![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা:
কাল আমার এক পরিচিতের বাসায় গিয়েছিলাম। চার সন্তান রেখে বউ মারা যাবার পর তিনি আবার বিয়ে করেছেন।
গল্প:
এক কাজ করা যায়, সে যখন ছাদে উঠবে তখন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া যায়। হালিমের প্রস্তাব। আমি হাসলাম। ক্লাস নাইনের সবচেয়ে ভাল ছাত্র হয়ে এমন বোকার মতো ভাবল কি করে?
কথাটা তাকে বুঝিয়ে বললাম, আরে গাধা, দোতলা থেকে ফেললে কেউ মারা যায় বুঝি?
ও আচ্ছা। হালিমের মিটিমিটি হাসি দেখে বুঝা গেল সে তার বোকামী বুঝতে পেরে লজ্জা পাচ্ছে।
তানিয়ার প্রস্তাবটা বরং তার থেকে বেটার- পেটুকটা যখন ঘুমাবে, তখন বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেললেই হয়। ওতো ভাবাভাবির কী আছে?
তবু এটা সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি না। তাই বললাম , ডাইনীটা যা দশাশই শরীরের, তাতে আমাদের চারজনের শক্তিতে কুলানো যাবে কি না সন্দেহ আছে। আর এটা তো সবাই বুঝতে পারতেসো যে কাজটাতে একবার ভুল করে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এ বাড়ি থেকে আমাদের চিরতরে চলে যেতে হবে। রাজা-রানী তারপর সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে থাকবে।
বৈঠক হচ্ছে আমাদের চার ভাই বোনদের মধ্যে। টপিক হল একটা মার্ডার করার উপায় বের করা। বাড়ির বাকি দুইজন এতোক্ষনে নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছে। তাই এ মিটিংএ সাবধানতার কোন দরকার মনে করছি না। আমাদের চার ভাইবোনের সাথে পরিচয় করানো যাক। হালিম আমাদের সবার ছোট । নাইনে পড়ে। তার ইমিডিয়েট বড় হল তানিয়া। এবার এস্এসসি দিয়েছে। নাজ আপি সবার বড় বিবিএ পড়ছে। ফাইনাল ইয়ার। আর আমি সবে মেডিকেলে ভর্তি হলাম।
ঘটনা হল আমাদের মা মারা গেছেন গত বছর। অথচ এক বছর যেতে না যেতেই গত মাসে কাউকে না জানিয়ে কোথা থেকে এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসে বাবা আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছেন, এই তোমাদের নতুন মা। সালাম কর সবাই। ইচ্ছে না থাকলেও সবাই সালাম করলাম। হালিম সবার ছোট। ওর মেন্টাল গ্রোথও অতোটা হয়নি। সে সালাম করার সময় পায়ে থুথু ঢেলে দিল। তারপর বাবার সে কী রাগ! হালিমকে মারতে মারতে একেবারে অজ্ঞান করে ফেলেছিলেন। এখন অবশ্য অবস্থা মোটামোটি স্বাভাবিক। মায়ের আচার আচরণও বেশ ভাল। তবু আমাদের কারুরই মহিলাটিকে পছন্দ হচ্ছে না। একদম মেনে নিতে পারছি না তাকে। মানবোই বা কেন? মায়ের জায়গা কি কখনো আরেকজনকে দেয়া যায়? এতোদিন মনে মনে সবাই পুড়ছিলাম। সবচেয়ে বেশি বোধহয় পুড়ছিলাম আমি। হোস্টেল থেকে প্লান করে এসেছি ডাইনীটাকে মেরে ফেলার। আজ রাতেই সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আমার মনের কথাটি সবাইকে বললাম। বুঝলাম এটা সবারই মনের কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছি, খুন করে খুনের দায় স্বীকার করে সবাই মার কাছে চলে যাবো। পৃথিবীর সবাইকে ঘটনাটি জানিয়ে যাবো যাতে করে আর কোন সন্তান কখনো আমাদের মতো বিদঘুটে অবস্থায় না পরে।
হালিম বলল, তাইলে তোমার প্রস্তাবটা বললেই পারো।
আমার প্রস্তাব অতি সহজ। এবং কার্যকরও বটে। কাল বিকেলে ডাইনিটা যখন ঘুমাবে তথন আমরা চারজন চারটা ছুরি দিয়ে বুড়িটার বুকে ঢুকিয়ে দিব। চার চারটা ছুরি ঢুকলে বুড়িটা নির্ঘাত অক্কা যাবে সাথে সাথে।
চারটা ছুরি পাবো কই আমরা? হালিমের প্রশ্ন।
ঠিক ঠিক। তানিয়া সমর্থন জানাল।
তাদের আশ্বাস দিয়ে বললাম, ছুরি আমি নিয়ে এসেছি। আসার সময় খুব ধারালো দেখে চারটে ছুরি কিনেছি।
কিন্তু, আপি, আমরা যে ভীতুর ডিম একেক জন। এরকম একটা ভয়াবহ কাজ করতে গেলে কিন্তু আমাদের সবার হাত কাঁপবে।
তানিয়ার কথায় সম্মতি দিয়ে হালিম বলল, হ্যা, আপি। আমিও মনে হয় পারবো না। ওটা করতে প্রফেসনাল হতে হয়।
একটা মার্ডারের সময় খুনীর সাইকোলজিকেল ব্যাপার নিয়ে আসলেই ভাবিনি। এটা ঠিক, হাতে ছুরি নিয়ে কারু দিকে তেড়ে যাওয়া বোধহয় আমার দ্বারাও সম্ভব না।
তানিয়া বলল, আমি বলি কি, বুড়িটা প্রতিদিন সকালে দুধ খায়। আমরা যদি দুধের পটে ঘুমের টেবলেট মিশিয়ে দেই?
ঠিক ঠিক। তুলনামূলক সহজতর পদ্ধতি জেনে হালিম যথেষ্ট সাহসী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
কিন্তু ঘুমের টেবলেটেতো ভেজাল থাকে বলে শুনেছি। কিছুই হয় না।
না আপি, আমরা ভাল কোম্পনির পাওয়ার ফুল ওষুধ কিনবো। একটা দুইটা না। একসাথে দুইশোটা টেবলেট গুনে গুনে গুলে দেব দুধের মধ্যে। কাকপক্ষীও টের পাবে না।
কিন্তু এতোগুলা ওষুধ কোথায় পাবো।
ডোন্ট ওরি, আপি। আমি প্রদীপ ডাক্তারের একটা প্রেসকিপশনের পাতা চুরি করে আনবো। তাতে ওষুধের নাম লিখে চারজনের প্রত্যেকে চারবারে ভিন্ন ভিন্ন ফার্মেসী থেকে পাঁচ পাতা করে কিনে নিয়ে আসব। পাঁচ দশে পঞ্চাশ আর চার পঞ্চাশে দুইশ! হয়ে গেল! প্রয়োজনে কাজটা কাল না করে বরং দুদিন পরে করব।
চমৎকার বুদ্ধি। তানিয়া যে এতো বুদ্ধিমতী এটা জানা ছিল না। তার কথায় সম্মতি না দেবার কোন প্রশ্নই উঠে না।
এতোক্ষনে নাজ আপি মুখ খুলল। নাতাশা, আমার একটা কথা আছে।
বলো। সভাপতি হিসেবে সবার কথা শুনতে পেলে ভাল হয়!
