![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার খুব ইচ্ছা আসিল আর্মি তেঁ জামু, ট্যাঙ্ক চালামু!!!!
মাথা এক পাশে কাত করে। আপনার সবাই জানেন নামাজে নাক এবং কপাল মাটিতে মিলাতে হয়।
এই হোলও শিয়া সম্প্রদায়!!! ইসলামের নামে ভণ্ডামি।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪১
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: কিছু করার নাই, এটাই সত্যি।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
খাটাস বলেছেন:
কোথায় পেলেন? সোর্স কি?
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই খাটাস এটা কোন লেখা না, ছবি।............... ঐ যে একটা কথা আছে না একটা ছবি হাজার কথা বলে( পুরাটা বলতে পারলাম না, মনে নেই)
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
খাটাস বলেছেন: ভাই ছবি হাজার কথা বলত আগে, এখন ও বলে , তবে সব ছবি না, ফটোশপ নিয়া একটু টেনসান। তবে এটা সত্যি , খুজে দেখলাম। যিনি নামাজ পরাচ্ছেন, তার নাম আয়াতুল্লাহ আল উজমা মারাসি আল নাজাফি। তার পরিচয় বেক্কলে নাকি ইসলামের বিরাট পণ্ডিত।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: জি আপনার আশঙ্কা সঠিক কিন্তু কিছু জিনিস ফটোশপ করে প্রমান করা যায় না। আর এ ক্ষেত্রে শিয়াদের ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড এই ছবির সত্যতা প্রমান করে।
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১
আতা2010 বলেছেন: Click This Link নিজেরা টাইট ফিটিং বোরকা পড়লেও সে চায় না তার স্বামী দাড়ি , টুপী ওয়ালা হুজুর হোক।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: প্রবেশ করতে গেলে বলে An Error Was Encountered
Error Number: 1054
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
নীল জানালা বলেছেন: আপনেরা আপ্নেগো ধর্ম ঠিকমত পালন করতে থাকেন্না!!! সমালোচনা কৈরা কি লাভ? বিভেদ বিভাজন এইসব কল্যানকর কোন কিছুনা।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৩
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: দেখেন ভাই এদের ভণ্ডামি উন্মোচন বিশেষ প্রয়োজন এই কারনে যে এরা ইসলামের নামে এইসব করে জাকি না আমাদের জন্য, ইসলামের জন্য ক্ষতিকর।। মানুষকে খারাপ সম্পর্কে সচেতন না করলে সে এটাতে পরার সম্ভাবনা থাকে
৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৬
মদন বলেছেন: ছবিটি মনে হয় ঠিক নয়
ইউটিউবে শিয়াদের নামাজের ভিডিও পেলাম http://www.youtube.com/watch?v=-TXYrZdxfgA
৫মিনিট থেকে দেখলে সিজদার অংশ দেখা যাবে। হুবহু আমাদের মতোই।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ছবি ঠিক আছে, এদের নামাজ আমাদের মতই না......... দেখতে অনেকটা আমাদের মত............। তবে মূল বিষয় হচ্ছে এরা এদের বাতিল ধর্মে নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করতে পটু।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই আপনি ভাল করে দেখেন, ইকামতের সময় কি বলেঃ আস হাদু আন্না আলিয়া ওয়ালিউল্লাহ, আশাদু আন্না আলিয়া হুজ্জাতুল্লাহ। এটা মুসলিম রা ইকামতে বলে?
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি সৌদি আরব সহ অনেক জায়গাতে শিয়া দেখেছি, এমন করে সিজদা দিয়ে নামাজ পড়তে দেখি নাই।
বিষয়টা আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আমি আপনাকে কয়েকজন শিয়ার সাথে ইসলামের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে আলচনা করতে বলবো!!!
দেখবেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে!!
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মরক্কো, তিউনিসিয়া প্রভৃতি আফ্রীকান দেশের মুসলিমরাও ভিন্ন ভাবে নামাজ পড়ে।
এইসব ফেকড়া নিয়ে বললে গেলে বিশাল ক্যাচাল লাগবে।
যে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দেন। বর্নবাদি চিন্তা বাদ দেন।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই এটা বর্ণ বাদের কি হোলও? সত্য তুলে ধরতেই হবে। এতে যদি কার খারাপ লাগে এতে আমাদের কি করার আছে!!!
৯| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
দি সুফি বলেছেন: তাত্ত্বীকভাবেই শিয়ারা মূল ইসলামের বাইরে! নামায কিভাবে পরল সেটা নিয়া মাথা ঘামানোর কি আছে!
