![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।
ইদানিং বিভিন্ন ভারতীয় বাংলা এবং হিন্দি সিনেমাগুলোতে “ইসলামিক” দৃশ্য দেখানোটা তাদের একটা নিয়মিত স্টাইলে পরিনত হয়ে গেছে। গল্পের প্রয়োজনে হোক আর না হোক, সুযোগ পেলেই তারা এটা করবে। এই যেমন, সিনেমাতে নায়ক বা নায়িকা বিপদে পড়েছে বা কোন কিছুর সমাধান হচ্ছে না। তারা আল্লাহ্’র কাছে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দোয়া করবে বা নামাজ পড়বে বা দূর থেকে আযান এর ধ্বনি ভেসে আসবে, তারপরে সেই শব্দ শুনে আল্লাহ্’র কাছে মাথানত করবে, আল্লাহ কে তার ফরিয়াদ শোনাবে। নায়ক হিন্দু হোক, মুসলিম হোক কিনবা যা-ই হোক না কেন, সেটা কোন ব্যাপার না, সরাসরি আল্লাহ্ তা’লার কাছেই সাহায্য চেয়ে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম শুরু করবে।
এগুলো যেগুলো করে বা করা হয়, করতেই পারে সেটা, ইসলামকেও সিনেমার পর্দায় টেনে নিয়ে যেতেই পারে, এটা সমস্যা না… কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়তে। সিনেমার পর্দায় যেভাবে ইসলামিক পরিবেশ তৈরী করা হয় বা ইসলামকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় সেটা আসলে কতোটুকু সঠিক?
ইসলামকে সিনেমা’তে ফুটিয়ে তোলার জন্য বা ইসলামিক পরিবেশ তৈরী করার জন্য অধিকাংশ সময় একটা মাজার দেখানো হয়, মাজারে গিয়ে নায়ক বা নায়িকা দুই হাত উঁচু করে দোয়া করে বা মোনাজাত করে, কখনো কখনো সেজদাহ করে। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায়, একদল মানুষ মাথাতে টুপি পরে মাজারে বা এরকমই কোন জায়গাতে বসে ঢোল-তবলা নিয়ে কাওয়ালী গান শুরু করে… সিনেমার নায়ক বা নায়িকা সেখানে গিয়ে সেই গানের মধ্যে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করে বা নিজেরাই গান শুরু করে। ইসলামিক অনুষ্ঠান বলতে দেখানো হয়, নিজের পিঠে নিজেই ছুরি দিয়ে বা দাররা মেরে আঘাত করে রক্তাত করে ইসলামের উৎসব পালন করা হচ্ছে। মাজারে গিয়ে গাছের সাথে বা মাজারের দেয়ালে সুতা বেধে মোনাজাত করা হচ্ছে। ইসলাম বলতে সিনেমাতে এগুলোকেই বোঝানো হয়।
আমি জানি, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অনেক জায়গাতেই ইসলামকে না বুঝে বা না জেনে এভাবেই পালন করা হয়ে থাকে, এমনকি বাংলাদেশেও এমন অনেক গোষ্ঠি বা সমাজ আছে যেখানে ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয় এবং পালন করা হয়। কিন্তু এটা তো ইসলাম না, ইসলামে যেগুলো নিষিদ্ধ সেগুলোকেই ইসলামিক কালচার হিসেবে তুলে ধরে সিনেমাতে প্রচার করাটা কি আসলেও মেনে নেওয়ার মতো কোন বিষয়? ইসলাম যে জিনিসগুলোকে সাপোর্ট করে না বা যে গুলো করা ভুল সেগুলোকেই শুধু সিনেমাতে ইসলাম বলে তুলে ধরা হয় কেন? আর সাধারণ জনগন হরহামেশাই সিনেমাতে ওগুলোতে দেখে এসে মনে করে এগুলোই বোধহয় ইসলাম। ইসলাম ধর্ম হয়ত সবাই এভাবেই পালন করে থাকে। কিন্তু আসলে কি এটা ঠিক?