শোন, তুমি ঐ মহিলাটার উপর রেগে আছো কেন? ঐ মহিলার তো কোন দোষ নাই। আমার মতে সব দোষ তো বাপির। বাপি নিজেই তো ঐটাকে বিয়ে করে এনেছে। হ্যামলেট পড়ো নাই? গোটা কাহিনীটাই আবর্তিত হইসে হ্যামলেটের তার বাবার খুনী মানে তার চাচাকে খুন করার চেষ্টায়। অথচ তার চাচাকে তো নিয়ে এসেছিল তার মা। হ্যামলেটের উচিত ছিল আগে তার মাকে খুন করা। তাই নয় কি? আমাদেরও সেটাই করা উচিত। খুন যদি করতে হয় তবে বাপিকেই করা উচিত।
নাজ আপির কথা শুনে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম সবাই। কিছু বলার খুঁজে পেলাম না। তাই সভা সেদিনের মতো মূলতবি ঘোষনা করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। আজও পরবর্তী সভাটা ডাকা হয়নি।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
কয়েস সামী বলেছেন: তাড়াতাড়ি আসেন, আপি। ওয়েইট করতেসি!
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: বড় বড় ছেলে মেয়ে রেখে বাবার বিয়ে করার ঘটনা অহরহই ঘটে । আর এই রকম অবস্থায় সন্তানদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ে তাতে এরকম ভাবাটা বিচিত্র নয় ।
শেষটা খুব ভাল লেগেছে । যে দায়ী নয় তাকে শাস্তি দেয়াটা ঠিক না, এই উপলব্ধি টা ভাল । গল্পটা খুব ছোট পরিসরে হলেও উত্তেজনাময় দ্বান্ধিক একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ।
ভাল লেগেছে +
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
কয়েস সামী বলেছেন: আপনার চমতকার কমেন্ট আমাকে এক রাশ ভাল লাগা দিয়ে গেল। ধন্যবাদ মামুন।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
মুগ্ধ মাহি বলেছেন: আমার মতে ,
আপনি যদি আপনার বাবাকে ভালোবাসেন তাহলে মেনে নিন নতুন মাকে ।
কারন , একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে সবাই insecured হয়ে যায়, সবাই চায় শেষ বয়সে যেন স্বামী/ স্ত্রী পাশে থাকে যেহেতু ঐ বয়সে ছেলে-মেয়েদের সাথে একটা বিশাল দুরত্ব সৃষ্টি হয় ( যদিও অনেকে স্বীকার করতে চায় না তারপরও আপনি বিয়ে-সংসার করাকালিন বাপ-মা এর সাথে আজকে যেমন ফ্রি তেমনটা থাকার সম্ভাবনা খুবি কম )
তবে হ্যা , মায়েরা মেয়ে বা নাতি/নাত্নি এসব নিয়ে সহজেই ঐ একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে পারে ।পুরুষেরা তা পারে না , ভাবে জীবন তো একটাই ;যেহেতু সুযোগ আছে দেখি না আরেকবার বিয়ে করে ! তাই করে ফেলে ।
আর আপনি যদি নিজেকে সংকীর্নমনা না ভাবেন , স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে থাকেন ,উদার মানসিকতার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যি মেনে নিবেন । উন্নত বিশ্বে এসব ঘটনা অহরহ ।
আপন মা এর জায়গা কেঊ নিতে পারে না , পারবে না । নতুন মাকে মা হিসেবে না নিলেও মা এর বান্ধবী / আত্বীয় বা সিনিয়র একজন বন্ধু ভাবুন সব ঠিক হয়ে যাবে ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
কয়েস সামী বলেছেন: এরকম অবস্থায় আসলে আপনার উপদেশ মেনে চলাই সবচে উত্তম। তবু, মানু্ষের মন বলে কথা। বেশিরভাগই ব্যাপারটাকে এতো সহজে নেয় না। মেয়েরা যেটা পারে সেটা পুরুষে কেন পারে না সেটাই বুঝি না।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
আরজু পনি বলেছেন:
লেখাটা পড়ে "শান্তা পরিবার" নামে একটা নাটক দেখেছিলাম, মনে পড়ে গেল ।
কি বলবো, পরিস্থিতিতে কতো কিছুই হয় !
ভালো লাগা রইল সামী ।।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
কয়েস সামী বলেছেন: শান্তা পরিবার দেখা হয়নি্ কখনো। তাই দেখার ইচ্ছে জাগছে। ভাল থাকুন আপি। সারাক্ষন এমনটাই থাকুন আপনার প্রোফাইলে যেমনটা লেখা!
