নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশ দিয়া উইড়া যাই

We must not exist, our existance is the most impossible thing.

কাকপাখি ২

এইটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে লোকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান অথচ নিজেদের অস্তিত্ব তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় মনে হয় না।

কাকপাখি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার খেলায় নাস্তিক মামাদের ধরা খাওয়ার করুণ ইতিহাস।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

ব্যাপারটা আরম্ভ হয়েছিল বছর তিন আগে। যখন সামু ব্লগে নাস্তিক মামাদের আস্ফালনের স্বর্ণ যুগ ছিল। কঠিন ভাবে আস্তিক-নাস্তিক যুদ্ধ চলত তখন। সামুতে আমি তখনও নতুন। আমার মূলনীতি ছিল নাস্তিক মামাদের সাথে বিতর্কে না যাওয়া। কারন এই ধরনের বিতর্ক ধর্ম বিশ্বাসের জন্য সাধারনত ক্ষতিকর হয়। ফেসবুক আর ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মামাদের আস্ফালন দেখতে দেখতে একসময় আমি সিদ্ধান্ত নেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখালিখি শুরু করার। শুরুতে কিছু ফেসবুক গ্রুপে লেখালিখি আরম্ভ করি। এর কিছুদিনের মধ্যে আমার মাথায় "যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব" - লেখাটির কনসেপ্ট আসে।



নাস্তিক মামারা যে আসলে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা উপেক্ষা করেন এবং এই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা ভালমত হাইলাইট করা গেলে নাস্তিকতা নামক মাকাল ফলের বোটা যে আলগা হয়ে যাবে সেইটা তখনই বুঝতে পারি।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটার যেই ভার্সনটা আমি রিপোষ্ট করি সেইটা হল লেখাটার তৃতীয় ভার্সন। এর আগের দুইটা ভার্সনের একটা রি-রাইট করা হয়েছিল, আরেকটা নাস্তিক মামাদের গালাগালির কারনে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটি বারে বারে রি-পোষ্ট করার অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটা কারন ছিল, লেখাটা খুব বেশি কনসেপচুয়াল টাইপ লেখা, একবার পড়ে এই লেখা বুঝা বেশ কঠিন। আমার নিজেরই এই কনসেপ্টে কনফিডেন্স ডেভলপ করতে অনেক টাইম লাগছিল।



এনিওয়ে, এই লেখা বারে বারে রি-পোষ্ট করাটা নাস্তিক মামাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্য একটি স্লো-রিকভারি এর মত কাজ করতেছিল। নাস্তিক মামারা অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাইছিলেন। তাদের প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটা পোষ্ট পর্যন্ত আছে (link: 1 ,2 ,3 ,4 ,5 ), সেইখানে তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার হইছিলেন ।



যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - পোষ্টের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি অবস্থান নিয়েছিলেন আমাদের অত্র ব্লগের বিশিষ্ট বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিক "হোরাস মামা"। উনার "যে কারনে কাকপাখি২ চালাক (!!) আর সকল নাস্তিক এবং বেশিরভাগ আস্তিক বেকুব" লেখাটা দিয়ে উনি কাকপাখির বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই বিশেষ পোষ্টে হোরাস মামার সাথে কাকপাখিকে ১৯ দিন স্থায়ী এক ব্লগ যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। ১৯ দিন ব্লগযুদ্ধের পরে হোরাস মামার কুটনীতির কাছে কাকপাখি আপাতঃ ভাবে হার মানতে হয়েছিল।



হোরাস মামা এই ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে "হলিউডের ৬০ ফুট কিংকং কিংবা সহী বুখারীর ৯০ ফুট লম্বা আদম বাস্তবে সম্ভব নয় কেন" -- শিরোনামে একটি পোষ্ট দেন। যেই পোষ্টখানা উনার জীবনের (এবং সামগ্রিকভাবে নাস্তিক মামাদের জীবনের) সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর পোষ্ট ছিল। এই পোষ্টের যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে নাস্তিক মামাদের সমস্ত গর্ব এবং অহংকার চূর্নবিচূর্ন করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার প্রতারনামূলক নাস্তিকীয় খেলার এক শোচনীয় পরাজয়ের ইতিহাস রচিত হয়। এবং এর পর থেকে ব্লগে নাস্তিক মামাদের নর্তন কুর্দনের উৎসাহে ভাটা পরিলক্ষিত হইতে থাকে, যা এখন পর্যন্তও অব্যাহত আছে।



