নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশ দিয়া উইড়া যাই

We must not exist, our existance is the most impossible thing.

কাকপাখি ২

এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।

কাকপাখি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার খেলায় নাস্তিক মামাদের ধরা খাওয়ার করুণ ইতিহাস।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

ব্যাপারটা আরম্ভ হয়েছিল বছর তিন আগে। যখন সামু ব্লগে নাস্তিক মামাদের আস্ফালনের স্বর্ণ যুগ ছিল। কঠিন ভাবে আস্তিক-নাস্তিক যুদ্ধ চলত তখন। সামুতে আমি তখনও নতুন। আমার মূলনীতি ছিল নাস্তিক মামাদের সাথে বিতর্কে না যাওয়া। কারন এই ধরনের বিতর্ক ধর্ম বিশ্বাসের জন্য সাধারনত ক্ষতিকর হয়। ফেসবুক আর ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মামাদের আস্ফালন দেখতে দেখতে একসময় আমি সিদ্ধান্ত নেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখালিখি শুরু করার। শুরুতে কিছু ফেসবুক গ্রুপে লেখালিখি আরম্ভ করি। এর কিছুদিনের মধ্যে আমার মাথায় "যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব" - লেখাটির কনসেপ্ট আসে।



নাস্তিক মামারা যে আসলে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা উপেক্ষা করেন এবং এই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা ভালমত হাইলাইট করা গেলে নাস্তিকতা নামক মাকাল ফলের বোটা যে আলগা হয়ে যাবে সেইটা তখনই বুঝতে পারি।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটার যেই ভার্সনটা আমি রিপোষ্ট করি সেইটা হল লেখাটার তৃতীয় ভার্সন। এর আগের দুইটা ভার্সনের একটা রি-রাইট করা হয়েছিল, আরেকটা নাস্তিক মামাদের গালাগালির কারনে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটি বারে বারে রি-পোষ্ট করার অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটা কারন ছিল, লেখাটা খুব বেশি কনসেপচুয়াল টাইপ লেখা, একবার পড়ে এই লেখা বুঝা বেশ কঠিন। আমার নিজেরই এই কনসেপ্টে কনফিডেন্স ডেভলপ করতে অনেক টাইম লাগছিল।



এনিওয়ে, এই লেখা বারে বারে রি-পোষ্ট করাটা নাস্তিক মামাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্য একটি স্লো-রিকভারি এর মত কাজ করতেছিল। নাস্তিক মামারা অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাইছিলেন। তাদের প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটা পোষ্ট পর্যন্ত আছে (link: 1 ,2 ,3 ,4 ,5] , সেইখানে তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার হইছিলেন ।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - পোষ্টের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি অবস্থান নিয়েছিলেন আমাদের অত্র ব্লগের বিশিষ্ট বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিক "হোরাস মামা"। উনার "যে কারনে কাকপাখি২ চালাক (!!) আর সকল নাস্তিক এবং বেশিরভাগ আস্তিক বেকুব" লেখাটা দিয়ে উনি কাকপাখির বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই বিশেষ পোষ্টে হোরাস মামার সাথে কাকপাখিকে ১৯ দিন স্থায়ী এক ব্লগ যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। ১৯ দিন ব্লগযুদ্ধের পরে হোরাস মামার কুটনীতির কাছে কাকপাখি আপাতঃ ভাবে হার মানতে হয়েছিল।



হোরাস মামা এই ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে "হলিউডের ৬০ ফুট কিংকং কিংবা সহী বুখারীর ৯০ ফুট লম্বা আদম বাস্তবে সম্ভব নয় কেন" -- শিরোনামে একটি পোষ্ট দেন। যেই পোষ্টখানা উনার জীবনের (এবং সামগ্রিকভাবে নাস্তিক মামাদের জীবনের) সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর পোষ্ট ছিল। এই পোষ্টের যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে নাস্তিক মামাদের সমস্ত গর্ব এবং অহংকার চূর্নবিচূর্ন করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার প্রতারনামূলক নাস্তিকীয় খেলার এক শোচনীয় পরাজয়ের ইতিহাস রচিত হয়। এবং এর পর থেকে ব্লগে নাস্তিক মামাদের নর্তন কুর্দনের উৎসাহে ভাটা পরিলক্ষিত হইতে থাকে, যা এখন পর্যন্তও অব্যাহত আছে।



