![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেট সেন্ট্রাল জেলের ম্যাডিক্যাল ওয়ার্ড চারটি। দুই নং ওয়ার্ডে কোন রুগী থাকে না। বাকি তিনটি ওয়ার্ড রুগীতে পরিপূর্ণ। প্রতি ওয়ার্ডে গড়ে আছে ৭৫ জন। ঠাসাঠাসি অবস্থা। ঠাসাঠাসি অবস্থার কারনে ডাক্তারের পকেটের ও অবস্থা ঠাসাঠাসি। কয়েদীদের কানাঘুষা ডি.আই.জি পর্যন্ত সবার পকেটের ই একই অবস্থা। সবার ই পকেট ঠাসাঠাসি। কারন! কারন তো একটাই বাস্তব রুগী তো সবে দশ বারোজন। বাকি সব তো মালদার পার্টি। প্রতিমাসে সীট ভাড়া দেয় জনপ্রতি ৫০০০ ( পাঁচ হাজার টাকা ) মাত্র। সব সুস্থ রুগী থেকে আয় মাত্র ১২০০০০০ ( বারো লক্ষ টাকা ) মাত্র। রাজনৈতিক বন্দীদের কারনে আরও আছে এক্সট্রা আয়।
আর সত্যিকার রুগীরা , নিপাত যাক ওরা। কারন জেলে কেউ মরে না। মরে ওসমানী হাঁসপাতালে। জেলে তাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হলে পায়ে ডান্ডাবেরি পড়িয়ে নেয়া হয় ওসমানীতে। ওসমানীর ডাক্তাররা ডান্ডাবেরি পরানো লাশকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর আপনি যদি সিলেট জেলে কারো সাথে দেখা করতে যান, তাহলে নিম্নের নিয়ম গুলো ভালভাবে খেয়াল করিয়েন। সাধারণ নিয়মে কারো সাথে দেখা করতে হলে আপনার সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। এক মিনিট ও কম নয়। তবে ঘাবড়ানোর কোন কারন নাই। আপনি যদি মালদার পার্টি হন তাহলে অফিস কলের মাধ্যমে দেখা করতে পারবেন। সময় লাগবে পাচ মিনিট। সম্মান ও পাবেন সবার কাছে। আর খরচ! খরচ তো করতেই হবে। বেশি না, জনপ্রতি ছয় শত টাকা মাত্র।
©somewhere in net ltd.