নাস্তিক মামাদের পরাজয়ের ইতিহাস কিভাবে রচিত হয়েছিল তা জানার জন্য নীচের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন:



ব্লগীয় পাতি-নাস্তিকদের বিজ্ঞান বিষয়ক পীর "হোরাস মামা" যেভাবে ধরা খাইলেন।



=========================================

=========================================

=========================================





নাস্তিক মামাদের বিরুদ্ধে কাকপাখি ২ এর আরো কিছু লেখা:



কিছু মৌলিক বিষয়ে নাস্তিকদের ভ্রান্তিমূলক ধারনা।



প্রাচীন কালে মুর্খরা মুর্তি পুজা করিত, এখনকার মুর্খরা বৈজ্ঞান পুজা করে (রিপোষ্ট)



নাস্তিক মামারা যে বেওকুব সেইটা আমার কাছে নতুন ভাবে প্রমানিত হইল



নাস্তিক্যবাদ হচ্ছে "বিজ্ঞানের সাথে কৌশলি মিথ্যা মিশিয়ে" জনসাধারনকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী করে তোলার অপচেষ্টা জনিত সুচতুর মতবাদ মাত্র।



একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম ও ২য় পর্ব একত্রে)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কৃষিতে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত হাইব্রিড প্রযুক্তি নিয়ে ১৪০০ বছর আগেই কোন আয়াত নাজিল হয়নি?

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: এই বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নাই।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০১

কাফের বলেছেন: চালাক মামা আপনার রিপোষ্টে আমি রিমন্তব্য করলাম!

কোনো কিছু সৃষ্ট হইলে তার অবষ্যই ধ্বংশ আছে
আমরা জানি পদার্থের কোনো ধ্বংশ নাই রুপান্তর হয় মাত্র
যার ধ্বংশ নাই তা সৃষ্ট হয় কি ভাবে?

এবং আরো বলেন সৃষ্টিকর্তা কি পদার্থহীন? বা সৃষ্টিকর্তা কি পদার্থের?
ব্লগের আরেকজনরে প্রশ্ন করছিলাম সে তার মনগড়া উত্তর দিছে?


২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: কাফের মামা, আপনের কুশ্চেনটা বস্তুবাদী সীমাবদ্ধতার দোষে দুষ্ট।

ক্যামনে?

(নখ দিয়া মগজ চুলকাইতেছেন?)

আসেন দুইটা দৃষ্টিভংগি থেইকা আপনের কুশ্চেনটারে ব্যাখ্যা করি:


দৃষ্টিভংগি-১: আপনে কইছেন যে আমরা জানি: "পদার্থের কোনো ধ্বংশ নাই রুপান্তর হয় মাত্র" - এইটা মনুষ্য জ্ঞানের সীমানার ভিতর থেইকা মানুষ বস্তুরে কিভাবে দেখে তার একটা বর্ননা। বস্তুবাদী সীমাবদ্ধতা কি জিনিস জানতে হইলে "যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব" - লেখাটা ভাল কইরা পড়েন।


দৃষ্টিভংগি-২: ধ্বংস বলতে আপনে আসলে কি বুঝেন? মনে করেন আপনে রাস্তা দিয়া হাটতে হাটতে রিকশার নীচে পইড়া একসিডেন্ট করলেন, এতে আপনের একটা বিশেষ অংগ খোয়া গেল। এখন ঐ অংগটার কি হবে? অংগটা কি ধ্বংস হইয়া গেল? নাকি আপনের জ্ঞানী মস্তিষ্ক যেই শরীরে যুক্ত আছে সেই শরীর থেইকা আলাদা হইয়া পরবর্তিতে

১। জৈব সারে

অথবা

২। আপনে সংরক্ষন করলে ফরমালিনজাত হইয়া বোতলে

অথবা

৩। শুকাইয়া রাইখা দিলে শুটকি মাছে পরিনত হইল?

এইডারে কি আপনে ধ্বংস কইবেন নাকি রুপান্তর কইবেন?

=====================================

সৃষ্টিকর্তা কি পদার্থহীন নাকি পদার্থের - এইটা সম্ভবত মনুষ্য জ্ঞানের সীমানার বাইরের বিষয়। আমার জানামতে এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারে নাই।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

কাফের বলেছেন: আমার শয়তান ধারা আক্রান্ত মন আরো জানতে চায়! :!> :((

আল্লাহু দুইটা আদম দুইটা হাওয়া বানাইলে কি ক্ষতি হইতো?
তাহলে দুনিয়ায় তাবদ মানব কুলের জম্ম আজাচারের মাধ্যেমে হইতো না!

