নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বস্ত্র কারখানার পেশাজীবি
অফিস পলিটিক্স: এ ডু অর ডাই গেম-পার্ট-১?
নিশ্চয়ই আপনাদের মাঝি ও সবজান্তা জ্ঞানী বাবুটির গল্প জানা আছে ? যেখানে আমরা দেখি যে, পাই শুধুমাত্র সাঁতার না জানার কারনে গনিত, ইতিহাস, ভূগোল, জ্যোর্তিবিজ্ঞান ইত্যাদী যাবতীয় জ্ঞানসহ বাবুটি ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে গেলেন-যার জীবন ছিল বিদ্যার দিক থেকে ষোল আনাই খাটি; আর বেচারা বারো আনা ব্যর্থ মুখ্যু-সুখ্যু নৌকার মাঝি শুধুমাত্র সাঁতার জানা থাকার কারনে নৌকাডুবি হলেও তীরে উঠতে সমর্থ হন।
অফিস পলিটিক্স বিদ্যাটি আসলে এমনই এক লাইফ স্কিল. আজকের দিনে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে । জানা থাকলে বাঁচবেন, না হলে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কর্পোরেট পাথারে নাকানী-চুবানী খেয়ে বড় ডিগ্রী, সততা, নীতি, কাজ করি কাজ ছাড়া কিছু বুঝি না এইসব বিবিধ যোগ্যতা থাকলেও বেতন ঠিকমত বাড়ে না, প্রমোশন হয়না, অন্যের দোষ নিজের ঘাড়ে চাপে; ফলে প্রায়ই চাকরী খুজতে হয়, অবশেষে নিরাশ হয়ে অকালে ক্যারিয়ারে ইতি অশ্বত্থামা হত ।
অনেক ভদ্রলোক অফিস ’পলিটিক্স’ শব্দটি শুনলেই আঁতকে উঠছেন ! কি বলেন? না না এটা ঠিক নয়- অফিসে রাজনীতি, একদম করবেন না, অফিসে কিসের রাজনীতি- কাজ করতে এসেছি, রাজনীতি নয় । এমনকি কেউ কেউ বেমালুম অস্বীকার করেন, না না- এমনটা আমাদের অফিসে নেই, আমরা মোটেও রাজনীতি করি না, ইত্যাদী, ইত্যাদী; এমন করে এড়িয়ে যাবেন প্রতিষ্ঠানের সবচে’ পরোক্ষ ও পছন্দের সত্য বিষয়টি, যার নাম কর্পোরেট বা অফিস পলিটিক্স ।
অথবা, আপনি চাইলে এ খেলায় অংশ না নিয়ে সাইড লাইনে বসে থাকদে পারেন, তাতে কি হবে- বিজয়ী দলের উল্লাসে নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন না বা সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্বেও মূলধারায় না থাকার কারনে সুবিধাবঞ্চিতদের দলভূক্ত হয়ে অবহেলিত জীবন-যাপন করবেন, ক্যারিয়ারের ক্ষতি করবেন ।
তাহলে কি করবেন ? এই প্রশ্নের ভাল উত্তর হলো, অনীহা থাকলেও এর মধ্যে অংশ নিতে হবে, কেননা জ্বাজ্যল্যমান সত্য বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে কর্পোরেট জগতে ভাল করতে পারবেন না । অত:পর, আসুন বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি ।
সাধারনত আমরা অফিস পলিটিক্সকে নেগেটিভ বস্তু বলেই জানি, যদিও আসলে এই রাজনীতির বলগেম বোঝা এবং এর মধ্যে নিজেকে সঠিক লাইনে রেখে চাকুরীতে নিজের এবং কোম্পানীর উন্নতি সাধন করা যেতে পারে।
এই লেখায়, প্রথম অংশে অফিসের রাজনীতির প্রকৃতি, ব্যক্তি ও সংস্থার উপর এর প্রভাব আলোচনা করব এবং এই আপাত কুটিল বিষয়টি আয়ত্ত করার জন্য একাডেমিক কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করব।
(আমার পরের লেখা দ্বিতীয় অংশে, আমরা অফিস পলিটিক্স মোকাবেলা করার জন্য অনানুষ্ঠানিক বা সোজা কথায় কিছু বাংলা পদ্ধতি বা টোটকা সম্পর্কে জানব ।)
সংজ্ঞা ও চরিত্র:
অফিস রাজনীতি হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ম-কৌশল, কর্মরত ব্যক্তিদের আন্ত-সম্পর্ক এবং ক্ষমতার গতি-প্রকৃতিকে বোঝায় যা ঐ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কর্মরতদের মধ্যে একটি সামাজিক ল্যান্ডস্কেপ তৈরী করে থাকে। কঠিন মনে হলেও আসলে এটিই অফিস রাজনীতির সবচে’ উপযুক্ত সংজ্ঞা বলে মনে হচ্ছে । এর মধ্যে জাতীয় বা বৈশ্বিক রাজনীতির মত ক্ষমতার লড়াই, জোট গড়া-ভাংগা, গসিপ-গুজব এবং পক্ষপাতিত্ব থেকে শুরু করে প্রভাব বিস্তার করা, দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ, ব্যক্তিগত এজেন্ডা প্রচার ও বাস্তবায়ন পর্যন্ত সবকিছুই আছে ।
কার্যকরী প্রভাব:
অফিস রাজনীতি কোম্পানীর সংস্কৃতি, কাজের গতি এবং সামগ্রিক উত্পাদনশীলতাকে অনেক বেশী প্রভাবিত করতে পারে। অফিস রাজনীতি আয়ত্বে নিয়ে কর্মচারীরা নিজস্ব বলয় তৈরী করে, দলীয় সম্পর্ক গড়ে এবং যৌথ লক্ষ্যে অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখতে পারে- যার ফলে কোম্পানীর সেলস, ব্র্যান্ড ভ্যালু, রেভিনিউ বা প্রফিট মার্জিন বাড়তে পারে । দেখা যাচ্ছে, প্রচলিতে অর্থে অফিস পলিটিক্সকে যতটা খারাপ মনে হচ্ছে, বাস্তবে এটা ততটা খারাপ কিছু নাও হতে পারে ।
অফিসের রাজনীতিতে কি করে উন্নতি করবেন- একাডেমিক কৌশলসমূহ:
১. ইমোশনাল ইন্টেলিজেণ্স বা আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বাড়ান:
সবার আগে নিজের সম্পর্কে ভাল করে জানুন, নিম্নলিখিত প্রশ্নগলোর উত্তর ১০০% সততার সাথে দিন-
* আপনি কি সহজ-সরল?
* আপনি কি চট করে রেগে যান?
* আপনি কি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জোরে কাঁদেন বা হাসেন?
* আপনি কি সহজেই আহত বোধ করেন?
* আপনি কি নগদে আপনার প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন?
* আপনাকে কেউ মন্দ বলেছে শুনলে আপনিও তার সম্পর্কে মন্দ বলবেন?
* আপনি ব্যক্তিগত সাফল্য বা ব্যর্থতা অফিসে আলোচনা করেন?
উপরের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তরও যদি 'হ্যা' হয় বা ইয়েস করেন, অথবা যত বেশী সংখ্যক হ্যা্ করবেন, ততই আপনার ইমোশনাল ইন্টেলিজেণ্স বাড়ানোর বিষয়ে প্র্যাক্টিস করার প্রয়োজন হবে । সহজাত অনুভূতি নিয়ন্ত্রনের চর্চা করে আপনার মানসিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করুন। মেন্টাল মাসল্ বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন নীচের এক্সারসাইজগুলো মনোযোগ সহকারে দিনে দু’বেলা করে করুন অন্তত তিন মাস-
ওয়ার্ম-্আপ: মনে রাখুন এটি কাজের জায়গা, আপনার ব্যক্তিগত আবেগ বড় করে শ্বাস নিয়ে ভুলে যান,
এক্সারসাইজ-১: চট করে রেগে যাবেন না, রাগের কথা হলেও না- মনে মনে দুটো পুশ-আপ দিন
এক্সারসাইজ-২: দু:খ পেলে বূঝতে দেবেন না, সামনে যিনি আছেন তাকে আপনার দু:খে সুখী হবার সুযোগ দেবার কি দরকার
এক্সারসাইজ-৩: আনন্দ বা উল্লাসের বহি;প্রকাশ ঘটাবেন না, দরকার হলে ১০ টি এয়ার সিট-আপ করুন ; আপনার সুখে সবাই সুখী ব্যাপারটা এমন নয়
এক্সারসাইজ-৪: হতাশা প্রকাশ করবেন না, তাহলে সেটা সংবাদবাহকের জন্য ইদের আনন্দ নিয়ে আসতে পারে, সমস্যা হলে দুটো এয়ার-স্কোয়াট করুন
মোদ্দা কথা, অপর পক্ষের কথা ও আবেগকে ভাল করে বুঝুন। আবেগ প্রকাশের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকুন, কথা কম বলার চেষ্টা করুন, বেশী শুনবেন; এর মাধ্যমে নিজ মর্যাদা বজায় রেখে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করতে পারবেন, দ্বন্দ্ব এড়িয়ে সহকর্মীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে ই.কিউ এর ফর্মূলা আছে, সেটা হলো: E.Q. = w X I.Q.
