![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন পৃথিবী সূর্যের অংশ। সূর্য থেকে ছিটকে পরে ক্রমশ ঠাণ্ডা হয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলে প্রথম দিকে শুধুমাত্র গরম হাইড্রোজেন গ্যাস ছিল। পরে বাস্প, কার্বন মনোক্সাইড , কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন , মিথেন বায়ু মণ্ডল দখল করে নেয়। আরও পরে ক্রমশ পৃথিবী আরও ঠাণ্ডা হলে বাস্প ঠাণ্ডা হয়ে সাগরের সৃষ্টি হয়। সেই সময় প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে অতি-বেগুনি রশ্মি,
বজ্রপাত, অগ্নি- উৎপাত হত। তখন ই জীবনের প্রথম সূচনা হয়েছিল ।
তত্ত্ব অনুযায়ী , রাসায়নিক বিবর্তন চার ধাপে ঘটেছিল ।
রাসায়নিক বিবর্তনের প্রথম ধাপে সেই আদি পরিবেশে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৩৬ সালে একজন রাশিয়ান বিজ্ঞানি প্রথম তার বই "The Origin of Life on Earth,"এ ধারণাটি দেন। তিনি মনে করতেন হাইড্রোজেন , অ্যামোনিয়া, বাস্প আর মিথেন প্রথমে বায়ু মণ্ডলে ছিল। সেই সময় রাসায়নিক বিজারণ পরিবেশে অক্সিজেন ছিল না । তিনি বলেন যে সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মি উপরের রাসায়নিক পদার্থ গুলোকে জৈব রসায়ন সৃষ্টির জন্যে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করাছিল। এরকম বিক্রিয়া শুদুমাত্র আদিম পরিবেশেই সম্বভ। পরিবেশে অক্সিজেন থাকলে বিক্রিয়াটি সম্ভব নয়। তাই ধারনা করা হয় যে উদ্ভিদ কোষ ফটো-সিন্থেতিক প্রক্রিয়া দ্বারা বায়ু মণ্ডলে অক্সিজেন ছাড়ার পূর্বেই প্রথম জীব কোষ সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে উদ্ভিদ দ্বারা সরবরাহ কৃত অক্সিজেন ওজোন লেয়ার সৃষ্টি করেছিল যা বর্তমানে পৃথিবীতে অতি-বেগুনি রশ্মি আসতে বাধা দেয়। শুধুমাত্র আগ্নেয়গিরি থেকে হাইড্রোজেন , অ্যামোনিয়া, বাস্প, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড , কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন বের হয় যা এখনও তরল অবস্থায় পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে।
১৯৫৭ সালে স্তানলি মিলার ও হেরলদ উরেয় ল্যাবে পরীক্ষাটি করেছিলেন। তারা বাস্প, হাইড্রোজেন , অ্যামোনিয়া, মিথেন নিয়ে পৃথিবীর আদিম পরিবেশের মত শর্ত রেখে ল্যাবে পরীক্ষাটি করেছিলেন। পরীক্ষাটি শুরুর এক সপ্তাহ পরে তারা দেখেছিলেন যে নানা রকম জৈব পদার্থের সৃষ্টি হয়েছে যার মদ্যে অন্যতম ছিল অ্যামিনো এসিড যা আমিষের ক্ষুদ্রতম উপাদান। তাদের এই পরীক্ষাটি তাই আজ এত আলচিত। তাই আজ বলতে শুনা যায় জীবন শুরু হওয়ার জন্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া দায়ী।
©somewhere in net ltd.