নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জন্য চূড়ান্ত ধর্ম মূলধর্ম

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

মানুষের জন্য চূড়ান্ত ধর্ম মূলধর্ম

কাউসার ইকবাল

মনুষ্যশ্রেণীকে যথার্থ ‘মানুষ’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে শিক্ষা সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তা-ই মানুষের জন্য চূড়ান্ত শিক্ষা। আর মানবজাতিকে এক প¬াটফর্মে সমবেত করার শিক্ষা দেয় যে ধর্ম, তা-ই মানুষের জন্য চূড়ান্ত ধর্ম। এ ধর্মের অনুসারীরাই পরবর্তী জীবনে সর্বাপেক্ষা শান্তিময় জীবন লাভ করবে নিশ্চিতভাবে।

মানুষের মূল হচ্ছে প্রথম মানব ও প্রথম মানবী। তাদের দুজনকে যে যেই নামেই ডাকুক না কেন, একথা অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই যে, তারাই মানবজাতির মূল। তাদের বংশধর মানবজাতিকে এক প¬াটফর্মে সমবেত করার লক্ষ্যে যে মূলসূত্র বা মূলশিক্ষা যথার্থভাবে কার্যকর, তা-ই হচ্ছে মূলধর্ম। আর যারা মানবজাতিকে এক প¬াটফর্মে সমবেত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন, তারাই হচ্ছেন মূলধর্মী। যেহেতু মূলধর্মীরা মানবজাতিকে এক প¬াটফর্মে সমবেত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন, সেহেতু মূলধর্মীরাই পৃথিবীর মূল মানব ও মূল মানবীর চোখে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হবেন নিঃসন্দেহে। আর যারা পৃথিবীর মূল মানব ও মূল মানবীর চোখে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হবেন, তারা মানবজাতির অদৃশ্য স্রষ্টার চোখেও শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হবেনÑ এতে কোনো সন্দেহই থাকতে পারে না। আর মূলধর্মীরা স্রষ্টার চোখে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হলে মূলধর্মই স্রষ্টার চোখে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে বিবেচিত হবেÑ একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর শ্রেষ্ঠ ধার্মিকদের জন্য পরবর্তী জীবনে শ্রেষ্ঠ আবাসন নিশ্চিতÑ এ বিষয়েও সন্দেহের কোনো অবকাশই থাকতে পারে না।

পৃথিবীর সকল মানবকে এক প¬াটফর্মে সমবেত করার লক্ষ্যে যে মূলসূত্রটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে, তা হচ্ছেÑ ‘স্রষ্টা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, মানুষেরা সব তাঁর সৃষ্টি।’ এই মূলসূত্রের ওপর ভিত্তি করেই মানুষেরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক প-াটফর্মে সমবেত হবার জন্য এগিয়ে আসতে পারে। আর ধর্মীয় মূলশিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে যে ¯ে¬াগানটি, তা হচ্ছেÑ ‘মানুষ হওয়াই মানুষের ধর্ম, অমানুষ হওয়া পশুর কর্ম। মানুষ হলে তার জন্য পরবর্তী জীবনে শান্তিময় জীবন লাভ নিশ্চিত, অমানুষ হলে তাকে অবশ্যই যন্ত্রণাময় জীবনই ভোগ করতে হবে পরবর্তীকালে।’ সে কারণে অমানুষ হওয়া থেকে রেহাই পেতে সকল ধরনের পাপ কাজ এড়িয়ে চলবে মূলধর্মীরা। আর অন্যের দ্বারা ‘অমানুষ’ বিবেচিত হতে হয়Ñ এমন সকল কাজ এড়িয়ে চলবে মূলধর্মের অনুসারীরা। পাপী না হওয়াই পরবর্তী জীবনে শান্তিলাভের প্রধান শর্তÑ একথাটি মূলধর্মের অনুসারীরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নিয়ে সকল প্রকার পাপের পথ পরিহার করে চলবে। আর যে পাপী হবার মানসিকতা পরিহার করে চলবে, তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক অন্য ধর্মানুসারীরা কিছুতেই হতে পারে না। মূলধর্মের অনুসারীরা অন্য ধর্মানুসারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবসময়ই প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাবে। এজন্য মূলধর্মের অনুসারীরা যেকোনো মূল্যে নিজেকে সৎ ও চরিত্রবান রাখবে এবং মানবকল্যাণে কাজ করে যাবে। মূলধর্মের অনুসারীরা এ জ্ঞানটি সব সময়ই নিজেদের মস্তিষ্কে ধারণ করবে যে, যারা মানুষকে বিভিন্নভাবে ঠকায় ও ভোগায়, তারা পরবর্তী জীবনে সুখ-শান্তি পাবে না। পরবর্তী জীবনে সুখ-শান্তি পাবার দাবিদার হবার জন্য মূলধর্মের অনুসারীরা কখনোই মানুষকে ঠকাতে ও ভোগাতে সচেষ্ট হবে না। মূলধর্মের অনুসারীরা অল্পতেই তুষ্ট থাকার মানসিকতা রাখবে এবং স্রষ্টাকেই তাদের জীবন ও জীবিকার মূল নিয়ামক বলে বিশ্বাস করে নেবে। মানুষের মধ্যে কাউকে তার জীবন ও জীবিকার নিয়ামক বলে মনে করবে না কখনোই। তবে মানুষের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে এবং এ বিশ্বাস রাখবে যে, স্রষ্টা মানুষের মধ্যদিয়েই যার মাধ্যমে তার কল্যাণ করা সম্ভব, তার মাধ্যমে তার কল্যাণ করবে। কিন্তু তাই বলে স্রষ্টার চেয়ে সেই মানবের প্রতি বেশি কৃতজ্ঞতা পোষণ করবে না মূলধর্মীরা।

