নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা প্রেমের গল্প: চকোলেট

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

গল্প লিখি, গল্প খুঁজি, সেই সাথে খুঁজতে থাকি গল্প পাঠক। অন্যরকম এক কলম্বাস হয়ে অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে একদিন আবিস্কার করলাম আমাদের এলাকার একমাত্র সরকারী কলেজের বাংলা ম্যাডামকে। একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুজনে একসাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলাম। বই পড়া বিষয়ক উনার চমত্কার বক্তব্য শুনে যখন বুঝলাম উনি পড়তে ভালবাসেন, তখন ব্যাংকার পরিচয়ের আড়ালে একজন শখের লেখক হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। পরিচয় জেনে ম্যাডাম তার বাসায় নিমন্ত্রণ জানালেন গল্প শুনার জন্য।



পাঠকেরর এই আকালের যুগে ম্যাডামের নিমন্ত্রণ আমাকে যেন মরুভূমিতে বৃষ্টির পরশ বুলিয়ে দিয়ে গেল। দেরী না করে পরদিন গিয়ে উপস্থিত হলাম ম্যাডামের বাসায়। যাবার সময় একটা চকোলেট কিনে নিলাম তার জন্য। আমার মতে মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর লাগে চকোলেট খাবার সময়টাতে। মেয়েরা যখন চোখ বুজে চকোলেটের স্বাদ নিতে থাকে, তখন মনে হয় স্বর্গ থেকে কোন অপ্সরী মাটিতে নেমে এসেছে। মেয়েরা হৃদয় দিয়ে চকোলেট খেতে জানে, ছেলেরা যেমনটা জানে সিগারেট টানতে।



গন্তব্যে পৌছে জানতে পারলাম ম্যাডাম তার দুইজন ছাত্রী নিয়ে মেস করে এখানে থাকছেন। আমাকে বসতে দিলে পকেট থেকে চকোলেটটা বের করে দিলাম। কিন্তু না, চকোলেট পেয়ে খুশি হয়ে হাত বাড়িয়ে নিতে গিয়েও হঠাত্ করে হাত গুটিয়ে নিলেন। আমি কি কোন ভুল করে ফেললাম? জানতে পারলাম, তিনি চকোলেট খান না। ওটা নাকি উনার লাগবে না। চকোলেট খান না, ভাল কথা। ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মতো রিঅ্যাক্ট করার কোন কারন খুঁজে পেলাম না। যা হোক, শুরুতে এ বিষয় নিয়ে ত্যানা না প্যাচিয়ে গল্প পড়ে শুনানো শুরু করলাম। মাঝখানে লিজা নামের ছাত্রীটা এসে চা দিয়ে গেল। পুরো গল্পটা শুনে ম্যাডাম খুব প্রশংসা করলেন, ভাষাগত কিছু ভুল ধরিয়ে দিলেন এবং শেষে শুরুর ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইলেন।



গল্প খুঁজে বেড়ানো মানুষ আমি; গল্পের গন্ধ পেলে তা না জানা পর্যন্ত শান্তি পাই না। তাই তাকে তার চকোলেট কাহিনী টা জানাতে উদ্বুদ্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে একসময় সফল হলাম। গল্পটা তার মুখেই শুনা যাক:



