নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিচের লিখাটা গত বছর লিখেছিলাম এবং জানতাম যে এই দিন আসবেই এবং আমি আবার লিখব যখন প্রথম মানব জন্ম নিবে যার প্রানের কিছু অংশ ল্যাবে ডিজাইন করা হবে.. গতকাল চাইনীজ বিজ্ঞানী ঘোষনা দিলেন যে প্রথম শিশু (যমজ) জন্ম গ্রহন করেছে যার ডিএনএ ল্যাবে 'এডিট' করা হয়েছে ক্রিসপার টেকনোলজি দিয়ে যাতে বাচ্চার AIDS রোগ না হয় (বাবা HIV positive)। পুরা পৃথিবীর জীববিজ্ঞানীরা চমকে উঠেছে এবং চাইনীজ বিজ্ঞানীর বিরূদ্ধে নৈতিকতার স্হলন বলে তাকে অভিসম্পাত দিচ্ছেন কিন্তু মনে মনে সবাই 'খুশী' কেননা মানব শিশুর উপর এক্সপিরিমেন্ট নিয়ে একটা অলিখিত নিষেদ্বজ্ঞা আছে। এই বিজ্ঞানী সেটা ভংগ করেছেন কিন্তু সবাই জানে যে Genie is out of bottle... You cannot put it back । ডিনামাইট দিয়ে মানুষ যেমন মারা যায়, তা দিয়ে মাইন থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ ও আহরোন করা যায়। এই টেকনলজি কিভাবে ইউজ হবে সেটার উপর ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
একজন যখন করেই ফেলেছেন তখন আস্তে আস্তে সবাই আরম্ভ করবে।
CRISPR BABY IN CHINA
প্রানের বিকাশ থেকে এটাই চিরন্তন যে বাচ্চা তৈরি হবে বাবা এবং মা থেকে ৫০%/৫০% জিন (gene- made of DNA) নিয়ে। বাচ্চার শরীরের সব কোষে যত ডিএনএ আছে (যার দ্বারা তার চারিত্রিক বৈশিস্ট্য গুলি ফুটে উঠে), তার অর্ধেকটা আসে বাবা থেকে আর অর্ধেক টা আসে মায়ের কাছ থেকে। এটাই চিরন্তন, এটাই শ্বাশত।
যদি বাবা অথবা মায়ের কোন জন্মগত রোগ থাকে, সেটা সহজেই বাচ্চার মধ্যে যাবে। কিন্তু ভ্রুন তৈরী হওয়ার পর যদি সেই জন্মগত রোগ এর বাহক (ডিএনএ মিউটেশন) কে এডিট করে নরমাল করে দেওয়া যায়, তাহলে সেই শিশু তৈরী হবে যার DNA হবে তার বাবা মায়ের থেকে কিছুটা ভিন্ন এবং সেই বাচ্চা যখন বড় হবে, বিয়ে করবে, তার প্রজন্ম পাবে এই 'নতুন সংশোধিত' ডিএনএ। এটা প্রকৃতি কখন ই চায় নাই। যদি বাচ্চার ডিএনএ বাবা মায়ের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যাতয় হয়...
এখানে তো রোগের কথা বলা হল। এখন যদি কেউ চায় তাদের ছেলে মেয়ে তাদের চেয়ে লম্বা হোক, বুদ্ধিমান হোক, খেলা-ধুলায় চৌকশ হোক, তাহলে তো ভ্রুন কে এডিট করে এসব করাও আরম্ভ হবে (ডিজাইনার বেবী)। এটা তো মনে হয় অর্ডার দিয়ে বাচ্চা বানানো হয়ে যাবে।
এই কাজ টা সম্ভব হয়েছে যুগান্তকারী আবিস্কার: CRISPR Technology. আমি বিশ্বাস করি এই টেকনলজি এর আবিস্কারের ফলে, অনেক রোগ কে প্রতিরোধ অথবা ম্যানেজ (ডায়বেটিকেস এর মত) করা যাবে এবং মানব জাতি অনায়াসে ১২৫-১৩০ বছর বেচে থাকতে পারবে অদুর ভবিষ্যতে। পরে এক সময় এই টেকনোলজি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার আশা রাখি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
কলাবাগান১ বলেছেন: হয়ত কোন দেশ ৫০ বছরের মাঝে অনেক বেশী বুদ্ধিমান শিশু ল্যাবে তৈরী করার ডিজাইন করবে...
তবে সেটা যা বাংলাদেশ হবে না তা এই ব্লগের পালস দেখলেই বলা যায়।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ১২৫-১৩০ বছর প্ররযন্ত বেঁচে থাকতে চাই না।
পৃথিবী এত আরামের জায়গা না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
কলাবাগান১ বলেছেন: যদি বিজ্ঞান আপনাকে ১২৫-১৩০ বছর 'শক্ত' ভাবে পিঠ সোজা রেখে বাচতে দেয় (বেডে শুয়ে না), তাহলে তো কোন সমস্যা হবে হওয়ার কথা না
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অনেক আগে এইরকম কিছু লেখা পড়েছিলাম আজ মমে হচ্ছে বাস্তবতাবেই! যাক ভালই হলো ; যদি কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া না হয়!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কলাবাগান১ বলেছেন: পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে, নাকি হবে না, তা নিয়েই তো এত সমালোচনা।
তবে জমজ বাচ্চার একজনের সব কোষে দুই কপি জিনই এডিট হয়েছে কিন্তু আরেক জনের কিছু কোষে এডিট হয়েছে অন্য ভাবে ..যমজ দের সব কোষ সেইম হবে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নিলে ..এই ভিন্নতার জন্য কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীর দের মাঝে মতবিরোধ হচ্ছে
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ এগুলোকে বুঝার চেষ্টা করছে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যার মানুষ এখনও ঝাড়-ফুক বিশ্বাস করে
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাইন্স ফিকশান মুভি বাস্তব হয়ে যাচ্ছে...