মূলধর্মের অনুসারীরা এ জ্ঞান রাখবে যেÑ নিজ যোগ্যতাতে যদি পরবর্তী জীবনে সুখ-শান্তি লাভের দাবিদার হওয়া না যায়, তবে অন্যের সুপারিশে সুখ-শান্তি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। তাই অন্যের সুপারিশ লাভের ঝুঁকি না নিয়ে নিজেরা সৎ ও পরোপকারী হওয়ার পাশাপাশি অপরের ক্ষতি করা থেকে নিজেদেরকে যেকোনো মূল্যে বিরত রাখতে সচেষ্ট থাকবে মূলধর্মের অনুসারীরা। স্বার্থবাদিতা, হিংসা-হানাহানি, জুলুম, অন্যের সম্পদ জবরদখল, ব্যভিচার, নারী বা শিশু ধর্ষণ, পরকীয়া প্রেম, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে নিজের সুখ-শান্তি-ভোগ-বিলাস নিশ্চিত করতে কখনোই সচেষ্ট হবে না মূলধর্মের অনুসারীরা। মূলধর্মের অনুসারীরা এই জ্ঞানও রাখবে যেÑ জনসেবার চেয়ে বাণিজ্যিক মনমানসিকতা নিয়ে রোগীদের ওপর জুলুম করে যে ডাক্তার, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে রিকশাচালক বা টেক্সিচালক বা পরিবহন ব্যবসায়ী বা ঘরের মালিক মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে ছেলে বা পুরুষ একাধিক মেয়ে বা নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কিংবা প্রতারণা করে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে পুরুষ বা নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে পুলিশ বা বিচারক নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করে তাকে ভোগাচ্ছে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে রাজনীতিবিদ স্বীয় বা দলীয় স্বার্থে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই; যে ব্যক্তি বা শিক্ষক জ্ঞান প্রদান বিষয়েও অতি বাণিজ্য করে, সে অমানুষের কাতারভুক্ত এবং নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করার যোগ্যতা তার নেই। মূলধর্মের অনুসারীরা এই জ্ঞানও রাখবে যে, পাপী বা অমানুষ কখনোই মূলধর্মের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে না। কেবল পুণ্যবান ও মানুষই মূলধর্মের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে। অতএব, মূলধর্মীরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হবে স্রষ্টার কাছে। পাপীরা কখনোই স্রষ্টার কাছে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে বিবেচিত হবে না।