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: কাফের মামা, আপনের এই প্রশ্নটা ভূল কনসেপ্টের দোষে দুষ্ট:

মানুষের কোন আচরণ অন্যায় হবে আর কোনটা ন্যায় হবে এই সীমারেখা সময়ের সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তা পরিবর্তন করছেন। যেইযুগের মানুষের জন্য যেইটা অবৈধ ছিল সেই কাজ করার জন্য তারা শাস্তি পাবে, এইজন্য আগের/পরের যুগের সেই বিষয়টা বৈধ ছিল কিনা সেইটা বিবেচ্য না।

মনুষ্য প্রজাতিরে দুনিয়ার জমিনে পাঠানোর উদ্দেশ্য হইল তাদেরকে পরিক্ষা করা। এইজন্য কোন ব্যক্তি তার সময়কার (প্রতিনিধির/নবী-রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত) সৃ্ষ্টিকর্তার প্রদত্ত বিধান নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালন করে কিনা সেইটা বিবেচনার বিষয়।

মনুষ্য প্রজাতিরে গোলামি করার জন্য পয়দা করা হইছে। এইজন্য নাস্তিক-মুর্তাদ-কাফের-মুশরেক থেইকা গুনাহগার মুসলমান ভাল, কারণ নাস্তিক-মুর্তাদ-কাফের-মুশরেকরা গোলামি করতে সরাসরি/ অথবা পরোক্ষভাবে অস্বিকার করে, কিন্তু গুনাহগার মুসলমানের গুনাহ হইয়া যাওয়ার পরে সে নিজেরে অপরাধি মনে কইরা সৃষ্টিকর্তার নিকট মাফ চায়।

মাফ চাওয়া হইল গোলামির প্রমান।

টু গোলাম অর নট টু গোলাম - দ্যাট ইজ দা কুশ্চেন।@কাফের মামা

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: কাফের মামা প্রশ্ন করলে তো অনেক প্রশ্নই করা যায়।

আচ্ছা কও দেখি আকাশ তো কোনদিন ধংস হয় না তাইলে আকাশ পদার্থ নাকি অপদার্থ?

বাতাস তো ধংস হয় না তাইলে বাতাস পদার্থ নাকি অপদার্থ?


যদি পারো আমার এই সামান্য প্রশ্নের উত্তর দিও। তারপর তোমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হইব।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

মিমায়িত জীবন বলেছেন: নাস্তিকতা আস্তিকতা অনেক বড় ব্যাপার। তবে ইশ্বর যদি থাকেনও তাহলে আপনারা যেভাবে চিন্তা করেন সেইভাবে নাই। ইশ্বর মানবিক রুপে থাকলে পৃথিীবিতে এত অনাচার হত না। আর ধর্ম হল ‍ভুয়া জিনিস।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

কাকপাখি ২ বলেছেন: পৃথিবীতে অনাচার কি সৃষ্টিকর্তা করেন না মানুষ করে? মিয়া আগে নিজের কনসেপ্ট ঠিক করেন, তার পরে কোনটা ভুয়া কোনটা সঠিক সেইটা কইতে আইসেন।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিমায়িত জীবন বলেছেন: ধুর মিয়া। যেই শিশুটা মায়ের পেটেই মারা গেল-তার মৃত্যুর দায় মানুষের না ইশ্বরের?

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: ক্যান বুড়া হইয়া যেই ব্যাটা মরল, তার মৃত্যুর দায় কার? ঐ বুড়া ব্যাটার, ডাক্তারের নাকি বুড়ার আত্মিয় স্বজনের?

কে কোথায় ক্যামনে মারা যাবে তা সৃষ্টিকর্তার সিদ্ধান্ত। কারন তিনি জীবন দিছেন মৃত্যুও তিনি দিবেন।

যেই বাচ্চা মায়ের পেটে মারা গেল, পরকালে তার কি হবে সেইটা না জাইনা আজাইরা প্যাচাল পাড়েন কেন?

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

নিরীহ বালক বলেছেন: জ্ঞান কম , অবজ্ঞা বেশি :|| :-<

পরিনতি ভালো হওয়ার কথা না /:)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

কাকপাখি ২ বলেছেন: পরিনতির মালিক উপরওয়ালা, নাস্তিকদের থেকে আমার পরিনতি ইনশাআল্লাহ ভাল হবে আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.