![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় অগ্নিকন্যা “মমতা”
এই চিঠি তোমায় লিখছি এক মরুভুমির গোপন ডেরায় বসে। এখানে পোস্ট অফিস, পোস্ট বক্স, কুরিয়ার কিছুই নেই। স্রেফ আকাশে ভেসে বেড়ানো বিরল এক খানি মেঘ কে ভরসা করেই চিঠি পাঠালাম পটুয়া পাড়ায়।
তুমি তো জানো, যেদিন তুমি ডাক দিয়েছিলে “বুদ্ধু হটাও” , সেদিন থেকেই তোমার জন্যে আমি দিওয়ানা। সে বামিয়ানের বুদ্ধুই হোক আর বাম ইন্ডিয়ার, সব রকম “বুদ্ধু হটাও” কর্মসূচীতে আমার মোরাল সাপোর্ট আছে। তা ছাড়া, আমার সাথে তোমার বরাবরই অনেক মিল। ধর্মের তলায় তোমার জঙ্গিপনে-ধর্মের তলায় তোমার। আমি জিহাদী-তুমি জেদী। আমাকে জালাচ্ছে যুদ্ধবিমান। তোমাকে জালাচ্ছে বুদ্ধবিমান। অথচ আজ তুম কাহা, অর হাম কাহা। আমি পচে মরছি মরুদ্যানে আর তুমি বিন্দাস আছো বুদ্ধের স্বরচীত উদ্যানে।
হে হ্রিদয়হীনা, কেউ না জানুক, তুমি তো জানো, তোমার জন্যেই আজ আমার এ হাল। সেই যে, সেবার, তুমি যখন ইলেকশনের শেষে, দু আঙ্গুল ফাক করে “ভি” দেখালে, আমি ভেবেছি তুমি হয়তো সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে “টুইন টাওয়ার” দেখাচ্ছ। প্রেম অন্ধ হলে যা হয়। দিলাম মালটা কে ছেড়ে। সেই থেকে তাড়া খেয়ে মরছি। লাইফ হেল হয়ে গেলো। অথচ সেই তুমি আজ ফিরে তাকালে না। এতো নিষ্ঠুর মানুষ হতে পারে!
তবুও এই চিঠি লিখছি, কেনো জানো, কেনো না শুনেছি তোমার দুয়ার থেকে কেউ খালি হাতে ফেরে না একবার তো মাসিমা “মালপোয়া খাবো” আবদার করতে না করতেই এক প্রধানমন্ত্রী কে ঘরে বসিয়ে মালপোয়া খাইয়ে ছাড়লেন তোমার মা। আমি তোমার কাছে মালপোয়া খেতে চাই নে, ফাকতালে রাজ্যসভায় যেতেও নয়, এতো দিন তো অনেক “বান্তলা চলো” “ধান্তলা চলো” “চমকাইতলা চলো” করলে, এবার “ছাদনাতলা চলো” কর্মসূচী পালন করো আমাকে সঙ্গে নিয়ে। ব্যাস, এইটুকুই আমার চাহিদা। এতে লাভ তোমারো, আমারো। তামাম বাংলার মুসলিম ভোট তোমার শান্তিনিকেতনী ঝোলাতে এসে ঢুকবে। আর আমার দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে মমতাহীন বলার সুযোগ পাবে না। আজ এইটুকুই। লক্ষী হয়েই থেকো।
ইতি অগ্নিপুরুষ “লাদেন”
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: