নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোশাক কারখানার মেধা-শ্রমিক । মেহনতী মানুষের জয় হোক । পড়তে ভাল লাগে, মূলত এই জন্যেই ব্লগে আসা-যাওয়া করি ।

কালমানব

বস্ত্র কারখানার পেশাজীবি

কালমানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্ষিক কর্মী মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি: ডোন্ট বিট এ ডেড হর্স ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭


ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একটি বড় অভিযোগ, এই যে আমরা ফি বছর পারফরমেন্স এপ্রাইজাল করি, বেতন বাড়াই; কিন্ত্র সেই হারাহারি কোন ফলাফল আমরা কোম্পানীর রেভিনিউ, পিএল এসবের মধ্যে কোন প্রতিফলন দৃশ্যত পাই না । আরো একটা কর্তৃপক্ষীয় হতাশার কারন হলো নিয়মিত বার্ষিক মূল্যায়নের পরও টার্গেট রিটেনশন করতে না পারা । এই দুই ক্ষেত্রেই দায়ভার চলে আসে প্রধানত মানব-সম্পদ বিভাগের ঘাড়ে । এই বিষয়ের উপর আমি ‘এক্স’ কোম্পানীর পারফর্ম্যান্স ম্যানেজমন্টে সিস্টেমের ফিডব্যাক নিলে, তার পরিসংখ্যান হয এমন-

• ৯৫% কর্মী বার্ষিক মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট
• ৯০% মনে করে মূল্যায়নের ভিত্তি হচ্ছে আবেগ এবং মানসিক চাপ
• ৮০% তরুণ কর্মী বিলম্বিত বার্ষিক আনুষ্ঠানিক রিভিউয়ের পরিবর্তে অবিলম্বে ‍মূল্যায়ন চায়
• ৫১% কর্মচারী মনে করেন যে বার্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ভুল
• মাত্র ৫% কর্মী বার্ষিক মূল্যায়নকে সন্তোষজনক মনে করেন

এই বিপর্যয়কারী প্রতিক্রিয়ার কারন হিসাবে উত্তরদাতাদের বক্তব্যের সারাংশ হল-
• ১২-মাস পর বার্ষিক মূল্যায়নে বড় সমস্যা হল বছরের শুরুর দিকের অসামান্য অর্জনগুলি সময়ের ব্যবধানে শেষভাগে যখন রিভিউ চলে তখন স্মৃতির আঙ্গিনায় ফিকে হয়ে যায় । তখন সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ইভেন্টের উপরে মনোযোগ দিয়ে অনেক সময় দুর্বল প্রার্থী ভাল ফল করে ।
• তরুন এবং প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীরা বারমাস পর মূল্যায়ন ব্যবস্থায় আগ্রহ বোধ করে না, তারা চায় কাজের বিনিময়ে নগদে ফলাফল ।
• শেষের ৬ মাস এর মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি বার্ষিক রিভিউতে প্রাধান্য বেশী পেয়ে থাকে, এমনকি কোন কোন বিষয় অপ্রাসঙ্গিক হয়েও প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টর হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে।
• রিভিউয়ারের ব্যক্তিক আবেগ এবং তার উপর চাপের কারনে মূল্যায়নে প্রকৃত ফলাফল আসে না, ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দ-অপছন্দের কারনে মূল্যায়ন একপেশে, বৈষম্যমূলক হয় ।
• বছর শেষে একটি একক রিপোর্ট সমস্ত দিক পর্যাপ্তভাবে ক্যাপচার এবং কভার করতে পারে না । ফলস্বরূপ, এই বার্ষিক রিভিউগুলি ভুল, পক্ষপাতদুষ্ট এবং কর্মীদের কর্মস্পৃহা অবনমনকারী হয়ে থাকে ।

ফিডব্যাক নিলে কম-বেশী একই চিত্র পাবেন যারা বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি, প্রশিক্ষন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন । দেখা যাচ্ছে এটি মোটেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নয় কোন ক্ষেত্রেই, সম্পূর্ন ব্যর্থ-ই বলা যায়; শুধুমাত্র করপোরেট অভ্যাসের বশে বছরের পর বছর এটা আমরা করে চলেছি- যার বাস্তবিক অর্থমূল্য হতাশাজনক ।
এই যদি হয় বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির অবস্থা, তাহলে আমরা কি এই ভ্রান্ত ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলতে থাকব নাকি পরিবর্তন আনব ? বৈশ্বিক দ্রুত বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এই কর্পোরেট মৃত অশ্ব এখন উল্টোরথে প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চেপে বসে আছে, এর বিকল্প কি যানবাহন আছে এবং সেটা কতটুকু কার্যকরী সেটা আলোচ্য পরবর্তী লেখায়....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মূল্যায়ন পেতে হলে দালালি করতে হয় চাটুকারিতা করতে হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে।
সত্যিকারের দক্ষ ও পরিশ্রমী লোকেরা মূল্যায়ন পায় না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

কালমানব বলেছেন: দালালী-তোষামোদীর একটা পার্সেন্টেজ তো থাকেই, এটা ঠিকই বলেছেন । সেই সাথে পদ্ধতিগত ব্যর্থতাও প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর, যেহেতু চ্যালেঞ্জটা এখন পুরোপুরিই বৈশ্বিক; সেখানে সঠিক ব্যক্তির মূল্যায়ন না হওয়া মানে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী দেশের বা প্রতিষ্ঠানের নিকট ব্যবসা হারানো । এইসব অকার্যকর পদ্ধতি সরিয়ে দিয়ে তাই সঠিক স্মার্ট সিস্টেম চালু করা দরকার ।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্ত্যব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
আজকাল অনেকেই আমার মন্তব্যের উত্তর দেন না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

কালমানব বলেছেন: স্যাড । আর আমার লেখাও তো আপনি ছাড়া আর খুব বেশী লোকে পড়ছে না, মন্তব্যের অবস্থা তো আরো করুণ দশা; আপনিই একমাত্তর সবেধন নীলমনি মন্তব্যকারী আমার এই লেখায়, জবাব না দিয়ে একমাত্র হিতাকাংখী পাঠক হারাতে চাই না। টপিক সরেস না হলে পাবলিক খায় না, কি বলেন- অন্যকিছু ট্রাই করব কি না ভাবছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.