১০| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১২
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আসেন নিজের চড়কায় তেল দেই.........নিজে আগে শুদ্ধ ভাবে নামাজ পড়তে শিখি......পরে না হয় অন্যের সমালোচনা করা যাবে।
আমি এখানে আফ্রিকানদের সাথে নামাজ পড়ি......আমাদের চেয়ে ওরা হাজারে গুনে ভালো ভাবে নামাজ পড়ে.......।
১১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৬
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্নিদের মধ্যে যেমন শত ভাগ আছে তেমনি শিয়াদের মধ্যেও শত ভাগ আছে । তাই কোন ভাগ কিভাবে নামাজ পড়ল সেটা নিয়ে গোটা শিয়া সমাজে চাপানো মোটেই ঠিক হবে না । এটা হবে অন্ধকারে ঢিল মারার শামিল । তাছাড়া আমার এলাকায় অনেক সুন্নি মুসলমান আছে যারা পীরের পাতে চুমু খায় । তাকে বাবা বলে ডাকে । তারাই আমাকে বলেছে বাবার নাম নিলে নাকি সকল মুশকিল আহসান হয় । একবার নাকি বাবার নাম নিয়ে তারা উদ্ধারও পেয়েছে ।
এখন আমি যদি সেই বাবার অনুসারী যারা মুলত সুন্নি তাদের বাবার পাতে চুমু দেওয়া ফটো ব্লগে দিয়ে শিরোনাম দেই দেখুন-ভন্ড সুন্নিদের শিরকি ! এরা ইসলামের নামে কি শিরকি নিয়ম চালু করেছে !
সেটা কতুটুকু ঠিক হবে ? এবার আপনি বলেন ?
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আমাদের আদর্শ হচ্ছে কুরআন এবং সাহিহ হাদিস। এর বাইরে যা পরবে সব বাতিল।
১২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২০
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার এই ফটোর লিংকটা আমি আমার ফেসবুকের এক শিয়া মুসলিম ভাইকে ইনবক্সে দিলাম । লিংকের ফটোগুলোর সত্যতা জানার জন্য । তার বক্তব্য হুবুহ এখানে তুলে দিচ্ছি ।
"আল্লাহ কসম ঐ টা নামাজ না !!! নামাজের পর একটা রিচুয়াল..এইটার ইউটিউব আপলোড আমার কাছে আছে। মারশাই নাযাফি মেইন স্ট্রিম ইতনা আশারি শিয়া। আমরা নামাজ শেষে এইটা করি, One Kind of Sizdah; কিন্তু মাথা কাত করে না; উনি পাগরি পড়ে আছেন তাই এভাবে সেজদাহ করছেন। আর আজান এ আলাইয়ান হুজ্জাতুল্লাহ আজান এর অংশ নয়। শুধুমাত্র শপথ ।আর শিয়াদের মধ্যে সাতটা ভাগ একশত ভাগ নয় ( ভাগের কথাটা আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কারণ আমি আমার উপরের কমেন্টে ১০০ ভাগের কথা বলেছি ) । না জেনে কিছু বলা উচিৎ নয়। শিয়াদের সর্বসম্মত মত যারা আলাইয়ান হুজ্জাতুল্লাহকে আজান এর অংশ মানবে তাদের নামাজ হবে না ।"
আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শিয়াদের মধ্যে যেমন কিছু গলদ আছে তেমনি সুন্নিদের মধ্যেও আছে আর সুন্নিরাই বেশিরভাগই বিশেষ করে ওহাবী, সালাফিরা চরমপন্থী, উগ্রবাদী। এরা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে মুসলমান বলে স্বীকার করে না । এজন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে যারা বিচক্ষণ ও শীর্ষ আলেম আছেন তারা যদি বসত হয়তো ব্যাবধানটা আরো কমে আসত। এরকম একটা উদ্যেগের কথা কয়েকদিন আগে পড়লাম । ইরানের ধর্মীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামী আর মালয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এরকম একটা উদ্যেগ নিতে আহবান জানিয়েছেন ।
মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারদের নিয়ে গঠিত ফতোয়া বোর্ড শিয়াদের জাফরি মাজহাবসহ মোট ছয়টি মাজহাবকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর এজন্য শিয়ারা হজ করতে পারে। মনে হচ্ছে আল আজহার বিশ্বদ্যিালয়ের ইসলামিক স্কলারদের চেয়ে আপনি অনেক বেশি জানেন ?
