নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা অামার তৃষ্ণার জল

কয়েস সামী

i m nothing in this huge world...

কয়েস সামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ফ্যান্টাসি গল্প: ভাষা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

আমার দুই বছরের ছেলে বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করে কথা বলা শুরু করল। আমাদের সবার খুশি হবার কথা কিন্তু খুশি হতে পারলাম না। কারন তার কথা আমরা কেউ বুঝতে পারছিলাম না। ছোট বাচ্চারা কথা বলার প্রথম দিকে, মানে ভাষা শেখার প্রথম দিকে আবোল তাবোল অনেক শব্দই উচ্চারন করে। কিন্তু না, তার অনবরত কথা বলার ধরন দেখে, কিছু কিছু শব্দের পুনরোচ্চারন দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল সে কোন না কোন ভাষা ব্যবহার করছে। কিন্তু আমরা কেউই তা বুঝতে পারছিলাম না। সে কিন্তু আমাদের বাংলা কথাও বেশ বুঝতে পারছিল। বাবু, এদিকে আসো বললে, দৌড়ে কাছে চলে আসছে। টিভি রিমোটটা এগিয়ে দাও বললে, টিভির পাশে রাখা রিমোট এগিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো করে কথা বলছে না। সময় এগুতে থাকল, বাবুর সেই উদ্ভট ভাষার বাক্যগুলাও দীর্ঘতর হতে থাকল। আর আমাদের উদ্বেগও বাড়তে থাকল। একের পর এক শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে থাকলাম, এক পর্যায়ে সাইকিয়াট্রিস্ট ও দেখালাম। কিন্তু সবাই ব্যর্থ হচ্ছিল রহস্যের কিনারা করতে। একসময় বাবুর উদ্ভট ভাষায় আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গেলাম এবং হাল ছেড়ে দিলাম। বাবু আমাদের হয়তো বা বাক প্রতিবন্ধী হয়ে গেল ভেবে মনের ভেতরটা পুড়তে লাগল।



বাবুর বয়েস তখন পাঁচ, হঠাৎ করে অফিস থেকে পনের দিনের ছুটি পেয়ে গেলে আমি বাসার সবাইকে নিয়ে মালয়েশিয়া ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট থেকে কুয়ালালামপুর ইন হোটেলে যাওয়ার জন্য একটা ট্যক্সি ডেকে তাতে চড়লাম। মালয়েশিয়ার বিশাল রাস্তা আর তার আশেপাশের বিশাল বিশাল সব দালান দেখে আমরা তিনজন(আমি বাবুর মা আর বাবুর ফুপি) খুব আনন্দিত। ট্যাক্সির ভেতর বসে বাবুর লাফালাফি দেখে বুঝতে পারিছলাম সে ও যথেষ্ট আনন্দিত। হঠাৎ গাড়ি চালানোর ফাঁকে ড্রাইভার বাবুর দিকে তাকিয়ে কী জানি বলে উঠল। মনে হয় মালয় ভাষায় কিছু একটা বলতে চাইছে। আমরা মালয় না, মালয় ভাষা বুঝার প্রশ্নই আসে না। আমি অনুমান করে নিলাম হয়তোবা আমাদের গন্তব্য আবারো জানতে চাইছে। যে হোটেলে যাব তার নাম আবার উচ্চারন করলাম। উত্তরটা তার পছন্দজনক হল না মনে হয়, তাই ড্রাইভার আবারো শব্দগুলা উচ্চারন করল- বেরাপা উমু আন্দা। আমি আবার হোটেলটার নাম বলার আগেই বাবু বলে উঠল, সায়া বেরুমুর লিমা তাহুন। আয়নায় ড্রাইভারের মুখ দেখে বুঝতে পারলাম সে তার করা প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছে। এরপর আমরা অবাক হয়ে দেখতে পেলাম বাবুর সাথে ড্রাইভার খুব মজা করে কথা বলছে। আমাদের বুঝতে আর বাকি থাকল না, বাবু যে ভাষায় কথা বলে তা ড্রাইভারের ভাষার সাথে মিলে যায়। কিভাবে এ সম্ভব হল? বাবু বাংলা ভাষায় কথা না বলে মালয় ভাষায় কথা বলা শিখলো কিভাবে? আমরা বাংলা-ভাষী তিনজন মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকলাম। হোটেলে পৌছেই রিসিপশনিস্টকে জিজ্ঞেস করলাম সে মালয় ভাষা জানে কি না। সে জানাল জাতিতে চাইনিজ হলেও মালয় ভাষার উপর তার দক্ষতা আছে। তাকে ডেকে আমাদের রুমে নিয়ে এসে দোভাষীর ভুমিকা নেবার অনুরোধ করলাম। সে রাজী হল।