আমি তখন ক্লাস নাইনে উঠেছি। ইংরেজী পড়ানোর জন্য নতুন একজন হাউস টিউটর রাখা হল। তাকে বাবু স্যার নামেই সবাই চিনে। বাবু স্যার প্রথম দিন আমার জন্য একটা চকোলেট নিয়ে আসলেন। তার কাছ থেকে আমার প্রিয় চকোলেট পেয়ে যার পর নাই খুশি হলাম। এভাবে তিনি রোজ আসার সময় আমার জন্য চকোলেট নিয়ে আসতেন। আমি তার সামনেই চকোলেট খেয়ে পড়া শুরু করতাম। ধীরে ধীরে স্যারকে আমার ভাল লাগতে থাকল। এভাবে সময়ের সাথে সাথে এক সময় বুঝতে পারলাম এখন আর আমার রক্ষে নেই। বাবু স্যার ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারবো না। আমি স্যারের প্রেমে পুরোপুরি মজে গেলাম। স্যারকে ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি, ভয়ও করি। কী করা, কী করা, কী করা? স্যারকে ব্যাপারটা কিভাবে যে বলি! প্রতিদিন নিয়ম করে নিজেকে তৈরী করতাম স্যারকে ব্যাপারটা জানানোর জন্য। কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করেই কাজটাতে ব্যর্থ হচ্ছিলাম। ব্যর্থ হতে হতে একদিন সত্যি সত্যি সাহস পেয়ে গেলাম। আর দেরী করা চলে না। স্যারকে জানাতেই হবে ব্যাপারটা। স্যার আসলেন, বসলেন তার চেয়ারে। আমি চকোলেটের অপেক্ষা করতে থাকলাম। চকোলেটটা খেয়েই স্যারকে কথাটা বলা হবে। ওদিকে স্যার কিন্তু আর চকোলেট বের করে দেন না। আমি অপেক্ষা করি। না, চকোলেট স্যারের হাতে আর উঠে আসে না। একসময় আমি নিজেই বলি, স্যার আমার চকোলেট? স্যার জানান তিনি চকোলেট আনতে ভুলে গেছেন। আমার খুব খারাপ লাগে। গো ধরে বসি। আমার চকোলেট না পেলে পড়বো না। অগত্যা স্যার আমাকে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে বলে চকোলেট নিয়ে আসতে বাইরে যান। আমি অপেক্ষা করতে থাকি। এক মিনিট .. দুই মিনিট.. পাঁচ মিনিট... দশ মিনিট... এক ঘন্টা। স্যার আর আসে না।একমাস কেটে গেল, স্যারের কোন খোঁজ নেই। এর মধ্যেই আব্বা ট্রান্সফার হয়ে গেলেন। আমরা সবাই আব্বার সাথে ফরিদপুর চলে গেলাম। তারপর আমার বাবু স্যারকে আর কোথাও খুঁজে পাইনি। স্যার যে তার জন্য পাগলপারা একটা মেয়েকে ওভাবে বসিয়ে রেখে রাগ করে চলে যাবেন, এমনটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। সেই থেকেই প্রতিজ্ঞা করি চকোলেট এই জীবনে আমি আর কখনো খাবো না, কখনো না।



ম্যাডামের গলা ধরে আসলো, তিনি চুপ হয়ে বসে থাকলেন। তার এই করুন কাহিনীটা শুনে আমিও তার মতো করেই কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে থাকলাম। ধাতস্থ হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,

আপনার ডাক নামটাতো এখনো জানা হলো না।

তুলি।

আচ্ছা তুলি, আপনার এই কাহিনীটা আমাকে একটা গল্প রচনার সুযোগ করে দিল।চমৎকার হবে গল্পটা।

আমার কাহিনী নিয়ে গল্প লিখবেন আপনি!

হু, যদি অনুমতি পাই।

আশ্চর্য! অনুমতির আবার কি হলো। তা আমার এ গল্প থেকে কি গল্প তৈরী করলেন, শুনানো যাবে?

গল্পটা যেহেতু আপনাকে নিয়ে এটা সবার আগে শুনার অধিকার আপনারই। আপনি যতোটুকু বল্লেন, তার পর থেকে শুরু করা যাক, কি বলেন?