কথা হল এভাবে শিয়াদের বিরুদ্ধে ব্লগ পাবলিশ করলে কাদের লাভ এগুলো ভেবে দেখতে হবে । এই ব্লগটি পড়ে আমার মনে হয় না কেউ উপকৃত হবে বরং এই ব্লগের ক্ষতির দিকটাই বেশি । কারণ সমাজে অশান্তি বাড়বে, অস্থিরতা বাড়বে। জঙ্গীপনা বাড়বে যেমন হয়েছেন পাকিস্থানে।
তবে শেষ কথা-অনুরোধ রইলো । এইসবে সময় ব্যয় না করিয়ে কিভাবে মুসলমানদের জ্ঞান ও হিকমারপথে আনা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় , কিভাবে মুসলমনরা হারানো গৌরব ফিরে পাবে সেইসব নিয়ে পারলে দুচারটা ব্লগ লিখেন । বরং সেটাই অনেক কাজের হবে। আজকে শিয়া সুন্নি কে কাফের কে মুসলমান এইসব করে নিজেরাই নিজেদের মারছি, হত্যা করছি।
মাহাথির মোহাম্মদ তাই২০০৩ সালে ওআইসি সম্মেলনে ঠিকই বলেছেন । পশ্চিমারা যখন আমাদের আক্রমন করতে আসে তখন তারা দেখে আমরা মুসলমান । একই নবীর উম্মত কিন্তু তারা দেখেনা আমাদের মধ্যে কে শিয়া আর কে সুন্নি ।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আপনার মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ। দেখে এটা কোন বিচ্ছিন্ন লেখা না, এর আগে আমি একটা ব্লগ লিখেছি সেখানে তাদের আকিদা সাহাবী দের সম্পর্কে কি ধরনের টা উল্লেখ করেছি। আরও লিখব।
শিয়াদের নিজস্ব বই থেকে উদ্রিতি দিয়ে।
আর শিয়াদের হজ এর বিষয় টি, সেটা পুরটাই রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিক কারনেই এদের হজে যেতে দেয়া হয়।
কারন সৌদি সরকার নিজে সকলের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে তাদের ক্ষমতা পক্ত করতে চায়।
আচ্ছা আমার আপ কামিং ব্লগ টি পরার আমন্ত্রন রইল!!!
১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪২
বাঘ মামা বলেছেন: শিয়া সুন্নির সাথে ধর্ম মতবিরোধ আছে সেখানে আপনি আমাদের সাথে মিল খুজতে যাবেন কেন?
সয়ং আমাদের মধ্যেইতো নানা নিয়ম কানুন ব্যবধান। কেউ বলে গোল টুপি ঠিক,কেই বলে চুক্কা টুপি,কারো মতে পাগড়ি কালো ভালো,কেউ বলে সবুজ। কারো নাম কেয়ামি কারো নাম বেকেয়ামি,এমন করে শত ভাগ বিভক্ত এই আমরাই,সেখানে সম্পুর্ন ভিন্ন চিন্তার গোত্রের সাথে মিল খুজে পাবেন কিভাবে বলুন?
আমরা কোরাণে প্রাপ্ত নিয়ম মেনে চলি এটাই আমাদের জন্য মঙ্গল।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই সাহেব কোরআনে প্রাপ্ত নামাজের কোন নিয়ম নেই!!! সেখানে শুধু নির্দেশনা আছে!! নামাজ শিখেছেন সাহিহ হাদিস থেকে।
আর কুরআনের ও সাহিহ হাদিসের বাইরে যে জাই করুক না কেন আমল হিসেবে টা বাতিল। এটা তথাকথিত মুসলিম হোক, পীর বাবা হোক আর যে হোক
১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪২
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমার এক কলিক আছে, সে শিয়া! আমি তারে এই ছবিটা দেখালাম, সে বলল এমন করে সিজদা দিয়ে তারা নামাজ পড়ে না! আমাদের মত সিজদা দেয়!
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: হা অবশ্যই এ ভাবে তিনি নামাজ পরে না, কিন্তু একটা বিষয় আপনি জেনে রাখুন তারা তাদের এই বাতিল মতবাদে নতুন বিষয় আবিষ্কার করতে পটু।
আপনি আপনার কলিগ কে কিছু মৌলিক প্রশ্ন করুন।
যেমনঃ উমর, আবু বকর, উস্মান রাঃ তারা কি কাফের, কারন শিয়ারা তাদের কাফের বলে বিশ্বাস করে, জিজ্ঞেশ করুন কোরআন কয় পারা? সুরা বেলায়েত নামে কি কোন সুরা আছে নাকি? অবশ্য উনি যদি ওনার ধর্ম সম্পর্কে অবহিত থাকেন তাহলে
১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৫১