দোভাষীর মাধ্যমে বাবুর সাথে কথা বলে যা জনাতে পারলাম তাতে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বাবু জানালো, অনলাইনে ফুপির সাথে বসে বসে উপিন ইপিন নামক কার্টুন দেখতে দেখতে মালয় ভাষা শিখে নিয়েছে। কিছুটা বড় হয়ে যখন সে বুঝতে পেরেছে বাংলা কোন কার্টুনের চাইতে মালয়েশিয়ার সেই কার্টুনটি অনেক মজাদার আর বাংলার চাইতে মালয় ভাষাটাই তার কাছে সহজ বলে মনে হচ্ছে তখন মালয় ভাষাতেই কথা বলা শুরু করে। ঘটনা শুনে বাবুর ফুপির দিকে তাকালাম। সে বলল, তোমরা বাবা মা দুজনই অফিস চলে যেতে, বাবুকে সামলাতে গিয়ে দেখলাম ইউটিউবে কার্টুন দেখলে বাবু চুপচাপ থাকে; বিশেষ করে উপিন ইপিন কার্টুন দেখালেই সে চুপচাপ সেটা দেখতে থাকতো। তাই বাধ্য হয়েই সারাক্ষণ তাকে উপিন ইপিন দেখাতাম। এবার বাবুর মা কথা বলে উঠলেন, সেই প্রথম থেকে খাওয়াবার সময় হলেই তাকে উপিন ইপিন দেখিয়ে দেখিয়ে খাওয়ানো হতো। তবে কখনো কার্টুনটা কোন দেশের বা কোন ভাষার সেটা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাইনি।

বাবুর এ ঘটনাটা জানার পর ভাবতে কসলাম। আমি নিজে যে প্রডাক্শন হাউসে কাজ করি, সেখানে কেবল বড়দের মনোরঞ্জনের কথা চিন্তা করা হয়। ছোটদের জন্য কোনকিছু তৈরী করার কথা ভাবা হয় না। বাবুর একটা কথা বার বার কানে বাজছিল। তোমরা তো কেবল মিনা রাজু কার্টুনের কথাই ভাবতে পারো। আর বিশেষ দরকার হলে ডরেমন বাংলায় ডাব করার কথা। বাবুর কথাগুলো এতোটাই সঠিক যে আমি কোন উত্তর দিতে পারি নি তখন। তবে হ্যা এবার আমি ঠিক করলাম ছোটদের নিয়ে কিছু একটা করবো। এমন কিছু তৈরী করবো যাতে ছোটরা ডরেমন বা অন্যান্য বিদেশি ভাষার ছবি না দেখে বাংলা ভাষার ছবি দেখে। এমন ভাবে কার্টুনটা তৈরী করতে হবে যাতে বাংলাদেশের শিশুরা তো সেগুলি দেখবেই, এমনকি বাইরের দেশের শিশুরাও বাংলা ভাষার কার্টুন দেখে বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের দেশেতো আর কার্টুন তৈরি হয়না। তাই বাচ্চাদের সেই বিদেশী কার্টুনের প্রতিই বসে থাকতে হয়।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: asha korchi dhire dhire ei obosthar unnoti ghotbe. thanks kandari.

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বেশ তো!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

কয়েস সামী বলেছেন: thanks andalib

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ, ভাই কায়েস সামী।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

কয়েস সামী বলেছেন: thanks abuhena.

