিজে ডেট করার কথা।এমন সময় মা এসে জানালেন বাবাকে কেমন জানি অসুস্থ লাগছে, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হবে।ষাটটি বছর এ পৃথিবীতে অতিক্রম করায় বাবা এখন রুগ্ন, জীর্ণ এক ব্যক্তি।বৃদ্ধকালীন নানা রোগ বালাই তাকে ইতিমধ্যে বেশ কাবু করে ফেলেছে।তাই মা তাকে কখনো একা বের হতে দেন না।একা বের হতে দেন না ভাল কথা কিন্তু বড় দুই দুইটা ভাই রেখে আমার কেন বাবাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার কাজটি করতে হবে? এ কাজ আমি কখনো করি না।বাসার হাবিজাবি সব কাজতো বড়রাই করে।আমার মনের কথাটা মাকে জানাতে একটুও কুণ্ঠা বোধ করলাম না।নিজের বিরক্তি প্রকাশ করতে আমি কখনো লজ্জা পাই না।যাকে যা বলার সরাসরি বলে দেই।মা জানালেন, বড় ভাই বাসায় নেই।আর মেজো ভাইয়ের সাথে কোথাও যেতে বাবা নাকি কমফোর্ট ফিল করেন না।না করারই কথা অবশ্য।মেজোটা যা বদ।কথায় কথায় বাবাকে ধমক দেয়।
বাবার অবস্থা বেশ খারাপ দেখে ডাক্তার দেখানোর কাজটা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পিছাতে পারলাম না।বাবাকে নিয়ে রিক্সায় উঠলাম।যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে এসে তারপর না হয় নীলার সাথে ডেট হবে। অনেকদিন পর নীলার সাথে দেখা হবে ।আজ দেখা না করলে আবার কবে হবে ওনলি গড নোজ।সে প্রায়ই ডুব দিয়ে থাকে।কি যে স্বভাব মেয়েটার! আমি বরং রিক্সা ড্রাইভারকে তাড়াতাড়ি এগুতে বলি।
ডাক্তার সবকিছু দেখে বললেন তাড়াতাড়ি একটা টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসতে হবে।আমার তো মাথায় বাজ! হাতে মোটেও সময় নেই।সাতটা বাজতে আর সাত মিনিট! এখন টেস্ট করাতে গেলে আরো এক ঘন্টা চলে যাবে।কাল টেস্ট করা যাবে ।বাবা যেহেতু কানে কম শুনেন, ডাক্তারের কথা নিশ্চয়ই শুনতে পাননি।আমি তাড়াতাড়ি করে বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।তারপর হন্তদন্ত হয়ে চাইনিজে রওনা দিলাম।নীলা একটার পর একটা কল দিচ্ছে। আমি কল ধরলাম না।তাড়াতাড়ি পৌছাতে পারলেই হল।
নীলা নেই।রাগ করে চলে গেছে নিশ্চয়ই।মোবাইলে কল দিলাম তাকে ।নীলা কল কেটে দিয়ে মেসেজ দিল।"থাক আর কখনো আমার সাথে দেখা করতে হবে না তোমার।" ইন্নালিল্লাহ! নীলা যে এক কথার মানুষ বাবা! কিভাবে যে তার রাগ ভাঙাবো! কলটা ধরলে তবুও একটা কথা ছিল।
রাতে মন খারাপ করে যখন শুয়ে আছি তখন মা রুমে ঢুকলেন।বললেন, ‘তুই আজ ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ায় তোর বাবা আজ খুব খুশী।’ খুশী হবে না ছাই হবে? হাহ! আমার এতো বড় একটা ক্ষতি করে তারপর বাবা খুশী হয়েছেন! বাবা আমার! ওদিকে মা বলেই চলেছেন, ‘জানিস, তখন তুই অনেক ছোট।এক সকালে দেখি তোর খুব জ্বর।শিগগীর তোকে ডাক্তার দেখাতে হবে।ওদিকে তোর বাবার তো ১০ টা থেকে অফিস।আমি বললাম, আমি তোকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব।তুই গোঁ ধরলি, বাবা ছাড়া ডাক্তার দেখাবি না।তোর বাবা অফিস না গিয়ে তোকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে রওনা দিল।কতো করে তাকে বারন করলাম।বললাম অফিসে চলে যেতে।উনি আমাকে ধমক দিয়ে প্রশ্ন করলেন, ছেলে আগে না চাকরি আগে।আমি আর কথা বাড়ালাম না।সেদিন আবার উনার বড় সাহেব অফিস ভিজিটে এসেছিল।তখনকার দিনে তো মোবাইল ফোন ছিল না।আর বড় সাহেবও অনেক গরম ছিলেন।তাই তোকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাবার জন্য তার ঐ চাকরিটা চলে গিয়েছিল।
ঘটনাটা আমার জানা ছিল না।এতো বড় একটা ঘটনা, অথচ বাবা কখনো এটাকে গল্প করার মতো কোন বিষয় বলে মনে করেননি।আপন মনেই প্রশ্ন করলাম, বাবা আগে নাকি নীলা।বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম। এখনো বেশি রাত হয়নি।ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা পেতে পারি।
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি।
২| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮
পরিযায়ী বলেছেন: ভালো লিখেসেন।
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০
আরজু পনি বলেছেন:
আমরা আসলে খুব স্বার্থপর ! পিতামাতার অবদান মনে রাখি না
শেষটা ভালো লাগলো।
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ আপি।
৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইদানিং বেশি সেন্টিমেন্টাল গল্প লিখতাসেন। ভালো লাগতাসে।
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭
কয়েস সামী বলেছেন: আপনের মতো লিখতে চাই। পারি না, তাই উল্টা পাল্টা হইয়া যায়। হামার মতো করে বোধহয় আর কেউ পারব না। হামা ইজ ওনলি ওয়ান।
৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২
আর.হক বলেছেন: হ্যা ভাই এখনো ডায়গানেস্টিক সেন্টার খোলা আছে.........
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭
কয়েস সামী বলেছেন: থ্যাংকু।
৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
মাসু২০০৯ বলেছেন: বাবা অসুস্থ । এর চাইতে বড় আর কি হতে পারে ? এইটা আপনার প্রেমিকা কে ফোন করে বললেই পারতেন। আমার মনে হয়না এমন কোন প্রেমিকা আছে যে বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বললে রাগ করবে । আর বাই চান্স যদি কোন প্রেমিকা রাগ করে তাইলে বুঝবেন সে আপনাকে রিয়েল ভালবাসেনা। পুরাই ফেইক
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯
কয়েস সামী বলেছেন: আগেই ফোন করে নিলে তো ভাই গল্পটা হইতো না!
৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলে খুব স্বার্থপর !
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
কয়েস সামী বলেছেন: আসলেই।
৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৯
poops বলেছেন: +++
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪২
কয়েস সামী বলেছেন: অনেকদিন পর! ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: দারুন । ভালো লাগছে ।
১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১২
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: আজকে ব্লগে একের পর এক ভাল গল্প পড়ে যাচ্ছি সুন্দর গল্প।
১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া। সমস্যা হল বড় হলে আমরা সব ভুলে যাই
১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনাকে।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সেন্টিমেন্টাল গল্প। ভাল লেগেছে।
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
অপ্রচলিত বলেছেন: মহান সব বানী দিয়ে ভরাই ফালাইতেছেন ভাই ভালো লাগল বেশ। মা-বাবার থেকে বড় পৃথিবীতে কিছুই নেই। সেটা আমরা অনেক সময় বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: এই উপলব্ধিটা যদি সবার থাকতো!!
ভালো লাগলো।