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পৃথিবীতে এত ধর্ম, আবার ধর্মের ভিতরে বিভিন্ন গোত্র, শাখা-উপশাখা ! খ্রিস্টান, ইসলাম, হিন্দু এবং এমনকি ইহুদী ধর্মেরও আছে বিভক্তি জায়নিজম আর জুডায়জম। খ্রিস্টানদের আছে ক্যাথোলিক, প্রোটেস্টাট, অর্থোডক্স ছাড়াও আরো অনেক। খ্রিস্টানদের বিভক্তির মত ইসলামেও আছে হরেক রকমের বিভক্তি। শিয়া, সুন্নি,খারেজী, দ্রুজ, আহমদিয়া, রাশাদিয়ান, আরো আছে ওহাবী, সালাফি, জাকের পার্টি, তাবলীগ ছাড়াও জানা না জানা অনেক। আবার ওহাবী বলে শিয়া কাফের, শিয়া বলে ওহাবী কাফের, সুন্নি বলে আহমদীয়া , রাশাদিয়ান কাফের, রাশাদিয়ান বলে শিয়া, সুন্নি উভয়ে কাফের।শিয়া, সুন্নি বলে খারেজী কাফের, খারেজী বলে এরা উভয়ে কাফের।শিয়া, সুন্নিদের কেউ কেউ বলেন সীরাতুল মুস্তাকীম মানে পীরের রাস্তা।ওহাবীরা বলেন এদের হত্যা করুন । এজন্য ইরাকে, পাকিস্থানে দেখবেন মসজিদে মসজিদে বোমা হামলা, মাজারে বোমা হামলা আর শিয়াদের ঘর থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে হত্যা করতেছে । এই তো গত রোববার মিশরে উগ্র সালাফিরা চারজন শিয়া মুসলিমকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেয়ে হত্যা করে আনন্দ উল্লাস করল !!! কেউ বলেন নবী (সা) নুর দিয়ে সৃষ্টি, কেউ বলেন উনি মানুষ মাত্র। এক দল বলেন নবী মুহাম্মদ (সা) হলেন হাজির নাজির আরেক দল বলেন এটা শিরকি।একদল বলেন আল্লাহ আরশ থেকে সিড়ি বেয়ে নামেন আর এক দল বলেন উনি আরশে থাকেন, আর এক দল বলেন আল্লাহর হাত, পা সবই আছে। মৌলভী ইলিয়াস মনে করেন তাবলীগ ছাড়া আর এর সাহায্যকারী ছাড়া আর কেউ মুসলমান নয়। এক দল বলেন, আল্লাহ সবসময় গায়েব জানেন না আর আর ওহাবীরা বলেন শয়তানের এলেম মুহাম্মদ (সা) এর থেকে বেশি।একদল বলেন নবী করিম(সা ইলমে গায়েবপ্রাপ্ত,আরেকদলের মতে নবী করীম(সা এর মত জ্ঞান চতুষ্পদ জন্তুরও আছে।
“একটা সময়ে আমার মনে হতো, আমার নিজের সবকিছু বুঝি সঠিক। যে আমার থেকে ভিন্ন, সে বুঝি সঠিক নয়। আস্তে আস্তে আবিষ্কার করলাম, জীবনটা গণিত নয়, আমার থেকে ভিন্ন হয়েও একজন সঠিক হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, জীবনের প্রশ্নের একটি মাত্র সঠিক উত্তর নেই, অনেক সঠিক উত্তর হতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস নিয়ে একসঙ্গে অনেকে যে সঠিক হতে পারে, সেটা যেদিন আমি আবিষ্কার করেছিলাম, আমি তখন খুব অবাক হয়েছিলাম।“
২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আপনার কমেন্ট পরে মনে হচ্ছে আমিও বিভ্রান্ত হয়ে যাব। যাইহোক যেখানে মতাদর্শ আছে সেখানেই বিভক্তি আছে. কিন্তু সবাই সঠিক নয়। কারন সত্য সব সময় এক ।।
এতো সকল বিভ্রান্তি থেকে বাচতে হলে আপনাকে কুরআন ধরে আগাতে হবে। তাহলে আপনি নিজেও বুজতে পারবেন কোনটা কি!!!
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার মনেয় হচ্ছে আপনি মারাত্মক ভাবে কনফিউস।
১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
আতা2010 বলেছেন: সামুর মোডারেটররা আমার নির্মম সত্যি লেখাগুলা ১ম পাতায় দেখায় না। তাই এভাবে দিলাম । কিছু মনে করবেন না
মেয়েরা নিজেরা টাইট ফিটিং বোরকা পড়লেও সে চায় না তার স্বামী দাড়ি , টুপী ওয়ালা হুজুর হোক
Click This Link
১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমি ভাবছিলাম , আপনি এই ব্লগটা ডিলিট করে দিবেন কারণ ব্লগটার শিরোনাম দিয়েছেন
দেখেন শিয়া ভণ্ড গুলা কি ভাবে নামাজের নতুন নিয়ম চালু করসে(সচিত্র)!!!!
অথচ ব্লগারের কমেন্ট থেকে এটা প্রমান হল যে তারা এভাবে নামাজ পড়ে না আর সিজদাও দেয় না । আপনি সেটা কমেন্টে স্বীকারো করেছেন । অথচ এই মিথ্যাচারের জন্য কোন দু:খ প্রকাশ ও ব্লগটা ডিলিটও করেননি যা ইসলাম পরিপন্থী ।আপনার ইসলামে কি এরকম মিথ্যাচারের সুযোগ আছে ? আমার তো তাই মনে হল । আপনার ইসলামে এভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করা মনে হয় জায়েজ । কি বলেন ?