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার এ ভাবনার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের শিশুকিশোরদের নিয়ে ভাবি না। আমাদের সাহিত্যের দিকপালরা (রবি ঠাকুর,নজরুল) কিছুটা ভেবেছিলেন শিশুদের নিয়ে। তাঁরা শিশুদের জন্য কিছু লেখালেখি করেছেন।সুকুমার রায় সারা সাহিত্য জীবন ব্যয় করেছেন শিশদের জন্য লিখে। কিশোররা ছিলো অবহেলিত। সুকুমারের ছেলে সত্যজিৎ ফেলুদা রিখলেন কিশোর উপযোগী করে। ফেলুদার সঙ্গী হিসাবে সৃষ্টি করলের কিশোর বয়সী তোপসে চরিত্র। এখন কিশোরদের জন্য লিখছেন জাফর ইকবাল। বাচ্চারা বাধ্য হচ্ছে বাইরের জিনিস দেখতে,পড়তে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

কয়েস সামী বলেছেন: apnar sundor montobber jonno thanks. amra tobu asha korbo obosthar unnoti hobe...

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বাবা মা রা শুধু খাওয়া দাওয়া খেলনা ,আর দেখা শোনার জন্য কাউকে পেলেই নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত নয় । আপনি অনেক ভাল একটা লেখা দিয়েছেন ,যা অনেকেই সচেতন করবে আশা করি ।ভাল থাকুন সব সময় ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

কয়েস সামী বলেছেন: shobai shocheton hook amio tai chain. apnio valo thakben.

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: চমৎকার একটা 'মেসেজ' আছে গল্পের মধ্যে। আমরা যেভেবে নিজেরা বিদেশী সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি দিনদিন শিশু কিশোরদের জন্য সেটা আরো বেশী ভয়ংকর। আমরা হয়তো আকৃষ্ঠ হচ্ছি মর্ডান হবার জন্য কিন্তু তাদের জন্য ব্যাপারটা হয়ে যাচ্ছে বেড়ে ওঠার শিক্ষা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

কয়েস সামী বলেছেন: thanks for your nice comment.

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আমিও সেটাই ভাবি, কিচ্ছু নেই ছোটদের জন্য! আমি তাই পাপেট শো করছি বাংলা ভাষাতেই!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০১

কয়েস সামী বলেছেন: hats of to you. apnar kajgular you tube link thakle diben plz.

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

সুমন কর বলেছেন: বাংলাদেশে কিন্তু মিনা তৈরি এবং প্রচার হয়েছিল। বাচ্চাদের জন্য সেটি অনেক ভাল শিক্ষনীয় ছিল। এছাড়া বাকিগুলো বাংলায় ডাব করা বিদেশী কার্টুন। তাই বাচ্চারা বাধ্য হয়ে ঐগুলোই দেখবে।

সুন্দর একটি ম্যাসেজ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

সুমন কর বলেছেন: বাংলাদেশে কিন্তু মিনা তৈরি এবং প্রচার হয়েছিল। বাচ্চাদের জন্য সেটি অনেক ভাল শিক্ষনীয় ছিল। এছাড়া বাকিগুলো বাংলায় ডাব করা বিদেশী কার্টুন। তাই বাচ্চারা বাধ্য হয়ে ঐগুলোই দেখবে।

সুন্দর একটি ম্যাসেজ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

কয়েস সামী বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমরা কি এমন কিছু করতে পারি না যা আমাদের শিশুরা আগ্রহ নিয়ে দেখবে? আমাদের কি সে যোগ্যতা নাই?

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার শিক্ষণীয় গল্প ৷ গভীর ভাবনার খোরাক আছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময় ৷ দেরি হয়ে যাচ্ছে ৷

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

কয়েস সামী বলেছেন: অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তবে সেটা কোন কিছু নিষিদ্ধ করার না, এমন কিছু তৈরী করার যা আমাদের শিশুরা পছন্ত করবে। সামু থেকেই শুরু হোক না কেন?

