নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া কেন ভিলেন হবেন?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

জিয়া কেন ভিলেন হবেন?

কাউসার ইকবাল



মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস টানলে দেখা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের মুখ থেকে স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কোন কথা বের হবার আগেই ১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরÑ বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘মুক্তি যদি পেতে চাওÑ বাঙালিরা এক হও’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়েছে এবং ২ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ৩ মার্র্চে পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণা’ সম্বলিত স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়েছে। ছাত্রদের এসব তৎপরতায় ২ মার্চ থেকে ৬ মার্চের মধ্যে দেশবাসী স্বাধীনতা লাভের জন্য এতোটাই উদ্দীপিত হয়ে উঠেছিল যে, ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের ভাষণের পূর্বে অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছিল, সারা দেশবাসীই চাচ্ছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হোক, কেবল শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি ও এই দলের নির্বাচিত পরিষদ সদস্যরাই চাচ্ছিলেন না যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের আগেই দশ লক্ষাধিক বাঙালি বর্শা-বল্ল¬ম যার যা আছে তা হাতে নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে হাজির হয়েছিল শেখ মুজিব কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা তথা যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ পেয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মুজিবের মুখ কেউ চেপে ধরে না থাকলেও তিনি বললেন, ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্র“র মোকাবেলা করবে।’ হুকুমটা তখনই তিনি দিলেন না কেন, এই প্রশ্নটা কেউ তুলতে যায় না। তখন তার হুকুম শুনে দশ লক্ষাধিক বাঙালি ক্যান্টনমেন্ট ছুটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। সংগঠিত জনতা একসঙ্গে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছুটলে তার যে ফল পাওয়া যেত, তার চেয়ে বিচ্ছিন্ন জনতার হেথা-হোথা বর্শা-বল্লম ধরার ফল অনেক কম। একথা বোঝার ক্ষমতা যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল না, তা কিন্তু নয়। তিনি বুঝে-শুনেই সংগঠিত জনতাকে ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছুটে যাবার হুকুম দেন নাই। কারণ, এতে তার পাকিস্তানের ক্ষমতালাভের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেত। পাকিস্তানের ক্ষমতালাভের পথ যাতে চিরতরে বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য বরং তিনি সুকৌশলে সংগঠিত জনতাকে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা বর্শা-বল্লম অব্যবহৃত রেখেই ক্যান্টনমেন্টের বিপরীত রাস্তা ধরিয়ে ফেরত পাঠালেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ক্ষমতার লোভ না থাকলে তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৬-২৫ মার্চ পর্যন্ত দর কষাকষি করতে যেতেন না। আর তার ক্ষমতার লোভের কারণেই ২৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে বাঙালিদের স্বাধীনতার চেতনা দমিয়ে দেবার জন্য এদেশে পাক সেনা মোতায়েনের সুযোগ করে দিলেন। সেই সুযোগে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ১৮ দিনে আরো ৬৫ হাজার সৈন্য মজুত করল বাংলাদেশে এবং ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে বাঙালিদের স্বাধীনতার চেতনা গুঁড়িয়ে দিতে তৎপরতা চালাল। মুজিব তখনও স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিতে অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো গৃহত্যাগ না করে পাকিস্তানের ক্ষমতা লাভের পথ খোলা রাখতেই গৃহে থেকে গেলেন। মুজিবের এই ক্ষমতার লোভেই ৩০ লক্ষ বাঙালি হত্যায় ও ২ লক্ষ নারীর সতীত্ব নষ্ট করায় ভূমিকা রাখতে পেরেছিল পাকিস্তানি সৈন্যরা। বলা যায়, ৬৫ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে ২৫ লক্ষ অতিরিক্ত বাঙালি হত্যা ও দেড় লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট হওয়ার জন্য মুজিবই দায়ী। ৭ মার্চ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলে এতো বাঙালির হত্যাকাণ্ড ও এতো মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটতো না নিশ্চয়ই।

