![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।
ব্যাপারটা আরম্ভ হয়েছিল বছর তিন আগে। যখন সামু ব্লগে নাস্তিক মামাদের আস্ফালনের স্বর্ণ যুগ ছিল। কঠিন ভাবে আস্তিক-নাস্তিক যুদ্ধ চলত তখন। সামুতে আমি তখনও নতুন। আমার মূলনীতি ছিল নাস্তিক মামাদের সাথে বিতর্কে না যাওয়া। কারন এই ধরনের বিতর্ক ধর্ম বিশ্বাসের জন্য সাধারনত ক্ষতিকর হয়। ফেসবুক আর ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মামাদের আস্ফালন দেখতে দেখতে একসময় আমি সিদ্ধান্ত নেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখালিখি শুরু করার। শুরুতে কিছু ফেসবুক গ্রুপে লেখালিখি আরম্ভ করি। এর কিছুদিনের মধ্যে আমার মাথায় "যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব" - লেখাটির কনসেপ্ট আসে।
নাস্তিক মামারা যে আসলে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা উপেক্ষা করেন এবং এই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা ভালমত হাইলাইট করা গেলে নাস্তিকতা নামক মাকাল ফলের বোটা যে আলগা হয়ে যাবে সেইটা তখনই বুঝতে পারি।
যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটার যেই ভার্সনটা আমি রিপোষ্ট করি সেইটা হল লেখাটার তৃতীয় ভার্সন। এর আগের দুইটা ভার্সনের একটা রি-রাইট করা হয়েছিল, আরেকটা নাস্তিক মামাদের গালাগালির কারনে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।
যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটি বারে বারে রি-পোষ্ট করার অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটা কারন ছিল, লেখাটা খুব বেশি কনসেপচুয়াল টাইপ লেখা, একবার পড়ে এই লেখা বুঝা বেশ কঠিন। আমার নিজেরই এই কনসেপ্টে কনফিডেন্স ডেভলপ করতে অনেক টাইম লাগছিল।
এনিওয়ে, এই লেখা বারে বারে রি-পোষ্ট করাটা নাস্তিক মামাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্য একটি স্লো-রিকভারি এর মত কাজ করতেছিল। নাস্তিক মামারা অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাইছিলেন। তাদের প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটা পোষ্ট পর্যন্ত আছে (link: 1 ,2 ,3 ,4 ,5] , সেইখানে তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার হইছিলেন ।
যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - পোষ্টের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি অবস্থান নিয়েছিলেন আমাদের অত্র ব্লগের বিশিষ্ট বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিক "হোরাস মামা"। উনার "যে কারনে কাকপাখি২ চালাক (!!) আর সকল নাস্তিক এবং বেশিরভাগ আস্তিক বেকুব" লেখাটা দিয়ে উনি কাকপাখির বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই বিশেষ পোষ্টে হোরাস মামার সাথে কাকপাখিকে ১৯ দিন স্থায়ী এক ব্লগ যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। ১৯ দিন ব্লগযুদ্ধের পরে হোরাস মামার কুটনীতির কাছে কাকপাখি আপাতঃ ভাবে হার মানতে হয়েছিল।
হোরাস মামা এই ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে "হলিউডের ৬০ ফুট কিংকং কিংবা সহী বুখারীর ৯০ ফুট লম্বা আদম বাস্তবে সম্ভব নয় কেন" -- শিরোনামে একটি পোষ্ট দেন। যেই পোষ্টখানা উনার জীবনের (এবং সামগ্রিকভাবে নাস্তিক মামাদের জীবনের) সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর পোষ্ট ছিল। এই পোষ্টের যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে নাস্তিক মামাদের সমস্ত গর্ব এবং অহংকার চূর্নবিচূর্ন করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার প্রতারনামূলক নাস্তিকীয় খেলার এক শোচনীয় পরাজয়ের ইতিহাস রচিত হয়। এবং এর পর থেকে ব্লগে নাস্তিক মামাদের নর্তন কুর্দনের উৎসাহে ভাটা পরিলক্ষিত হইতে থাকে, যা এখন পর্যন্তও অব্যাহত আছে।
নাস্তিক মামাদের পরাজয়ের ইতিহাস কিভাবে রচিত হয়েছিল তা জানার জন্য নীচের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন:
ব্লগীয় পাতি-নাস্তিকদের বিজ্ঞান বিষয়ক পীর "হোরাস মামা" যেভাবে ধরা খাইলেন।
=========================================
=========================================
=========================================
নাস্তিক মামাদের বিরুদ্ধে কাকপাখি ২ এর আরো কিছু লেখা:
কিছু মৌলিক বিষয়ে নাস্তিকদের ভ্রান্তিমূলক ধারনা।
প্রাচীন কালে মুর্খরা মুর্তি পুজা করিত, এখনকার মুর্খরা বৈজ্ঞান পুজা করে (রিপোষ্ট)
নাস্তিক মামারা যে বেওকুব সেইটা আমার কাছে নতুন ভাবে প্রমানিত হইল
নাস্তিক্যবাদ হচ্ছে "বিজ্ঞানের সাথে কৌশলি মিথ্যা মিশিয়ে" জনসাধারনকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী করে তোলার অপচেষ্টা জনিত সুচতুর মতবাদ মাত্র।
একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম ও ২য় পর্ব একত্রে)
