![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।
ইবলিশ শয়তান নাকি ছোট বেলায় ব্যাপক মেধাবী ছিল। অত্যাধিক মেধাবী হওয়ার কারনে খুব অল্প সময়ে অধিক জ্ঞানী হইয়া গিয়াছিল। ইবলিশের শিক্ষক তাহার পিতার নিকট একবার বলিয়াছিল আপনার সন্তান অত্যাধিক মেধাবী হইলেও অত্যাধিক অহংকারি। বড় হইয়া সে কিছু একটা করিয়া দেখাইবে।
এর পরের কাহিনী আমরা সবাই কম বেশি জানি। জ্বিন জাতির পাপের কারনে যখন তাহাদিগকে সমূলে ধ্বংস করিয়া দেওয়া হয়, তখন ফেরেশতারা বালক ইবলিশকে দয়াবশত হত্যা না করিয়া সৃষ্টিকর্তার অনুমতিক্রমে সঙ্গে করিয়া আসমানে লইয়া যান। তথায় ইবলিশ ইবাদত বন্দেগি এবং জ্ঞানে পারদর্শিতা দেখাইয়া অল্পদিনে বিখ্যাত হইয়া যায়। কথি্ত আছে, সপ্ত আসমানের এমন কোন যায়গা নাই যেইখানে ইবলিশ সেজদা করে নাই। এইভাবে এবাদত করিতে করিতে সে প্রথম আসমান হইতে ২য় আসমান, তথা হইতে ৩য় আসমান এইভাবে সপ্ত আসমান পর্যন্ত উপরে উঠিয়া যাওয়ার অনুমতি পায়।
এবাদত বন্দেগিতে এবং জ্ঞানে পারদর্শিতার কারনে একসময় সে ফেরেশতাগনের ওস্তাদ হইয়া বসে। এমতাবস্থায় একদিন ইবলিশ এবং তাহার সঙ্গের ফেরেশতাগন জানিতে পারেন যে সৃষ্টিকর্তার একজন এবাদতগুজার বান্দা তাঁহার হুকুমের বিরোধিতা করিবার কারনে অভিশপ্ত হইয়া যাইবে এবং আসমান হইতে জমিনে নিক্ষিপ্ত হইবে। ইহাতে তাহাদের মনে ভীতির উদ্রেক হয় এবং ফেরেশতাগন ইবলিশের নিকট আবেদন করেন ইবলিশ যেন সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করিয়া তাহাদের অভিশপ্ত হওয়া হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
ইবলিশ তখন ফেরেশতাদের কথামত শুধু ফেরেশতাদের জন্য দোয়া করিয়া তাঁহাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কিন্তু নিজের জন্য দোয়া করিতে ভুলিয়া যায়।
বিজ্ঞ আলেমগনের মতে ইবলিশের অভিশপ্ত হইয়া যাওয়ার কারন হইল সে নাকি উচ্চ সন্মান এবং মর্যাদা লাভের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন এবং এবাদত বন্দেগি করিত। আল্লাহ তায়ালার প্রতি তাহার সত্যিকারের মহব্বত ছিল না। শুধু তাহাই নহে, ইবলিশের মনের মধ্যে নাকি এই কু-চিন্তাও ভর করিয়াছিল যে বিশ্বজগতের প্রতিপালনের কাজ হইতে যদি আল্লাহতায়ালা অবসর হইয়া যান, তখন ইবলিশ তাঁহার স্থান দখল করিবে।
এই সমস্ত বদ নিয়তের কারনে যাহা হইবার তাহাই হইল, আল্লাহতায়ালা যখন আদম (আঃ) কে তৈয়ার করিলেন এবং সৃষ্টির সেরা মর্যাদা দিলেন তখন ইবলিশ হিংসায় জ্বলিয়া পুড়িয়া ছাই হইয়া গেল। হিংসা নামক ব্যাধির একটি বৈশিষ্ট্য হইল, ইহা হিংসুককে অন্ধ করিয়া দেয়, তাহার সত্য-মিথ্যা, হক-নাহক পার্থক্য করিবার ক্ষমতা বিনষ্ট করিয়া দেয়। ইবলিশ শুধু আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অমান্যই করিলনা, বরং আরো একধাপ আগাইয়া গিয়া নির্দেশের বিরোধীতা করিল, এবং অহংকারের সাথে দাবি করিল সে অগ্নিদ্বারা সৃষ্ট হওয়ায় মৃত্তিকাসৃষ্ট আদম অপেক্ষা তাহার শ্রেষ্ঠত্ব অধিক।
অতঃপর ইবলিশ শয়তান অভিশপ্ত হইয়া গেল।
নাস্তিকতার উদ্ভব হয় অহংকার এবং দম্ভ হইতে। নাস্তিকদের দুইটা বৈশিষ্ট্য থাকে:
১। ইহারা সত্যের বিরোধিতা করে
২। ইহারা মানুষকে অবজ্ঞা করে
ইবলিশ শয়তানেরও দুইটা বৈশিষ্ট্য ছিল
১। সৃষ্টিকর্তার সত্য হুকুমের বিরোধিতা করিয়াছিল
২। আদম (আঃ) কে অবজ্ঞা করিয়াছিল
উপরের আলোচনা হইতে আমরা এই স্বিদ্ধান্তে আসিতে পারি যে "নাস্তিকতা এক প্রকারের শয়তানি"।
(গাত্রদাহে আক্রান্ত হইয়া নাস্তিক মামারা যাতে গালাগালি না করিতে পারেন, সেই জন্য কমেন্ট মডারেশন চালু করা হইল)
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
আলী খান বলেছেন: সহমত পোষন করিলাম............++++++++++++++++
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
আসিক ইসলাম বলেছেন: জোটিল.............