পাকিস্তানি মেজর সিদ্দিক সালেকী (গধলড়ৎ ঝরফফরয়ব ঝধষবয়ঁব) তার লেখা ডরঃহবংং ঃড় ঝঁৎৎবহফবৎ গ্রন্থের গঁলরন ঞধশবং ঙাবৎ প্রবন্ধে ৭ মার্চের আগের যে ইতিহাস তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে মুজিব ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ৬ মার্চ দিবাগত রাত ২টার মধ্যে ৩ বার গ্রেপ্তার হতে চেয়েছিলেন, যাতে তাকে ৭ মার্চের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়। গ্রন্থের ৪৩ নং পৃষ্ঠায় লেখক যা লিখেছেন, তার সারমর্ম বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকাস্থ গভর্নমেন্ট হাউসে উপস্থিত হতে আহ্বান জানান গভর্নর আহসান। শেখ মুজিব সেখানে উপস্থিত হলে আহসান তাকে জানান যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে, আমার পক্ষে দলের উগ্রপন্থি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। যদি মার্চ মাসের মধ্যেই নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়, তবে আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব। যদি এটা এপ্রিলে নেয়া হয়, তবে পরিস্থিতি সামলানো খুবই কঠিন হবে। আর যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাসেম্বলি মুলতবী রাখা হয়, তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। এরপর গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে মুজিব মেজর জেনারেল ফরমানকে বলেন, “ও ধস নবঃবিবহ ঃড়ি ভরৎবং. ও রিষষ নব শরষষবফ বরঃযবৎ নু ঃযব অৎসু ড়ৎ বীঃৎবসরংঃ বষবসবহঃং রহ সু ঢ়ধৎঃু. ডযু ফড়হ’ঃ ুড়ঁ ধৎৎবংঃ সব? ঔঁংঃ মরাব সব ধ ৎরহম ধহফ ও রিষষ পড়সব ড়াবৎ.” (আমি দুই আগুনের মাঝে আছি। আমি হয় সৈনিক নয় আমার দলের উগ্রপন্থি অংশের হাতে মারা যেতে পারি। কেন আমাকে তুমি গ্রেপ্তার করছ না? আমাকে হাতকরা পড়াও এবং তাতেই আমি উতরে যাব।