ইমোশনাল কোশিয়েন্ট = উইজডম * ইন্টেলিজেন্স কোশিয়েন্ট
এই সম্পর্কের মধ্যে 'w' একজন ব্যক্তির অন্যকে বোঝার জ্ঞান বা ক্ষমতা নির্দেশ করে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ই.কিউ হলো ব্যক্তির জ্ঞানের সাথে আই.কিউ মাল্টিপ্লিকেশন, অর্থাৎ, আপনার আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে হলে অন্যকে বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে হবে । যেহেতু আইকিউ এখানে সহজাত অনুভূতি হিসাবে ধ্রুবক ।
এর আরো কিছু সূত্র আছে যেগুলো নীচে দেওয়া হল, পাঠকের আগ্রহ সাপেক্ষে লেখার চেষ্টা করতে পারি । এর মধ্যে ৪ নং সূত্র হলো গোলম্যানের EQ ফরমূলাটি বেশ কাজের বলে মনে হচ্ছে, যার পাঁচটি মূল উপাদান হচ্ছে: সমানুভূতি, সামাজিক দক্ষতা, আত্ম-সচেতনতা, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং মোটিভেশন। এর বেশীরভাগই নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিজেই এগিয়ে যেতে পারবেন । তাছাড়া, বর্তমানে অসংখ্য দেশী-বিদেশী অনলাইন, অফলাইন বক্তা, ট্রেইনার, ওয়েবিনার তো আছেই । সূতরাং, ই.কিউ বাড়িয়ে দক্ষ হলে আপনি অফিস রাজনীতিতে ভাল করবেন নিশ্চিত করে বলা যায়।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর কতিপয় সূত্র:
১) ওং-এর ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স স্কেল (WEIS)
২) মানসিক এবং সামাজিক সক্ষমতা তালিকা (ESCI)
৩) Mayer-Salovey-Caruso ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স টেস্ট (MSCEIT)
৪) ইমোশনাল কোশেন্ট ইনভেন্টরি 2.0 (EQ-i-2.0)
৫) দ্য ট্রেইট ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রশ্নমালা (TEIQue)
২. নিজের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন:
প্রতিদিন একটু করে আপনার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগ এবং লেভেলের সহকর্মীদের সাথে কাজের সুবাদে নেটওয়ার্ক তৈরী করুন । সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা করুন। দেখা হলে সৌজন্য-সূচক কুশল বিনিময় করুন, কাউকে এড়িয়ে যাবেন না, এগিয়ে আসুন, সামান্য হলেও কথা বলুন, সালাম দিন, হাত মিলান । এটা প্রতিদিন করুন, এটা আপনাকে দরকারে সাহায্য করবে এবং আপনি ভিতরের অনেক খবর খুচরো আলাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন । ফলে তথ্যের শক্তিতে আপনি এগিয়ে থাকবেন ।
নেটওয়ার্কিংয়ের ফর্মূলা দিয়েছেন মেটকাফ, তার সূত্রমতে, একটি নেটওয়ার্কের মান = ব্যবহারকারীর সংখ্যা (n^2) এর বর্গের সমানুপাতিক। সুতরাং, যদি আপনার অ্যাসোসিয়েশনে ১০ জন সদস্য থাকে, তাহলে নেটওয়ার্ক যে মান প্রদান করে তা হল: ১০^২ = ১০০ ৷
এখানে অথবা বিবিধ সূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তির সাথে দৈনিক কথা-বার্তায় ঢোকাবেন না । কেননা, দেখা যায়, ৭২% মানুষ নেটওয়ার্কিং শব্দটি পছন্দ করেন না। তারা মনে করে নেটওয়ার্কিং মানে সময় নষ্ট, এটা অদরকারী, এটা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সেলসম্যানরা করে থাকে । সূতরাং, যে কোন প্রফেশনাল টার্ম দৈনিক আলাপচারিতায় না ঢোকানোই ভাল - তাহলে লোকে আপনাকে আতেঁল মনে করতে পারে ।
আপনার নেটওয়ার্কিং দক্ষতা কি করে বাড়াবেন? এরও ফর্মূলা আছে, যাকে বলে ইমপ্যাক্ট ফর্মুলা: R=P+P ( রেজাল্ট= পার্সন + প্রসিডিউর ); ফলাফল = মানুষ + পদ্ধতি । এই সূত্র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার একটি রেসিপি। নিশ্চিত করুন যে আপনি এবং যার সাথে যখন কাজ করছেন উনি; আপনারা উভয়েই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট ফলাফলের জন্য কাজ করছেন- এভাবে দুইয়েরই লক্ষ্য অর্জন হবে এবং আপনার শক্তি পূন:পৌনিক বাড়তে থাকবে ।
৩. নিরপেক্ষ হোন এবং ইতিবাচক থাকুন:
গসিপ-এ অংশ নেবেন না, অনাহেতু পক্ষপাতিত্ব বা পক্ষ নেওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার সমস্ত মনোযোগ আপনার কাজের উপর নিয়ে আসুন, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে এবং আপনার সহকর্মীদের উন্নীত করার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারনা চালাতে থাকুন। ব্যক্তির আচরন বোঝার মধ্য দিয়ে পক্ষপাতহীন ও নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে পারবেন । নিরপেক্ষ হলে এবং অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব এড়াতে পারলে অফিসে আপনার ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে ।
এ’প্রসংগে ব্যক্তির আচরনের সূত্রটি আছে, সেটি হলো- B = f (P,E); এখানে, B=আচরণ, f=ফাংশন, P=ব্যক্তি, E=পরিবেশ
১৯৩৬ সালে, মনোবিজ্ঞানী কার্ট লিউইন এই সমীকরণ লিখেছিলেন যা অভ্যাস এবং মানুষের আচরণ সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। সহজ ভাষায়, সমীকরণটি বলে – ব্যক্তির আচরণ হচ্ছে বিদ্যমান পরিবেশে ব্যক্তির ভূমিকা ।
লুইনের সমীকরণটি বিখ্যাত হওয়ার আগে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করতেন যে একজন ব্যক্তির অভ্যাস এবং কাজ নির্ভর করে সে কোন টাইপের লোক ছিল, সে সময়ে তারা যে পরিবেশে ছিল তা বিবেচ্য নয়।
এখানে, P ব্যক্তি — ব্যক্তির পুরো অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের প্রত্যাশা, ব্যক্তিত্ব, ক্ষমতা, প্রেরণা, আকাঙ্ক্ষা সহ ; সবকিছু একত্রে ব্যক্তিকে বুঝায় । E পরিবেশ— যে কোনও আচরণের সময় ব্যক্তির পরিবেশের সমস্ত দিক এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তির শারীরিক পরিবেশ, সামাজিক পরিবেশ এবং পটভুমি।
৪. রেজাল্ট-ওরিয়েন্টেড হন :
লাগাতার উচুমানের কাজ করে দেখান এবং বাস্তব ফলাফল অর্জনের উপর ফোকাস করুন। এটি একজন দক্ষ লোক হিসাবে আপনার খ্যাতি বাড়াবে, আপনি স্বীকৃতি পাবেন এবং সবাই আপনাকে ভরসা করতে শুরু করবে।
ফলাফলের সূত্র হল S + A + M = ফলাফল। S এর অর্থ হল সিস্টেম, যার অর্থ প্রক্রিয়া বা কাজের পদ্ধতি, A হল একাউন্ট্যাবিলিটি বা জবাবদিহিতা, M মানে মোটিভেশন বা প্রেরণা। এর অর্থ হচ্ছে যদি ব্যাক ক্যালকুলেশন করেন তাহলে দেখবেন "ফলাফল" হল সেই লক্ষ্য যা আপনি এই মুহূর্তে অর্জন করতে চান। গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে, একবারে শুধুমাত্র একটি লক্ষ্যে ফোকাস করুন।
হ্যাঁ, এটাই সহজ উপায়। আপনি প্রতিষ্ঠানের পদ্ধতি মেনে, আপনার জবাবদিহিতার ধরন মাথায় রেখে মোটিভেশন অনুযায়ী কাজ করুন, তাহলে প্রতিবারে ভাল ফলাফল পাবেন । আপনি চাকুরীতে যা চান তা ধারাবাহিকভাবে পাওয়ার উপায় হিসাবে উপরের সূত্রটি লক্ষ লক্ষ বার প্রমাণিত হয়েছে।
আপাতত, এই-ই হচ্ছে একাডেমিক উপায়ে অফিস রাজনীতির সাথে খাপ খাইয়ে চলা, মোকাবেলা করা বা রাজনীতির প্রবাহে যোগদান করে নিজের এবং কোম্পানীর সাফল্য অর্জন করার ব্যবস্থাপনার ধারনাপত্র ।
আলোচনার ২য় অংশে রয়েছে কি করে প্রচলিত এবং স্থানীয় বাংলা পদ্ধতি ও টোটকা-তদবীর কাজে লাগিয়ে সফল হবেন ।
২য় অংশ ঘটনাক্রমে আগেই প্রকাশিত হয়েছে ...
©somewhere in net ltd.