নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কামরুল কেমিস্ট

কামরুল কেমিস্ট

কামরুল আলম চাদপুরী

কামরুল আলম চাদপুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিয়োগ বানিজ্যে কোটিপতি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

বেকার সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। প্রতিবছর ৩২+ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৩+ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছেন অসংখ্য স্নাতক। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ও অনেক। আর এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে প্রায় সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ সুযোগ কাজে লাগানোর মধ্যে এক নাম্বারে আছে বেসরকারি ব্যাংক গুলো। আরও আছে প্রতারক প্রতিষ্ঠান। প্রতারক প্রতিষ্ঠান গুলো সম্পর্কে অন্য কোন সময় লেখা যাবে। কিন্তু সরাসরি প্রতারনা না করে ঠাণ্ডা মাথায় প্রতারনার এক নাম্বারে আছে ব্যাঙ্ক গুলো।



চলুন দেখা যাক নিয়োগ পরীক্ষায় একটি ব্যাংক এর প্রার্থী প্রতি কত খরচ পরে।

প্রার্থী প্রতি খরচ

নিয়োগ বিজ্ঞাপন- ০.০৫ টাকা থেকে সর্বচ্চ ১ টাকা

ওয়েব সাইট ব্যবস্থাপনা- ০.০৫ টাকা থেকে সর্বচ্চ ০.২৫ টাকা

আবেদন পত্রের টাকা সংগ্রহ - ০.১০ থেকে সর্বচ্চ ০.২০ টাকা ( বর্তমানে অনলাইন প্রক্রিয়ায় প্রিন্ট খরচ প্রার্থীর নিজের)

পরিক্ষার হল ব্যাবস্থাপনা- ০.৫০টাকা থেকে সর্বচ্চ ১ টাকা

পরিদর্শকের চার্জ- ৩ টাকা থেকে সর্বচ্চ ৫ টাকা

পরিক্ষার খাতা ও প্রস্নপত্র – ২ টাকা থেকে সর্বচ্চ ৮ টাকা

পরিক্ষার খাতা মূল্যায়ন – ৫ টাকা থেকে সর্বচ্চ ৮ টাকা

ফলাফল- ০.২৫ টাকা থেকে সর্বচ্চ ১ টাকা

বিবিধ- ০.৫৫ টাকা

সর্বচ্চ খরচ শুধু হিসেবে নিলে প্রার্থী প্রতি খরচ মাত্র ২৫ টাকা। ২৫ টাকার বেশি কোনোভাবেই খরচ হয় না। আর ব্যাংক গুলো প্রার্থী থাকে নিচ্ছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক ই নিচ্ছে ৩০০ টাকা। তো প্রার্থী প্রতি খরচ বাবদ ব্যাঙ্কের নীট লাভ ২৭৫ টাকা মাত্র।

হ্যা, আপনার কাছে হয়ত ২৭৫ টাকা কিছুই নয়। কিন্তু সম্পূর্ণ হিসেবের দিকে নজর দিয়ে দেখুন তো। প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বনিম্ন আবেদনকারী ৩০০০০ জন মাত্র সর্বচ্চ ১০০০০০ এর উপরে।

আবেদনকারী ৩০০০০ জন হলে খরচ বাবদ নীট লাভ মাত্র ৮২৫০০০০ ( বিরাশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র ) ।

এবার বাস্তবতায় আশা যাক। কিছুদিন আগে একটি ব্যাংকে সহকারী অফিসার পদে আবেদনের জন্যে নুন্যতম যোগ্যতা চাওয়া হয় ডিগ্রি পাস। আর ২০০ টাকা। তো আবেদন পরে প্রায় ৯৩০০০ হাজারের উপর। প্রতি আবেদন পত্রে নীট খরচ সর্বচ্চ ২৫ টাকা বাদে নীট লাভ হয় মাত্র ১৬২৭৫০০০ ( এক কোটি বাষট্টি লক্ষ পাচ হাজার টাকা মাত্র )

দারুন ব্যবসা। তাই না।

এছাড়া এর মধ্যেই আরও একটি ব্যঙ্কে তিনটি পদে আবেদনের জন্যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। তিনটি পদে মোট আবেদন করেন ১২৩০০০ জন মাত্র। প্রতি আবেদনে ৩০০ টাকা মাত্র। খরচ বাদে ব্যঙ্কের নীট লাভ মাত্র ৩৩৮২৫০০০ ( তিন কোটি আটত্রিশ লক্ষ পঁচিশ হাজার ) টাকা মাত্র।





এ লাভ নীট লাভ, সৎ লাভ, ভেজাল হীন লাভ। কারো কোন কিছু বলার নেই। তো আপনার কোটি টাকা উপার্জনের ইচ্ছা থাকলে ব্যাংক বানাতে পারেন। এছারাও আরও অনেক ভাবে ব্যাংক শোষণ করে থাকে। পরে বলার অপেক্ষায় থাকলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

অনেকের মধ্যে একজন বলেছেন: ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কামরুল আলম চাদপুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

কোবা সামসু বলেছেন: ৩০০/৫০০ নিয়েও তারা সঠিক ভাবে কোন নিয়োগ দেই না সুনেছি একেকটা নিয়োগে তারা কয়েক লাখ টাকা নেয়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কামরুল আলম চাদপুরী বলেছেন: হু, কেউ নেই দেখার............।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১০

সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: আসলেই তাই...... সোচ্চার হওয়া উচিৎ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২১

কামরুল আলম চাদপুরী বলেছেন: অল্প অল্প করে প্রতিবাদ করলে হয়ত একদিন প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

সাদা রং- বলেছেন: ভাইবা বোর্ডে যে আজব প্রশ্ন করে, তখনই বুঝা যায় এ চাকরি হবে না, শুধু শুধু লোক দেখানো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কামরুল আলম চাদপুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিকই বলেছেন, তবে হয়ত আমার দেশটা একটি সময় আরও অনেক ভালো হবে, ঠিক যেমন আমরা স্বপ্নে দেখি, যেখানে থাকবে না কোন স্বজন প্রীতি, থাকবে না কোন দুর্নীতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.