মূলধর্মের অনুসারীরা স্রষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে হƒদয়ের গভীর থেকে। মূলধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করবে যে, স্রষ্টা মূলধর্মের অনুসারীদের আকাশের দিকে তাকিয়ে হƒদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি বুঝতে পারবেন। যারা বলবে যে, স্রষ্টা মূলধর্মের অনুসারীদের শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি বুঝতে পারবেন না, তারাতো অজ্ঞতারই প্রকাশ ঘটাবে। স্রষ্টা বুঝবেন না বা বুঝতে পারেন নাÑ এমন কথা বলা অজ্ঞতার প্রকাশ ছাড়া আর কী? মূলধর্মের অনুসারীরা যেহেতু পাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবে ও যথার্থ মানুষ হবে, সেহেতু মূলধর্মী কাউকে স্রষ্টা পরবর্তী জীবনে অন্যদের মতো যন্ত্রণাময় জীবনের অধিকারী করবেন না। কারণ, তিনিই যথার্থ ন্যায়বিচারক। ভালো কাজের জন্য ভালো ফল দিতে তিনি কখনোই দ্বিধান্বিত হবেন না। অতএব, মূলধর্মীরাই পরবর্তী জীবনে সর্বাপেক্ষা শান্তিময় জীবন লাভ করবে। এরচেয়ে সত্য আর কিছুই নেই।

মূলধর্মের অনুসারীদের জন্য রোজা বা উপবাস থাকার বিধান পালন করতে হবে না। মূলধর্মের অনুসারীদের জন্য নিরীহ প্রাণী হত্যা করে কোরবানি দেয়ার কোনো বিধানও থাকবে না। কোনো দুর্গত বা রোগগ্রস্ত বা অসহায় ব্যক্তির কল্যাণে দূরে-কাছে যেকোনো যাত্রাই হজ্ব বা তীর্থযাত্রা বলে গণ্য হবে মূলধর্মের অনুসারীদের জন্য।

মূলধর্মের অনুসারীরা বছরের প্রতিটি দিনকেই ঈদের দিন হিসেবে পালনের চেষ্টা করবে। অর্থাৎ, প্রতিটি দিনকে ঈদের দিন মনে করে মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে চলার চেষ্টা করবে মূলধর্মের অনুসারীরা। বছরে ২ দিন আনন্দের, আর ৩৬৩ দিন বেদনারÑ এমন চিন্তা মূলধর্মের অনুসারীরা করবে না। বছরে ১/২ মাস পবিত্র, আর বাকি ১০/১১ মাস অপবিত্রÑ এমন চিন্তাও মূলধর্মের অনুসারীরা করবে না। বছরে ১ মাস সংযমী হয়ে চলতে হবে, আর বাকি ১১ মাস অসংযমী হয়ে চলা যাবেÑ এমন চিন্তাও মূলধর্মের অনুসারীরা করবে না। পৃথিবীর কয়েকটি স্থান পবিত্র, আর বাকি পুরা পৃথিবী অপবিত্রÑ এমন চিন্তাও মূলধর্মের অনুসারীরা করবে না। জগতের কিছু কিছু স্থান স্রষ্টার ঘর, আর বাকি জায়গাগুলো শয়তানের ঘরÑ এমন কথা বলা স্রষ্টার সার্বভৌমত্বে অন্যকে অংশী স্থির করার শামিল, যা করা মহাপাপ বলে গণ্য করবে মূলধর্মীরা। মূলধর্মের অনুসারীরা পৃথিবীর প্রত্যেক স্থান, প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত, প্রতিটি মাসকে পবিত্র বলে মনে করবে এবং কোনো স্থান বা দিন বা রাতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেবে না।

বিবাহ-বন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধর্মের অনুসারীরা বর-কনের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া একাধিক বিয়ে মূলধর্মের অনুসারীদের জন্য নিষিদ্ধ। আর ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিণী মূলধর্মের অনুসারী বলে কখনোই বিবেচিত হবে না। তবে যার সঙ্গে যে ব্যভিচার করেছে, তারা উভয়ে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হলে মূলধর্ম তাদের গ্রহণ করে নেবে। মূলধর্মের অনুসারীদের বিবাহ-বন্ধনের ক্ষেত্রে ২০-২৫ জন বা ততোধিক ব্যক্তি একত্র হয়ে ঘরোয়াভাবে বা কোনো অনুষ্ঠানস্থলে বর ও কনের মতামত নিয়ে ‘স্রষ্টার ও নিজেদের ইচ্ছায় তারা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হলো এবং এখন থেকে তারা একে অপরের পতী-পতœীরূপে স্বীকৃত হলো’ বলে উপস্থিতদের মধ্যে কেউ ঘোষণা করে কাগজে-কলমে নথিভুক্ত করতে হবে।