নাস্তিক মামাদের পরাজয়ের ইতিহাস কিভাবে রচিত হয়েছিল তা জানার জন্য নীচের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন:



ব্লগীয় পাতি-নাস্তিকদের বিজ্ঞান বিষয়ক পীর "হোরাস মামা" যেভাবে ধরা খাইলেন।



=========================================

=========================================

=========================================





নাস্তিক মামাদের বিরুদ্ধে কাকপাখি ২ এর আরো কিছু লেখা:



কিছু মৌলিক বিষয়ে নাস্তিকদের ভ্রান্তিমূলক ধারনা।



প্রাচীন কালে মুর্খরা মুর্তি পুজা করিত, এখনকার মুর্খরা বৈজ্ঞান পুজা করে (রিপোষ্ট)



নাস্তিক মামারা যে বেওকুব সেইটা আমার কাছে নতুন ভাবে প্রমানিত হইল



নাস্তিক্যবাদ হচ্ছে "বিজ্ঞানের সাথে কৌশলি মিথ্যা মিশিয়ে" জনসাধারনকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী করে তোলার অপচেষ্টা জনিত সুচতুর মতবাদ মাত্র।



একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম ও ২য় পর্ব একত্রে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩২

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: যারা বিজ্ঞান নিয়ে ফাল পারে তাদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন?

একই সাইজের,একই ধরনের, পাচটি কাচের গ্লাস একই উচ্চতা থেকে একই সময় মাটিতে ফেলে দেওয়া হলো

সব গুলো গ্লাসের ভাঙা অংশের পরিমান এবং সাইজ এক হবে না কেনো?????

২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

অপরিপক্ক বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইল আমার ভালো লেগেছে, যদিও এত খুটিয়ে পড়তে পারি নি। সাথে থাকুন। সালাম

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: নিচের লেখাটার লজিক্যাল ভুল বের করেন:

বিষয়ের অস্তিত্বই কিংবা বিশ্বাস তার প্রচারের ক্ষেত্র তৈরী করে। অস্তিত্বহীন কিংবা বিশ্বাস বিহীন কোন বিষয় কিংবা বস্তুর প্রচার প্রাসঙ্গিক নয়।

আদর্শগত দিক থেকেও তা সমীচীন নয়।

উদাহরনের মাধ্যমে বুঝা যাক। ধরেন আমার কাছে একটি লাল কলম আছে। এ কথা আমি তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে আমি আমার কাছে যে লাল কলমটি আছে, তা বিক্রি করবো। কেনা না কেনা ক্রেতার বিবেচ্য বিষয়ের অর্ন্তগত।

কিন্তু যা আমার কাছে নাই, তা বলার কোন অধিকারও আমার নেই। আমার কাছে যদি লাল কলমটি না থাকতো, তবে নিশ্চয়ই আমি তা বিক্রয় করবো বলে প্রচার করতে পারতাম না! বিষয়ের অস্তিত্বই তার প্রচারের ক্ষেত্র তৈরী করে।

প্রসঙ্গক্রমে এ কথা বলা যায়, অস্তিত্ব দুপ্রকার হতে পারেঃ ১) দৃশ্যমান বস্তু বা বিষয় এবং ২) দৃশ্যমানতাহীন বস্তু বা বিষয়। দৃশ্যমান বস্তু বা বিষয় এর ক্ষেত্রে 'প্রচার' ক্রিয়াযন্ত্র নিয়ে কিছু না বললেও চলে। কিন্তু দ্বিতীয়টি নিয়ে কিছু বলতে হয়।

'দৃশ্যমানতাহীন বস্তু বা বিষয়'-এর সাথে সম্পর্ক হচ্ছে 'বিশ্বাসের'। আবার 'বিশ্বাস' বিষয়টি 'আপেক্ষিক'। 'বিশ্বাস' কখনোই 'স্বতঃসিদ্ধ' নয়। আর তাই 'বিশ্বাসের' সাথে সম্পর্ক 'কম' বা 'বেশী'-এর। কোপারনিকাস 'বিশ্বাস' করতেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। তার এই বিশ্বাস তৎকালীন খৃষ্ট্রীয় সমাজে সাদরে গৃহিত হয়নি। আধুনিক বিজ্ঞানের এই ক্রম উন্নতিও এই রকম হাজারো বিশ্বাসের উপরই গড়ে উঠেছে যতদিন পর্যন্ত না 'ত্বত্ত' বা 'Theory' শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। প্রতিটি 'ত্বত্ত'ই এক একটি 'বিশ্বাস'। হয়তো সময়ের পরিক্রমায় তার কিছু 'প্রমাণিত' হয় অথবা হয় না। ত্বত্ত প্রমাণিত না হয়েও বিজ্ঞানের উন্নতি হতে পারে। কেননা বিজ্ঞানের সকল বিষয়ই 'দৃশ্যমানতা'-এর ধারনায় সীমাবদ্ধ নয়। আর এই কারনেই 'বিশ্বাস' 'আপেক্ষিক'।

