নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টা মানুষকে ‘ল্যাংটা বাবা’ থেকে পর্যায়ক্রমে বুদ্ধিমান করছেন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

স্রষ্টা মানুষকে ‘ল্যাংটা বাবা’ থেকে পর্যায়ক্রমে বুদ্ধিমান করছেন

কাউসার ইকবাল



বাইবেল ও কোরআন মোতাবেক স্রষ্টা মানুষকে ‘ল্যাংটা বাবা’ থেকে পর্যায়ক্রমে বুদ্ধিমান করছেন।

বাইবেলের আদিপুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা আছে, (৪র্থ আয়াতে) সৃষ্টিকালে যেদিন সদাপ্রভু ঈশ্বর পৃথিবী ও আকাশমণ্ডল নির্মাণ করিলেন, তখনকার আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর বৃত্তান্ত এই। (৫ম) সেই সময়ে পৃথিবীতে ক্ষেত্রের কোন উদ্ভিজ্জ হইত না, আর ক্ষেত্রের কোন ওষধি উৎপন্ন হইত না, কেননা সদাপ্রভু ঈশ্বর পৃথিবীতে বৃষ্টি বর্ষাণ নাই, আর ভূমিতে কৃষিকর্ম করিতে মনুষ্য ছিল না, (৬ষ্ঠ) আর পৃথিবী হইতে কুজঝটিকা উঠিয়া সমস্ত ভূতলকে জলসিক্ত করিল। (৭ম) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে (অর্থাৎ মনুষ্যকে) নির্মাণ করিলেন এবং তাহার নাসিকায় ফুঁ দিয়া প্রাণবায়ু প্রবেশ করাইলেন; তাহাতে মনুষ্য সজীব প্রাণী হইল। (৮ম) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর পূর্বদিকে এদনে এক উদ্যান প্রস্তুত করিলেন, এবং সেইস্থানে আপনার নির্মিত ঐ মনুষ্যকে রাখিলেন। (৯ম) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর ভূমি হইতে সর্বজাতীয় সুদৃশ্য ও সুখাদ্য-দায়ক বৃক্ষ, এবং সেই উদ্যানের মধ্যস্থানে জীবনবৃক্ষ ও সদসদ্-জ্ঞানদায়ক বৃক্ষ উৎপন্ন করিলেন। (১০ম) আর উদ্যানে জল সেচনার্থে এদন হইতে এক নদী নির্গত হইল, উহা তথা হইতে বিভিন্ন হইয়া চতুর্মুখ হইল। (১১) প্রথম নদীর নাম পীশোন; ইহা সমস্ত হবীলা দেশ বেষ্টন করে। (১২) তথায় স্বর্ণ পাওয়া যায়, আর সেই দেশের স্বর্ণ উত্তম এবং সেইস্থানে গুগগুলু ও গোমেদকমণি জন্মে। (১৩) দ্বিতীয় নদীর নাম গীহোন; ইহা সমস্ত কূশ দেশ বেষ্টন করে। (১৪) তৃতীয় নদীর নাম হিদ্দেকল, ইহা অশূরিয়া দেশের সম্মুখ দিয়া প্রবাহিত হয়। চতুর্থ নদী ফরাৎ। (১৫) পরে সদাপ্রভূ ঈশ্বর আদমকে লইয়া এদনস্থ উদ্যানের কৃষিকর্ম ও রক্ষার্থে তথায় রাখিলেন। (১৬) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আজ্ঞা দিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও; (১৭) কিন্তু সদসদ্-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যেদিন তাহার ফল খাইবে, সেইদিনই মরিবেই মরিবে। (১৮) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়, আমি তাহার জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী নির্মাণ করি। (১৯) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকা হইতে সকল বন্যপশু ও আকাশের সকল পক্ষী নির্মাণ করিলেন; পরে আদম তাহাদের কি কি নাম রাখিবেন, তাহা জানিতে সেই সকলকে তাহার নিকট আনিলেন, তাহাতে আদম যে সজীব প্রাণীর যে নাম রাখিলেন, তাহার সেই নাম হইল। (২০) আদম যাবতীয় গ্রাম্য পশুর ও খেচর পক্ষীর ও যাবতীয় বন্য পশুর নাম রাখিলেন, কিন্তু মনুষ্যের জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী পাওয়া গেল না। (২১) পরে সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে ঘোর নিদ্রায় মগ্ন করিলে তিনি নিদ্রিত হইলেন; আর তিনি তাঁহার একখান পঞ্জর লইয়া মাংস দ্বারা সেই স্থান পুরাইলেন। (২২) সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম হইতে গৃহীত সেই পঞ্জরে এক স্ত্রী নির্মাণ করিলেন ও তাঁহাকে আদমের নিকটে আনিলেন। (২৩) তখন আদম কহিলেন, এবার (হইয়াছে); ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; ইহার নাম নারী হইবে, কেননা ইনি নর হইতে গৃহীত হইয়াছেন। (২৪) এই কারণ মনুষ্য আপন পিতামাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে। (২৫) ঐ সময়ে আদম ও তাঁহার স্ত্রী উভয়ে উলঙ্গ থাকিতেন, আর তাঁহাদের লজ্জাবোধ ছিল না।