একই বইয়ের ৪৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৬ বাঙালির মৃত্যুর প্রেক্ষিতে ২ মার্চ বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠানো শেখ মুজিবের ৪ পৃষ্ঠার লিখিত বিবৃতি যা প্রায় একই সময়ে মার্শাল ল’ হেড কোয়ার্টার্স-এ পৌঁছে, তা ছাপার অনুমতি না দিলে মুজিব পরদিন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারে, এমন বিবেচনায় বিবৃতিটি প্রত্যাহার বা এতে ব্যবহৃত আগুনঝরা শব্দের তীব্রতা কমানোর জন্য অনুরোধ জানাতে জেনারেল ইয়াকুব শেখ মুজিবকে রাত সাড়ে এগারটায় ফোন করলে মুজিব অনেক বিতর্কের পর বলেন যে, “ও পধহ হড়ঃ ঃড়হব রঃ ফড়হি. ও ধস ঁহফবৎ ঢ়ৎবংংঁৎব. ণড়ঁ’ফ নবঃঃবৎ পড়সব ধহফ ধৎৎবংঃ সব. ওঃ রিষষ ংড়ষাব সু ঢ়ৎড়নষবস.” [আমি এর (বিবৃতিতে ব্যবহৃত শব্দের) তীব্রতা কমাতে পারব না। আমি চাপে আছি। ভালো হয় তুমি আসো এবং আমাকে গ্রেপ্তার করো। এতে আমার সমস্যার সমাধান হবে।] একই বইয়ের ৫২ নং পৃষ্ঠায় এ. ড. ঈযধঁফযৎু লিখিত ঞযব খধংঃ উধুং ড়ভ টহরঃবফ চধশরংঃধহ গ্রন্থের ১৫৩ নং পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: ৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন, তাকে এ বিষয়ে বোঝাতে যে, এমন কোন পদক্ষেপ যেন তিনি গ্রহণ না করেন, যেখান থেকে ফেরত আসার পথ থাকবে না। এরপর ৬ মার্চ প্রায় মধ্যরাতে শেখ মুজিবের জন্য একটা টেলিপ্রিন্টার ম্যাসেজ পাঠান ইয়াহিয়া খান ঢাকার মার্শাল ল’ হেড কোয়ার্টার্স-এ। লেখক মেজর সিদ্দিক সালেকী তখন হেড কোয়ার্টার্স-এ কর্মরত থাকায় তৎক্ষণাৎই ম্যাসেজটি পড়েন। পরে তার স্মৃতি থেকে ডায়েরিতে টুকে নেন ম্যাসেজের কথা। ম্যাসেজটি ছিল এ রকম: চষবধংব ফড় হড়ঃ ঃধশব ধহু যধংঃু ফবপরংরড়হ. ও রিষষ ংড়ড়হ পড়সব ঃড় উধপপধ ধহফ ফরংপঁংং ঃযব ফবঃধরষং রিঃয ুড়ঁ. ও ধংংঁৎব ুড়ঁ ঃযধঃ ুড়ঁৎ ধংঢ়রৎধঃরড়হং ধহফ পড়সসরঃসবহঃং ঃড় ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব পধহ নব ভঁষষু যড়হড়ঁৎবফ. ও যধাব ধ ংপযবসব রহ সরহফ যিরপয রিষষ সড়ৎব ঃযধহ ংধঃরংভু ুড়ঁৎ ঝরী চড়রহঃং. ও ঁৎমব ুড়ঁ হড়ঃ ঃড় ঃধশব ধ যধংঃু ফবপরংরড়হ. (অনুগ্রহ করে দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমি শিগগিরই ঢাকা আসব এবং আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করব। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আপনার উচ্চাকাক্সক্ষা এবং জনগণকে দেয়া ওয়াদার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাতে পারব। আমার মনে একটা পরিকল্পনা আছে, যা আপনার ছয় দফার চেয়ে অধিক সন্তোষজনক হবে। আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি, দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের হেড কোয়ার্টার থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার ব্যক্তিগতভাবে ম্যাসেজটি শেখ মুজিবের ধানমণ্ডীর বাসায় নিয়ে যান। একই দিন শেখ মুজিবের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার পথও খুলে দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া খান। ৬ মার্চই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। এর প্রেক্ষিতে ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে মুজিব প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন, কিন্তু রেসকোর্স ময়দানে সমবেত দশ লক্ষাধিক বাঙালির মূল ইচ্ছা (স্বাধীনতার ঘোষণা) পূরণ করেননি। ৭ মার্চের সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য ছাত্রনেতাদের তরফ থেকে বিশাল চাপ থাকলেও শেখ মুজিব কৌশলে সেই চাপ এড়িয়ে যান। ৭ মার্চে তাকে যেন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেয়া না লাগে, সেই চেষ্টাতেও কোন ত্রুটি করেননি মুজিব। ৬ মার্চ গভীর রাত ২টায় গুপ্ত সংবাদসহ মুজিব তার ২ জন প্রতিনিধি পাঠান ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি’র বাসায়। মেজর সিদ্দিক সালেকীর ডরঃহবংং ঃড় ঝঁৎৎবহফবৎ গ্রন্থের ৫৩ নং পৃষ্ঠায় এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি রাত ২টায় ঘুম থেকে জাগেন তার ইন্টেলিজেন্স অফিসার দ্বারা। ইন্টেলিজেন্স অফিসারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ২ জন প্রতিনিধি ছিল। মুজিবের গুপ্ত সংবাদ নিয়ে আসা প্রতিনিধি জিওসিকে বলেন: ‘ঝযবরশয ঝধযরন রং ঁহফবৎ রসসবহংব ঢ়ৎবংংঁৎব ভৎড়স বীঃৎবসরংঃং. ঞযবু ধৎব ভড়ৎপরহম যরস ঃড় সধশব ঃযব ট.উ.ও. ঐব ফড়বংহ’ঃ ভরহফ বহড়ঁময ংঃৎবহমঃয ঃড় ৎবভঁংব ঃযবস. ঐব ংঁমমবংঃং ঃযধঃ যব নব ঃধশবহ রহঃড় সরষরঃধৎু পঁংঃড়ফু.’ (শেখ সাহেব উগ্রপন্থিদের দ্বারা বিশাল চাপে আছেন। তারা তাকে পূর্ব পাকিস্তানের একপক্ষীয় স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে। তিনি তাদের প্রত্যাখ্যান করার মতো শক্ত যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে সেনা তত্ত্বাবধানে নেয়ার।) জবাবে জিওসি বলেন, ‘ও ধস ংঁৎব ধ ঢ়ড়ঢ়ঁষধৎ ষবধফবৎ ষরশব গঁলরন শহড়ংি যড়ি ঃড় ৎবংরংঃ ংঁপয ঢ়ৎবংংঁৎব. ঐব পধহ হড়ঃ নব সধফব ঃড় ধপঃ ধমধরহংঃ যরং রিষষ. ঞবষষ যরস ও রিষষ নব ঃযবৎব (ধঃ ঃযব জধসহধ জধপব ঈড়ঁৎংব) ঃড় ংধাব যরস ভৎড়স ঃযব ৎিধঃয ড়ভ ঃযব বীঃৎবসরংঃং. ইঁঃ ঃবষষ যরস ঃড়ড় ঃযধঃ, রভ যব ঃধষশং ধমধরহংঃ ঃযব রহঃবমৎরঃু ড়ভ চধশরংঃধহ, ও রিষষ সঁংঃবৎ ধষষ ও পধহ- ঃধহশং, ধৎঃরষষবৎু ধহফ সধপযরহব-মঁহং- ঃড় শরষষ ধষষ ঃযব ঃৎধরঃড়ৎং ধহফ রভ হবপবংংধৎু, ৎধুব উধপপধ ঃড় ঃযব মৎড়ঁহফ. ঞযবৎব রিষষ নব হড় ড়হব ঃড় ৎঁষব, ঃযবৎব রিষষ নব হড়ঃযরহম ঃড় ৎঁষব. (আমি নিশ্চিত, মুজিবের মতো একজন জনপ্রিয় নেতা জানে কিভাবে এমন চাপ প্রতিরোধ করতে হয়। তিনি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারেন না। তাকে বোলো, আমি সেখানে থাকব (রমনা রেসকোর্স-এ), উগ্রপন্থিদের ক্রোধ থেকে তাকে রক্ষার জন্য। কিন্তু তাকে এটাও বোলো যে, যদি সে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, আমি প্রচুর পরিমাণে ট্যাঙ্ক, কামান, মেশিন গান সমবেত করব সকল দেশদ্রোহীকে হত্যা করতে এবং যদি প্রয়োজন হয়, ঢাকাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেব। ঢাকায় কেউ থাকবে না শাসন করার মতো। ঢাকায় কিছুই থাকবে না শাসন করার মতো।)

