নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ভাইয়ার বিয়ে (পর্ব- ১)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

( সাহস করে একটা উপন্যাস লেখা শুরু করলাম। জানি না আদৌ এটাকে কোন উপন্যাসে দাঁড় করাতে পারবো কি না। আপনাদের গঠনমূলক মতামত পেলে কৃতজ্ঞ থাকবো।)



আজ আমাদের বাসায় একটা বিশেষ দিন। মেজো ভাইয়ার বিয়ে। ব্যাপারটা আজ ভোরেই সবাই জানতে পারলাম। আমি অবশ্য আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম। প্রতিদিন রাতে ভাইয়ার মোবাইলের কথা-বার্তা শুনে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম যে এবার নিশ্চয়ই ভাইয়ার বড়শিতে বেশ ভাল রকমের বোকাসোকা একটা মাছ ধরেছে। মেজো ভাইয়া আমার পাশেই ঘুমায়। আমি ঘুমিয়ে গেলে মোবাইলে কথা শুরু করে। আমি আসলে ঘুমাই না। ঘুমানোর ভান করি। আমি ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারলেই সে ফিসফিস করে কথা শুরু করে। রাত যতো গভীর হয় তার কথাও সব গভীর ও মজার হয়। ভাইয়ার সেইসব কথা শুনে আমার বেশ মজা লাগে। আমি শুয়ে শুয়ে ভাইয়ার কথা শুনি আর হাসি। ভাইয়ার কথা শেষ হয় অনেক রাতে। কথা শেষে ভাইয়া বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে এসেই শুয়ে পড়ে। একটু পরই তার গভীর নি:শ্বাসের শব্দ কানে ভাসে। আমি তখনও জেগে থাকি। ভাইয়া মেয়েটাকে জান বলে ডাকলেও তার আসল নাম সুচিত্রা। নায়িকার নামে নাম। দেখতেও বেশ। আমি তার ছবি দেখেছি।

একদিন রাতে কথা বলার ফাঁকে শুনতে পেলাম ভাইয়া ফিসফিস করে বলছে,

-এই জানু, তোমার একটা ছবি পাঠাও না।

-না, আগের কোন ছবি না। এখন তুমি যে অবস্থায় আছো সেই ছবি।

-নাইটি পরা তো কি হয়েছে? যখন আমার কাছে আসবা তখন তো নাইটিও থাকবে না।

আমি টের পেলাম একটু পরই ছবি এসে ঢুকল ভাইয়ার মোবাইলে। কথা শেষে ভাইয়া যখন বাথরুমে ঢুকল তখন এক ঝলকে মোবাইলের ছবিটা দেখে নিলাম । ভাইয়া আমার খুব লাকি বলতে হয়। এতো বয়সে বেশ ভাল রকমের সুন্দরী জুটিয়ে নিল সে। কিন্তু তখনও ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না এইটাকে সে এতোটা ভাল করে বাগাতে পারবে যে একেবারে বিয়ে পর্যন্ত টেনে নিবে সম্পর্কটা। এর আগেও তো সে কম চেষ্টা করেনি। এই মেয়ের সাথে কথা শুরু হয়েছিল এক মাস আগে। এর আগে আরো কতো কতো মেয়ে ভাইয়ার জীবনে এল আর গেল। ভাইয়াটা আমার প্রেমিক পুরুষ। সবাইকেই দেখতাম সে গভীর ভাবে ভাল বেসেছে। লাবনী, নীলা, ঝুমুর, শিলা কতো কতো নাম শুনেছি ভাইয়ার মুখে! সবগুলো এখন আর মনে পড়ছে না । ভাইয়া দেখতে শুনতে যথেষ্ট স্মার্ট বলেই হয়তো বা সব মেয়ে তার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু একসময় তার পকেটের অবস্থা জানার পর কেউ তাকে আর বিয়ে করতে চায় না । ভাইয়া তো শেষ দিকে প্রায় পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছিল। বড় হলে একটা সময় মনে হয় শরীরের চাহিদাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। তখন বুঝি আর তর সয় না। বিয়ে করার জন্য অস্থির হয়ে যায় মন। ভাইয়া অবশ্য বিশেষ সে চাহিদাটা মিটিয়ে যাচ্ছিল বিয়ে-সাদী না করেই। ব্যাপারটা টের পেয়েছিলাম একটা ঘটনাতে। হঠাৎ একদিন বিকেলবেলা ভাইয়া কল দিয়ে বলল, শোন আমি যা যা বলব তা তা করবি। তুই প্রদীপ কাকার বাসায় চলে আয়। এসে কাকাকে ডেকে বলবি বাবা তাকে ডাকছে। এক্ষুনি যেন দেখা করতে যায়। খুব জরুরী দরকার।

আমি বললাম, কিন্তু বাবা তো তাকে ডাকছে না ।

আহ! যা বলছি তাই কর।

বাবাতো ভাইয়া বাসাতেও নাই।

না থাকুক। তবু বল।

পরে যখন বাসায় এসে বাবাকে পাবে না, তখন কি বলব।

বেশি কথা বলিস না। তখন কিছু একটা বলে দিস।

কিন্তু আমাকে তবে ৯৯ টাকা ফ্ল্যাক্সি দিতে হবে।

আচ্ছা বাপ! দিব। তুই তাড়াতাড়ি আয়!