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
মুগ্ধ মাহি বলেছেন: মেয়েরা যেটা পারে সেটা পুরুষে কেন পারে না সেটাই বুঝি না।[/sb
মেয়েরা মমতাময়ী মায়ের জাতি । তাই মেয়েদের স্নেহ/ মমতা জাগতিক কোন কিছুর সাথে তুলনা করা বোকামি।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০০
কয়েস সামী বলেছেন: দুজনের মেন্টাল দিকটাও তবে দুরকম করে তৈরী করা হয়েছে!
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
প্রত্যেকটা মানুষের একান্ত নিজস্ব কিছু চাহিদা থাকে। আমার মনে হয়, অন্যদের তা মেনে নেয়া উচিত। সন্তানদের জন্য পিতা বা মাতার দ্বিতীয় বিবাহ মেনে নেয়া খুব কঠিন কিছু তাদের বুঝতে হবে যে বয়স হয়ে গেলে মানুষের জন্য একলা থাকা খুব কস্টকর।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
কয়েস সামী বলেছেন: ei obosthay besir vag mayera to ekai thake. jai hok. montobber jonno dhonnobad.
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পটা বেশ, কিন্তু শিক্ষিত চার ভাই-বোনের সৎ মাকে খুন করার পরিকল্পনাটা খুবই কাঁচা হয়ে গেছে যেহেতু মহিলা খারাপ নন। সে যদি অত্যাচারী হত তাহলে জিঘাংসা আসার একটা যুক্তি পাওয়া যেত। আর হালিমকে বারবার সাদিক কেন বলা হল এবং তানিয়াকে নাতাশা বুঝলাম না।
শুভেচ্ছা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
কয়েস সামী বলেছেন: মোনাযোগ পাঠের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি। আপনি ঠিক ধরেছেন। আসলে ক্ষোভটা তাদের বাবার প্রতি যা তারা সরাসরি প্রকাশ করতে পারছে না। নাজের মুখ দিয়ে একসময় সরল সত্যটি বের হয়ে আসে।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুন বলেছেন: আপনার গল্পটি পড়লাম কয়েস সামী খুব মনযোগ দিয়ে। এখানে দুটো ব্যাক্তিগত কথা শেয়ার করি কেমন ।
প্রথমঃ আমার বাবার কথা। আমার মা আমার কিশোরী বয়সে মারা যান। এর তিন বছর পর আমার আপন নানী আর মামা রাই আমার বাবার দ্বিতীয় বিয়ে দেন। সে সময় অনেক কষ্ট হয়েছিল আমাদের ভাই বোনদের। কিন্ত পরবর্তী জীবনে যখন আমাদের সবার নিজ নিজ সংসার হলো তখন বুঝলাম উনি কি মমতায় তখন প্রায় প্রৌঢ় আমার বাবার সকল সেবা যত্ন করে চলেছেন। আমার আপন মা অনেক শিক্ষিতা ছিলেন ছিলেন স্কুল টিচার। অনেক সাহিত্য পড়া একজন। কিন্ত আমাদের বর্তমান মা পড়াশোনা জানেন না। আমরা চিন্তা করে দেখলাম হয়তো উনি আমার মা এর মত আমার নিঃস্বংগ বাবার সাথে শিল্প সাহিত্যের আলাপ না করতে পারেন বাঙলা সিনেমার আলাপ তো করতে পারেন পারেন টিভি নাটক বা সংসারের খুটি নাটির। আর আমাদের ভাইবোনদের সন্তানরা কখনোই বুঝেনি তারা তাদের আপন দাদী নানী নন।
এটা আমার প্রতিবেশীর কাহিনী। তার ছেলেমেয়েরা মেনে নেয়নি তার মা এর মৃত্যুর পর তার একা থাকা বাবার বিয়ে। উনি একটা করে বিয়ে করেন ছেলেমেয়েরা এসে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এ ভাবে ৪টা বিয়ে করলেন জেদ করে। প্রথম জন ছিল ভদ্রমহিলা ৫০ উর্দ্ধ বয়স। শেষে এক গার্মেন্টসের ১৮ বছরের মেয়ে বিয়ে করলেন সেই ডাকসাইটে বুড়ো ধনী ভদ্রলোক জেদ করে। এখন তাদের ঘরে ৬ বছরের এক মেয়ে।
