নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Jinnatul Hasan Blog | জিন্নাত উল হাসান ব্লগ

আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।

হাসান

আমার নাম হাসান, পুরো নাম জিন্নাত উল হাসান। ২০০৫ সালের অক্টোবরে এসেছি লন্ডনে। আপাতত মাস্টার্স শেষ করে একটা বহুজাতিক কোম্পানীতে ওয়েবমাষ্টার হিসেবে র্কমরত আছি। কম্পিউটার নিয়ে আমার কাজ সারাদিন। ওয়েবসাইট বানাই, ব্লগ লিখি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করি … দিন কেটে যায়। সার্চ ইঞ্জিন, বিশেষ করে গুগল, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং আর ইন্টারনেটে আয়ের উপায় নিয়ে পড়তে ও লিখতে ভালবাসি। আর অর্জিত জ্ঞানগুলো ঝাড়ি বিভিন্ন ব্লগে।

হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেমস'এর পারে তিন পাগল (দ্্বিতীয় খন্ড)

১৯ শে জুন, ২০০৬ বিকাল ৩:৪৯

প্রথম খন্ডের পর ... কোনো রূপ ভূমিকা ছাড়াই।



আমি সারা সপ্তাহে বেড়ানোর কোনো সময়ই পাই না। তাই ওই দিন হঠাৎ করেই বাকি দুজনকে বলেছিলাম চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি। বেশ গরম ছিল, তার উপর পাগলা পানি পড়ায় ওরাও কিছুটাআবেগী হয়ে উঠেছিল। তাই টাওয়ার ব্রীজের দিকে যাওয়া।



এই দেশে মানুষ সাতটা আটটা না বাজতেই নাক ডাকতে শুরু করে। মাঝে মাঝে যখন কাউকে বলি আমি রাত দুটায় ঘুমাতে যাই, তখন চক্ষু দুটো কপালে তুলে বলে তাহলে ওঠো কয়টায়?



বাসা থেকেই বেড়ালাম সোয়া এগারোটায়।



কয়েকদিন ধরেই ছবি তুলতে খুব ইচ্ছে করছিল, তাই অফিসের ডিজিটাল ক্যামেরাটা সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। পটাপট কয়টা ছবি তুলে ফেললাম, দু-একটা বেশ ভালও এসেছিল। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো যখন নিজের ছবি তোলার পর্ব এল। সঙ্গী দুইটাই ইষৎ টাল, হাত কাপেঁ। মাথা আর মুখ পৃথক করা যায় না। প্রায় দশ/বারো স্টাইলে দাঁড়ানোর পর একটা ছবিতে নিজেকে খুঁজে পেলাম। তাইসই .. বাকিগুলো টেমস আর তার আশেপাশের ছবি।



দূরে লাল একটা সেতু দেখা যাচ্ছিল। আরিফ বলল ওইটাই নাকি লন্ডন ব্রীজ। ঠিক করলাম আগামী সপ্তাহে ওইখানে ঘুরতে যাব।



টেমস নিয়ে কত কবিতা, গল্প আর উপন্যাস, আর এই টেমসরই পার বাধাঁ আর যান্ত্রিকতা এনে নদী থেকে ড্রেনে পরিনত করেছে। রেলিং ঝুঁকে যখন পানির দিকে তাকাচ্ছিলাম তখন কিছুটা দর্ূগন্ধ নাকে এল। আমাদের দেশের নদীগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ভাবতে অবাক লাগলো এই দেশেও নদীর এই অবস্থা।



আসলে এই টেমসের পানিই আমরা পান করি। আবার সব বজর্্যই নাকি টেমসে ভেসে যায়। সত্যি মিথ্যা জানি না।



টাওয়ার ব্রীজ থেকে অল্প দূরে লন্ডন আই। বিশাল নাগরদোলা। বহুদিন আগে ওটা কাছ থেকে দেখে এসেছিলাম। তখন পকেটে পয়সা ছিল না, তাই আগ্রহও পাই নাই। আর এখন ব্যস্ততা সুযোগ দেয় না। অথচ এই চাকুরির জন্য এক সময় লন্ডনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি। তখন মনে হতো একবার চাকুরি পেয়ে নেই তখন না হয় ঘুরবো।



বেশ কিছুক্ষন ওখানে ছিলাম, ঘড়ির কাঁটা দৌড়াচ্ছে। আগামীকাল অফিসে যেতে হবে। নিজেকেই নিজে তাড়া দিলাম। ফিরতে ইচ্ছা করছিল না, তবুও চমৎকার একটা রোমান্টিক জায়গা থেকে ফিরে আসতে হলো। আজকাল প্রায়ই বড় একা একা লাগে, আর অমন একটা নিশ্চুপ পরিবেশে বুকের মাঝে হু হু করে উঠল



ক্রমাগত ...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০০৬ রাত ১০:০৬

অতিথি বলেছেন: শোনো মিয়া রাইতে ঘুরা বাদ দাও। কোন দিন আইয়া কোবানি দিবো সোজা হইয়া যাইবা-

২| ২০ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৫:০৬

অতিথি বলেছেন: কোবানি না কোরবানি?

৩| ২০ শে জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬

ম. রহমান বলেছেন: আরে কোবানি বুঝলানা... দিলে বুঝবা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.