![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি প্রত্যাশিত সকালে আমি গন্তব্যহীন পথিকের মত এলোমেলো পায়ে হেটে যাচ্ছিলাম। গন্তব্য কোথায় জানিনা। হলদে পাতারা ঝরে পড়ল আমার পায়ের কাছে। আমি থমকে দাঁড়াই। নিজের ভেতরেই ভীষন একা হয়ে যাই। ভালো করে একবার নিজেকে দেখে নেই। এমন প্রসারিত জীবনের উপড় ভর করে আমি পার হতে চেষ্টা করি এক মহাকাল। চক্রাকারে ঘুর্নায়মান জীবন হঠাৎ করেই থেমে যায়। আমি শান্ত হতে থাকি। নিবিড় ভাবে নিজের হাতের তালু দেখি, ভেবে নিই কোন রেখায় আমার আয়ুস্কাল? জীবনের বৃত্ত থেকে নির্বাচিত সময়টুকু শুষে নিয়ে নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেই ধ্বসে যাওয়া এক পর্বত চুড়ায়। হাত তালি দিয়ে খুশিতে বলে উঠি “জীবন তুই মর এবার” ফের বুকের ভেতর সংরক্ষিত মন হাহাকার করে ওঠে। কি করছি আমি? ফুরিয়ে যায় সময়। দ্বগ্ধ হতে থাকা মুহুর্ত গুলো সুযোগ পেলেই চোখের জানালায় উকি মারে। আমি অশান্ত হতে থাকি। লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি বাড়ির ফটকে-প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে দেই। ডাক পিয়নের ঝোলা থেকে সমস্ত চিঠি কেড়ে নেই। আর কোন দিন সে খবরের বোঝা বইবেনা। দরজা জানালা এঁটে দেই, কোন আলো ঢুকবেনা আমার ঘরে। ভীষন এলোমেলো আমার জীবন। নিজের দিকে খেয়াল হতেই দেখি ভিতরে বাইরে বুড়িয়ে গেছি আমি হাজার বছরের বুড়ো অশ্বথের মত। তবুও আমি সমস্ত জীবন অপেক্ষায় থাকি। জানালা খুলে। সেই ডাকপিয়নের আশায়-যদিবা সে চিঠির বোঝা নিয়ে আবার এ পথে যায়- তবে তার কাছে জানতে চাইবো, এই জীবনের গতিপথ কি?
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
নার্গিছ মাহবুবা কাজল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে #ইমতিয়াজ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সংক্ষেপে প্রকাশিত অনুভূতি ভাল লাগল।