ভুল শুধু তাদেরই আছে আমাদের নেই এধরণের মানসিকতাও একটা ভয়ংকর মানসিকতা !
আপনার বিভিন্ন কমেন্টের প্রেক্ষিতে আমি কিছু কথা বলব ।
আপনি বলেছেন আমি মারাত্মকভাবে কনফিউস ! হা হা হা হা.।
মানে হল আপনি আমার কমেন্টের মমার্থ বুঝতে পারেন নাই । আমি উপরে কমেন্টে যা বলেছি সবই সত্য । মানে মুসলমানরা এখন এরকম শতভাগে বিভক্ত । আবার কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি.।
শিয়া, সুন্নি,খারেজী, দ্রুজ, আহমদিয়া, রাশাদিয়ান, আরো আছে ওহাবী, সালাফি, জাকের পার্টি, তাবলীগ ছাড়াও জানা না জানা অনেক। আবার ওহাবী বলে শিয়া কাফের, শিয়া বলে ওহাবী কাফের, সুন্নি বলে আহমদীয়া , রাশাদিয়ান কাফের, রাশাদিয়ান বলে শিয়া, সুন্নি উভয়ে কাফের।শিয়া, সুন্নি বলে খারেজী কাফের, খারেজী বলে এরা উভয়ে কাফের।শিয়া, সুন্নিদের কেউ কেউ বলেন সীরাতুল মুস্তাকীম মানে পীরের রাস্তা।ওহাবীরা বলেন এদের হত্যা করুন । এজন্য ইরাকে, পাকিস্থানে দেখবেন মসজিদে মসজিদে বোমা হামলা, মাজারে বোমা হামলা আর শিয়াদের ঘর থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে হত্যা করতেছে ।
আপনি কোরান ও সহিহ হাদিসের কথা বলতেছেন ? এরা সবাই কোরান ও সহিহ হাদিস মানে ! আপনি শুধু আপনার হাদিসগুলোকে সহিহ বলবেন আর তাদেরগুলো ভুল এটা কোন যুক্তিসঙ্গ কথা নয় । কারণ হাদিস নিয়ে স্বয়ং সুন্নিদের প্রধান চার মাজহাবের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে , আছে মতপাথ্যক্য ।
যাইহোক, আমরা ঘটনাকালীন কেউ ছিলাম না । এখন ইতিহাস ও বিভিন্ন হাদিসের উপর আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে । কিন্তু হাদিস যেমন তাদের পক্ষে শিয়ারা দেখায় তেমনি সুন্নিরাও দেখায় তেমনি আবার ওহাবীরাও দেখায় । এমনকি সুন্নিদের মধ্যে চার মাজহাবেও বিভিন্ন ভিষয়ে মত পার্থক্য আছে এবং সেগুলোর জন্যও তারা আলাদা আলাদা হাদিস দলিল হিসাবে দেখায় ।
এই শিয়া সুন্নি দৃষ্টিতে দেখতে হলে এর উৎস নিহিত ছিল মুলত মুহাম্মদ (স) এর জন্মেরও আগে থেকে। কারণ তখনকার আরবরা তো নানা গোত্রে বিভক্ত ছিল ও তারা বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ করেছে । একমাত্র আমাদের নবী করিম (স) ই পারছিলেন সেই বিভক্ত আরব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী একটি জাতি হিসাবে দাড় করাতে যা ইতিহাসে তুলনাহীন কিন্তু পরিতাপের বিষয় আরবরা মুহাম্মদ (স) এর ইন্তেকালের পর সেই ঐক্য বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি । তারা মুসলমান হলেও যুদ্ধ করেছে আবার একে অপরের বিরুদ্ধে যা ছিল নিতান্তই ক্ষমতার লড়াই । সেই যুদ্ধগুলিতে হাজার হাজার রাসুলের সাহাবীও নিহত হয়েছেন ও তারা তলোয়ার ধরেছিলেন একে অপরের বিরুদ্ধে । অথচ ইসলামে বলা আছে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই । কোন মুসলমান যেন কোন মুসলমানকে হত্যা না করে । ইতিহাসের নিমর্ম বাস্তবতা হল রাসুলের সাহাবীরাও কিন্তু এক অপরকে হত্যা করেছেন । তাই এই শিয়া সুন্নি ঘটনাকে শুধু ধর্মের দৃষ্টিতে নয় রাজনৈতিক দৃষ্টিতেও দেখতে হবে।
