নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশ দিয়া উইড়া যাই

We must not exist, our existance is the most impossible thing.

কাকপাখি ২

এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।

কাকপাখি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব (Reason Why Atheists are Stupid)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

যেহেতু নাস্তিকরা মনুষ্য প্রজাতির মগজ এবং ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে নাস্তিক অতএব তারা বেওকুব।



কিভাবে?



আসেন আমরা ব্যাখ্যা করি।



ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা:

===================



মনুষ্য প্রজাতি তথ্য সংগ্রহ করে কতিপয় ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। চোখ, কান, নাক, জিহবা, চামড়া। প্রতিটা ইন্দ্রিয় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস নির্নয় করতে পারে। চোখ দিয়ে আলো, কান দিয়ে শব্দ, নাক দিয়ে গন্ধ ইত্যাদি। চোখ দিয়ে মানুষ সব ধরনের আলো দেখতে পায় না, নির্দিষ্ট কিছু তরংগ দৈর্ঘের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন অনুভব করতে পারে। এর বাইরের তরংগ দৈর্ঘের আলো সাধারনত যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে দেখা হয়, উদাহরন: অতি-বেগুনি, অবলাল ও এক্স-রে রশ্মি।



ধরেন মনুষ্য প্রজাতির যদি চোখ না থাকত। তাহলে কি হত? মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠত সম্পুর্ণ ভিন্ন ভাবে। সমাজ, অর্থনীতি, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সব কিছু হত অনেক অন্যরকম।



আবার ধরেন যদি শব্দ শোনার জন্য কান না থাকত, সেই ক্ষেত্রে এই সবকিছু হত আরেক রকম।



মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠেছে কয়েকটি "অনুভব করা যায়" এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। এই মহাবিশ্বে "অনুভব করা যায় না" এমন অনেক জিনিশ থাকতে পারে। এমন অনেক কিছু থাকতে পারে যা নির্নয় করার মত অংগ মানুষের শরীরে নাই।



ধরেন এমন একটা ইন্দ্রিয় "ক" যা দিয়ে মানুষ "খ" নামের এক ধরনের কিছু অনুভব করতে পারে। এখন, এই ধরনের কিছু যদি থাকত, তাইলে মানুষের যেই সভ্যতা আজকে আমরা দেখতেছি সেইটার চেহারাই অন্য রকম হত।



এখন যদি সত্যি সত্যি "খ", "গ", "ঘ" ........এই রকম অসংখ্যা কিছু মহাবিশ্বে থাকে এবং তা নির্নয় করার মত ইন্দ্রিয় মানুষের না থাকে, তাইলে বলতে হবে, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা মনুষ্য অর্জিত বিদ্যা সবসময় অসম্পুর্ন ছিল এবং থাকবে।



মানুষের পক্ষে কখনই এই কথা দাবি করা সম্ভব না যে মানুষ যা যা অনুভব এবং কল্পনা করতে পারে এর বাইরে কিছু নাই।

(এখানে অনুভব করা বলতে শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় বরং যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়েও যা যা ইন্দ্রিয়গাহ্য এবং কল্পনার ক্ষেত্রে গনিত এবং যুক্তি ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে যা যা কল্পনা করা হয় তাও বুঝানো হয়েছে)



কল্পনা করার কথা আসলেই মানুষের মগজের কথা এসে যায়। মানুষের মগজের একটা সীমাবদ্ধতা হল, মানুষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। আবার মানুষের চিন্তা "বহুসংখ্যক বিষয়" (যেমন: পরিবেশ, পরিস্থিতি, পারসেপশন, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি) দ্বারা প্রভাবিত এবং ত্রুটিপরায়ন।



আশাকরি ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা বলতে কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছেন।



এই সীমাবদ্ধতার কারনে মানুষ যত বিদ্যা অর্জন করে তা অসম্পুর্ন থাকাই স্বাভাবিক।



এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে মানুষের জ্ঞানের একটা সীমারেখা অবশ্যই থাকবে যা মানুষ কখনই অতিক্রম করতে পারবে না।



এই সীমারেখাটাকে আমরা বলতে পারি "মানুষের জ্ঞানের সীমানা"

যার বাইরের জ্ঞান মানুষ কখনই অর্জন করতে পারবে না।

এমনকি এই সীমানার ভিতরে অনেক বিষয় এমন থাকতে পারে যা পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে না।



নাস্তিকরা যেহেতু মনুষ্য জ্ঞানের সীমারেখার ভিতরের এই অসম্পুর্ন বিদ্যাটাকেই "সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বিকার করার জন্য" যথেষ্ট মনে করেন। অতএব এটাকে তাদের গোড়ামি, মূর্খতা এবং সংকীর্ন মনের পরিচায়ক ধরে নিয়ে তাদেরকে বেওকুব বলা যাইতে পারে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

