![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
([email protected]) B.Sc. in EEE from BUET আমার নামে ২০০০ আছে, কারণ, আমার জীবনের সেই সময়টাতেই আমার সর্বশেষ ভার্সন মুক্তি পায়। এরপরে আমার আর কোনো উন্নতি দেখি নাই। তবে চেষ্টা করতেছি।
বিদেশে যদি এরকম কোন বিষয়ের উপর কেউ কোন বই লিখত, তবে তাকে সে বিষয়ের উপর বিজ্ঞ মনে করে বিভিন্ন টকশো ধরণের অনুষ্ঠানে তার কাছে মতামত চাওয়া হত। এখানে, আমাদের সাথে তাদের পার্থক্য হচ্ছে, আমাদের প্রচলিত মিডিয়াতে কোন লেখা ছাপাতে হলে মামা-চাচা বা ইয়ার দোস্তের পরিচিতি লাগে। তাই, বিকল্প মিডিয়া ফেসবুক ব্লগে জিয়া হাসানকে প্রথমে লেখালেখি করে পরে তার এইসব লেখার মূলত সংকলনকে বই হিসেবে ছাপানো হয়েছে। এবং এখনো তাকে এই বিষয়ে কোন বিজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়না। বরং, আমাদের মূলধারার প্রধান দুই ধারার কোনটির দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা হয়নি বলে কেউ এর পক্ষে বা বিপক্ষে বলার কোন আগ্রহ পায় না।
ইতিহাস নিয়ে লেখার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা আজকাল আমাদের সমাজে খুব চোখে পড়ে। প্রধান দুই ধারার পক্ষে বা বিপক্ষে বললে সেটার পক্ষে বলার আগ্রহী লোকের অভাব হয়না। আবার এতে করে অন্য পক্ষ বিশেষ সুবিধা পেতে পারে আশংকায় বিরোধী পক্ষেরও কথা বলার লোকের কোন অভাব হয়না। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাবে সত্যি ইতিহাস লেখার চেষ্টায় যেন আমাদের আলোচনার উপাদান কম থাকে। এটা যেমন সত্য হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম” এর ক্ষেত্রে, তেমনি সত্য এই বইয়ের ক্ষেত্রেও।
এই বইয়ের নিরপেক্ষতার ব্যাপারটা হয়ত মূলধারার দুই ধারার কারো বিপক্ষে গেলে সে তাতে দ্বিমত করতে পারে। কিন্তু, আমার কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, লেখক যেন জোর করে আরো বেশি নিরপেক্ষ থাকতে চাইছেন। হয়ত, এখনকার বাস্তবতায় “ছাগু” ট্যাগ খাবার ভয়ে বা “নাস্তিক ব্লগার” হিসেবে হুমকির আশংকায় লেখকের স্বাভাবিক স্বাধীনতা বা চিন্তার স্রোতে ছেদ পড়েছে। তবু, উনি তার কিছু অপ্রকাশিত লেখা সাহস করে বইটির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন বলে সাধুবাদ জানাই।
এই বইটিতে শাহবাগের বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করতে গিয়ে উঠে এসেছে অনেকের কথা, এমনকি আমাদের মত সাধারণ ব্লগারদের কথাও। কখন কিভাবে ছাগু ট্যাগের সূচনা, মিডিয়া কাভারেজ কতটুকু কাকে দেয়া হয়েছে, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নির্ভয়ে তথ্য-প্রমাণাদি সহ লেখা ভাল লেগেছে। আমাদের সাধারণের মাঝের কাউকে আমরা ইন্টেলেকচুয়াল হিসেবে জীবিত অবস্থায় স্বীকার না করলেও বইয়ের শেষ অংশে তাঁর বাক-স্বাধীনতা নিয়ে লেখাটি তাঁকে তুলে দিয়েছে অন্য উচ্চতায়। আশা করি পাঠকরা বইটি কিনে জিয়া হাসানের সাথে সাথে অন্য ইন্টেলেকচুয়ালদেরকেও বই লেখায় উৎসাহিত করবেন।
©somewhere in net ltd.