নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশ দিয়া উইড়া যাই

We must not exist, our existance is the most impossible thing.

কাকপাখি ২

এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।

কাকপাখি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব (Reason Why Atheists are Stupid)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

যেহেতু নাস্তিকরা মনুষ্য প্রজাতির মগজ এবং ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে নাস্তিক অতএব তারা বেওকুব।



কিভাবে?



আসেন আমরা ব্যাখ্যা করি।



ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা:

===================



মনুষ্য প্রজাতি তথ্য সংগ্রহ করে কতিপয় ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। চোখ, কান, নাক, জিহবা, চামড়া। প্রতিটা ইন্দ্রিয় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস নির্নয় করতে পারে। চোখ দিয়ে আলো, কান দিয়ে শব্দ, নাক দিয়ে গন্ধ ইত্যাদি। চোখ দিয়ে মানুষ সব ধরনের আলো দেখতে পায় না, নির্দিষ্ট কিছু তরংগ দৈর্ঘের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন অনুভব করতে পারে। এর বাইরের তরংগ দৈর্ঘের আলো সাধারনত যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে দেখা হয়, উদাহরন: অতি-বেগুনি, অবলাল ও এক্স-রে রশ্মি।



ধরেন মনুষ্য প্রজাতির যদি চোখ না থাকত। তাহলে কি হত? মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠত সম্পুর্ণ ভিন্ন ভাবে। সমাজ, অর্থনীতি, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সব কিছু হত অনেক অন্যরকম।



আবার ধরেন যদি শব্দ শোনার জন্য কান না থাকত, সেই ক্ষেত্রে এই সবকিছু হত আরেক রকম।



মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠেছে কয়েকটি "অনুভব করা যায়" এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। এই মহাবিশ্বে "অনুভব করা যায় না" এমন অনেক জিনিশ থাকতে পারে। এমন অনেক কিছু থাকতে পারে যা নির্নয় করার মত অংগ মানুষের শরীরে নাই।



ধরেন এমন একটা ইন্দ্রিয় "ক" যা দিয়ে মানুষ "খ" নামের এক ধরনের কিছু অনুভব করতে পারে। এখন, এই ধরনের কিছু যদি থাকত, তাইলে মানুষের যেই সভ্যতা আজকে আমরা দেখতেছি সেইটার চেহারাই অন্য রকম হত।



এখন যদি সত্যি সত্যি "খ", "গ", "ঘ" ........এই রকম অসংখ্যা কিছু মহাবিশ্বে থাকে এবং তা নির্নয় করার মত ইন্দ্রিয় মানুষের না থাকে, তাইলে বলতে হবে, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা মনুষ্য অর্জিত বিদ্যা সবসময় অসম্পুর্ন ছিল এবং থাকবে।



মানুষের পক্ষে কখনই এই কথা দাবি করা সম্ভব না যে মানুষ যা যা অনুভব এবং কল্পনা করতে পারে এর বাইরে কিছু নাই।

(এখানে অনুভব করা বলতে শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় বরং যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়েও যা যা ইন্দ্রিয়গাহ্য এবং কল্পনার ক্ষেত্রে গনিত এবং যুক্তি ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে যা যা কল্পনা করা হয় তাও বুঝানো হয়েছে)



কল্পনা করার কথা আসলেই মানুষের মগজের কথা এসে যায়। মানুষের মগজের একটা সীমাবদ্ধতা হল, মানুষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। আবার মানুষের চিন্তা "বহুসংখ্যক বিষয়" (যেমন: পরিবেশ, পরিস্থিতি, পারসেপশন, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি) দ্বারা প্রভাবিত এবং ত্রুটিপরায়ন।



আশাকরি ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা বলতে কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছেন।



এই সীমাবদ্ধতার কারনে মানুষ যত বিদ্যা অর্জন করে তা অসম্পুর্ন থাকাই স্বাভাবিক।



এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে মানুষের জ্ঞানের একটা সীমারেখা অবশ্যই থাকবে যা মানুষ কখনই অতিক্রম করতে পারবে না।



এই সীমারেখাটাকে আমরা বলতে পারি "মানুষের জ্ঞানের সীমানা"