৯৯ টাকা মানে ৯৯ এমবি। এমবি মানে বুঝেনতো আপনারা। এমবি মানে মেগা বাইট। গ্রামীন ফোনে ৯৯ মেগাবাইট ইন্টারনেট কিনতে ৯৯ টাকা লাগে। আর ইন্টারনেট কানেকশন হলে কতো কতো ভিডিও ক্লিপ যে ডাউনলোড করে দেখা যায়! কিসর ভিডিও ক্লিপ সেগুলো আপনাদের বলা যাবে না। সব কথা বলতে হয় না, বুঝে নিতে হয়, বুঝছেন?

প্রদীপ কাকাকে বাইরে বের করে যখন আমাদের বাসায় নিয়ে আসছিলাম তখন পেছন তাকিয়ে দেখি ভাইয়া আমার ঝটপট বাসা থেকে বেরিয়ে দৌড়ে উল্টো দিকে চলে গেল। বুঝলাম, প্রদীপ কাকার মেয়ে রোজানার সাথে তার ইটিস পিটিস চলছে। ইটিস পিটিস মানে বুঝেন? ইটিস পিটিস মানে নাকি প্রেম। অবশ্য অভিধান ঘেঁটে শব্দটা পাইনি। বাংলা একাডেমীকে ব্যাপারটা জানতে হবে। আমাদের জীবনে বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটা অভিধানভুক্ত করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই রাতে ভাইয়ার কথা শুনে বুঝলাম রোজানা আপু যখন একা বাসায় তখন ভাইয়া তাদের বাসায় ঢুকেছিল। কিন্তু কাকা হুট করে চলে আসায় বিপদে পড়ে গিয়েছিল। ভাইয়ার বয়েসে বোধ হয় শরীরের তাগিদ বেশ বেড়ে যায় যে এরকম রিস্কি সব অ্যাডভেঞ্চার করতে বিন্দু মাত্র ভয় করে না। না রে বাবা! আমি কিন্তু আগেভাগেই বিয়ে করে ফেলবো। ভাইয়াদের মতো অতো দেরী করবো না । অবশ্য আমার আগে তো আমার বড় দুই ভাইয়ের বিয়ে হতে হবে। তাই মেজো ভাইয়ার আজকের এ বিয়েতে আমি বেশ খুশি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: লেখার বিষয় এবং চিন্তাধারা দূর্বল! এটাকে গড়িয়ে একটা সুন্দর উপন্যাসে নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করা যাক।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৪

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ এর সাথে সহমত

আপনার লেখা রস বীহিন।


আপনার উপন্যাসের মধ্যে সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঘাটতি আছে

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

কয়েস সামী বলেছেন: আমি আসলে ঠিক জানি না সাহিত্য সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়। আমি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সত্য ঘটনাগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাশে থাকুন। দেখি শেষমেষ ভালো কিছু করতে পারি কি না।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৮

নিশি মানব বলেছেন: আপনার এই লিখাটাকে সুন্দর একটা উপন্যাসে রুপ দিবো।
কি দিবেন বলেন আগে।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

কয়েস সামী বলেছেন: আগে আমি নিজে ট্রাই মারি। না পারলে আপনার কাছে আসব।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

ভিটামিন সি বলেছেন: চটি গল্প মনে হলো। ব্যান খাইবার আগে গল্প নামক বিষয়টি সরান। এক পৃষ্ঠায় আপনি যেভাবে উপস্থাপন শুরু করেছেন, ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় তো আপনার ভাইয়ার বিয়ে ছাড়াই বাচ্চা-কাচ্চা হয়ে যাবে ৩ হালি।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২

কয়েস সামী বলেছেন: ৭ নং পৃষ্ঠায় কি আসবে এখনো জানি না। আমার জানা রিয়েল রাইফের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছি মাত্র। রিয়েল লাইফে যদি চটি গল্পের কিছু থেকে তাকে আমার কিছু করার নেই ভাইজান। যাই হোক। পাশে থাইকেন। ভাল-মন্দ যে কোন ধরনের সমালোচনা করবেন। আপনাদের কমেন্ট অনুযায়ী এগুতে থাকবো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.