নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈশ্বরের মুখোশ
জাহিদ হোসেন
এই বইটা আপনাকে ভোগাবে৷ পড়া শেষ করার পর মাথা থেকে দূর হয়ে যাবেনা৷ একটু পর পর একেকটা প্যাচ আর ঘটনার পরম্পরা মনে পড়বে আর আপনাকে ব্যাপক পেইন দিবে৷ বই পড়া শেষ, ব্যাস কিসসা খতম, এই বান্দা এই বই নয়৷
চরিত্রগুলা একটু পর পর হানা দিবে আপনার মনে আর আপনাকে বাধ্য করবে তাদেরকে সময় দিতে৷ আপনি তাদের কারো জন্য কষ্ট পাবেন, কারো জন্য আফসোস করবেন, কাউকে ঘৃণা করবেন৷ গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনে মনে রিভিউ করবেন, বের করার চেষ্টা করবেন , কিভাবে কি হোল !! কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় শেষ হোল৷
রোলার কোস্টারে যেমন আপনি শুধু গ্যাট হয়ে বসে থাকেন, কোস্টারটা আপনাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে, তেমনি এই বইটাও আপনি শুধু হাতে নিয়ে বসবেন৷ তারপর যা করার লেখকই করবে৷
এত এত চরিত্র আর এত এত ঘটনার ঘনঘটা আপনার মাথায় গিট্টু লাগিয়ে দিবে নিশ্চিত৷ কিন্তু বিলিভ মি, শুধু খিচ খেয়ে বসে থাকেন৷ ইটস আ রোলার কোস্টার৷
এত দুর্দান্ত কাহিনীর বিল্ডাপ, এত অসাধারন চরিত্র চিত্রন, এত মারাত্বক সব ডায়লগ আর চরম কিছু হিউমার - পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল - দিজ আর টু গুড টু বি ট্রু !!
ভয় হচ্ছিল এই মুগ্ধভাবটা কি শেষ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারবেন লেখক?
আশংকা হচ্ছিল, এত জটিল একটা গল্প শেষে এসে গুবলেট না খেয়ে যায় !!
আমার ব্যাক্তিগত মতামত - শেষ পর্যন্ত আমার ভয়টাই সত্য হোল৷
এ কেমন ফিনিশিং?
বাস্তবতার এত কাছাকাছি থেকে প্যারালালি চলতে থাকা এই কাহিনীর এরকম অবিশ্বাস্য ফিনিশিং প্লট?
এ কারনেই হয়তো পেইনের পরিমানটা অনেক বেশি৷ মানতে পারবেন না এই গল্পের পরিনতি৷
আপনাকে ব্যাপক ভোগাবে৷
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: পড়ে ফেলেন রাজীব ভাই্,
আপনার মতামত জানার অপেক্ষায় থাকবো।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনে হচ্ছে বইটা পড়া উচিৎ
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: থৃলারপ্রেমী হয়ে থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়ার লোভ হচ্ছে।