নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ খেয়া

শেষ খেয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে তনুর হত্যাকারীদের নাম বলে দিলেন তনুর মা

২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫২



আমি আছি আমি থাকবো>>>>যত দিন প্রান আছে দেহে রক্ত টকবগো। স্বাধীন বাংলায় দেখবোনা এগুলো
কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি অনুষ্ঠানে গান করার কথা ছিল সোহাগী জাহান তনুর। ওই অনুষ্ঠানে না গিয়ে সিলেট চলে যান তিনি। আর এ কারণেই তনুকে হত্যা করা হয়। আর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেনাসদস্যরাই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মা আনোয়ারা বেগম গত শনিবার সিআইডি কার্যালয়ে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় এ দাবি করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মা আনোয়ারা বেগম।

আজ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কুমিল্লা অঞ্চলের কার্যালয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত দল তনুর পরিবারের চার সদস্যসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সিআইডি কার্যালয়ে প্রবেশের আগে তনুর মা আনোয়ারা বেগম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সার্জেন্ট জাহিদ ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করলে সব রহস্য উন্মোচিত হবে বলে দাবি করেন তিনি। তনু জাহিদের সন্তানদের প্রাইভেট পড়াত বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘তনুকে সেনাবাহিনী লোকেরা মেরেছে। সেনাকল্যাণে অনুষ্ঠান করবে না বলে জানায় তনু। বৃহস্পতিবার রাতে গান করার কথা ছিল, বৃহস্পতিবার চলে যায় সিলেট। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে আসে। রোববার ৭টায় তো মেরেই ফেলল। রাস্তা দুই থেকে তিন ঘণ্টা বন্ধ করে রাখা হয়। কেন? আমার মেয়েকে মেরে লাশ ফেলা হয় জঙ্গলে। সার্জেন্ট জাহিদ আর জাহিদের স্ত্রী জানে। জিওসি কমান্ডার আর আর্মি ইউনিটের সবাই জানে মারার কথা। আর্মির লোক মেরেছে আবার নাম বললে ধমকায় কেন? আমি কমান্ডারকে বলতে পারি, আপনার লোকে মেরেছে, আপনিও জানেন।’

আনোয়ারা বলেন, ‘আমার মেয়ের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। শরীরের প্রতিটা অঙ্গে মারধর করা হয়েছে।’

এ সময় আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে ছিলেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু ও ভাই আনোয়ার।

তনুর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, সেনা ইউনিটের অনুষ্ঠানে গান না করায় তনুকে হত্যা করা হয়। গত ২০ মার্চ সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় তাঁর শিশুদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য যায় তনু। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে রাত ১০টায় সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তনুর বাসার কিছু দূরে কালভার্টের সামনে তনুর লাশ পাওয়া যায়। জড়িতদের আটক না করে বারবার তনুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।

তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। তনু হত্যার ৫০ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: তনুর বাবাও একই কথা জোরের সাথে ইতোপূর্বে বলেছেন। মজার বিষয় হলো চেতনার সরকার এবং সেনাবাহিনীসহ ওরা সবাইএখন চুপ। সাত খুনের নজরুলের শ্বশুর এমন জোরালো বক্তব্য দেওয়ার পর তবু একজন বিচারপতির বিবেক নড়েছিল। দেখাযাক আর কোনো বিচারপতি অবশিষ্ট আছে কিনা।

২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

শেষ খেয়া বলেছেন: আমরা ও সেই অপেক্ষায় আছি.....বিচার প্রতি তো একজন আছে বিচার তো পাবো

২| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: প্রতিবাদ করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে আশা ভংগ হয়ে পড়ি বা নতুন কোন ঘটনায় তনুদের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। এভাবেই হাজারো তনু আমাদের থেকে হারিয়ে যায়। গতানুগতিকভাবে তনু আমাদের থেকে হারিয়ে যাক সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।