ঠিক আছে, করা যাক।



ধরা যাক, আপনার অজান্তেই আপনার স্যার ও আপনাকে ভালবেসে ফেললেন। কিন্তু তিনি সেটা আপনাকে বলতে পারছিলেন না কারন, আপনাকে ভালবেসে তিনি একধরনের অপরাধবোধে ভুগছিলেন। তিনি আপনার শিক্ষক। শিক্ষক হয়ে ছাত্রীর প্রেমে পড়বেন, ব্যাপারটা তিনি ঠিক মানতে পারছিলেন না। আপনাকে ভুলে থাকার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করলেন। কিন্তু পারলেন না। তিনি বুঝলেন আপনাকে ছাড়া আর কাউকে তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না। একদিন তিনি ঠিক করলেন ব্যাপারটা আপনাকে জানাবেন। ঠিক করলেন, সেদিন আপনাকে আর চকোলেট না দিয়ে তার ভালবাসার কথাটাই উপহার দিবেন। কিন্তু আপনি শুরুতেই যখন জেদ করলেন চকোলেট ছাড়া আপনি পড়বেন না। তখন বাধ্য হয়েই চকোলেট কিনতে বের হলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে রাস্তা ক্রস করার সময় এক্সিডেন্ট করলেন। তার পা ভেঙে গেল। এক মাসের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো তাকে। এই এক মাসে অনেক কিছুই ঘটল। তার দাড়ি- গোঁফ লম্বা হয়ে গেল, আপনার আব্বা ট্রান্সফার হলেন, আপনারা সবাই ঢাকা ছাড়লেন। সুস্থ হয়ে স্যার আর আপনাকে খুঁজে পেলেন না। তবু তিনি হাল ছাড়লেন না। আপনাকে একদিন না একদিন পাবেন এই বিশ্বাসে তিনি বিয়ে করলেন না। তিনি হয়তো আজো পকেটে চকোলেট নিয়ে আপনাকে খুঁজে চলেছেন।



গল্প শুনা শেষ হলে ম্যাডাম আনন্দিত হয়ে আমার গল্প তৈরীর ক্ষমতার প্রশংসা করলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, গল্প কেন বাস্তব হয় না, বলতে পারেন। তারপর ভেতরের রুমে গিয়ে একটা কার্ড এনে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, আগামী শুক্রবার আমার বিয়ে। আসলে খুশী হবো।



ম্যাডামের বাসা থেকে বের হলাম। হাতে কার্ড। চকোলেটটা ইচ্ছে করেই ফেলে এসেছি। বিয়ের কার্ড হাতে পাবার পর আর ইচ্ছে হলো না নিজের পরিচয় দেওয়ার। ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে’!

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

আম্মানসুরা বলেছেন: শেষে এসে টুইস্ট টা দারুন লাগল!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: শেষে এটা কি দিলেন :| #:-S


সাধারণ একটা গল্প অসাধারণ হয়ে উঠেছে টুইস্টের গুনে ।

স্যার চকলেট কিনতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে পা ভাঙ্গার কি খুব দরকার ছিল ? ভালবাসার উপহারের চেয়ে চকলেটই যেখানে বড় হয়ে গেল, সেখানে ঐ ছাত্রীর কাছে ফিরে না যাওয়ার আর কি কোন কারণ লাগে !!

ভাল লেগেছে :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

কয়েস সামী বলেছেন: গল্পটা আসলে শেষটার জন্যই লেখা। শেষের অংশটা না পেলে এটা লেখাও হতো না, পোস্ট ও হতো না! ধন্যবাদ মামুন!মাস শেষ হয়ে আসছে, মামুন রশিদের সংকলনে থাকা হবে না এই ভয়ে মাসের শেষে এসে পোস্ট টা দিলাম। ইউ আ' ডুইং অ্যা গ্রেট জব, ম্যান!

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। প্লাস দেবার অপশনটা পাচ্ছি না ++++

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

কয়েস সামী বলেছেন: পড়েছেন এটাই অনেক, প্লাস দিতে হবে না!

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লেগেছে ২য় +

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

কয়েস সামী বলেছেন: প্রিয় কবিকে পেয়ে ভাল লাগছে!

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের শেষে মুগ্ধ।

চমৎকার লেগেছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কয়েস সামী বলেছেন: কনফিউশনে ছিলাম, গল্পটা ভাল হল কিনা। আপনাদের কমেন্টে ভাল লাগছে!

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: শেষের মোচর টা ভাল লাগছে। আপনার সব গল্পগুলা একদিন সময় নিয়ে পরব। দেখি কবে সময় করে উঠতে পারি। গল্প আমার খুব ভাল লাগে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

কয়েস সামী বলেছেন: আপনাদের ভাল লাগা অনুপ্রেরনা হয়ে থাকল। পাঠক হিসেবে আমার বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম!