যার বাইরের জ্ঞান মানুষ কখনই অর্জন করতে পারবে না।

এমনকি এই সীমানার ভিতরে অনেক বিষয় এমন থাকতে পারে যা পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে না।



নাস্তিকরা যেহেতু মনুষ্য জ্ঞানের সীমারেখার ভিতরের এই অসম্পুর্ন বিদ্যাটাকেই "সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বিকার করার জন্য" যথেষ্ট মনে করেন। অতএব এটাকে তাদের গোড়ামি, মূর্খতা এবং সংকীর্ন মনের পরিচায়ক ধরে নিয়ে তাদেরকে বেওকুব বলা যাইতে পারে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

বাংলার তৌহিদ বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।অনেক যুক্তি নির্ভর বলতে পারি এক কথায়

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী প্রমান করতে পারেনা ঈশ্বরের অবস্থান বা উপস্থিতি তেমনি একজন নাস্তিক প্রমান করতে ব্যার্থ যে ঈশ্বর নেই । এখানেই কনফ্লিকট । আমি যুক্তি তর্ক ও প্রমান সহকারে একজন নাস্তিক কে ঈশ্বর ের উপস্থিতি বিশ্বাস করাতে পেরেছিলাম ।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

দিশার বলেছেন: লজিকাল ফেলসি শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু কাওকে বোকা বানাতে পারবেন না এভাবে। যদি বলি আল্লাহ না , একটা কেতলি বসে আসে আকাশে, এবং সেটাই সৃষ্টি কর্তা ! আপনার দৃষ্টি/জ্ঞান এত প্রখর না যে দেখতে পাবেন!

আপনি যা দাবি করবেন, সেটা প্রমান করার দায় আপনার, এটাকে বলে " বার্ডেন ওফ প্রুফ।" আপনার দাবি কৃত খোদার প্রমান দিলে দেন , নাইলে কাওকে বেকুব বলবেন না শুধু শুধু .

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

কাকপাখি ২ বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার লেখাটা ভাল করে পড়েন নাই। এখানে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমান দেওয়া হয় নাই, নাস্তিকরা বেওকুব - দাবি করা হয়েছে, এবং তা যুক্তির মাধ্যমে প্রমান করা হয়েছে।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

নতুন বলেছেন:

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

লেজারবিম বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ।মানুষের জ্ঞান এর একটা সিমানা আছে, যেখানে গেলে তার জ্ঞান আর কাজ করেনা।
মানুষের জ্ঞান অনেকটা এ রকম
১: ইন্দ্রিয় অনুভুতি
২: জ্ঞান/বুদ্ধি
৩:শেষ
কিন্তু হওয়া উচিত ছিল
৩:ওহী-র জ্ঞান
যার মধ্যে ওহীর জ্ঞান আছে সে অনেকটাই পরিপুর্ণ জ্ঞানী। তাই নয় কি?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

কাকপাখি ২ বলেছেন: ওহীর জ্ঞান বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। আমি এইখানে বস্তুবাদি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলছি।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬

ইমরান হক সজীব বলেছেন: আল্লাহ/ভগবান/গড না আকাশে একটা সাপ বসে আছে। এই কথাটা মিথ্যা প্রমাণ করেন দেখি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

কাকপাখি ২ বলেছেন: আগে প্রমান করেন নাস্তিকরা বেওকুব না।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১

এম এম হোসাইন বলেছেন: মহাবিশ্ব পরিচালনা করার জন্য 'সাপ' এর কোন দক্ষতে নাই। তাই আকাশে সাপ থাকলেও সে স্রস্টা নন। স্রস্টা হলেন সেই সত্বা যে সৃষ্টি করতে ও সৃষ্টিজগত পরিচালনা করতে সক্ষম। @ইমরান হক সজীব, আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

কাকপাখি ২ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ইমরান হক সজীব বলেছেন: এম এম হোসাইন যুক্তির দুর্বলতা গুলো বোঝার চেষ্টা করুন

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

শিব সত বলেছেন: আপনার তো ভাই ভাল একজন মানসিক ডাক্তার দেখানো দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.