তবে স্ত্রী রেখে বা অযথা ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় কয়েস সামী।
বিশাল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক দুঃখিত।
+
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
কয়েস সামী বলেছেন: আমার গল্প আপনার থেকে এরকম একটা মন্তব্য আদায় করে নিল বলে আমি আনন্দিত। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা।
আমি এমন একটা ফ্যামিলির কথা জানি যেখানে সন্তানরাই বাবাকে দ্বিতীয় বিয়ে করিয়ে দেয়। আসলে বৃদ্ধ বয়সে পুরুষমানুষের একা থাকা বেশ কষ্টের। আমাদের সমাজে এটা নিয়ে বেশ একটা নেগেটিজ ধারনা আছে, কি জানি; হয়ত দুয়োরানী, সুয়োরানী, সৎ মা ইত্যাদি নানা রুপকথার প্রচলন বেশি বলে। এগুলো নিয়ে বেশি বেশি লেখালেখির দরকার আছে, তাহলে সমাজের প্রকৃত অবস্থাটা বুঝা যাবে। এই পোষ্টে উপরের প্রায় সবাই পজিটিভলি আলোচনা করেছে, এর কল্যানে বুঝতে পারলাম শুধু আমিই না আরও অনেকেই এভাবে চিন্তা করে।
গুড জব। আপনার "ঘটনা ও ঘটনা থেকে উৎসারিত গল্প" সিরিজটা উপভোগ করছি।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
কয়েস সামী বলেছেন: সবার পজিটিভ চিন্তা দেখে আমারও ভাল্লাগছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এমন পজিটিভলি ভাবা উচিত বলে মনে করি। এই সিরিজটার অবতারনা করলাম, কারন গল্প লেখার পরে পাঠকদের কাছ থেকে নানারকম কমেন্ট শুনতে পাই। সবাই ঘটনার পেছনের ঘটনা তলিয়ে দেখতে চায় এবং ভুল করে ভাবে যে ঘটনাটি হয়তোবা লেখকের নিজ জীবনে ঘটে যাওয়া। একটা গল্প কিভাবে সৃষ্টি হয় এটাই তুলে ধরার জন্যে এ সিরিজটা।
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমি দেখেছি, অনেকেই ব্লগের লেখাকে ব্যক্তিগত বলে মনে করে। আমার এক লেখা পড়ে আমার এক্স কলিগ ফোন দিলো, ব্যক্তিগত প্রশ্ন ছুড়ে। সত্যি হোক বা না হোক, নিজের জীবনের হোক আর অন্যের জীবনের আমি লেখাকে লেখা হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই। লেখকের ব্যক্তি জীবন নিয়ে চিন্তা করতে চাই না। এমন কি সেই লেখা দিয়ে তাকেও বিচার করতে চাই না। আমি জানি না, আমার চিন্তা ঠিক না ভুল।
যা হোক। সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পের উৎস আগে থেকে বলে দেয়ার জন্য। আমার ইচ্ছা ছিলো, আমার সমস্ত লেখা কি করে লেখা হয়ে উঠলো তা পাদটীকা হিসেবে লিখে রাখবো। কিন্তু হয়নি। কিছু ঘটনা বা দৃশ্য বা পরিস্থিতি লিখতে সাহায্য করে। কিন্তু চিন্তার ঠিক ঠিক কার্যকরণ হয়না।
গল্পটা অনেক অনেক ভালো লাগলো। তবে, একটা লাইন ছাড়া- "বাড়ির বাকি দুইজন যৌবন লীলা শেষে এতোক্ষনে নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছে।" এখানে ছোট্ট তিনটা শব্দ 'যৌবন লীলা শেষে' না হলেই ছোটদের মতো করে চিন্তার যে গল্পটা পড়ছিলাম কোথায়ও ছেদ পরতো না। যদিও যিনি গল্প করছেন তিনি ম্যাচিউড, মেডিকেলে পড়ছেন। না এমনিতে ঠিকই আছে। মনে হলো, এই কথাগুলো না বললেও চলতো। ঝরঝরে লেখা। দারুন। সময় করে সিরিজ টা পড়বো।
ভালো থাকবেন। সব সময়।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
