![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।
সব বড় কিছুর পেছনে রয়েছে অসংখ্য ছোট’র অবদান । লেট মি এক্সপ্লেইন... তুমি আজ যে অবস্থানে আছো , তার জন্য শুধু মাত্র তুমিই দায়ী । আজ তুমি যদি খুব ভালো অবস্থানে থেকে থাকো বা খুব খারাপ অবস্থানে... তবে সেটার জন্য তোমার ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য নয়, তুমি নিজেই দায়ী । তোমার এই ভালো থাকা বা খারাপ থাকার পেছনে তোমার ছোট ছোট বিভিন্ন কাজগুলোই দায়ী । যে গুলো তুমি হয়তো বিগত কয়েক দিন থেকে করছো বা কয়েক মাস... অথবা কয়েক বছর থেকে। কিন্তু বিশ্বাস করো আর না করো , তোমার করা বিভিন্ন ছোট ছোট কাজই তোমাকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে । এই অবস্থানে তুমি এক দিনে আসনি... আর এমনিতেই আসনি ।
তোমার যেকোন পরিনতির জন্য শুধু তুমিই দায়ী... ইভেন তোমার অসুখের জন্যেও...
কি.. ?? কি বলছো তুমি? অসুখ তো আল্লাহ্ প্রদত্ত, এতে আমার কি করার আছে ?
হ্যা.. আছে , অনেক কিছুই করার আছে, আল্লাহ্ প্রদত্ত ঠিক আছে , কিন্তু মানুষের দায়ভারটাই বেশী... ঐ যে বললাম সব বড় কিছুর পেছনে রয়েছ অসংখ্য ছোট’র অবদান । বোঝনি না ? আবার লেট মি এক্সপ্লেইন...
আজ তোমার জ্বর এসেছে বা খুব ঠান্ডা লেগেছে , খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না? কিন্তু মনে করে দেখ ... গতোকাল তুমি বৃষ্টিতে ভিজেছিলে অথবা ফ্রিজ থেকে আস্ত একটা আইসক্রিম খেয়েছিলে...। বৃষ্টিতে ভিজতে খুব মজা লেগেছিল আর আইসক্রিমটা খেতেও... আজকের জ্বর বা ঠান্ডালাগা টা গতোদিনের মজারই ফল ।
তোমার আজ ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে... বিশ্রি একটা রোগ... ডাক্তার বললো এইটা খাওয়া যাবে না ঐটা খাওয়া যাবে না , এই করতে হবে সেই করতে হবে .. আরো কতো নিয়ম কানুন... অসহ্য... এতোসব কি মানা যায়? কিন্তু না এখন তোমাকে ডাক্তারের কথা মানতেই হবে ... না হলেই বুঝবে ব্লাড সুগারের ঠ্যালা কাকে বলে ... কিন্তু একসময় এতো নিয়ম কানুন না মেনে শুধুমাত্র সামান্য কিছু কাজ করলেই তোমার হয়তো আজ আর ডায়াবেটিস এর মুখ দেখতে হতো না । মনে করে দেখ...খুব আরামে দিন কাটিয়েছ তুমি, সেরকম কোন কায়িক পরিশ্রম তুমি করতে না , খাবার দাবারেও তোমার কোন বাধ বিচার ছিলনা। অাজকের ডায়াবেটিস তোমার একদিনের ফল না ... এখন কাজ সকাল বিকাল রুটি খাওয়া আর সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করা।
তোমার শরীরে ধরা পড়েছে একটা টিউমার । ডাক্তার বললো অপারেশন করতে হবে । এখন তুমি বলতে পারো এই টিউমারের জন্য তো আমি কোন ভাবেই দায়ী না । এটা কেন হলো ..?? কিন্তু এর জন্যও তুমি মহাশয়ই দায়ী । মনে করে দেখ... মুখরোচক খাবার ছিল তোমার খুবই প্রিয়... সারাদিন ভাজাপোড়া ... এইটা ওইটা খেয়েই চলতে... ডাক্তাররা বলেন বেশি মশলাদার, তৈলাক্ত, ভাজাভুজি, চর্বিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে টিউমারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন কি বলবে তুমি?
শেষ পর্যন্ত আজ তোমার বিশাল বড় একটা অসুখ ধরা পড়েছে... ডাক্তার বললো ফুসফুসে ক্যান্সার । বাঁচার উপায় খুবই কম। কিন্তু বিগত ১০ বছর তুমি ধূমপান করেছ...প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতো “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়” বা “ধূমপান ক্যান্সারের কারণ” কিন্তু তুমি তা বিশ্বাসই করতে না । আজ এটা তারই ফল ।
এরকম আরো অনেক কিছুই বলা যায় । তুমি মানো আর না মানো , বিশ্বাস করো আর না করো ... তোমার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য তুমিই দায়ী । আর ফলটাও তোমাকেই ভোগ করতে হবে । আর যদি তা করতে না চাও তবে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাও... কারণ সব বড় কিছুর পেছনেই রয়েছে তোমার অনেকগুলো ছোট ছোট কাজের অবদান ।।।
© কনক ২০১৫
আরোও পড়তে পারেনঃ
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বনাম আমাদের মানুষিকতা
জ্ঞানের কোন সীমারেখা নেই
ফেসবুকে আমিঃ Káñàk The-Bøss
©somewhere in net ltd.