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

দি ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: আন্দাজ করছিলাম শেষটা এরকমই হবে !!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

কয়েস সামী বলেছেন: আমি তো চাই না আপনারা আগেভাগে আন্দাজ করে ফেলেন।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। খুব ভাল লাগল। আসলে গল্পের একটা ভাল মোচড় গল্পের প্রতি ভাললাগা বাড়িয়ে দেয়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

কয়েস সামী বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: হা হা হা...শেষটা আসলেই সেই ছিল। পড়ে মজা পেলাম B-) B-) ধন্যবাদ লেখককে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২১

কয়েস সামী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মিলন হইতে হইতেও হইলো না! আহ! লেখকরা এত নিষ্ঠুর কেন?
অসাধারন একটা গল্প পড়লাম। শুভেচ্ছা রইল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ দেবদূত!

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হায় ! কেন শেষে পরিচয় দিলেন না ? ইস ! একটা আক্ষেপ সঙ্গী হয়ে রইলো আপনার গল্পের শেষে.......

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: আক্ষেপ কিন্তু জীবনেও খেকে যায় এভাবেই! ধন্যবাদ তনিমা।

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: গল্প তো বলাই যায় কোনো ভাবে। কিন্তু কী নিয়ে গল্পটা লেখা হবে অনেকে তাই যেন খুঁজে পান না। অথচ চকলেট একটা বিষয়। তাকে ঘিরে কয়েকটা দৃশ্য। গল্প কিন্তু থেমে থাকেনি।

চমৎকার!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য প্রিয় পাঠক ও লেখক জুলিয়ানকে!

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ, চমৎকার হৈসে ||

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: হা হা


মজার গল্প ভাইয়া।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ আপি!

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ টুইস্ট!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

কয়েস সামী বলেছেন:

এইটা আপনি কি বললেন! অসাধারন টুইস্ট! এই কথা আপনি ক্যামতে বললেন?
এই কথা বলার জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ ছাড়া আর কিছু তো দিতে পারুম না। তাই আপনারেও টুইস্টযুক্ত একটা ধন্যবাদ!



১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুমন কর বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। তবে আপনার গল্প বলার স্টাইলটা খুব ধরেছে।
ভালো থাকবেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও ভাল লাগল। পাশে চাই সবসময়।

১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

মানুষ বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ম্যাডাম চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। /:)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭

কয়েস সামী বলেছেন: এভাবে অবশ্য ভাবিনি! পরের গল্পে না মোটা হবার প্রসঙ্গটা আনা যাবে!

১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি মোবাইল থেকে কমেন্ট করেছিলান, সেটি কোথায়? :) :)

গল্পের শেষে এসে গল্পটা নিজেকে সুমহান উচ্ছতায় নিয়ে গেলো। আপনার লেখনি প্রতিনিয়ত ক্ষুরধার হচ্ছে।



এক জায়গায় আমার একটু অবজারভেশন আছে। ম্যাডামের জন্য চকোলেট আনার কথা বলে স্যার চলে গেলেন, এক মাস পার হয়ে গেলো, স্যার ফিরে এলেন না- এখানে একটু আবাস্তব ঠেকেছে। একজন টিচার কী কারণে হারিয়ে গেলেন তা শুধু ছাত্রীই না, ছাত্রীর অভিভাবকদেরও দায়িত্ব তার খোঁজখবর করা। এক মাস ধরে একজন টিউটর পড়াতে আসছেন না তা জানতে না পারা সেই পায়ে হেঁটে খবর নেয়ার যুগের জন্যও বাস্তবসম্মত নয়- এ টুকু একটু পরিমার্জন করলেই গল্পটা ক্লাসিক পর্যায়ে চলে আসে আমার মতে।

এরপর বলুন, কবিলেখকরা নারী বা ম্যাডামদের সাথে একবার দুবার বসলেই হঠাৎ 'লুল' হয়ে যায় কেন? আমি এ অপবাদ থেকে মুক্তি দিতে পারতাম যদি না ম্যাডামের জন্য লেখকের হৃদয় ভেঙে খান খান না হতো :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