কয়েস সামী বলেছেন: (আমি দেখেছি, অনেকেই ব্লগের লেখাকে ব্যক্তিগত বলে মনে করে। আমার এক লেখা পড়ে আমার এক্স কলিগ ফোন দিলো, ব্যক্তিগত প্রশ্ন ছুড়ে। সত্যি হোক বা না হোক, নিজের জীবনের হোক আর অন্যের জীবনের আমি লেখাকে লেখা হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই। লেখকের ব্যক্তি জীবন নিয়ে চিন্তা করতে চাই না। এমন কি সেই লেখা দিয়ে তাকেও বিচার করতে চাই না। আমি জানি না, আমার চিন্তা ঠিক না ভুল। )- ঠিক এ কারনেই সিরিজটির অবতারনা। এতে হয়তোবা গল্পের রহস্যময়তা কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যাচ্ছে, তবু কিভাবে একটা গল্পের সৃষ্টি হতে পারে এবং কিভাবে একজন লেখক তার কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগান তা দেখানোর সামান্য একটা চেষ্টা। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাকে খুন করা দরকার অথবা আসলেই কাউকে খুন করা প্রয়োজন কী না প্রশ্নের মুখোমুখি করে গল্প শেষ করলেন। ভালো লাগলো।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অপসসস, খুন করা আর হলো না
ভালা লাগছে পড়ে
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ভাল লেখা। শুভেচ্ছা।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
কয়েস সামী বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক করুন গল্প।
এসব পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য খুবই কষ্ট হয় । খুব খুউব কষ্ট।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
কয়েস সামী বলেছেন: শুভেচ্ছা খেয়া ঘাট ।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষটা ভালো লাগল। প্লাস।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
কয়েস সামী বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
++++ রইল
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতে মনে হচ্ছিল, সৎমাকে হত্যা করার জন্য প্ররোচনামূলক হয়ে যাচ্ছে গল্পটি। শেষ প্যারার মাহাত্ম্যে গল্পটি ভাস্বর হয়ে উঠলো।
আপনার গল্প যথারীতি চৌম্বকাকর্ষণযুক্ত। তবে শেষের দিকে আরেকটু স্ট্রাইকিং করা যায় কিনা ভেবে দেখুন।
শুভ কামনা।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৮
কয়েস সামী বলেছেন: আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে অনুপ্রেরনা দেয়। চেষ্টা করবো। শুভ রাত্রি।
১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: এটা ধারাবাহিক হবে তাইনা?? খুব মজা লাগলো! মনে হচ্ছিল জাফর ইকবালের গল্প পড়ছি!!
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৫
কয়েস সামী বলেছেন: হ্যা চিন্তাভাবনা আছে! অপেক্ষা করুন। আর, ভাল থাকুন।
১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: শুরুটা লোমহর্ষক মনে হলেও শেষে রয়েছে মাহাত্ব্য। আসলে এ ব্যাপারটা সন্তানকে মেনে নেওয়াটাই উচিত
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ মোমের মানুষ। আপনি যদি আসলেই মোমের মানুষ হয়ে তাকেন তবে প্রথম দিকটা পড়ে আপনার ভয়ে গলে যাবার কথা! মজা করলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০০
আরজু পনি বলেছেন:
জানান দিয়ে গেলাম, আসতেছি পরে ।।