নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস নিয়ে কিছু পরামর্শ

১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

বিসিএস নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন সবসময়ই শুনা যায়: বিসিএস এতো কঠিন কেন? বিসিএস এতো দীর্ঘ কেন? বিসিএস কেন মুখস্থ বিদ্যাকে প্রেফার করে? বিসিএস প্রশ্ন কেন বার বার ফাঁস হয়ে যায়? বিসিএস পরীক্ষায় কেন রাজনৈতিক নিয়োগ হয়? কোটা নিয়ে কোন প্রশ্ন এতোটা জোরালো হয়নি এর আগে। এবার যেভাবে প্রিলি রেজাল্ট হয়েছে তাতে এ প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক ছিল। কোটা নিয়ে আজ যে আন্দোলন তা ভবিষ্যতে আরো জোরালো হয়ে পরীক্ষার অন্যান্য দুর্বলতা নিয়েও হবে এটা অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না। তাই পরীক্ষার্থী সচেতন হবার আগেই কর্তৃপক্ষের সচেতনতা বড্ড দরকার। এখনই সময় কোটা প্রথা সহ পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল সংস্কার।

১. কোটার পরমান কমিয়ে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত। ৩০ শতাংশ সুযোগ পাবে অনগ্রসর ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায়, ৭০ শতাংশ নিয়োগ পাবে মেধার ভিত্তিতে। এতে মেধাবীদের ক্ষোভ একেবারেই কমে যাবে।

২. ১০০ মার্কের প্রিলি হবে সব কিছুর বেসিক নিয়ে। সাধারন জ্ঞান বিষয়ে এমন প্রশ্ন বেছে নিতে হবে যা কখনো মুখস্থকে উৎসাহিত করবে না। যেমন, মনে করা যাক সাম্প্রতিক সময়ে একটা সাবমেরিন ডুবে গেল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন হতে পারে সাবমেরিনটির নাম কি? কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় সাবমেরিনটির ওজন কত? তবে পরীক্ষার্থীরা হতাশ হতে পারে।

৩. রিটেন পরীক্ষার নাম্বার কমিয়ে আনা উচিত। একজন ব্যক্তির মেধা যাচাই করতে যেখানে ১০০ নাম্বারই যথেষ্ট সেখানে ১২০০ নাম্বারের প্রশ্ন বালখিল্য ছাড়া আর কিছুই না। তাই পরীক্ষার মোট নাম্বার ৫০০ তে নামিয়ে নিয়ে আসা উচিত। প্রতিটি প্রশ্নের মানও কমিয়ে অনুর্ধ্ব ৫ করা উচিত। প্রশ্নের মান বেড়ে গেলে পরীক্ষাথীরা মুখস্থ করার দিকেই বেশি মনোযোগী হবে।আবার প্রশ্নের ধরনেও পরিবর্তন আনা দরকার। বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীগুলো আলোচনা কর- এ প্রশ্নের চাইতে, সংবিধানের জন্য নাগরিক নয়, নাগরিকের জন্য সংবিধান, আলোচনা কর- এই প্রশ্নটাই বেশি ক্রিয়েটিভ উত্তরের আনুপ্রেরনা দিবে।

৪. ভাইভাতে কখনো মুখস্থ বলতে হয় এমন প্রশ্ন করা হবে না। ভাইভাতে দেখা হবে একজন পরীক্ষাথীর বাংলা ভাষায় বাচনভঙ্গি, ইংরেজী কমিউনিকেশনে দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি, নিজেকে প্রেজেন্ট করার ক্ষমতা এইসব বিষয়।

৫. সেই সাথে পরীক্ষাটি এক মাসের মধ্যে শেষ করে দ্বিতীয় মাসে রেজাল্ট দেয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।

তবেই হবে বিসিএস পরীক্ষা আধুিনক ও বাস্তবসম্মত। তবেই কেবল প্রকৃত মেধাবীরা বের হয়ে এসে দেশের দায়িত্ব নিতে সক্ষম হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মশিকুর বলেছেন:
সহমত...

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

আরজু পনি বলেছেন:

ভাইভাতে কখনো মুখস্থ বলতে হয় এমন প্রশ্ন করা হবে না। ভাইভাতে দেখা হবে একজন পরীক্ষাথীর বাংলা ভাষায় বাচনভঙ্গি, ইংরেজী কমিউনিকেশনে দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি, নিজেকে প্রেজেন্ট করার ক্ষমতা এইসব বিষয়।....

এরকম হলে অনেক রাঘব বোয়ালই বাদ যাবে যে ;)

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কয়েস সামী বলেছেন: আপি অনেক দিন পর পেলাম! ভাল থাকবেন।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কোটা ৫ শতাংশের বেশী হওয়া উচিত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.