মূলধর্মের অনুসারী কেহ মারা গেলে ১০-১৫ জন বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রিত হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে স্রষ্টার উদ্দেশে বলবে যে, ‘মৃত ব্যক্তির আÍা তোমার কাছে পৌঁছে গেছে। আমরা তার দেহ সমাহিত করে যাচ্ছি। তার পার্থিব কৃতকর্মের জন্য যথোপযুক্ত বিচারই তুমি কোরো।’

সংসারের কর্তা মারা গেলে সম্পত্তির বণ্টন করে পরিবারের সদস্যরা পৃথক হয়ে যাওয়া মূলধর্ম সমর্থন করে না। তবে বিশেষ কারণে সম্পত্তির বণ্টন যদি করতেই হয় তবে ভাইবোনের মধ্যে কার কতটুকু পাওয়া উচিত বা দরকার, তা সমঝোতার সাথে বণ্টন করলেই ভালো। সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে কাউকে ঠকালে কিংবা কারো ওপর জুলুম করলে সে তো তার পরকালের শান্তিময় জীবনকেই অনিশ্চিত করে দেবে। মূলধর্মের অনুসারীদের বুঝতে হবে, মানুষের জন্য কোনো আইনের প্রয়োজন হয় নাÑ অমানুষের জন্যই আইনের প্রয়োজন হয়। মূলধর্মের অনুসারীদেরকে আইনের ওপর ভিত্তি না করে মনুষ্যত্ববোধের ওপর ভিত্তি করেই জীবনযাপন করতে হবে।

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও মারামারি করা মূলধর্মের অনুসারীদের জন্য সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। ধর্ম যদি প্রেম বা বন্ধুত্বের মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা উত্তম ধর্ম নয়Ñ মূলধর্মের অনুসারীদেরকে একথা বুঝতে হবে। মূলধর্মের অনুসারীদের আরো বুঝতে হবে যে, মানুষের প্রাণ স্রষ্টার কাছে এবং তার প্রিয়জনের কাছেও খুবই মূল্যবান। অতএব, ধর্ম নিয়ে বাক-বিতণ্ডা করা বা ধর্মের নামে কাউকে হত্যা করা অমানুষেরই কাজÑ যা মূলধর্মে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। এমন অমানুষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে সে আর মূলধর্মের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে না। আর যে মূলধর্মের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে না স্রষ্টার কাছে, তার পরবর্তী জীবনে সুখ-শান্তি প্রাপ্তি অনিশ্চিত।

মোদ্দাকথায়Ñ নীতিই ধর্ম, দুর্নীতি অধর্ম; সততাই ধর্ম, অসততা অধর্ম; সত্যবাদিতাই ধর্ম, মিথ্যেবাদিতা অধর্ম; নির্লোভ থাকাই ধর্ম, লোলুপতা অধর্ম; অপরের কল্যাণ করাই ধর্ম, স্বার্থবাদিতা বা কারো ক্ষতি করার চেষ্টা অধর্ম; সুবিচার করাই ধর্ম, অবিচার বা কারো প্রতি জুলুম করা অধর্ম; ন্যায়পরায়ণতাই ধর্ম, অন্যায় করা অধর্ম; চরিত্রবান থাকাই ধর্ম, ধর্ষণ-ব্যভিচার করা অধর্ম; অল্প মুনাফা করাই ধর্ম, অতি মুনাফা করার চেষ্টা অধর্ম; যানবাহন ও বাসাবাড়ির ভাড়া ন্যায়সঙ্গতভাবে নেয়াই ধর্ম, বেশি নেয়ার চেষ্টা করা অধর্ম; প্রকাশ্যে কিংবা অধূমপায়ীদের সামনে ধূমপান-গাঁজা সেবন-মদ্য পান থেকে বিরত থাকাই ধর্ম, এসব বদভ্যাস অধর্ম; ইত্যাদি শিক্ষাগুলো গ্রহণ করে নিয়ে যারা স্বীয় আÍাকে সার্বিকভাবে বিশুদ্ধ আÍায় পরিণত করতে সক্ষম হবে এবং রক্তপাতমুক্ত শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে, তারাই মূলধর্মের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে। আর এদেরকে পরবর্তী জীবনে সর্বাপেক্ষা শান্তিময় আবাসস্থল লাভের ব্যাপারে কোনোপ্রকার দুশ্চিন্তা করতে হবে না।



















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.