নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হয় ভালোর ভাল হও,নয়তো মন্দের শিরমনি।

মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ।তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সঞ্জয়ওঝা

ভালোবাসি দেশকে,তাই দেশের জন্য কিছু করতে চাই।

সঞ্জয়ওঝা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে একবারও গলা ভাঙ্গেনি এমন কেউ থাকলে তারা এ পোষ্টের ধারেকাছে আইসেন না;););)গলার স্বর ভেঙ্গে গেলে যা করবেন:):)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

একবারও গলা ভাংগেনি বা স্বর বসেনি এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু মুশকিল হলো, গলা ভাংগাকে অনেকেই গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেন না।

অন্যদিকে, এ কথা অনেকেই জানেন না যে গলা ভাঙ্গা অনেক সময় মারাত্মক অসুখের উপসর্গ হয়ে আসে। সব বয়সী মানুষেরই গলার স্বর ভাঙ্গে বা বসে যায়। তবে তুলনামূলক ভাবে মহিলাদের গলার স্বর বসে বেশি। সাধারণ ভাবে গলার স্বর বসা বা ভাঙ্গার প্রাথমিক কারণ হলো শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা সংক্রমণ।

পেশাগত কারণে যাদের গলা ব্যবহার করতে হয়, অর্থাৎ আইনজীবী, সংগীত শিল্পী, রেডিও টেলিভিশনের পাঠক, উপস্থাপক, শিক্ষক বা বিপণণের সাথে যারা জড়িত তাদের গলা বসে যাওয়ার প্রবণতা বেশী থাকে।গলায় কোনো ইনফেকশন বা সংক্রমণের পরও যদি গলার ব্যবহার অর্থাৎ কথা বলা আগের মতই অব্যাহত রাখা হয়, তবে গলার স্বর বসার আশংকা বেশি থাকে। কিংবা গলার স্বর আরো বেশি করে বসে যায় ও কথাই বের হতে চায় না।

এ ছাড়া গলার ব্যবহার যদি ঠিকভাবে না হয়, কিংবা যদি চেঁচিয়ে কথা বলা হয় তা হলেও গলা বসে যেতে পারে। একই ভাবে কোনো গায়ক বা বক্তা যদি তার গলার ক্ষমতার বাইরেও উঁচু স্বরে কথা বলেন বা চিৎকার করেন বা গান করেন তবে গলা ভেঙ্গে যেতে পারে।

ছোট বাচ্চারা অনেক সময়ই গলা ছেড়ে কান্নাকাটি করে বা আবদার জুড়ে দেয় আর এ কারণে তাদের গলা ভেঙ্গে যায়। অন্যদিকে সন্তানের মায়েদেরকে নানা কারণে চিৎকার করতে হয়। যা তাদের গলার ওপর চাপ ফেলে ও গলা ভেঙ্গে যায়।



১.ইনফেকশান বা অন্য কোনো কারণে যদি গলার স্বর ভাঙ্গে তবে তা বিশ্রাম ও সামান্য ওষুধ ব্যবহার করলে ভাল হয়ে যায়।

২.গলার স্বরের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রথমেই কথা বলা কমিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে।

৩.ঠাণ্ডার কারণে যদি গলা বসে যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

৪.গলার সাধারণ ব্যথা বা গলা ভাঙ্গার জন্য ভাল একটি ওষুধ হলো গরম বাষ্প। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয় তবে গলার উপকার হয়। দৈনিক অন্তত দশ মিনিট এ ভাবে গরম ভাপ নিতে হবে। এটি সত্যিই কাজের ওষুধ। এক দিকে পানি গরম করতে তেমন বেশি খরচ হয় না। অন্যদিকে এ ওষুধের পার্শ্ব কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা হলে তাতেও উপকার পাওয়া যায়। তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না।

৫.দিনের পর দিন ধরে গলার স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাস ফ্যাসে আওয়াজ হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিকে সব সময় বিপদের লক্ষণ হিসেবে ধরতে হবে। গলা একবার বসে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ বড় জোর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেরি করা যায়। চিকিৎসকরা মনে করেন কারো গলা ভাঙ্গা যদি ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তাকে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এ ধরণের স্বর বসে যাওয়া অনেক সময়ই মারাত্মক রোগের লক্ষণ হয়ে আসে।

৬.সাধারণ ভাবে ৫০ বছরের উপরের যে কোনো রোগীর গলা যদি কোনো কারণ ছাড়া বসে যায় তবে তা বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।

৭.এ ছাড়া চিকিৎসকরা আরো দেখতে পেয়েছেন, এ ধরনের রোগীদের মধ্যে শতকরা অন্তত দশ ভাগ রোগীর এ ভাবে গলা ভাঙ্গা, বিপজ্জনক রোগের উপসর্গ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে রোগীর গলার ভেতর পরীক্ষা করে দেখেন।





অবিরাম কথা বলতে সত্যিই বেশ শক্তি ব্যয় হয়। চাপ পড়ে গলায়। তাই যাদের পেশার সাথে কথা বলা জড়িত বা বেশি কথা বলতে হয়, তাদেরকে গলার প্রতি যত্নবান হতে হবে। কারণ গলার যত্ন নিতে অবহেলা করলে শেষে গলা দিয়ে কথাই বের না হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। যা মোটেও কাম্য নয়। ধূমপান গলার যে কোনো সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয় বা জটিল করে তোলে। তাই ধূমপান থেকে সাধ্যমত দূরে থাকতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: জরুরী পোষ্ট!
+++++ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.