![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অপ্রাপ্তি আর ব্যর্থটা গুলো সামলে নিয়ে আমার বাংলাদেশকে নিয়ে সপ্ন দেখতে ভাল লাগে। যে দেশটা হবে আমার সপ্নের মত। আমার পরবর্তী প্রজন্ম আর আক্ষেপ করবে না এই সপ্নের বাংলা নিয়ে।
আমরা পড়ি , আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পড়ে , সবাই পড়ে , কেন পড়ে জানেন? যারা পড়ে না , তাদের সেবা করার জন্যে।
পড়া শেষে আমি দেখি আমি তাদের সেবা করার জন্যে প্রস্তুত হয়েছি যারা পড়ে নি। আমরা তাদের কম্পানি তে চাকরি করছি যারা জীবনটা আমাদের মত কাটায় নি। আমরা ভাল রেজাল্ট করেছি তাদের সেবার জন্যে যারা কয়েক বারে পাশ করেছে।
ভার্সিটির উচু রেজাল্ট ধারী ছেলেগুলো আজ ভার্সিটির শিক্ষক হয়েছে। ২০০০০ টাকায় কোনমতে সংসার চালাচ্ছে। আর ফাকা সম্মানের বুলি আওরাচ্চে। তারা বলছে সচিবের সমান মর্যাদা তাদের। আসলে বাস্তবতা কি? একটু খোঁজ নিয়েই দেখুন না।
কিছু উচ্চ রেজাল্ট ধারী ছেলে বড় বড় কোম্পানির বড় বড় অফিসার।টাকা পয়সা ভালই পায়। কিন্তু আপনি যেটা জানেন না, সেটা হল এই দেশে এক সময় রাজা প্রজা ছিল, এখন নাই, কিন্তু কোম্পানির মালিক রা রাজার চাইতে কোন অংশে কম নয়। অফিসার রা তাদের বেতন ভুক্ত প্রজা মাত্র। হুজুরকে যথার্থ সম্মান না দেখালে চাকরীর আশা ছেড়ে দিতে হয়। হুজুর আসলে দাড়াতে হয়, হুজুরকে সালাম দিয়ে হয়, প্রভু ভক্ত কুত্তার মত মাথা নিছু করে কথা বলতে হয়। যদি ঘাড় সোজা করেছেন ত চাকরী নট ।
আর কিছু মেধাবি ছেলে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে । সপ্নের এই দেশের জন্যে প্রচুর মায়া তাদের। পড়ার ফাকে ফাকে আশ্রয় দাতা দেশের লোকদের সেবা করছে। কোন সেবা জানেন? তৃতীয় শ্রেণির সেবা। আশ্রয় দাতা দেশ প্রতিনিয়ত ই তাদের মনে করিয়ে দেয় তোমরা এ দেশের নও, এখানে তোমাদের অধিকার সীমিত। এই ছেলেগুলো দেশে ফেরার সপ্ন দেখে। আত্মীয় স্বজন সবাই বলে ওখানেই থাক আর ভাল থাক। এখানে আসিস না। এখানের অবস্থা খারাপ। তারা আর আসে না।
তাহলে কারা ভাল আছে? হ্যা, কিছু লোক ত অবশ্যই ভাল আছে। এরা হল এই দেশের সোনার ছেলে। সোনার দেশের সোনার ছেলে। এরা হল দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এরা হল আদম ব্যবসায়ি, এরা দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ি, এরা চোর ঠিকাদার, এরা রাজনীতিবিদ।
এদের কোন পরাশুনা করতে হয় নি। এরা স্বশিক্ষিত লোক, এদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার হয় নি। খুব ছোটবেলা থেকেই এরা স্বাধীনচেতা। শিশুকাল থেকেই এরা বেপরোয়া। কৈশোরে এরা অপরাধী। যৌবনে হাজতবাসি। এরাই প্রতি বছর হজ করে, যাকাত দেয়, ঈদে অন্তত পাচতি গরু কোরবানি দেয়। প্রতি ঈদে এরা গরীবদের কাপর দেয়।
খুব চোট বেলা থেকে বই এর বোঝার সাথে পরিচিত হতে হয় আমাদের। বাবা বলেন পড়, মা ও বলেন পড়, আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি সবাই বলে পড়। কেউ বলে না “খেল”। কেউ বলে দেয় না যে এই জীবন খুব ক্ষুদ্র । এই জীবনটাকে একটু উপভোগ কর।
সবাই শুধু পড়ার কথা বলে। যেন পরা ছাড়া জীবনে আর কিছুই নেই। শুধু বই পড়। সবাই পড়ার কথা বলে কারন পরলে ভাল চাকরি হবে, ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। গৎবাঁধা কিছু বই পড় । আমরাও পরতে থাকি। পড়তে পড়তে একসময় দেখি আমার শিশুকাল শেষ, শেষ আমার কৈশোর, যৌবন ও ফুরল বলে। পড়া আর শেষ হয় না। জীবনটাকে দেখা হয় না। পরবর্তী প্রজন্মাতাকে ও একই কথা বলার জন্যে প্রস্তুতি নিতে হয়। সময় ফুরয়।
আমরা পড়ি , আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পড়ে , সবাই পড়ে , কেন পড়ে জানেন? যারা পড়ে না , তাদের সেবা করার জন্যে।
©somewhere in net ltd.