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: লিখাটা ভালো লেগেছে। আসলেই আমাদের একমাত্র অবলম্বন মিনা কার্টুন।
"এমন ভাবে কার্টুনটা তৈরী করতে হবে যাতে বাংলাদেশের শিশুরা তো সেগুলি দেখবেই, এমনকি বাইরের দেশের শিশুরাও বাংলা ভাষার কার্টুন দেখে বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করে"আপনাকে অভিনন্দন কয়েস সামী ভাই :D

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

কয়েস সামী বলেছেন: আসেন আমরাই সেই কাজটা করি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কয়েস সামী বলেছেন: আসেন আমরাই সেই কাজটা করি।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অপ্‌সরা বলেছেন:
https://www.youtube.com/watch?v=Outh3tLESGk



এইটা ইউটিউব লিন্ক

আর এইটাও পড়ো ভাইয়া :)


Click This Link

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার লেখাটা আগেই পড়েছি, পাপেট শো টাও দেখা হয়েছে। সুন্দর কাজ ছিল সেটা। কিন্তু এটা তো সব বাচ্চাদের কাছে এভেইল্যাবল না। টেলিভিশন চ্যানেলে ডোরেমনের মতো করে এমন কিছু কি করা যায় না যা দ্বারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিটাকে তোলে ধরা হবে আর আমাদের বাচ্চারাও সেগুলো নাওয়া খাওয়া ভুলে দেখতে পারবে। আমাদের সামুর সবাই মিলেই তো পারি অসাধারন একটা অ্্যাডভ্যাঞ্চারাস কাহিনী তৈরী করতে। পারি না? এখানে আপনি আছেন, সোনাবীজ আছেন, হামা আছেন, কান্ডারী, মামুন রশীদ, মাহমুদ, খেয়া ঘাট, ইসহাকের মতো তুখোড় সব লিখিয়ে আছেন। সবাই মিলে কি একটা কিছু তৈরি করতে পারি না। আমাদের দেশে কি অ্যানিমেশন ফিল্ম তৈরীর মতো কোনো কারিগর নেই? নিশ্চয়ই আছে। জানাপুর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনি একটা ডাক দিয়েই দেখুন না। এই প্লাটফরম ব্যবহার করেই আমরা কিছু করতে চাই।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমি অবশ্য গল্পটার অন্য একটা দিক নিয়ে ভাবছিলাম।


একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাংলাদেশের এক অজগাঁয়ের কাজের মেয়ে ইয়াঙ্কি ইংলিশে কথা বলতে শুরু করলো। তার এ্যাকসেন্ট, ভাবসাব সব বদলে গেলো। একই সময়ে অনুরূপ একটা ঘটনা ঘটলো ক্যালিফোর্নিয়ার জনৈক মেয়রের ঘরে। তাঁর মেয়ে কীসব হিব্রু ভাষায় কথা বলছে, তা কেউ বোঝে না। পরে জানা গেলো ওটি হলো বাংলাদেশের সেই অজগাঁয়ের কাজের মেয়ের মুখের ভাষা।

এটা কীভাবে সম্ভব? এ নিয়ে অনেক মজার কিন্তু রহস্যময় গল্প শুনেছি আমি। আমি ভেবেছিলাম আপনার গল্পের ছোটো মেয়েটি হয়তো ওরকম কোনো ঘটনার শিকার।

***

বাংলাদেশের টেকনোলজিতে এখনও পর্যন্ত ‘দুই বলদ’ কার্টুন হলো সেরা কার্টুন।

তবে, বাংলাদেশে যদি খুব ভালো মানের জিনিস বানায়ও বাচ্চারা সেগুলো দেখবে না। একটু বড় হয়ে দেখতে থাকবে হিন্দি সিরিয়াল আর হিন্দি সিনেমা। আর তাদের মুখ দিয়ে অনর্গল হিন্দি বচন বের হতে থাকবে।

গল্পের চরিত্রগুলো মালয় কার্টুন দেখলেও বাস্তবে তারা হিন্দি দেখে এবং হিন্দি ছাড়ে।

ধন্যবাদ গল্পকার।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

কয়েস সামী বলেছেন: আসেন না, আমরা নিজেরাই মানসম্পন্ন একটা কিছু তৈরী করি। নাহয় পরবর্তীতে তাদের জন্য বাংলা সিরিয়্যাল ও তৈরী করবো যাতে তাদের হিন্তি কিছু দেখতে না হয়। আপনি তো নিজের খরচেই ম্যাগাজিন করেছেন, বই বের করেছেন। নিশ্চয়ই আমাদের মধ্যেই কেউ আছেন যিনি বাচ্চাদের জন্য টাকা খরচ করতে রাজী হবেন। মজার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, খুব মজা পেয়েছি । বাংলা ভাষাও এভাবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

কয়েস সামী বলেছেন: মনে মনে প্রার্থনা না করে আসুন কাজে নেমে পড়ি। আপনার মতো মানুষেরা পারে না এমন কিছু নেই।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: খলিল ভাইয়া ঠিকই বলেছে এইভাবে ইচ্ছাপূরণ গল্পের মত বদলে যাক ভাষা গুলো মানে রুপান্তর ঘটুক এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। :)

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

ডি মুন বলেছেন: আমার ছোট ভাইটা তো 'মটু-পাতলু' 'ডোরেমন' দেখে দেখে হিন্দি ভাষা অনেকটা শিখে ফেলছে।

দেশি ভালো কার্টুন থাকলে এসব থেকে তাদের নিবৃত রাখা যেত।

আপনার পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

কয়েস সামী বলেছেন: চলেন একটা পান্ডুলিপি তৈরী করি। চরম জনপ্রিয় হবার মতো একটা চরিত্র তৈরী করি।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

সকাল রয় বলেছেন:

ভালো কার্টন আসুক বাঙলা ভাষায়

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

কয়েস সামী বলেছেন: না এইরকম চেয়ে চেয়ে আর বসে থাকা নয়। একটা উদ্যোগ নেন।

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের মিডিয়াতে ছোটদের জন্য অনুষ্ঠান হয় না বললেই চলে। বাংলায় কার্টুনের সংখ্যাতো নগণ্য। বাংলা কার্টুন বলতে উল্লেখ করার মত একমাত্র মিনা কার্টুন। মন্টু মিয়ার অভিযান নামে দুই পর্বের একটা কার্টুন নির্মিত হয়েছিল। শিশুদের জন্য বাংলায় বিনোদনের এই শূন্যতার কারণেই বিদেশী ভাষার কার্টুনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে শিশুরা।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭

ডি মুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। একটা জনপ্রিয় চরিত্র তৈরীর ব্যাপারে ভাবা দরকার।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২২

কয়েস সামী বলেছেন: অাসেন ভাই আমরা নিজেরা সবাই মিলে একটু ভাবি। দেরীতে রিপ্লাই করার জন্য দুঃখিত।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:২৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: বাচ্চাদের জন্য আমাদের টিভি চ্যানেল গুলো তে প্রোগ্রাম দেখানো তা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই এগুলো বাচ্চাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে না বাচ্চাদের আরও দ্রুত বড় করে ফেলতে! !!


ভালো লাগলো , ধন্যবাদ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৩

কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অাপনাকেও ধন্যবাদ। অনেকদিন ধরে সামুতে অনিয়মিত। তাই দেরী হয়ে গেল।

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: সায়েদা সোহেলী বলেছেন: বাচ্চাদের জন্য আমাদের টিভি চ্যানেল গুলো তে প্রোগ্রাম দেখানো তা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই এগুলো বাচ্চাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে না বাচ্চাদের আরও দ্রুত বড় করে ফেলতে! !!

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, খুব মজা পেয়েছি । বাংলা ভাষাও এভাবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: প্রিয় খেয়াঘাট আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা মজা পেলাম। রম্যের আড়ালে চমৎকার একটা ব্যাপার তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় বাচ্চাদের জন্য আসলেই বিনোদনের তেমন কিছু নেই। আপনার উদ্যোগ সফল হোক; শুভকামনা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: অনেকদিন পর প্রিয় লেখককে আমার ব্লগে দেখে ভাল লাগছে।

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও ভেবেছি এভাবে। আমার বাচ্চাটা জাপানিজ এ্যানিমেশন মুভি দেখে দেখে জাপানিজ ভাষা শিখে যায় কী না! গল্পে প্লাস।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫

কয়েস সামী বলেছেন: হামা ভাই। অাপনি অনেক লিখতেসেন দেখলাম। একে একে পড়ে জানাবো।

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:

খুব দরকারী একটি বিষয় গল্পচ্ছলে তুলে ধরেছেন ।

অনেক ধন্যবাদ, কয়েস সামী।।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

কয়েস সামী বলেছেন: অাপুর উপর আমার অনেক রাগ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.