নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বস্ত্র কারখানার পেশাজীবি
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একটি বড় অভিযোগ, এই যে আমরা ফি বছর পারফরমেন্স এপ্রাইজাল করি, বেতন বাড়াই; কিন্ত্র সেই হারাহারি কোন ফলাফল আমরা কোম্পানীর রেভিনিউ, পিএল এসবের মধ্যে কোন প্রতিফলন দৃশ্যত পাই না । আরো একটা কর্তৃপক্ষীয় হতাশার কারন হলো নিয়মিত বার্ষিক মূল্যায়নের পরও টার্গেট রিটেনশন করতে না পারা । এই দুই ক্ষেত্রেই দায়ভার চলে আসে প্রধানত মানব-সম্পদ বিভাগের ঘাড়ে । এই বিষয়ের উপর আমি ‘এক্স’ কোম্পানীর পারফর্ম্যান্স ম্যানেজমন্টে সিস্টেমের ফিডব্যাক নিলে, তার পরিসংখ্যান হয এমন-
• ৯৫% কর্মী বার্ষিক মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট
• ৯০% মনে করে মূল্যায়নের ভিত্তি হচ্ছে আবেগ এবং মানসিক চাপ
• ৮০% তরুণ কর্মী বিলম্বিত বার্ষিক আনুষ্ঠানিক রিভিউয়ের পরিবর্তে অবিলম্বে মূল্যায়ন চায়
• ৫১% কর্মচারী মনে করেন যে বার্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ভুল
• মাত্র ৫% কর্মী বার্ষিক মূল্যায়নকে সন্তোষজনক মনে করেন
এই বিপর্যয়কারী প্রতিক্রিয়ার কারন হিসাবে উত্তরদাতাদের বক্তব্যের সারাংশ হল-
• ১২-মাস পর বার্ষিক মূল্যায়নে বড় সমস্যা হল বছরের শুরুর দিকের অসামান্য অর্জনগুলি সময়ের ব্যবধানে শেষভাগে যখন রিভিউ চলে তখন স্মৃতির আঙ্গিনায় ফিকে হয়ে যায় । তখন সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ইভেন্টের উপরে মনোযোগ দিয়ে অনেক সময় দুর্বল প্রার্থী ভাল ফল করে ।
• তরুন এবং প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীরা বারমাস পর মূল্যায়ন ব্যবস্থায় আগ্রহ বোধ করে না, তারা চায় কাজের বিনিময়ে নগদে ফলাফল ।
• শেষের ৬ মাস এর মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি বার্ষিক রিভিউতে প্রাধান্য বেশী পেয়ে থাকে, এমনকি কোন কোন বিষয় অপ্রাসঙ্গিক হয়েও প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টর হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে।
• রিভিউয়ারের ব্যক্তিক আবেগ এবং তার উপর চাপের কারনে মূল্যায়নে প্রকৃত ফলাফল আসে না, ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দ-অপছন্দের কারনে মূল্যায়ন একপেশে, বৈষম্যমূলক হয় ।
• বছর শেষে একটি একক রিপোর্ট সমস্ত দিক পর্যাপ্তভাবে ক্যাপচার এবং কভার করতে পারে না । ফলস্বরূপ, এই বার্ষিক রিভিউগুলি ভুল, পক্ষপাতদুষ্ট এবং কর্মীদের কর্মস্পৃহা অবনমনকারী হয়ে থাকে ।
ফিডব্যাক নিলে কম-বেশী একই চিত্র পাবেন যারা বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি, প্রশিক্ষন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন । দেখা যাচ্ছে এটি মোটেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নয় কোন ক্ষেত্রেই, সম্পূর্ন ব্যর্থ-ই বলা যায়; শুধুমাত্র করপোরেট অভ্যাসের বশে বছরের পর বছর এটা আমরা করে চলেছি- যার বাস্তবিক অর্থমূল্য হতাশাজনক ।
এই যদি হয় বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির অবস্থা, তাহলে আমরা কি এই ভ্রান্ত ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলতে থাকব নাকি পরিবর্তন আনব ? বৈশ্বিক দ্রুত বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এই কর্পোরেট মৃত অশ্ব এখন উল্টোরথে প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চেপে বসে আছে, এর বিকল্প কি যানবাহন আছে এবং সেটা কতটুকু কার্যকরী সেটা আলোচ্য পরবর্তী লেখায়....
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
কালমানব বলেছেন: দালালী-তোষামোদীর একটা পার্সেন্টেজ তো থাকেই, এটা ঠিকই বলেছেন । সেই সাথে পদ্ধতিগত ব্যর্থতাও প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর, যেহেতু চ্যালেঞ্জটা এখন পুরোপুরিই বৈশ্বিক; সেখানে সঠিক ব্যক্তির মূল্যায়ন না হওয়া মানে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী দেশের বা প্রতিষ্ঠানের নিকট ব্যবসা হারানো । এইসব অকার্যকর পদ্ধতি সরিয়ে দিয়ে তাই সঠিক স্মার্ট সিস্টেম চালু করা দরকার ।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্ত্যব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
আজকাল অনেকেই আমার মন্তব্যের উত্তর দেন না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
কালমানব বলেছেন: স্যাড । আর আমার লেখাও তো আপনি ছাড়া আর খুব বেশী লোকে পড়ছে না, মন্তব্যের অবস্থা তো আরো করুণ দশা; আপনিই একমাত্তর সবেধন নীলমনি মন্তব্যকারী আমার এই লেখায়, জবাব না দিয়ে একমাত্র হিতাকাংখী পাঠক হারাতে চাই না। টপিক সরেস না হলে পাবলিক খায় না, কি বলেন- অন্যকিছু ট্রাই করব কি না ভাবছি ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মূল্যায়ন পেতে হলে দালালি করতে হয় চাটুকারিতা করতে হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে।
সত্যিকারের দক্ষ ও পরিশ্রমী লোকেরা মূল্যায়ন পায় না।