এই আপেক্ষিক বিশ্বাস 'ব্যক্তিগত' ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের জন্য ততই জোরালো বা গুরুতর যার ঐ বিশ্বাসে 'উপলব্দি' যত বেশী। 'বিশ্বাস' যেহেতু 'দৃশ্যমান' নয়, বিশ্বাসের প্রগাঢ়তা জানা যায় ব্যক্তির 'কার্যকারণ' থেকে যেই কার্যকারণের জন্ম হয় ঐ গোড়ার 'উপলব্দি' থেকে। আর ঠিক এই কারনেই কেউ কিছু বিশ্বাস করলে আপনি তাকে কটাক্ষ করার কোন 'নৈতিক' অধিকারই আপনার নেই।

এখন প্রশ্ন আসে তা 'প্রচারের' অধিকার আছে কি? প্রথমেই আলোকপাত করেছি আপনার কাছে যদি একটি লাল কলম না থাকে, আপনি কি তা বিক্রয় করার প্রস্তাব আমাকে দিতে পারেন? যদি কলমটি না থাকলেও আপনি সেই প্রস্তাব দেন, তবে আপনি আমার সাথে কি মিথ্যা বললেন না? আর তাই 'বিষয়' কিংবা 'বস্তু'র অস্তিত্ব যদি আপনার কাছে 'দৃশ্যমানতা' কিংবা 'বিশ্বাসের' কষ্টি পাথরে পরখ না করা থাকে, তবে আপনি তার 'প্রচার'ও করার কোন 'নৈতিক' ভিত্তি আপনার নেই। আশা করি আপনি নিজেকে মিথ্যেবাদী রুপে প্রমাণিত দেখতে চাইবেন না!!!

ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: প্রসঙ্গক্রমে এ কথা বলা যায়, অস্তিত্ব দুপ্রকার হতে পারেঃ ১) দৃশ্যমান বস্তু বা বিষয় এবং ২) দৃশ্যমানতাহীন বস্তু বা বিষয়।

অস্তিত্ব আসলে দু-প্রকার না, অস্তিত্ব একপ্রকারেরই -- মনুষ্য প্রজাতির ইন্দ্রিয় এবং মগজের সমন্বিত উপলদ্ধি ক্ষমতার মধ্যে ডিটেকটেবল বাস্তবতাকে মনুষ্য প্রজাতি দৃশ্যমান বস্তু বা বিষয় মনে করে এবং বাস্তবতার বাকি আনডিটেকটেবল অংশকে মানুষ দৃশ্যমানতাহীন বস্তু বা বিষয় মনে করে।

বাস্তবতার কিছু অংশের দৃশ্যমান হওয়া বাকি অংশের অদৃশ্যমান হওয়া মনুষ্য প্রজাতির ইন্দ্রিয় এবং মগজের সমন্বিত ক্ষমতার সিমাবদ্ধতার কারনেই।

নাস্তিক এবং বস্তুবাদিদের সমস্যা হল, উনারা "মনুষ্য প্রজাতির ইন্দ্রিয় এবং মগজের সমন্বিত ক্ষমতার সিমাবদ্ধতার"-বিষয়টা উপেক্ষা করেন। এবং উনাদের সমস্ত আরগুমেন্টের ইনহেরেন্ট দুর্বলতা বা সুভংকরের ফাঁকি হইল এই যায়গায়।

এই পর্যন্ত বুঝলে কমেন্ট করেন, তখন বাকি আলোচনা চলতে পারে।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি এক মত। কিন্তু এই এদেরকে বুঝানোর জন্য ওদের লেভেলে তো নামতে হয়। বুঝেন না!! ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.