কয়েস সামী বলেছেন: মোবাইল থেকে করা কমেন্ট পাইনি!
আমার লেখনি প্রতিনিয়ত ক্ষুরধার হচ্ছে, নাকি পাঠক হিসেবে আপনি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যাচ্ছেন? হাহাহা! ধন্যবাদ!
যে জায়গাটা ধরিয়ে দিলেন সেটা নিয়ে আমিও ভেবেছি, কিন্তু সমাধান পাইনি। তাই পাঠকদের মহানুভবতার কাছেই বিষয়টা ছেড়ে দিলাম। এই জায়গাটাতে এসে পাঠকসকল হয়ে যাক না একটুখানি উদার, যুক্তির বাইরে গিয়ে মেনে নিক না, এমনটা কালেভদ্রে হতেই পারে!তবু আরেকবার চেষ্টা করা হবে সময় পেলে গল্পটাকে ক্লাসিক পর্যায়ে (আপনার স্নেহপ্রসূত ধারনা) নিয়ে যাওয়া যায় কি না!
শেষের প্রশ্নটা আপনাকেই পাল্টা ছুড়ে দিচ্ছি!

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শিরোনাম আর গল্প দুইটাই দারুণ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১০

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী!

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

ইলুসন বলেছেন: ম্যাডামের বাসা থেকে বের হলাম। হাতে কার্ড। চকোলেটটা ইচ্ছে করেই ফেলে এসেছি। বিয়ের কার্ড হাতে পাবার পর আর ইচ্ছে হলো না নিজের পরিচয় দেওয়ার। ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে’!

এখানে বুঝি নাই। লেখকই কি ম্যাডামের শিক্ষক নাকি? যদি তাই হয় তাহলে তিনি তাকে চিনতে পারেন নি কেন? দাঁড়ি গোফ গজালে একজন মানুষের চেহারা নিশ্চয় এত পরিবর্তন হয় না যে তাকে অনেক ভালবাসে তার জন্য চকলেট খায় না- এমন একজন মানুষ তাকে দেখে চিনতে পারবে না!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

কয়েস সামী বলেছেন: আমার এ অপারগতার জন্য পাঠকের কাছে একটু উদারতা চাচ্ছি। এমনটা ভেবে নেন না যে, এমনটাতো হঠাৎ কারু কারু ক্ষেত্রে ঘটতেই পারে! আমি নিজেও তো ক্লাস এইটের যে মেয়েটাকে পড়াতাম সেদিন এতো বছর পর তাকে দেখে চিনতেই পারিনি! হাহাহা!
ধন্যবাদ পাঠের জন্য।

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ নাটকীয় ঘটনাবহুল গল্প। তবে শিক্ষক ছাত্রীর প্রেম নিয়ে এমন কোন গল্প আপনার ছিলো মনে হচ্ছে। চেনা চেনা লাগছে। তাই শেষে লেখকের "হয়তো বা শিক্ষক" পরিচিতি চমক দেয় নাই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

কয়েস সামী বলেছেন: আপনাকে চমক দিতে পারলে তো আমি নিজেই দি গ্র্যাট হামা হয়ে যেতাম। ঠিক ধরেছেন। শিক্ষক ছাত্রীর প্রেম নিয়ে আরেকটি গল্প ছিল।

২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: টূইস্টটায় মুগ্ধ হলাম ।

পাঠকেরর - ঠিক করে নেবেন ।


মেয়েরা হৃদয় দিয়ে চকোলেট খেতে জানে, ছেলেরা যেমনটা জানে সিগারেট টানতে। - ভাল পর্যবেক্ষণ ।

ভাল থাকুন । শুভকামনা রইল ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক ও লেখক।শুভ সকাল।

২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভালো হয়েছে। :) পড়ে মজা পেলাম। :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ ।শুভ সকাল।

২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৭

আরজু পনি বলেছেন:

হাহা
সাধারণ গল্পটা একেবারেই অসাধারণ !

এখানেই গল্পকারের কল্পনাশক্তির পরিচয় মেলে ।

সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে ।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২০

কয়েস সামী বলেছেন: thanks api. bestotar modheyo majhe majhe j shoron kore jhotika shofor koren, berate ashen, podochinho rekhe jan, ete khub valo lage. thanks a lot.

২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪২

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: ইস! কেন এমন হলো।পরিচয় দেয়া উচিৎ ছিল। শেষটুকু মেনে নিতে পারছি না

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০২

কয়েস সামী বলেছেন: ওকে। গল্পটা চেঞ্জ করে দেব তবে, কেমন? ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.