![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।
যেহেতু নাস্তিকরা মনুষ্য প্রজাতির মগজ এবং ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে নাস্তিক অতএব তারা বেওকুব।
কিভাবে?
আসেন আমরা ব্যাখ্যা করি।
ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা:
===================
মনুষ্য প্রজাতি তথ্য সংগ্রহ করে কতিপয় ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। চোখ, কান, নাক, জিহবা, চামড়া। প্রতিটা ইন্দ্রিয় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস নির্নয় করতে পারে। চোখ দিয়ে আলো, কান দিয়ে শব্দ, নাক দিয়ে গন্ধ ইত্যাদি। চোখ দিয়ে মানুষ সব ধরনের আলো দেখতে পায় না, নির্দিষ্ট কিছু তরংগ দৈর্ঘের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন অনুভব করতে পারে। এর বাইরের তরংগ দৈর্ঘের আলো সাধারনত যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে দেখা হয়, উদাহরন: অতি-বেগুনি, অবলাল ও এক্স-রে রশ্মি।
ধরেন মনুষ্য প্রজাতির যদি চোখ না থাকত। তাহলে কি হত? মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠত সম্পুর্ণ ভিন্ন ভাবে। সমাজ, অর্থনীতি, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সব কিছু হত অনেক অন্যরকম।
আবার ধরেন যদি শব্দ শোনার জন্য কান না থাকত, সেই ক্ষেত্রে এই সবকিছু হত আরেক রকম।
মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠেছে কয়েকটি "অনুভব করা যায়" এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। এই মহাবিশ্বে "অনুভব করা যায় না" এমন অনেক জিনিশ থাকতে পারে। এমন অনেক কিছু থাকতে পারে যা নির্নয় করার মত অংগ মানুষের শরীরে নাই।
ধরেন এমন একটা ইন্দ্রিয় "ক" যা দিয়ে মানুষ "খ" নামের এক ধরনের কিছু অনুভব করতে পারে। এখন, এই ধরনের কিছু যদি থাকত, তাইলে মানুষের যেই সভ্যতা আজকে আমরা দেখতেছি সেইটার চেহারাই অন্য রকম হত।
এখন যদি সত্যি সত্যি "খ", "গ", "ঘ" ........এই রকম অসংখ্যা কিছু মহাবিশ্বে থাকে এবং তা নির্নয় করার মত ইন্দ্রিয় মানুষের না থাকে, তাইলে বলতে হবে, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা মনুষ্য অর্জিত বিদ্যা সবসময় অসম্পুর্ন ছিল এবং থাকবে।
মানুষের পক্ষে কখনই এই কথা দাবি করা সম্ভব না যে মানুষ যা যা অনুভব এবং কল্পনা করতে পারে এর বাইরে কিছু নাই।
(এখানে অনুভব করা বলতে শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় বরং যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়েও যা যা ইন্দ্রিয়গাহ্য এবং কল্পনার ক্ষেত্রে গনিত এবং যুক্তি ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে যা যা কল্পনা করা হয় তাও বুঝানো হয়েছে)
কল্পনা করার কথা আসলেই মানুষের মগজের কথা এসে যায়। মানুষের মগজের একটা সীমাবদ্ধতা হল, মানুষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। আবার মানুষের চিন্তা "বহুসংখ্যক বিষয়" (যেমন: পরিবেশ, পরিস্থিতি, পারসেপশন, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি) দ্বারা প্রভাবিত এবং ত্রুটিপরায়ন।
আশাকরি ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা বলতে কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছেন।
এই সীমাবদ্ধতার কারনে মানুষ যত বিদ্যা অর্জন করে তা অসম্পুর্ন থাকাই স্বাভাবিক।
এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে মানুষের জ্ঞানের একটা সীমারেখা অবশ্যই থাকবে যা মানুষ কখনই অতিক্রম করতে পারবে না।
এই সীমারেখাটাকে আমরা বলতে পারি "মানুষের জ্ঞানের সীমানা"
যার বাইরের জ্ঞান মানুষ কখনই অর্জন করতে পারবে না।
এমনকি এই সীমানার ভিতরে অনেক বিষয় এমন থাকতে পারে যা পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে না।
নাস্তিকরা যেহেতু মনুষ্য জ্ঞানের সীমারেখার ভিতরের এই অসম্পুর্ন বিদ্যাটাকেই "সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বিকার করার জন্য" যথেষ্ট মনে করেন। অতএব এটাকে তাদের গোড়ামি, মূর্খতা এবং সংকীর্ন মনের পরিচায়ক ধরে নিয়ে তাদেরকে বেওকুব বলা যাইতে পারে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
কাকপাখি ২ বলেছেন: ১। আমি কোন যায়গায় কইছি, যে মানুষের আরো ইন্দ্রিয় আছে? -- দেখান।
২। আগে কন মানুষের জ্ঞা্নের একটা হার্ডলিমিট আছে, এই কথার সাথে আপনে একমত কিনা। একমত না হইলে কেন একমত না, সেইটা পরিষ্কার যুক্তি দিয়া ব্যাখ্যা করেন।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
নর্থপোল বলেছেন: বাই দা ওয়ে, এক মাল আর কদ্দিন? অন্যকে অপমান করে আর যাই হোক ধর্মপ্রচার হয় না। মানুষ আরো ধর্ম বিদ্বেষী হয়। ভেবে দেখবেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
কাকপাখি ২ বলেছেন: আমি এইখানে ধর্মপ্রচার করতেছি - এইটা আপনেরে কে কইল?