আর এ তো গেল ইসলামকে সিনেমাতে উপস্থাপন এর বিষয়, এর পরে আর একটা লক্ষনীয় বিষয় যেটা না বললেই নয়, তা হলো সিনেমাতে গান বাজনার মধ্যে ইসলামের ব্যবহার। এই জিনিসটা ইদানিং সময়ে এতোই বেশী হচ্ছে যে বিভিন্ন আইটেম সং-এর মধ্যেও ইসলামকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গানের লিরিক্স থেকে শুরু করে মিউজিক, সব কিছুতেই ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমি জানি না এখনকার সময়ে এমনটা কেন এত বেশী করা হচ্ছে কিন্তু কেন জানি এগুলোকেও আমার কিয়ামতের পূর্বলক্ষণ বলে মনে হচ্ছে।
ফেসবুকে আমিঃ মোঃ কামরুজ্জামান কনক
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমিও একমত যে সিনেমা দিয়ে ধর্মকে বিচার করা যাবে না। আর আমি সেটা করিওনি... তবে আমি যেটা এখানে বোঝাতে চেয়েছি সেটা বোঝাটাও জরুরী। সিনেমা হলো আমাদের সাংস্কৃতির প্রতিফলন অর্থাৎ আমরা যা করি বা যেভাবে চলি সেসবই তো দেখানো হয়ে থাকে, সাইন্সফিকশন মুভিগুলো বাদে অবাস্তব কিছুই বাংলা বা হিন্দি মুভিগুলোতে দেখানো হয়না... যেগুলো বাস্তব, গল্পতেও সেটা সেভাবেই দেখানো হয়, সেখানে যদি ইসলামিক কিছু দেখানোও লাগে তবে সেগুলোই কেন দেখাতে হবে যেগুলো ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে? সঠিক ভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করানোতে তারা কি ব্যার্থ নাকি সেটা গেলেও সবাই ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেই বেশী মজা পায়?
বাস্তব এবং সিনেমা এক না কিন্তু অধিকাংশ সিনেমার গল্পই বাস্তব থেকে আসে। ব্যাপারটা ভুলে গেলে চলবে না।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: গত পরশু দেখলাম সারেগামাপা'র অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে এভাবে- প্রথমে আজানের প্রথম লাইনটা নেপথ্যে শোনা গেল, তার সাথে স্টেজে একজন মিউজিশিয়ান হালকা তালে মিউজিক করছে। আজানের প্রথম লাইনটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ওই মিউজিশিয়ান শঙ্খ বাঁজালো, এরপর গীতার কিছু অংশ বললো---- এই রকমভাবে...
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
আরোগ্য বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের সাথে সহমত।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: দর্শক যা খাবে সেটাই তো সিনেমাওয়ালারা দেখাবে। মাজারে নাচানাচি এখনও দর্শকের প্রধান চয়েস তাই ওটাই আমরা দেখি ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আমরা তা-ই দেখি যেটা দেখানো হয়, আমাদের দেখার উপরে তাদের দেখানো নির্ভর করে না।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
হাবিব বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব এবং সিনেমা এক না।
ঠিক সেভাবে সিনেমা দিয়ে ধর্মকে বিচার করা যাবে না। সহমত।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমিও একমত যে সিনেমা দিয়ে ধর্মকে বিচার করা যাবে না। আর আমি সেটা করিওনি... তবে আমি যেটা এখানে বোঝাতে চেয়েছি সেটা বোঝাটাও জরুরী। সিনেমা হলো আমাদের সাংস্কৃতির প্রতিফলন অর্থাৎ আমরা যা করি বা যেভাবে চলি সেসবই তো দেখানো হয়ে থাকে, সাইন্সফিকশন মুভিগুলো বাদে অবাস্তব কিছুই বাংলা বা হিন্দি মুভিগুলোতে দেখানো হয়না... যেগুলো বাস্তব, গল্পতেও সেটা সেভাবেই দেখানো হয়, সেখানে যদি ইসলামিক কিছু দেখানোও লাগে তবে সেগুলোই কেন দেখাতে হবে যেগুলো ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে? সঠিক ভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করানোতে তারা কি ব্যার্থ নাকি সেটা গেলেও সবাই ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেই বেশী মজা পায়?
বাস্তব এবং সিনেমা এক না কিন্তু অধিকাংশ সিনেমার গল্পই বাস্তব থেকে আসে। ব্যাপারটা ভুলে গেলে চলবে না।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমা! একি কথা!
আপনি সিনেমাকে নাজায়েজ ফতোয়া দিলে এর বাইরে কি আর হবে?
সধারন জ্ঞানহীন ধর্মীয় নেতৃত্বের কাছে ধর্ম জিম্মি থাকলে এমনি হয়।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইসলামের ভুল ম্যাসেজ দেওয়া হয় এভাবে
আসলে এটানিয়ে ভাবালোক খুব কম।
সিনেমাতে কিন্তু অন্যান্য ধর্মের মূল ম্যাসেজটা ঠিকই দেওয়া হয়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: হ্যা... আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
ফেইরি টেলার বলেছেন: সিনেমায় সুফী ইসলাম দেখানো হয় । দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিনেমার দৃশ্যে অশ্লীলতার আশ্রয় নেয়া হয় যা পরিবর্তন করা উচিত ।
কিন্তু সুফী জিকর হারাম না। এই চেচেন সুফি জিকিরটি দেখুন
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব এবং সিনেমা এক না।
ঠিক সেভাবে সিনেমা দিয়ে ধর্মকে বিচার করা যাবে না।