![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া গনজাগরনের সাথে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহুর্ত কোন না কোনভাবে জড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আজ ৩১ মার্চ বিকেল পর্যন্ত এতোটা কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নি, যা সন্ধের পর থেকে শুরু হয়েছে। কষ্ট নিয়েই বাসায় ফিরলাম। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা নতুন নয়, চেষ্টা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়ার দুই-তিনদিন পর থেকেই। সবই কাছে থেকে দেখা। তখন ব্যর্থ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আজ তারা সন্মুখভাগে চলে এসেছে। আর এই সামনে আসার জন্য মোক্ষম সুযোগ হিসেবে কাজে লাগালো তারা "শহীদ রুমী স্কোয়াড" এর ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আমরন কর্মসূচীকে। অথচ প্রথম দিনই "শহীদ রুমী স্কোয়াড" এর সমন্বয়ক নিলয় স্পষ্ট করে বলেছে, "গনজাগরন মঞ্চ" এর বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচী নয়, আমাদের কর্মসূচী "গনজাগরন মঞ্চ" এর কেবল সম্পুরক কর্মসূচী মাত্র। আর এই কথার উপরই মানুষ "শহীদ রুমী স্কোয়াড" এর ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আমরন কর্মসূচীকে সংহতি জানিয়েছে, জানাচ্ছে এখনো। "শহীদ রুমী স্কোয়াড" এর সাহসী যোদ্ধাদের এই কর্মসূচীতে কোন রাজনীতি ছিল না, নাই এখনো। মাতৃভূমির প্রতি নির্মল ভালোবাসা থেকেই তাঁরা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে যাত্রা শুরু করেছে মৃত্যুর পথে। অথচ সাহসী এই তরুন যোদ্ধাদের নির্মল দেশ প্রেমকে (যার মধ্যে কোন রাজনীতি নেই) পুঁজি করে, তাঁদের কর্মসূচীতে সংহতি জানানোর নাম করে গনজাগরন মঞ্চকে দ্বিখন্ডিত করার অপচেষ্টায়….শুরুর দিকের সেই অপচেষ্টাকারীরা শাহবাগে আজ আরেকটি মঞ্চের অবতারনা করলো। নাম দিল “গনজাগরন সাংস্কৃতিক মঞ্চ”। সেখান থেকে স্পষ্টকরে বিরোধীতা করা হলো গনজাগরন মূল মঞ্চের। আরো কষ্টকর যে দিকটা, তা হলো...মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা "শহীদ রুমী স্কোয়াড" এর তরুন যোদ্ধাদের কানের কাছে সাজানো মঞ্চে তারা সাউন্ড সিস্টেমের বিকট শব্দে গান-বাজনা চালালো সন্ধার পর থেকে। এটাকে কি বলে সংহতি? না মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা যোদ্ধাদের গলা টিপে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা? কষ্টে দাপাদাপি করলাম, দু-একজনকে বলারও চেষ্টা করলাম। কে শোনে এই নগন্য মানুষের কথা।
গনজাগরন মঞ্চের অনেক কিছু নিয়ে সমালোচনা-বিরোধীতা করার আছে, তাই বলে এইরকম আলাদা মঞ্চ করে? সত্যি কি আমরা জামাত-শিবির নিষিদ্ধ চাই? “গনজাগরন মঞ্চ” যদি একটি দলের ভোটের গুটি হয়, তাহলে “গনজাগরন সাংস্কৃতিক মঞ্চ” কোন দলের ভোটের গুটি? বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে উত্তরটা!
স্পষ্টকরে বলে রাখি শুনুন, আপনারা যে অপচেষ্টায় নেমেছেন সেটা কোন দিনই সফল হবে না। রুমী স্কোয়াডের যোদ্ধাদের সাথে আমরাও আছি, তবে সেটা গনজাগরন মূল মঞ্চের বিরোধীতা করে নয়। কোন হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যেও নয়। আমরা বিরোধীতা করি, সমালোচনা করি কিন্তু সেটা মূল মঞ্চকে ভুল শুধরে আরো শক্তিশালী করার জন্যে। মূল মঞ্চকে ভেঙ্গে ফেলার জন্যে নয়। পাশে থেকে ঐক্যের পেটে ছুরি চালানোর জন্যে নয়। কারন আমরা জানি, গনজাগরন মঞ্চের মাধ্যমে যে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে...একমাত্র সেই ঐক্যই পারে, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে বাধ্য করাতে। জয় আমাদেরই হবে, কোন অপশক্তিবাজদের নয়। জয় বাংলা।
***লেখাটা গত রাতের। নেট বিভ্রান্তির কারনে পোষ্ট দেয়া হয় নি। পরিবর্তন না করে ঐভাবেই দিলাম।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
চোরাবালি- বলেছেন: জামাত নিষিদ্ধ অতঃপর সকল জামাতিদের বাআল এ যোগদান
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
সজিব তৌহিদ বলেছেন: জামায়ত -শিবির আজকে নিষিদ্ধ করলে আগামী কালই তারা নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিয়ে রাজনীতি করবে। তাতে লাভ কি হলো মাঝ খান থেকে হুদাহুদি না খেয়ে কষ্ট করে...? তার চেয়ে বরং চেষ্টা করা উচিত ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা যায় কি সেটা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা..
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
খিয়ারি বলেছেন: কনকদা আপনার ছটফটানি আমার ভেতরে ও।
বলেন তো, কেন বাম রা যেখানে থাকে সেখানে এত এত বিভক্তি?
এই বিভক্তিতে গিয়ে বামদের ছেড়ে পালায় সাধারণ জনগণ।
ইস... এই দেশের বাম রা যদি একত্র থাকত!