১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: যাইহোক, শিয়া সুন্নির মুল পার্থক্য হল খিলাফত বা ইমামতে। কারণ শিয়ারাও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখ, হজ্জ করে, যাকাত দেয়, মুহাম্মদ (স) কে শেষ নবী ও রাসুল মানে । মুল সমস্যা হল খলিফা বা ইমাম নিয়ে রাসুল (সা) এরপর মুসলমানদের মধ্যে নেতা কে হবেন এই নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় । এই বিভেদ সৃষ্টি না হলে যেখানে ইসলামিক নিয়মে কোন মুসলমানের জানাজা ও দাফন দ্রুত করার নিয়ম সেখানে রাসুলের দাফন করা হয়েছে তিনদিনের দিন । নিশ্চয় বিভেদের বীজটা সেখানেই বপন হয়েছে। এর কোন ব্যাখ্যা সুন্নিরা দিতে পারবে না । শুধু বলে খিলাফত খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই । রাসুলের প্রাণপ্রিয় মেয়ে ফাতেমা (রা) মারা গেছেন রাসুলের ইন্তেকালের ছয়মাস পর আর আবু বকর (রা) মারা গেছেন দুবছর পর ও উমর (রা) মারা গেছেন ১২ বছর পর তাহলে ফাতেমা (রা) এর কবর কেন রাসুলের পাশে হল না অথচ আবু বকর (রা) ও উমরের (রা) এর হল ? যেখানে রাসুলের হাদিস অনুসারে মুসলমানদের খলিফার নির্দেশ পালন করা ফরজ সেখানে আলী (রা) যখন মুয়াবিয়া (রা) কে বরখাস্তের নোটিশ পাঠালো তখন মুয়াবিয়া (রা) তা পালন করলেন না কেন ? তাহলে তাকে কি বলা যাবে ? এখানে যদি বলেন ওসমান (রা) এর হত্যার বিচারের কথা তাহলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না । কারণ আলী (রা) এর সেই যোগ্যতা ও বিজ্ঞতা ছিল অপরাধী গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়ার । আর যদি না থাকত তাহলে তিনি খলিফার অযোগ্য ছিলেন ( নাউযুবিল্লাহ)। আমি এধরণের প্রশ্ন করতাম না । এরকম প্রশ্ন আরো আছে ।আপনি যেভাবে শিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন সেই প্রেক্ষিতে করলাম ।
আসলে মুলত দ্বন্দ্বটা হল উমাইয়া, আব্বাসীয় ও ফাতেমীর মধ্যে । ইতিহাস জানা না থাকলে পড়ে নিবেন। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দাই নবী (সা) এর প্রাণপ্রিয় চাচা বীর হামজা (রা) এর কলিজা বের করে চিবিয়ে খেয়েছিল।আর মুয়াবিয়য হলেন সেই আবু সুফিয়ানেরই পুত্র যারা ইসলাম গ্রহন করেছে মক্কা বিজয়ের পর। উসমান (রা) ও মুয়াবিয়া (রা) ছিলেন উমাইয়া বংশের আর আলী (রা) ছিলেন হাশেমীয় বংশের । পরবর্তীতে হাশেমীয়রা দুইভাগ হয়ে যায় । একভাগ হলেন ফাতেমীয় ও আর একভাগ হলেন আব্বাসীয়। তবে উমাইয়ারা দীর্ঘদিন মুসলমানদের শাসন করেছে।উমাইয়ারা নবী পরিবারের প্রতি ও আব্বাসীয়দের প্রতি চরম নির্যাতন করেছিল । এমনকি উমাইয়া খলিফারা মসজিদে জুম্মার নামাজের খুৎবায় নবী পরিবারের অভিশাপ বর্ষনের নিদের্শ দিয়েছিল । সেই নির্দেশ শেষ পর্যন্ত বন্ধ করেন উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রা)। আর হাদিস লেখা হয় উমাইয়া শাসকদের শাসনামলেই । তাই উমাইয়াদের পক্ষেই বেশি হাদিস থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। আর উমাইয়াদের পতন হলে আব্বাসীয়রা ক্ষমতায় আসে । আব্বাসীয় খলিফারা উমাইয়া খলিফাদের লাশ অথবা হাড় কবর থেকে তুলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল । তাহলে বুঝুন উমাইয়ারা কিরকম নির্যাতন করেছিল ! যাইহোক, নবীপরিবারের ঐ ফাতেমীয়দের অনুসারীরাই আজকে শিয়া মুসলিম নামে পরিচিত। এর মধ্যে ইয়াজিদ কর্তৃক কারাবালার কাহিনী তো আছেই ।