বিষন্ন পথিক বলেছেন: আপনি আবার এই বিষয় শুরু করেছেন? একবার তো একটানা একবছর একই পোষ্ট দিলেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

কাকপাখি ২ বলেছেন: আপনার ধারণা ভূল, বিষয়টা নতুন করে আবার শুরু করি নাই, তখন থেকেই চলমান আছে।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

গরল বলেছেন: জ্ঞানের সীমারেখা টানাটাই একধরনের বেকুবি। কেউ যদি মনে করে যে জ্ঞানের সীমানা আছে এবং ঐ পর্যন্ত জানলেই সব জানা হবে তাহলে তার মত বেকুব প্রণী এই দুনিয়াতে নাই এবং তার দ্বাড়া জ্ঞান অর্জনও সম্ভব না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

কাকপাখি ২ বলেছেন: জ্ঞানের সিমারেখা নাই- এইটা চিন্তা করাই এক ধরনের বেওকুবি >> আমি যুক্তি দিয়ে সেইটা বলার চেষ্টা করছি। আপনার দাবির স্বপক্ষে যুক্তি কই? কথা একটা কইয়া দিলেই তো হবে না, কথার স্বপক্ষে যুক্তি থাকতে হবে।

যুক্তি ছাড়া কথা বলা কিন্তু সবচেয়ে বড় বেওকুবি।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

গরল বলেছেন: যুক্তির কথা যেহেতু বলেছেন তখন তো কিছু যুক্তি দেখাতেই হয়।

ধর্মীয় যুক্তি: জ্ঞানের যদি সীমাই থাকত তাহলে আল্লাহ সব জ্ঞান কোরানেই দিয়ে দিতেন আর আমাদের মহানবী আরও জ্ঞান অর্জনের জন্য চীনে যেতে বলতেন না।

ঐতিহাসিক যুক্তি: বিগত ৫ হাযার বছর ধরেই প্রতি বছর কোন না কোন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তা না হলে সভ্যতার উন্নয়ন কোন এক পর্যায় এশে থমকে যেত।

একাডেমিক যুক্তি: পৃথিবীতে গবেষনার প্রচলন হয়েছে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষে এবং এখনও হাযার হাযার বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও হাযার হাযার প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালান হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির আশায়। জ্ঞানের সীমা থাকলে তারা একটা লক্ষ স্থীর করত যে এই পর্যন্তই গবেষণা হবে এর বেশি করে লাভ নাই।

আর আপনের কথার স্বপক্ষেই বা যুক্তিটা কি?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১২

কাকপাখি ২ বলেছেন: এখানে মানুষের বস্তুবাদি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা আলোচনা হচ্ছে। বস্তুবাদ কি জিনিস সেইটা আগে বুঝতে হবে। বস্তুবাদ অভিজ্ঞতাবাদ থেকে আসছে। বস্তুবাদের মূল কথা হল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়কে স্বিকৃতি দেওয়া। তার মানে "প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে" ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য না - এইরকম বিষয় বস্তুবাদ স্বিকৃতি দিবে না।

এইখানেই বস্তুবাদের সীমাবদ্ধতা। এই সীমাবদ্ধতা মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার সাথে সম্পর্কিত।

মানুষের অবস্থান থেকে সীমাবদ্ধ বস্তুবাদের আউটার বাউন্ডারি অনেক বড়, কিন্তু সেইটা অসীম নয়। আপনার ঐতিহাসিক এবং একাডেমিক এক্সপ্লোরেশনের কাজকাম যা হয় তা সীমাবদ্ধ বস্তুবাদের বাউন্ডারির ভিতরের অনাবিস্কৃত বিষয়গুলির উদঘাটনের সাথে সম্পর্কিত।

ধর্মিয় যুক্তি যেইটা দিছেন, সেইটা নিয়ে বিতর্ক আছে, বলা হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যাওয়ার কথা আমাদের নবী বলেন নাই, এইটা প্রাচীন আরবের একটি প্রবাদ ছিল যা কালক্রমে আমাদের নবীর হাদিস হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাস্তিকতার ভিত্তি সীমাবদ্ধ বস্তুবাদের অসীম হওয়ার ফালতু দাবির সাথে সম্পর্কিত। সেইজন্য নাস্তিকতার আসলে কোন ভিত্তি নাই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

কাকপাখি ২ বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার মূল লেখাটা ঠিক মত বুঝেন নাই (এইটা আসলে আমার ব্যার্থতা), লেখাটা আরেকবারভাল করে পড়েন তাইলেহয়ত বুঝতে পারবেন আমি আসলে কোন সীমাবদ্ধতার কথা বলছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.