![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রহস্য শোন সেই সে লোকের আত্মা যথায় বিরাজে, ওরে মানব! নিখিল সৃষ্টি লুকিয়ে আছে তোর মাঝে । তুই-ই মানুষ,তুই-ই পশু,দেবতা দানব স্বর্গদূত, যখন হতে চাইবি রে যা হতে পারিস তুই তা যে। -ওমর খৈয়াম
দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খুটিয়ে পড়ার অভ্যাস্টা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলা যায়।খুটিয়ে পড়তে আর পড়ার বিষয় নিয়ে চিন্তা করার ব্যাপারে তাদের অনীহা যে কতটা প্রকট তা এক ঘনিষ্ট বন্ধু্র ভর্তি সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত গ্রুপের এডমিন হবার কল্যানে আমার কাছে খুব পরিষ্কার।অধিকাংশ গ্রুপ সদস্য এমন সব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হন যা দেখলেই বোঝা যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সক্রান্ত নির্দেশনা একেবারেই পড়েনি,কিংবা পড়লেও নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে প্রশ্নের সমাধান করতে আগ্রহী নন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় কিন্তু ভর্তি নির্দেশনা পড়বে না!!!!! অচিন্তনীয়!!!!
এই সমস্যার কারণ কারোই অজানা নয়।কত কম পড়ে ভালো গ্রেড পাওয়া যায় তার অসুস্থ একটা প্রতিযোগিতা চলছে এদেশে।পুলাপান এই ভাবেই অভস্থ্য হয়ে গেছে।ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকালেই এই ভারী সার্টিফিকেটধারীদের দৈন্যতা আপনার কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে।সেখানে 'গ' ইউনিটে অকৃতকার্যের হার ৮৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।এবছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর ৮৬ হাজার ৫১ জন ।এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ।অর্থাৎ 'মেধাবীর' দল শুরুতেই 'গাধা' তকমা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
মুহাম্মদ(সঃ) নামে মহান পয়গম্বর প্রায় ১৫০০'শত বছর আগে বলে গেছেন 'সব কাজের ফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল'।গুটিকতেক প্রশ্ন পড়ে পরীক্ষায় ভালো গ্রেড পাবার নিয়ত করলে ফল যে অশ্বডিম্বই হবে তা আর বিস্ময়ের কি!! বিশ্ববিদ্যালয় তো আর হাই স্কুল নয়!!!
অবাক লাগে যখন এই অন্তঃসারশূন্য গ্রেড ব্যাবস্থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির একমাত্র মানদণ্ড করার দাবি শুনি।অভিভাবকরা ভাবেন আমার সন্তানটি এত ভালো রেজাল্ট করেও চান্স পেলোনা,ইহা বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিন ভর্তি প্রক্রিয়ার ফল। তারা এটা মোটেও দেখতে পাননা যে, শুরুতেই তিনি তার সন্তানটিকে 'পরীক্ষা ও গ্রেডিং' নামক ঘানির চোখে ঠুলি পড়ানো গাধায় পরিণত করেছেন।এই দায় রাষ্ট্র,রাজনীতি,শিক্ষা ব্যাবস্থা, অভিভাবক সর্বোপরি আমাদের।
আমার স্কুলে অনেক শিক্ষক 'সাজেশন' নামক বস্তু সরবরাহ করতেন না বলে অভিভাবকদের মধ্যে তাদের দুর্নামের অভাব ছিলোনা,পরীক্ষার আগের রাতে পুরো বই পড়তে হত বলে আমরাও তাদের ন্যাওটা ছিলাম না,তাদের খারাপ আর দুষ্ট মানুষ মনে করতাম।এখন দেখা হলে সালাম করে বলি, "স্যার,এরকম খারাপ কাজ চালিয়ে যান,আপনাদের মত কিছু খারাপ মানুষের খুব দরকার আমাদের।"
এতো কিছুর মাঝেও যে ছোট ভাই-বোন গুলি ভর্তি পরীক্ষার বৈতরণী পার হয়ে এসেছো , আর সামনের পরীক্ষাগুলোতে ভালো করার জন্য জান লাগিয়ে দিয়েছো তাদের বলি 'সাবাশ, তোমরাই পারবে,দেশ তোমাদের অপেক্ষায় আছে।'
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
কামরুল আহসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
দিশার বলেছেন: সুন্দর অবজারবেশন