![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(ব্যক্তিগত গল্প শিরোনামে যা কিছু লিখব তার সবটুকু হয়তো সত্যি ঘটনা হবে না, তবে মূল ভাব/কথা সত্যি থাকবে, এ নিশ্চয়তাটুকু থাকল। গল্প লেখকেরা মাঝে মাঝে গল্পের প্রয়োজনে সত্যি কথা লিখতে পারে না। )
ছেলেবেলা থেকেই আমার একটা স্বপ্ন ছিল। আমার একটা বইঘর থাকবে। সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের কয়েকটি শেলফ থাকবে তাতে। হাজার হাজার বইয়ে ঠাসা থাকবে সেইসব শেলফ।
এই বিশেষ স্বপ্নের পথে প্রথম ধাপ এগোই, যখন এসএসসি পাশ করি তখন। পূর্বশর্তানুযায়ী স্টার মার্কস পাওয়াতে বাবা আমার জন্য সুন্দর একটা বুক শেলফ বানিয়ে দিলেন। এবং এক বছরের মাথায় আমার প্রিয় কিছু বই সংগ্রহ করে শেলফটিকে যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী করে ফেললাম। শেলফটি আমাদের বাসার ড্রয়িং রুমটির শোভা যেন একশগুণ বাড়িয়ে দিল।
এক বছর পর। হঠাৎ একদিন লটারিতে জিতে, মা একটা টিভি নিয়ে আসলেন। আমাদের টিভিটা ছিল মাস্টার বেড রুমে। সবাই ভোটাভুটি করে সিদ্ধান্ত জানাল নতুন টিভিটার জায়গা হবে ড্রয়িংরুমে আর আমার বুক শেলফটা চলে আসবে আমার রুমে। আমি তাদেরকে কিছুতেই বুঝাতে পারলাম না, টিভির চাইতে বুকশেলফ একটা রুমের সৌন্দর্য বেশি বাড়ায়।
যাই হোক, আমার জিনিস আমার রুমেই থাক। আমি (অগত্যা) মেনে নিলাম বোকারামদের উদ্ভট এবং অনভিপ্রেত সেই সিদ্ধান্ত।
আরো চার মাস পর বাড়ির সামনের উঠোনের একটা সেগুন গাছ কাটা হলো। মা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটি চেস্ট-অব-ড্রয়ারস তৈরি করবেন। আলমারির যুগ অনেক আগেই নাকি গত হয়েছে। এখন ওটি না হলে নাকি পাড়ার লোকজনের কাছে মর্যাদা বাড়ে না। জনসংখ্যা নয়, গত পাঁচ বছরে আমাদের বাসায় আসবাবপত্র বাড়ছিল জ্যামিতিক হারে। রুমসংখ্যা বাড়ছিল না বলে নতুন বানানো চেস্ট-অব-ড্রয়ারটির জায়গা হলো আমার রুমে। আমার অতি প্রিয় শেলফটি চলে গেল ভেতরের রুমে, মানে, ভাইয়ার রুমে।
তারও পাঁচমাস পর ভাইয়ার বিয়ে হলো।ভাইয়ার বিয়েতে আমার কোন আপত্তি নাই। আপত্তি ভাইয়ার শশুর বাড়ি থেকে যে ফার্নিচারগুলো দেয়া হলো তাতে। আরে বাবা! আমাদের বাসায় তো প্রয়োজনীয় আসবাবের কোন অভাব নাই। আর কী দরকার? সবাই বলে, মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে পুরো রুম সাজিয়ে দেয়াটা নাকি নিয়ম! ফলাফল, অতি শখের আমার বুক শেলফটির নতুন জায়গা হল স্টোর রুমে।
অসুবিধা নাই। আমি অজো স্বপ্ন দেখি। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার একটি বইঘর থাকবে। তাতে থাকবে বই ভর্তি অনেকগুলো বুকশেলফ, সবগুলো বইয়ের মাঝখানে আরাম কেদারায় দুলতে দুলতে আমি বই পড়তে থাকব, পড়তে থাকব...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর স্বপ্ন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
এম এম করিম বলেছেন: এখনো আমার ঘরে দুটো বুকশেলফ ধরে রেখেছি। দেখা যাক, কতদিন...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
কয়েস সামী বলেছেন: দুটো! জেনে অনেক ভাল লাগল।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আহারে শেষ পর্যন্ত স্টোররুমে !!!
যাক স্বপ্ন পূরণ হবে একদিন ---এমন প্রত্যাশাই করি।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০১
কয়েস সামী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: স্বপ্নটা বাস্তব হোক অচিরেই ।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৪
বোকামানুষ বলেছেন: কি বলেন বইয়ের এত অযত্ন একজন বইপোকা হিসেবে আমি আন্দাজ করতে পারি কি পরিমান কষ্ট লাগবে
এক কাজ করেন বই সহকারে বুক শেলফ আমাকে দিয়ে দেন স্টোররুমে থাকার চেয়ে আমার বাসায় থাকুক কিছুদিন আমি বইগুলো সব পড়তে থাকি আপনার বইঘর হলে ফেরত দিয়ে দিব
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪০
কয়েস সামী বলেছেন: নিয়ে যান ভাইজান। আপত্তি নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আপনার স্বপ্ন পূর্ণতা পাক !