খারেজীরা বলে যেকোন মুসলমানই খলিফা হওয়ার যোগ্য, সুন্নিরা বলে খলিফা হবেন শুধু কুরাইশ বংশ থেকে আর অন্যদিকে শিয়ারা বলে খলিফা হবেন শুধু নবীর বংশ থেকে । এখন বলেন এতে দোষের কোথায় ? কারণ কারটা অথেনটিক এটা প্রমান করার উপায় নেই । কারণ হাদিস লেখা হয়েছে নবী করীম (স) এর মৃত্যুর কয়েকশত বছর পর । এতদিনে এই হাদিসগুলো মুখে মুখে ছিল । তাই হাদিসের বিকৃতি হওয়া স্বাভাবিক । আর নামাজ, রোজা, হজ্জ এগুলোতে তো বিশেষ পার্থক্য নেই । যা পার্থক্য আছে সেরকম পার্থক্য সুন্নিদের চার মাজহাবের মধ্যেও আছে।
আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শিয়াদের মধ্যে যেমন কিছু গলদ আছে তেমনি সুন্নিদের মধ্যেও আছে আর সুন্নিরাই বেশিরভাগই চরমপন্থী ।
আর একটা বিষয় বলেছেন যে শিয়ারা কতিপয় সাহাবীকে গালি দেয় । তবে আপনার জেনে রাখা ভাল সুন্নিদের মধ্যে যেমন অনেক গ্রুপ আছে তেমনি শিয়াদের মধ্যে অনেক গ্রুপ আছে। তো দু’একটা গ্রুপ বিচ্ছিন্নভাবে কি করল তারজন্য গোটা একটা সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা মোটেই ঠিক হবে না ।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী কয়েক বছর আগে একটা ফতোয়া জারী করেছিলেন যে মুসলমানদের জন্য রাসুলের সাহাবীকে গালি দেওয়া হারাম। আপনার যদি এটা জানা না থাকে তাহলে দয়া করে নেটে সার্চ দিবেন পেয়ে যাবেন।
শিয়ারা মনে করে মুসলমানদের খলিফা (ইমাম) হলেন নিষ্পাপ । আপাত দৃষ্টিতে এটা কটু মনে হলেও কিন্তু যেহেতু ওরা মনে করে মুসলমানদের খলিফা হবেন শুধু নবী পরিবার থেকে আর কোরানে নবী পরিবারকে নিষ্পাপ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
কোরানে সুরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে ...
”হে নবীর আহলে বাইত। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।”
মুসলমানদের খলিফা হবেন নিষ্পাপ সেই সুত্রে তারা আলীকেই প্রাধান্য দেয় । এর কারণ রাসুলের সাহাবীগণের মধ্যে একমাত্র আলীই সর্বপ্রথম শিশুকালেই মুসলমান হয়েছিলেন ।
আপনি সুরা বেলায়াতের উদাহরণ দিয়েছেন । এটা চরম শিয়া বিদ্বেষী প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশের কট্টর আহলে হাদিসের লোক ইরানে ছিলেন আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই কোরান বিষয়ক তথ্যটা । উনি বলেছেন আমি ইরান থেকে বাংলাদেশে কোরান নিয়ে যাই । কখনো আলাদা কিছু দেখি নি । এছাড়াও আমি আরো কয়েকজন ইরান প্রবাসীকে জিজ্ঞেস করেছি । আমার ফেসবুক বন্ধুদেরও যারা ইরানে আছেন অনেককে জিজ্ঞেস করেছি তারা সবাই একই উত্তর দিয়েছেন।আপনিও জিজ্ঞাসা করতে পারেন যারা ইরানে থাকে মানে বাংলাদেশী প্রবাসী।
শিয়া সুন্নি বিরোধ আসলে রাজনৈতিক এবং এবং এই বিরোধটা এখনো রাজনৈতিকভাবেই আছে। কারণ ইরান-সৌদির দ্বন্দ্ব এখনো আছে । দেখুন, শিয়া মুসলিমরা কিন্তু প্রতি বছর সৌদিতে হজ্জ্ব করতে যায় । ওরা যদি কাফের বা অমুসলিম হত তাহলে সৌদি কট্টর ওহাবী শাসকগোষ্ঠী নিশ্চয় শিয়াদের মক্কায় প্রবেশের অনুমতি দিত না । কারণ মক্কা প্রবেশে যে কোন কাফেরের জন্য নিষিদ্ধ । তাহলে কি সৌদি আরব পাপ করতেছে কাফেরদের মক্কা প্রবেশ করতে দিয়ে?
আপনি বলেছেন শিয়াদের হাজ্জ করতে অনুমতি দেওয়া রাজনৈতিক ! তাহলে বলব আপনি যেমন জানেন না ইতিহাস তেমনি বুঝেন না রাজনীতি। ইরান-সৌদির দ্বন্দ বিষয়ে আপনার সামান্যতম জ্ঞান নেই । আর আল আজহাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারসহ সুন্নি স্কলারদের চেয়ে আপনি অনেক বেশি জানেন । অথচ পোস্টের শিরোনামটাই দিয়েছেন মিথ্যার উপর ভিত্তি করে। না জেনেই, না শুনেই এরকম মিথ্যা তথ্য কে ছড়াতে পারে ?