তৃতীয় অধ্যায়ে (মানবজাতির পাপে পতন) বলা হয়েছেÑ(১) সদাপ্রভু ঈশ্বরের নির্মিত ভূচর প্রাণীদের মধ্যে সর্প সর্বাপেক্ষা খল ছিল। সে ঐ নারীকে কহিল, ঈশ্বর কি বাস্তবিক বলিয়াছেন, তোমরা এই উদ্যানের কোন বৃক্ষের ফল খাইও না? (২) নারী সর্পকে কহিলেন, আমরা এই উদ্যানস্থ বৃক্ষ সকলের ফল খাইতে পারি, (৩) কেবল উদ্যানের মধ্যস্থানে যে বৃক্ষ আছে, তাহার ফলের বিষয়ে ঈশ্বর বলিয়াছেন, তোমরা তাহা ভোজন করিও না, স্পর্শও করিও না, করিলে মরিবে। (৪) তখন সর্প নারীকে কহিল, কোনক্রমে মরিবে না; (৫) কেননা, ঈশ্বর জানেন, যেদিন তোমরা তাহা খাইবে, সেইদিন তোমাদের চক্ষু খুলিয়া যাইবে, তাহাতে তোমরা ঈশ্বরের সদৃশ হইয়া সদসদ্-জ্ঞানপ্রাপ্ত হইবে। (৬) নারী যখন দেখিলেন, ঐ বৃক্ষ সুখাদ্যদায়ক ও চক্ষুর লোভজনক, আর ঐ বৃক্ষ জ্ঞানদায়ক বলিয়া বাঞ্ছনীয়, তখন তিনি তাহার ফল পাড়িয়া ভোজন করিলেন; পরে আপনার মতো নিজ স্বামীকে দিলেন, আর তিনিও ভোজন করিলেন। (৭) তাহাতে তাহাদের উভয়ের চক্ষু খুলিয়া গেল, এবং তাঁহারা বুঝিতে পারিলেন যে, তাঁহারা উলঙ্গ। আর ডুমুর বৃক্ষের পত্র সিঙ্গাইয়া ঘাগড়া প্রস্তুত করিয়া লইলেন। (৮) পরে তাঁহারা সদাপ্রভু ঈশ্বরের রব শুনিতে পাইলেন, তিনি দিবাবসানে উদ্যানে গমনাগমন করিতেছিলেন। তাহাতে আদম ও তাঁহার স্ত্রী সদাপ্রভু ঈশ্বরের সম্মুখ হইতে উদ্যানস্থ বৃক্ষসমূহের মধ্যে লুকাইলেন। (৯) তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি কোথায়? (১০) তিনি কহিলেন, আমি উদ্যানে তোমার রব শুনিয়া ভীত হইলাম, কারণ আমি উলঙ্গ, তাই আপনাকে লুকাইয়াছি। (১১) তিনি কহিলেন, তুমি যে উলঙ্গ, ইহা তোমাকে কে বলিল? যে বৃক্ষের ফল ভোজন করিতে তোমাকে নিষেধ করিয়াছিলাম, তুমি কি তাহার ফল ভোজন করিয়াছ? (১২) তাহাতে আদম কহিলেন, তুমি আমার সঙ্গিনী করিয়া যে স্ত্রী দিয়াছ, সে আমাকে ঐ বৃক্ষের ফল দিয়াছিল, তাই খাইয়াছি। (১৩) তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর নারীকে কহিলেন, তুমি এ কি করিলে? নারী কহিলেন, সর্প আমাকে ভুলাইয়াছিল, তাই খাইয়াছি। (১৪) পরে সদাপ্রভু ