নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামহয়্যারইনব্লগ এর আর তেমন কোন জনপ্রিয়তা নেই..আর তেমন কেউ পড়েও না... তাই এই ব্লগেই আমার লেখাগুলো প্রকাশ করা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ মনে করছি...

মোঃ কামরুজ্জামান কনক

জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।

মোঃ কামরুজ্জামান কনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ এবং আমরা বাঙালী

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৫


সারাদিন পহেলা বৈশাখ এর জ্বরে কাঁপছিল ফেসবুক, এমনকি এখনো কাঁপছে। সারা বাংলাদেশ থেকে কয়েক কোটি ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ফেসবুককে ধন্য করেছি আমরা। আর একটা জিনিস সারাদিন খুব চোখে পড়লো সেটা হলো পহেলা বৈশাখ পালনটা কি ইসলামিক দিক থেকে ঠিক না ভুল। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও সমালচনা চলতেই আছে। এমনকি আমাদের প্রধান মন্ত্রীও পহেলা বৈশাখ এর সাথে ধর্মকে মেশাতে নিষেধ করেছেন।

আসলে জিনিসটা কেমন হওয়া উচিত? মুসলমানদের কি আসলেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা উচিত না অনুচিত?? পহেলা বৈশাখ পালন করাটা দোষের কিছু নয় অবশ্যই পালন করা যাবে তবে একটি জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে, সেটা হলো আমরা বাঙালী হওয়ার আগে একজন মুসলিম। এক্ষেত্রে হিসাব একদম সহজ। এতো আলোচনা-সমালোচনার কোনই দরকার নেই। পহেলা বৈশাখ এর মঙ্গল শোভাযাত্রার কথায় আসি। মঙ্গল শোভাযাত্রাটা কি? পহেলা বৈশাখ এর সকালে মঙ্গল লাভের আশায় বিভিন্ন পশুপাখির প্রতীকি অবয়ব, তাদের মুখোশ, ছবি বা প্রতিমা ব্যবহার করে ঢাক-ঢোলের তালে তালে মিছিল বের করা এবং এটাও বিশ্বাস করা যে এগুলোর মাধ্যমে বাঙালীদের উপরে বয়ে আসবে মঙ্গল। এই জাতীয় বিশ্বাস করাটা এবং এই সমস্ত কাজ করাটা অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক । তাই এটা কবিরা গোনাহ্। কারণ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ভাবে মঙ্গল কামনা করা বা মঙ্গল বয়ে আসবে এমনটি ভাবা অবশ্যই গোনাহের কাজ। এটা মুসলিম মাত্রই বোঝা উচিত। আর তারপরে আর একটি জিনিস লক্ষ করতে পারেন, সেটা হলো এই সমস্ত প্রতীকি অবয়ব গুলোর প্রায় সব গুলোই হিন্দু দেব দেবীরদের বাহন। যেমন প্যাঁচা হচ্ছে লক্ষীর বাহন। তারপরে ষাঁড় হচ্ছে শিবের বাহন। হাঁস হচ্ছে সরস্বতীর বাহন। সিংহ দুর্গার বাহন। ময়ূর কার্তিকের বাহন। আরো সব গুলোই কোন না কোন হিন্দু দেবদেবীর বাহন। এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবেই এগুলোকে মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে দেখে। তাহলে পশুপাখি তো আরো ছিল দেশে তাই না? বেছে বেছে এই গুলোই কেন আমাদের সাংস্কৃতিতে ঢোকানো হয়েছে এটাও একটা প্রশ্ন? বছরের পরে বছর ধরে এগুলো আমাদের পহেলা বৈশাখ এর সাংস্কৃতিতে ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছে। আর পহেলা বৈশাখ এর নাম করে অন্য ধর্মের রীতিনীতি গুলো মুসলমানেরা পালন করছে। আর যে পশুপাখিই হোক না কেন, যে কোন প্রাণীর মূর্তিই তো ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ তাই না? তাই আপনি চাইলেই যেহেতু এগুলো মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে বাদ দিতে পারবেন না তাই এরকম কোন মিছিলে অংশ নেওয়াটাও অবশ্যই ঠিক না। এরকম কিছু কিছু জিনিস এড়িয়ে চলে পহেলা বৈশাখ পালন করাটা মোটেও দোষের কিছু নয়। ইসলাম কখনো আনন্দ বিনোদন এর পথে বাধা দেয়না... তবে ইসলামে নিষিদ্ধ জিনিস গুলোকে নিয়ে আনন্দ বিনোদন করাটা কতোটুকু যৌক্তিক সেটা অবশ্যই একজন মুসলিম হিসেবে আপনার জানা উচিত।

এখন আপনি যদি মনে করেন যে ধর্ম ধর্মের যায়গাতে আর উৎসব উৎসবের যায়গাতে। আমি উৎসব আমার ইচ্ছা মতোই পালন করবো। ধর্মকে এর মধ্যে জড়িয়ে পরিপূর্ণ আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবো না। তবে আমি বলবো গোনাহ্ গোনাহের যায়গাতে, আর মরার পরে বাঁশ গুলোও আপনার যায়গা মতোই যাবে। তাই মেনে চলা বা না চলাটা একান্তই আপনার নিজের বিষয়। মনে রাখবেন আপনার কৃতকর্মের ফলগুলো আপনাকেই তো ভোগ করা লাগবে তাই না? আর বছরে একটি দিনের জন্য বাঙালী সেজে অবশ্যই আপনি এরকমটা হোক তা চাইবেন না। তাই কিছু কিছু জিনিস বাদ দিয়ে অবশ্যই নববর্ষ পালন করুন, পান্তা-ইলিশ খান বা না খেয়েও পান্তা-ইলিশের ছবি ফেসবুকে আপলোড দেন । কেউ নিষেধ করবে না।


সবাইকে পহেলা বৈশাখ এর শুভেচ্ছা ! শুভ নববর্ষ ।

ফেসবুকে আমি - Káñàk The-Bøss

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ছাগল চিন্তাধারা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১১

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: ছাগলেরা চিন্তা করতে পারে না... যেমনটা আপনি চিন্তা না করেই একটা মন্তব্য করেছেন। আসলে আপনাকে ছাগলের সাথেও তুলনা করা উচিত না, তাহলে এই ছাগল প্রজাতিরও অসম্মান করা হবে।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৪

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নিলয় বলেছেন: সহমত

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ কেন প্যাচা মেচার মুখোষ ইত্যাদি পরছে, সেটা বুঝা মুশকিল; এদের মগজে তেমন সুন্দর কোন আইডিয়া নেই হয়তো, বা তারা বিদেশী হালুইন মালুইন'কে বানরের মতো অনুসরণ করছে।

তবে, মানুষ এগুলো না করলেও, আপনার মতো মানুষ ১লা বৈশাখের বিপক্ষে যাবেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: চাঁদগাজী আমি জানি আপনার মতো মানুষও নিজেকে যতোটা স্মার্ট মনে করে ততোটা আসলে তারা হয়না। সেটা আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটা পড়েই আমি বুঝলাম। আমার লেখাতে আমি কোথাও ১লা বৈশাখের বিপক্ষে এই কথাটা লিখিনাই। বরং আমি শুধু বলেছি কয়েকটা জিনিস বাদ দিয়ে পহেলা বৈশাখ পালন করাটা মোটেও দোষের কিছু নয়। আপনার মন্তব্য করার আগে অবশ্যই পুরো লেখাটা পড়া উচিত ছিল। নেক্সট টাইম অন্তত আমার পোস্টে মন্তব্য করার আগে এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

শোভ বলেছেন: "আমরা বাঙালী হওয়ার আগে একজন মুসলিম "--------আমি আপনার এই কথাটা মানতে পারলাম না । আমরা বাঙালী হওয়ার আগে কি ভাবে মুসলিম হলাম ? ৭১১ সালে হাজ্জাবিন ইউছুফের মাধ্যমে ভারতে ইসলাম ধর্ম আসে । বাঙালীজাতি আরো আগে থেকেই ছিল । বাংলা সন প্রবরতন করেন সম্রাট আকবর তিনি একজন মুসলিম । আপনার মত মানুষদের কারণে সমাজে ধর্মিয় হানা হানি বাড়ছে ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: হা হা হা, আপনার মন্তব্যটা পড়ে না হেসে পারলাম না। কেনই বা কথাটি মানবেন বলুন? "আমরা বাঙালী হওয়ার আগে একজন মুসলিম " এই কথাটার অর্থ বোঝার মতো ক্ষমতা আপনার নেই। যদি থাকতো তবে এরকম একটা ফালতু মন্তব্য আমার পড়তে হতো না আর উলুবনে মুক্তও ছড়ানো লাগতো না। আপনি আবার নিজেই বলছেন বাংলা সন প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর তিনি একজন মুসলিম। আসলে আমার কথাটি বোঝার চেষ্টা করুন। যিনি প্রকৃত মুসলিম তিনি শুধু বাঙালী না, যে কোন কিছুর আগেই তিনি মুসলিম। এর সাথে কবে বাংলাতে ইসলাম এসেছে তার কোন সম্পর্ক নেই.... বাদ দেন, আপনার এই গুলো মাথাতে ঢুকবে না। আপনি বরং বসে বসে মুড়ি খান। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

নিঝুম ময়ূখঈ বলেছেন: আসলে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি মুসলিমদের মাঝে যেভাবে অনুপ্রবেশ করে, মুসলিম সংস্কৃতি অন্য ধর্মে সেভাবে প্রবেশ করতে পারে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। আসলে মুসলিম সংস্কৃতি এতোটাই উন্নত যে সেটা অন্যান্য ধর্মের সাথে মিশলেও সেটা তারা গ্রহণ করতে পারবে না। কারণ গ্রহণ করলে তাদের ধর্মের আর কোন অস্তিত্বই থাকবে না।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

শোভ বলেছেন: আমি মুড়ি খাব না চিড়া খাব সেটা আমার উপর ছেড়ে দিন । নিজকে মহা পন্ডিত ভাবা থেকে বিরত থাকুন ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আমি নিজেকে পন্ডিত ভাবি না, কিন্তু আমার লেখাতে মন্তব্য করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মহা পন্ডিত হতে হবে। না হলে আপনি সেই রকম ধরা খাবেন। কারণ আমার লেখা গুলো আপনার মতো মানুষের মাথার ভিতর দিয়ে নয় উপর দিয়ে যাবে। তাই আগে নিজে পন্ডিত হন তারপরে মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.