আসলে সৌদি আরবের ওহাবী শাসক গোষ্ঠী শিয়াদের শিরককারী বলে অপ্রচার চালায় এর মুল কারণটা রাজনৈতিক । মধ্যেপ্রাচ্যে বিপূল সংখ্যক জনগোষ্ঠী শিয়া মুসলিম এমনকি সৌদি আরবেও ১৩% এরমত শিয়া মসুলিম । ইরানিদের প্রভাব যাতে সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলে না পড়ে এজন্য সৌদি আরব শিয়াদের বইগুলো নকল করে নিজেদের মনগড়া তথ্য অনুপ্রবেশ করে প্রকাশ করতেছে। এর একটা উদাহরণ দেই । ১৯৮৭ সালে মক্কায় সৌদি আরব ইরানি প্রায় ৩০০ হাজীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হাজীদের অপরাধ ছিল ওরা হজ্জ শেষে ইসরায়েল ও আমেরিকা বিরোধী স্লেগান দিয়েছিল । এই ঘটনা যখন সারাবিশ্ব জেনে যায় তখন সৌদি আরব তার সুন্নি প্রভাব কাজে লাগায় । সুন্নি কট্টরপন্থী মাওলানাদের দ্বারা অপপ্রচার ও হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করে শিয়ারা কেন কাফের এই শিরোনামে ! ইরান-ইরাক যখন যুদ্ধ হয় তখন গোটা আরব বিশ্ব , যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপ ইরাকের সাদ্দামকে সহযোগীতা করেছিল। কুয়েত, সৌদি কতশত বিলিয়ন ডলার ইরাকের সাদ্দামকে দিয়েছিল ইরানকে ধ্বংস করতে। সেসময়ও শিয়ারা ৫০ টা কারণে কাফের, ১০১ টা কারণে কাফের ইত্যাদি শিরোনামে সারা সুন্নি বিশ্বে বিতরণ করা হয়েছিল !
আর একটা তথ্য দেই । নিশ্চয় আপনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য মওলানা হাফেজী হুজুরের নাম শুনেছিলেন। তিনি ইরান ইরাক যুদ্ধ চলাকালীন ইরানে গিয়েছিলেন মুসলিম ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ বন্ধ করতে। সেসময় তিনি জুম্মার নামাজ ইরানের ইমাম আয়াতুল্লাহ খোমেনীর সাথে আদায় করেছিলেন !
আমি জানি আপনি বলবেন শিয়ামতবাদ প্রচার করেছেন ইবনে সাবা নামে একজন ইহুদী ! তাই না ? আসলে জানেন এইরকম একটা অভিযোগ শিয়াদের অনেকেই করে ওহাবীদের বিরুদ্ধে । ওহাবীরা হলেন ইসরায়েলের সৃষ্টি আর তাদের তাবেদার । তবে শিয়া মতবাদ ইহুদীর সৃষ্টি কিনা সেটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায় সৃষ্টি নয় কারণ বর্তমানে একমাত্র শিয়ারাই আমেরিকা ও ইসরায়েল বিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে যেমন ইরান ও হিজবুল্লাহ ও অন্যদিকে সৌদি, কাতার, তুরস্ক, জর্ডান, মিশর সহ সব সুন্নি শাসিত রাস্ট্রগুলি ইসরায়েল ও আমেরিকার দালাল । তাই শিয়াদের অভিযোগটা সত্য হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি । কারণ সৌদি আরব কখনোই ফিলিস্তিনিদের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিপক্ষে যায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি ।আর তারপরেও বলি ইহুদীরা যদি শিয়া মতবাদ সৃষ্টি করে থাকে তাহলে বলব ইহুদীরা মুসলমানদের জন্য খুব ভাল একটা কাজ করেছেন । কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে একমাত্র শিয়ারাই ইসরায়েল ও আমেরিকা বিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে। এরকম অভিযোগ প্রায় শোনা যায় অন্য মতবাদের ক্ষেত্রেও । যেমন অনেকেই বলেন তাবলীগ জামাত ব্রিটিশদের সৃষ্টি ।
শেষ কথা- । শেষবারও অনুরোধ করতেছি-এরকম ব্লগ লিখবেন না । তাদের ভুল ভ্রান্তি যদি থেকে থাকে এজন্য আলেমদের উদ্যেগ নিতে বলুন । তাদের সাথে পরামর্শ করা হোক। এজন্য আল আজহারসহ আরো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আছে । আছে ওআইসি, হাঁ, ইরান কিন্তু ওআইসির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বটে।
তাই হিংসা বিদ্বেষ না ছড়িয়ে এইসবে সময় ব্যয় না করিয়ে কিভাবে মুসলমানদের জ্ঞান ও হিকমারপথে আনা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় , কিভাবে মুসলমনরা হারানো গৌরব ফিরে পাবে সেইসব নিয়ে পারলে দুচারটা ব্লগ লিখেন । বরং সেটাই অনেক কাজের হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: