নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান কে ছিল?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ২২ দিন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান কে ছিল?



কাউসার ইকবাল



বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় দেশের বুদ্ধিজীবী মহল ও আওয়ামী লীগ নেতারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তবে জিয়াকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলা যায় কিনা, সে বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মতোও নয়। কারণ, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথ তলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল। ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তবে কে ছিল?

মুক্তিযুদ্ধের ওপর বাংলাদেশ থেকে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার (তৎকালীন মেজর) লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস’। গ্রন্থটির ৪৩ নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, “২৭ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি (জিয়া) চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র কালুরঘাট ট্রান্সমিটিং সেন্টারে পৌঁছলেন। মেজর জিয়াকে দেখে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফেটে পড়লেন বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা। কিন্তু মেজর জিয়া কি বলবেন! তিনি বিবৃতির পর বিবৃতি লিখে ছিঁড়ে ফেলেন। কিন্তু মনমতো বিবৃতি তৈরি করতে পারছেন না। ওদিকে বেতারে পুনঃ পুনঃ ঘোষণা করা হচ্ছিলÑ আর পনের মিনিট পরে মেজর জিয়া বেতারে ভাষণ দেবেন। ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টার পর তিনি তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি তৈরি করে নিজেই সেটি ইংরেজিতে ও বাংলায় পাঠ করেন। তবে মেজর জিয়া ঐ বেতার ভাষণে নিজেকে হেড অব দি স্টেট অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ রূপেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার পরের দিনই পূর্বের দেয়া বেতার ভাষণটির সংশোধন করে তিনি ঘোষণা দেন যে, এই মুক্তিযুদ্ধ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে।”

একই তথ্য পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে. এম. শফিউল্লাহ’র লেখাতেও। তার লেখা ‘বাংলাদেশ এট ওয়ার’ গ্রন্থের ৪৫ নং পৃষ্ঠায় তিনিও উল্লেখ করেছেন যে, জিয়াউর রহমান তার দেয়া প্রথম ঘোষণায় নিজেকে ‘হেড অব দ্য স্টেট’ দাবি করেছিলেন। পরবর্তী দিনে আবার সংশোধিত ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বইটিতে লিখেছেন, তরধ সধফব যরং ভরৎংঃ ধহহড়ঁহপবসবহঃ ড়হ ঃযব ৎধফরড় ড়হ গধৎপয ২৬. ওহ ঃযরং ধহহড়ঁহপবসবহঃ ধঢ়ধৎঃ ভৎড়স ংধুরহম ঃযধঃ ঃযবু বিৎব ভরমযঃরহম ধমধরহংঃ চধশরংঃধহ অৎসু, যব ধষংড় ফবপষধৎবফ যরসংবষভ ধং ঃযব যবধফ ড়ভ ঃযব ংঃধঃব.

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর লেখা ‘ঐড়ি চধশরংঃধহ এড়ঃ উবারফবফ’ গ্রন্থের ৮৬ নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, ‘ঊাবৎু ইবহমধষর ঁহরঃ যধফ ৎবাড়ষঃবফ. গধলড়ৎ তরধঁৎ জধযসধহ যধফ শরষষবফ যরং পড়সসধহফরহম ড়ভভরপবৎ পড়ষড়হবষ ঔধহলঁধ ধহফ উবপষধৎবফ রহফবঢ়বহফবহপব ভড়ৎ ইধহমষধফবংয রিঃয যরসংবষভ ধং রঃং ভরৎংঃ চৎবংরফবহঃ. ঞযবু ঃড়ড়শ ড়াবৎ ঃযব ফঁঃু.

যেহেতু তিন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা তাদের লেখায় উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন নিজেকে ‘হেড অব দ্য স্টেট’ দাবি করে এবং ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন সরকার ছিল না, সেহেতু আনঅফিসিয়ালি হলেও জিয়াউর রহমানই কি তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না? বিএনপির তরফ থেকে এ দাবি এতোদিন তোলা না হলেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জিয়াকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় তারা যে খুব অযৌক্তিক দাবি করেছেন, তা তো বলা যাবে না। ইতিহাসের সত্য স্বাভাবিকভাবে নিলে এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকে না। বরং জিয়াকে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি যে এতোদিন ধরে জাতি দেয়নি, তা নিয়ে কথা উঠতে পারে। এ স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার কি জিয়া রাখে না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.