নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টাকে সবচে বেশি কলঙ্কিত করছে ধার্মিকরা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

স্রষ্টাকে সবচে বেশি কলঙ্কিত করছে ধার্মিকরা

কাউসার ইকবাল

মানুষেরা স্রষ্টার প্রতি অন্তর থেকে বেশ ভালবাসা দেখালেও নিজেদের অজ্ঞতা ও অন্ধবিশ্বাসের কারণে স্রষ্টাকে প্রকৃতপক্ষে কলঙ্কিত করে চলেছে।

হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষেরা শ্রী কৃষ্ণকে ভগবান বা স্রষ্টা হিসেবে বিশ্বাস করে। আর একথাও অনেকেরই জানা যে, শ্রী কৃষ্ণের নারীদের সঙ্গে লীলাখেলার স্বভাব ছিল। তাহলে একথাই দাঁড়ায় যে, শ্রী কৃষ্ণ ভগবান বা স্রষ্টা হলে চরিত্রহীনতাই স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য। আবার খ্রিস্টান স¤প্রদায় বিশ্বাস করে যে, যিশু হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র। ইঞ্জিল শরীফ সাক্ষ্য বহন করছে যে, যিশু ঈশ্বরকে পিতা বলে সম্বোধন করেছেন। তাহলে খ্রিস্টানদের বিশ্বাসমতে যদি ঈশ্বর স্রষ্টা হন, তবে তো স্রষ্টা ব্যভিচারের দোষে দুষ্ট। আবার মুসলিমদের বিশ্বাসকৃত কোরআনে মানব সৃষ্টির যে কাহিনী রয়েছে, তাতে দেখা যায় যে, আল্লাহ মানবজাতির পিতা আদমের (আ.) বউ বা জীবনসঙ্গী হাওয়া (রা.)কে বেহেস্ত থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যেতে ইবলিসকে সহায়তা করেছিলেন। আর মানবজাতির মাতা হাওয়ার সঙ্গে ইবলিস দীর্ঘদিন অবৈধভাবে জীবন কাটিয়েছেন পৃথিবীতে, যখন আদম তার নিকট থেকে অনেক দূরে ছিল। সেই প্রেক্ষিতে মানুষ ইবলিসের ন্যায় ধূম্রবিহীন আলোর দেহের অধিকারীও হয়েছে, যে দেহটিকে মানুষ স্বপ্নে দেখে থাকে। অর্থাৎ, কোরআনের কাহিনীর ভাষায়, মানুষ হচ্ছে ইবলিসের জারজ বংশধর। আর ইবলিসকে এভাবেই আল্লাহ মানুষের শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছানোর ক্ষমতা দিয়েছেন, যাতে ইবলিস মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কোরআনের এ কাহিনী মোতাবেক আল্লাহই যদি স্রষ্টা হন, তবে স্রষ্টাকে মূলত অত্যন্ত ঘৃণ্য সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কোরআনে।

মোদ্দাকথায়, মানুষের অজ্ঞতা ও অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ধর্ম প্রচারকরা এমনসব কাহিনী পৃথিবীতে প্রচার করে গেছেন যে, এতে স্রষ্টাকে যেমন কলঙ্কিত করা হয়েছে, তেমনি মানুষের মর্যাদাকেও ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। মানুষকে নির্বোধ সত্তা হিসেবে প্রমাণের ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলেছে ও চলছে ধর্মের নামে। তাইতো গন্ধম ফল খাওয়ার পর প্রথম মানব আদম ও প্রথম মানবী হাওয়া যখন একে অপরকে নগ্ন অবস্থায় দেখলেন তখন তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে না থেকে এবং একে অপরকে জড়িয়ে না ধরে গাছের লতাপাতা খুঁজতে শুরু করেন, এমন কাহিনীও মানুষ বিশ্বাস করে আসছে। বর্তমানে ১০/১২ বছরের শিশুরাও যেখানে স্কুলশিক্ষক কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষকের দ্বারাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে, সেখানে গন্ধমের তাজা প্রভাব সত্ত্বেও তরুণ আদম (আ.) ও হাওয়া (রা.) একে অপরের নগ্ন দেহ দেখে সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন না, একথা মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। আর দীর্ঘদিন আদম (আ.) ও হাওয়া (রা.) বেহেস্তে পাশাপাশি অবস্থান করার সময় তারা দৈহিক মিলনে আবদ্ধ হবেন না, এমন কথাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদম (আ.) ও হাওয়া (রা.)-র মাথায় গরু-ছাগলের ন্যায় বুদ্ধিও ছিল না, এমনটা যারা মনে করে তারা মূলত বুদ্ধির দীনতায় ভুগছে। বুদ্ধির দীনতায় ভোগা লোকদের উচিত, দেমাগের বাত্তি জ্বালিয়ে স্রষ্টাকে কলঙ্কিত করা থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি নিজেদের হারানো মান-মর্যাদা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

করিম বস বলেছেন: আরও পড়ুন জানুন শিখুন! বালের পোস্ট

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

পাগলের আড্ডা বলেছেন: অথচ আপনি কলঙ্কিত করেছেন নিজেকে

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

নীলতিমি বলেছেন: করিম বস বলেছেন: আরও পড়ুন জানুন শিখুন! বালের পোস্ট

/:) /:)

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

অদ্বিত বলেছেন: ভাল পোস্ট। :)

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

যাযাবরমন বলেছেন: Click This Link প্রাজ্ঞ নেতার অধিনে সংঘবদ্ধ থাকা মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২১

নেবুলাস বলেছেন: গাঁজা একটু বেশি টানা হয়েছে বোধয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.