২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

শেষ খেয়া বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে আমরা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাই,আমাদের চোখের চল ও শুকিয়ে যায়।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সে হয়তো কোন সেনা কর্মকর্তার কুপ্রস্তাবে বা কুমন্তব্যে কঠিন প্রত্যাক্ষান, মন্তব্য বা গালি দিয়েছিল, বা কিছু একটা হয়েছিল। যার কারনে মাথায় খুন চেপে গেছিল খুনির।
কঠিন একটা তদন্ত দরকার ছিল।
কিন্তু ওদের কালো হাত অনেক লম্বা, তনুর ময়নাতদন্ত আংশিক করে দ্রুত মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল।
এখনো ময়নাতদন্তকারি দুটি সংস্থার একটির উপর কালো হাতের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এখন এরা একে অপরকে সহযোগিতা করছে না। রিপোর্ট ডিলে হচ্ছে, অবিশ্বাস বাড়ছে।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

নতুন বলেছেন: সেনাবাহিনি যদি এই খুনিকে রক্ষার জন্য কাজ করে তবে সেটা হবে সমগ্র জাতির জন্য ভয়ের এবং লজ্জার....

প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানরা কেন এখনো এই ব্যপারে হস্থক্ষেপ করছেন না।

কিছু বিষয় আছে যেখানে দৃস্টান্তমুলক সাজার নজির তৌরি করতে হয় এবং তাতে প্রধানমন্ত্রীর নাম আরো বাড়বে এবং জনগনের আস্থা বাড়বে... ।

সেই বিষয়টা মাথায় রেখেও প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত ছিলো। নইলে এটাও হাসিনার একটা ভুল কাজ হবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

শেষ খেয়া বলেছেন: মানুষ বলে ডাকলে নাকি খোদা কে ..পাওয়া যায় .....কিন্তু ডাকতে তো হবে.।সো যদি সঠিক তদন্ত হতো তনু বিচার পেত

৫| ২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সবাই চুপ কেন? এই নরপশুদের বিচার আর শাস্তির জন্য আর কতদিন অপেক্ষা? জাগো বাঙ্গালি জাগো।

২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

শেষ খেয়া বলেছেন: কেউ জাগবে না। মাা বাব ই কাদবে সারা জীবন

৬| ২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

মোস্তফা ভাই বলেছেন: বাংলাদেশী সেনাবাহিনী গঠন করা হয়েছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর স্টাইলে, এদের বিচার করার ক্ষমতা কারো নাই।

২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

শেষ খেয়া বলেছেন: আপনি আপনার ক্ষমতার দাপটে সবাইকে পিশে ফেলতে পারেন না । কেউ না কেউ ওঠে দাড়াবে আর প্রতিবাদের আগুনে পুড়ে সব ছাড়খার করে দেবে।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

শেষ খেয়া বলেছেন: ওরা কুকুড় এর চেয়ে খারাপ, যারা একটু খানি যৌন তৃপ্তি মেটানোর জন্য কারো জীবন কেড়ে নিতে পারে। তারা আমার মতে মানুষ তো হতে পারে না। আরে বনের পশু মানুষ খায় তা তো যখন আর ক্ষুধার জ্বালা সইতে পারে না। আবেনঠিকর সাধারনত একটু নিজের চাহিদা রাগ মেটানোর জন্য এমন কাজ। নর পশু ই করে। ঠিক তাদের ছেলে বা মেয়ের সাথে ঠিক তা ই ঘটবে।
কুকুর মারতে মগুর লাগে ।তারা ও মরবে সেদিস কাউকে পাশে পাবে না। যেটা পিলখানায় হয়ে গেছে।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

মুসাফির নামা বলেছেন: এত কিছু স্পষ্ট করে বলার পরও অগ্রগতি কই? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।

সেনাবাহিনীকে বিষপোঁড়া হিসাবে দেখতে চাইনা।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

কামাল - বলেছেন: আমরা ও সেই অপেক্ষায় আছি.....বিচার প্রতি তো একজন আছে বিচার তো পাবো

১০| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

শেষ খেয়া বলেছেন: বিচার প্রিতি হে বিধাতা বিচার পাবো কবে। কোন অপরাধী আজ ও ভালভাবে বেঁচে থাকবে পারে নি পারবে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.