শেখ মুজিবুর রহমান জিওসি’র এমন হুমকিতে ভয় পাওয়ার পাত্র নয়। বরং, দশ লক্ষাধিক লোককে সেদিন ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের হুকুম দিলে জিওসিসহ পাকিস্তানিরাই মাটির সাথে মিশে যেতে পারত। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রকে ভাঙতে চাননি বলে এবং তিনি পাকিস্তানের দুই অংশেরই শাসনক্ষমতা চেয়েছিলেন বলে একাংশের ক্ষমতালাভের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। আর দুই অংশের শাসনক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে ১৬ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খানসহ পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চালিয়েছিলেন। এরপর ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে ২৫ মার্চ বাঙালি নিধন শুরু হলে শেখ মুজিব স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে বাঙালিদের পাশে না থেকে ২৮ ফেব্র“য়ারি থেকে ৬ মার্চের গভীর রাত পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তারের যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন পাকিস্তানি জেনারেলদের কাছে, সেই ইচ্ছাটাই পূরণের সুযোগ করে দিলেন পাক সেনাদের। কারণ, মুজিবের বিবেচনাতে ছিল, এতেই তার সমস্যার সমাধান সম্ভব। উগ্রপন্থিদের স্বাধীনতার বাসনা পাক সেনারা দমিয়ে দিলে পাকিস্তানের ক্ষমতালাভের পথতো তার খোলা থাকছেই! এ কারণে ২৫ মার্চের ক্র্যাক-ডাউনের পর আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা ঘোষণার ছোট্ট একটি খসড়া তৈরি করে টেপ-রেকর্ডারে ধারণ করার জন্য তা শেখ মুজিবুর রহমানকে পড়তে দিলে শেখ মুজিব খসড়াটি পড়ে নিরুত্তর থাকেন এবং এড়িয়ে যান। তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণাটি দিতে অনুরোধ জানালে শেখ মুজিবুর রহমান উত্তর দেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের অভিযোগে বিচার করতে পারবে।’ স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমানের এ বক্তব্যও প্রমাণ করে যে, তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনে বা পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীও তার লেখা ঞযব ইবঃৎধুধষ ড়ভ ঊধংঃ চধশরংঃধহ গ্রন্থের ৯৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেন: দগঁলরন যধফ হড়ঃ উবপষধৎবফ ঁহরষধঃবৎধষ রহফবঢ়বহফবহপব ড়ৎ ধিমবফ ধ ধিৎ.’ [মুজিব একপক্ষীয় (পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের) স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি কিংবা যুদ্ধ চালানোর কথাও বলেননি।

অতএব, শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বা জাতির পিতা বলে বিবেচনা করা যায় না। বরং তাকে ‘বঙ্গশত্রু’, ‘জাতির হন্তারক’ এ জাতীয় বিশেষণে ভূষিত করা দরকার সঠিক ইতিহাস চর্চার স্বার্থে। আর একাত্তরের নিবেদিতপ্রাণ ছাত্রলীগের সদস্যসহ নিরীহ বাঙালিদের হত্যার জন্য তাকে মরণোত্তর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। আর দেশবাসীর বোঝা উচিত একাত্তরে মুজিবের তুলনায় জিয়াই মানুষের উত্তম বন্ধু ছিলেন।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.