নাস্তিক মামাদের ধর্মবিষয়ক গালাগালির প্রতিবাদ হিসাবে এইটা লিখা হইছিল। ইন ফ্যাক্ট এই লেখার জন্য যদি কাউরে দোষ দিতে চান, তাইলে নাস্তিক মামাদেরকে দেন। ( প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে - নিউটনের ৩য় সূত্র )
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
আয়না বাবা০০৭ বলেছেন: আপনি কোন ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পেলেন। আস্তিকদেরই দায় ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান দেওয়া।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
কাকপাখি ২ বলেছেন: এইখানে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান দেওয়া হয় নাই, নাস্তিক মামারা কেন বেওকুব সেইটা প্রমান করা হইছে। এখন নাস্তিক মামাদের দায় হইল নিজেদেরকে বুদ্ধিমান প্রমান করা।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
ইমরুল আকতার চৌধুরী বলেছেন: এখানে ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের সীমাবদ্ধতা। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সীমাবদ্ধ।
মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে। (An-Nisaa: 28)
কিন্তু আল্লাহ কিছু মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন নিজ থেকে,
তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলুল্লাহর আনুগত্য কর। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমার রসূলের দায়িত্ব কেবল খোলাখুলি পৌছে দেয়া। (At-Taghaabun: 12)
আরও বলেন -
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন Al-Jinn(26-27)
এখন সাধারন মানুষ নিজ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে বেছে নিতে পারে বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের রাস্তা। এক্ষেত্রে আল্লাহ'র বাণী, তাঁর রাসুলের জীবনাদর্শ এবং জীবনের বাঁকে বাঁকে এর ফলাফল তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহনে প্রভাবিত করতে পারে। এবং সেটা তাঁর ইন্দ্রিয়ের বিশ্লেষণের দ্বারা যা সীমাবদ্ধ। আসলে সেটা তাদের বঝানও কঠিন যারা সীমাবদ্ধ চিন্তায় সেই বিষয়ের বিশ্লেষণ করে যা আয়ত্তের বাইরে।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
ম্যানিলা নিশি বলেছেন:
ইন্দ্রিয়ের সাহায্য ছাড়াও তো মনে হয় জ্ঞান অর্জন সম্ভব।
যেমন ধরুন আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় যে স্বপ্ন দেখি তখন কি আমাদের কোন ইন্দ্রিয় কাজ করে? কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো সময় ব্যায় হয়। এখন আমি যদি আমার ইন্দ্রিয়কে নিজের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারি তবে হয়ত আমি এমন এক জগতে প্রবেশ করব যেখানে পঞ্চ ইন্দ্রিয় কাজ করেনা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০১
কাকপাখি ২ বলেছেন: স্বপ্নের মধ্যে আপনি জ্ঞান অর্জন করতেই পারেন, কারণ স্বপ্নের সময় আপনার মগজ কাজ করে।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
সেফানুয়েল বলেছেন: @লেখক, ভাই কি পরকালের কাজ আগাইয়া নিতাছেন না কি? তয় রাস্তাটা মাগার খুব কুৎসিত ধরেসেন।।।।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
কাকপাখি ২ বলেছেন: পরকালের রাস্তায় কি হইব জানি না তবে আপনের লগে এই বিষয়ে পুরাপুরি একমত যে রাস্তাটা খুব কুৎসিত। এই লেখার প্রতিবাদে নাস্তিক মামারা যেই পরিমান কুৎসিত গালাগালি করছে সেইটা লিখতে গেলে ছোটখাট ইতিহাস হইয়া যাইব।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৪
নর্থপোল বলেছেন: ইমরুল আকতার চৌধুরী বলেছেন: এখানে ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের সীমাবদ্ধতা। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সীমাবদ্ধ।
মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে। (An-Nisaa: 28)
সার্কুলার রিজনিং ব্যাপারটা আবার নিয়ে আসলেন। কোরান বলছে মানুষের সীমাবদ্ধতা। কোরানের কথা কে বলেছে? মানুষ। থার্ড পার্টির অস্তিত্ত্ব প্রমাণ না করা পর্যন্ত কোরান বলেছে বলে কোন কিছু সত্য হয়ে যায় না। বিশ্বাস করেন ভাল কথা, প্রমানের চেষ্টা করতে গেলেই ধরা খাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
নর্থপোল বলেছেন: এই যুক্তি দিয়ে যদি বলি, তাহলে কিভাবে মানুষ জানল আল্লাহ আছেন? যদি তাদের ইন্দ্রীয় দিয়ে সব জানা সম্ভব না হয় তাহলে কিভাবে বুঝব আল্লাহ সত্য?
আপনি হয়ত বলবেন সাধারণ মানূষ কখনই পারবে না, বা শুধুমাত্র নবী রাসুলরাই পারবেন। কিন্তু তারাও তো মানুষই ছিলেন, তাহলে? আপনার শেষ যুক্তি হতে পারে আল্লাহ নবীদের স্পেশাল ইন্দ্রীয় দিয়েছিলেন। তাহলে সেই একই যুক্তি অন্যদের ক্ষেত্রেও খাটবে।
আপনার যুক্তিতে অনেক ছিদ্র, আর সার্কুলার রিজনিং এ দুষ্ট। কারণ আপনি ধরেই নিচ্ছেন আরো ইন্দ্রিয় আছে। যদি না থাকে? আছে কিনা কিভাবে জানলেন? আপনার তো আর ইন্দ্রিয় নেই? আরো যে আছে তা কি আল্লাহ বলেছেন? আল্লাহ আছে তা কে বলেছেন? মানুষই তো? তার কথা কিভাবে মানি যার আর কোন ইন্দ্রীয় নেই যা সাধারনের নেই? ছিদ্রগুলো কি চোখে পড়ে?