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
ডাক্তার আমি বলেছেন: ভাল লাগল। সময় করে সবগুলো পড়ব।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মানুষ সব জানতে পারেনি। জানার চেষ্টা করছে। বিজ্ঞান একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়। পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা আবার সেখান থেকে জট খুলে নতুন জায়গায় গিয়ে আটকে যায়। আর এভাবেই চলতে থাকে। এটাই প্রগতি। বিজ্ঞান এখন ব্যাখ্যা করতে পারে না , বিগ ব্যাং কেন হলো। এর মানে যদি ধরে নেওয়া হয় এর পেছোনে সৃষ্টিকর্তা রয়েছে তাহলে বিজ্ঞান এখানেই থেমে যাবে।
বিজ্ঞান আটকে যায় মানেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব রয়েছে এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার।
‘সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক শিরোনামে আমার একটি গদ্য রয়েছে। পড়ার ও মন্তব্য দেওয়ার আহবান জানাই।
Click This Link
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
মোঃ এনামুল কবীর বলেছেন: pore porbo
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
গেস্টাপো বলেছেন: আমাদের কৌশিক দাদা নাস্তিকতা এবং আওয়ামী লীগের পেছনে খাটতেছে খুব।এর পুরুস্কার স্বরূপ উনাকে নুবেল দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: ভালো লাগলো ++
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: গেস্টাপো, গঠনমূলক কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করুন।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নষ্ট ছেলে বলেছেন: বিজ্ঞান এখন ব্যাখ্যা করতে পারে না , বিগ ব্যাং কেন হলো। এর মানে যদি ধরে নেওয়া হয় এর পেছোনে সৃষ্টিকর্তা রয়েছে তাহলে বিজ্ঞান এখানেই থেমে যাবে।
আটকে যাবে কেন? যদি বিজ্ঞানী মনে করে সৃষ্টি কর্তা বিগ ব্যাং কিভাবে করলেন তাহলে ই তো বিজ্ঞান এগিয়ে যায়।
সৃষ্টি কর্তা সব কিছুর মালিক। তাই বলে কি সৃষ্টি কর্তা সবকিছু এমনিতেই দিয়ে দেয় না।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: @ নষ্ট ছেলে
এক সময় বন্যায় বা কলেরায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। মানুষ ভাবতো এটা সৃষ্টিকর্তার গজব। যারা বিষয়টিকে গজব হিসেবে মানেনি তারাই আবিস্কার করেছে কলেরার ওষুধ বা নদীতে বাঁধ দেওযার কৌশল। আশা করি বিষয়টা ন্যাংটা হয়েছে।
মানুষ সব জানে না। জানবেও না । এর মানে এটা সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ নয়। বোঝা গেছে? সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসের ব্যাপার
একটা বিষয় পরিস্কার, একজন ধার্মিকের মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুই-ই বিদ্যমান। তাঁদের অবচেতন মনে অবিশ্বাসটাও কাজ করে সাঙ্ঘাতিকভাবে। যে কারনে তারা জাগতিক ব্যাখ্যা না খুঁজে অযৌক্তিক-যুক্তি খুঁজে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে যান। তারা একটা বিষয় বোঝে না যে, সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে চাওয়া মানেই তাঁর মধ্যে অবিশ্বাস রয়েছে।
১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন,
যারা কলেরাকে সৃষ্টিকর্তার গজব মনে করত না তারা সবাই নাস্তিক ছিল ব্যাপারটা মোটেও এমন না। এই ক্ষেত্রে আপনার উদাহরণটাও অবান্তর। আমি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে আপনার লেখার জবাব দেই নাই। শুধু বলতে চেয়েছি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখেই বিজ্ঞান এগিয়ে যেতে পারে। আর আপনি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে ত্যানা প্যাচানো শুরু কইরা দিছেন।
১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: নষ্ট ছেলে ,
আপনি বলছেন, ''যারা কলেরাকে সৃষ্টিকর্তার গজব মনে করত না তারা সবাই নাস্তিক ছিল ব্যাপারটা মোটেও এমন না।''
অবান্তর কথা কেন বলেন? তারা সবাই নাস্তিক ছিল সে কথা আমি বলি নাই। তারা অন্তত প্রতিষ্ঠিত ধর্মের কথা অনুযায়ী বিষয়গুলোকে গজব হিসেবে মানে নি।
যারা গজব মেনেছে, তারা ধর্ম পালন ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।
১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: সরাসরি বলেননি তবে আপনি যেই প্রেক্ষিতে এই উদাহরণ দিলেন এটা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে।
প্রতিষ্ঠিত ধর্মের কোথায় বলা আছে বিষয়গুলো গজব?
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: নষ্ট ছেলে: আপনার সঙ্গে কুতর্ক করতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে গজব হিসেবে জাহির করার নজির বহু রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
আসিক ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো...........।