নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এদেশে সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই

আমি বাংলার...।

আফজাল বাঙ্গাল

আসুন আমারা মানুষের পরিচয়ে বেঁচে থাকি।

আফজাল বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্নীতির আখড়া নওগাঁর বিআরটিএ অফিস

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৪



এদেশের মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই আইনের প্রতি শ্রোদ্ধাশীল। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতা আর প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মিদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারনে মানুষ আইন এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। সে রকম একটা বিষয় মটরযান নিবন্ধন ও মটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্স। ২০১৫ সালের শুরুতেই পুলিশ প্রশাসন সারকারের নিদের্শে মটরযান নিবন্ধন নিয়ে বেশ তৎপর হয়। মানুষ এই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বিআরটিএ এর কাছে লাইন ধরে ধরনা দিতে শুরু করেন। এই সুযোগে বিআরটিএ নওগাঁ সার্কেল ব্যাপক দুর্নীতির ফাঁদ পেতে বসে। শুধু তাই নয় এদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় জেলার বিভিন্ন মটরসাইকেল শো-রুম ও সেলস সেন্টারের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের। তাদের কাছে উপরি টাকা না দিলে কোন ভাবেই মটরযান নিবন্ধন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্ভব নয়।
বিশেষ করে মটর সাইকেল নিবন্ধনে সরকারী ফির অতিরিক্ত ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা, আর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ৩-৪ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে না চাইলে ৬ হাজার। আর কাগজ পত্রের যদি কোন ত্রুটি থাকে যেমন ভ্যাট দেওয়া নেই, অনারশীপ চেঞ্জ, বা অন্য জেলা থেকে কেনা ইত্যাদ্দী তবে সে ক্ষেত্রে আরো কিছু আলাদা। এদেশের মানুষ এখনও ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে বিরোধীতা বা তেমন কোন অন্যায় মনে করিনা করিনা। যদি ঘুষ দিয়ে আমার কাজটা সঠিকভাবে হয় তবে ঘুষ দিতেও আমারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আমি নিজে ৪ আগস্ট ২০১৫ সালে আমার মটর সাইকেল নিবন্ধনের জন্য টাকা জমা দেই। কিন্তু ২০১৭ সালেও আমি নিবন্ধন সম্পন্য করতে পারিনি। ২০১৭ সালে ১১ ফেব্রুয়ারী আমাকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসের ২ তারিখ ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেবার কথা জানিয়ে এসএমএস করা হয়েছে। কিন্তু সেটা নেবার জন্য তিনদিন গিয়েছি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) নওগাঁ সার্কেল, নওগাঁর সহকারী পরিচালক(ইঞ্জিঃ) এর কার্যালয়ে।
একদিন বলে লোক আসে নাই। গত সপ্তাহে গেয়েছি সিরিয়াল পাইনি। গত বৃহস্পতিবার গিয়েছি বলে আপনি যানেন না আজ বৃহস্পতিবার। এর মানে হচ্ছে আমি ঘুষ দিয়ে তদবির করিনি। আরো আশ্চর্যের বিষয় আমার মটর সাইকেলের নিবন্ধন স্মার্টকার্ড দেলিভারির সম্ভব্য তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৮। অপর পক্ষে যারা ঐ বিআরটিসি কে ঘুষ দিয়েছে তাদের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ৪ আগস্ট ২০১৫ তে একটি মটর সাইকেল নিবন্ধনের টাকা জামার দেবার পর সেটা সম্পন্ন হতে যদি তিন বছর লেগে যায় তবে সরকারের মাঠ প্রসাশন কি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে দায়ীত্ব পালন করছে বলে আমরা মনে করবো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: না ভাই, এদেশের মানুষ সাধারণত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, বরং লাঠির প্রতি ভীতিশীল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.