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
শ্রীঘর বলেছেন: নাস্তিকতার উদ্ভব হয় অহংকার এবং দম্ভ হইতে। নাস্তিকদের দুইটা বৈশিষ্ট্য থাকে:
১। ইহারা সত্যের বিরোধিতা করে।
২। ইহারা মানুষকে অবজ্ঞা করে।
বেশ ভাল বলেছেন। যা মনে চায় তা বলার স্বাধীনতা আপনার আছে। আর তাই বললেন।
নাস্তিকতার উদ্ভব হয় মূলত পুরাণ কল্পকথাকে না মেনে বস্তনিষ্ঠ, যৌক্তিক সর্বোপরি প্রমানিত সত্য থেকে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
কাকপাখি ২ বলেছেন: নাস্তিকতার উদ্ভব হয় মূলত পুরাণ কল্পকথাকে না মেনে বস্তনিষ্ঠ, যৌক্তিক সর্বোপরি প্রমানিত সত্য থেকে।
প্রমানিত সত্য = সত্য+প্রমানিত
সত্য সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
==================
নাস্তিকদের অনেকের মতে নতুন তথ্যের ফলে সত্যের পরিবর্তন হয়(!)। এইখানে তাদের কনসেপ্টে যেই সমস্যা তা হল এরা পারসেপশনকে বাস্তবতা মনে করতেছে।
পারসেপশন হচ্ছে বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষের মগজে জমা হওয়া কিছু তথ্য, যা বাস্তবতার একধরনের বিম্ব তৈরী করে।
আবার অনেক নাস্তিকের মতে সত্য হল তাই যা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়।
সত্য আমরা জানলেও সত্য, না জানলেও সত্য। আমাদের না জানার কারনে সত্য বাতিল হয়ে যায় না। সত্যের সত্য হওয়ার জন্য কোন প্রমানের দরকার নাই। প্রমানের দরকার হয় মানুষের। এখন আসেন প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তির ব্যাবচ্ছেদ করি।
প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
===================
প্রমান বলতে নাস্তিকরা বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বুঝে। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ঠ প্রমান চাওয়া নাস্তিকদের একটা অযৈক্তিক দাবি।
কোনকিছুর বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বলতে বুঝায় ঐ কিছুর ব্যাপারে একটা ব্যখ্যা যা মানুষের অর্জিত জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হয়।---এইখানে একটা পক্ষপাতমূলক ব্যাপার আছে, নাস্তিকরা ধরেই নিছে মানুষের জ্ঞান এবসোলিউট। কোন কিছু মানুষের জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন না হলে (অর্থাৎ মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতার দ্বারা বোধ্যগম্য না হলে) তার কোন অস্তিত্ব নাই। এইটা একটা অযৌক্তিক ব্যাপার। কারন এইখানে মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতাকে মহাবিশ্বের সবকিছু উপলদ্ধি করতে পারার মত ক্ষমতা সম্পন্ন মনে করা হয়।
মানুষের জ্ঞান (তথা ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতা) যে এবসোলিউট না---এই ব্যাপারে অধমের লিখা একটা পোষ্ট আছে, ইচ্ছা করলে পড়ে দেখতে পারেন
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধূসর ঘুণপোকা নামের এক ব্লগারের মন্তব্য স্মরণ করতে হচ্ছে
স্রষ্টার বর্ণণা দেখে বোঝা যায় সেই সময়ের সভ্যতার বুদ্ধিমত্তার ধাপ ।হাজার হাজার ধর্ম ছিল।যে সময়ে বুদ্ধিমত্তা যেমন ছিল সে সময়ে স্রষ্টার বর্ণণা তেমন ।যত পুরাতন ধর্ম তত লেজে গোবরে অবস্থা ।মিথের কোয়ালিটির সাথে ধর্মীয় ঈশ্বরের ধারণা সমানুপাতিক ।ফেরেশতার কোন স্বাধীন ইচ্ছা থাকে না ।ইবলিসের আগে কোন শয়তান ছিল না ।তাকে কেউ কুমন্ত্রনা দেয় নাই ।তাহলে এক উপায়েই সে অবাধ্য হতে পারে ।আল্লাহ নিজেই যদি অবাধ্যতা প্রবেশ করিয়ে থাকেন।তাছাড়া আর কারো সে ক্ষমতা নাই ।তার আগে কোন শয়তান ও নাই।নিজেই শয়তানি প্রবেশ করিয়ে সিজদাহ করতে বলছেন আদমকে ।তিনি সৃষ্টিই করেছেন এমনভাবে যেন অবাধ্য হয় ।তো শয়তানের ই কি দোষ আর আদমেরই কি দোষ !লো কোয়ালিটি মিথ এন্ড লো কোয়ালিটির গড ।এটা বোধহয় সবচেয়ে আধুনিক ধর্মগুলোর মিথ ।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: উপরের আলোচনা হইতে আমরা এই স্বিদ্ধান্তে আসিতে পারি যে "নাস্তিকতা এক প্রকারের শয়তানি"।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
অনুপম বলছি বলেছেন: 100% right
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
আহলান বলেছেন: অতি পন্ডিতদের জন্য শিক্ষনীয় ...