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন:
Aldous Huxley ১৯৩১ সনে এই বইতে বলছিলেন যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাচ্চা (শ্রমিক, মালিক, যোদ্ধা..) মেশিনে বানানো হচ্ছে...।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: এমন একটা দিন আসলো হয়ত দেখা গেলো সবাই বাচ্চা ডিজাইন করে তৈরি করছে..
অলিম্পিক এ রান কিংবা অন্য প্রতিযোগিতায় সবাই প্রথম হচ্ছে , কেউ দ্বিতীয় হচ্ছে না .....
কেমন হবে জিনিস টা ভাবুন তো একবার....!!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: নেচার ইমব্যালান্সড
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
ফেইরি টেলার বলেছেন: বাচ্চাগুলো বড় ধরণের জিনেটিক ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকুক । হাজার হলেও মানুষের কাজ !
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: CCR5 জিনে মিউটেশন ঘটানো হয়েছে এইচআইভি থেকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু .এর ফলে যে আবার অন্য রোগে সাসসেপটিবল হবে না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সব ভালো জানেন
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ঝাড়-ফুকে বিশ্বাসীরা এখানেও ধর্ম কে টেনে আনে
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪
রাফা বলেছেন: এখনও সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখছে সবাই।মানুষের মস্তিস্কের বেশিরভাগ অংশই এখনও ব্যাবহার হ্য়নি।আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে মানব জাতির অনাগত ভবিষ্যতে।
ধন্যবাদ,কলাবাগান১।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে মানব জাতির অনাগত ভবিষ্যতে।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যদি বিজ্ঞান আপনাকে ১২৫-১৩০ বছর 'শক্ত' ভাবে পিঠ সোজা রেখে বাচতে দেয় (বেডে শুয়ে না), তাহলে তো কোন সমস্যা হবে হওয়ার কথা না
৭০ বছর পরই জীবন আর আণন্দময় থাকে না। আর ১২০ বা তার বেশি হলে জীবন একেবারে রসকস হয়ে যাবে।
বাস্তবে ফিরে আসুন। প্রকিতি কখনও এমনটা হতে দিবে না। নো নেভার।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: মানুষ যখন ৩০-৪০ বছর বাচত তখন তারাও আপনার মত এমন শিশুসুলুভ মনোভাব ব্যক্তয় করত
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১
নতুন বলেছেন: ভালো খবর...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: সন্দেহ নাই
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটি বছর আগে মানুষের আবির্ভাব হলেও মানুষ মেকানাইজ হওয়া শুরু করেছে মাত্র ৫০০ বছর হল।
মানুষ আরো লক্ষ বা কোটি বছর টিকে থাকবে হয়ত। টেকনোলজি কোন অসীম পর্যায়ে পৌছে সেটাই ভাবছি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২০
কলাবাগান১ বলেছেন: ক্রিসপার বেবীরা বড় হয়ে হয়ত মংগল গ্রহে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলবে আর তাতে তারা বসবাস ও করবে
১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন ৭০ বছর পরই জীবন আর আণন্দময় থাকে না। আর ১২০ বা তার বেশি হলে জীবন একেবারে রসকস হয়ে যাবে।
মানুষ আগে যখন ৩০-৪০ বছর বাচত, এখন ৮০ বছর পরও আরো কিছুদিন বাচার জন্য নিজের সর্বস্য ব্যায় করে সিংগাপুর যায়।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: বলা সহজ যে বেশী বছর বাচতে চাই না...সময় হলে এই রাজীব সাহেব কে ও দেখা যাবে ভারত/সিংগাপুরে দৌড়াচ্ছে
১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
নজসু বলেছেন:
দিন দিন পৃথিবীটা পাল্টে যাচ্ছে।
সব কিছুকে নিয়ন্ত্রিত করছে মানুষ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: মোক্ষম কথা "সব কিছুকে নিয়ন্ত্রিত করছে মানুষ।"
১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
পুলক ঢালী বলেছেন: আজকের পত্রিকায় দেখলাম জিন সম্পাদনা স্থগিত করা হয়েছে। এক সময় সতীদাহ প্রথা রদ হলে জাত গেল জাত গেল বলে রব উঠেছিলো। মানে নুতন কিছু গ্রহন করতে বা চালু করতে প্রাথমিক বাধাঁ আসেই সেরকম বাধাঁই মনে হচ্ছে।
তবে ভাবতে হবে আমরা এই প্রযুক্তি গ্রহন করার উপযুক্ত হয়েছি কিনা ? কারন এর ভালমন্দ উভয়দিকই রয়েছে।
এটমবোমা বানানো হবে নাকি পারমানবিক বিদ্যুৎ চুল্লী বানানো হবে তা মানুষের প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। ডিএনএ সম্পাদনা করে সুপারম্যান এবং ফ্র্যাঙ্কেষ্টাইন উভয়ই বানানো যাবে । প্রযুক্তির দোষ নেই কিন্তু আমরা মানুষেরা ভাল মন্দের মিশাল আর বিপদটা এখানেই।
ভাল থাকবেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: মানব শিশুর ভ্রুন নিয়েে গবেষনা আমেরিকা তে স্হগিত কিন্তু অন্য দেশে বিশেষ বিবেচনায় রিসার্চ করা যাবে
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম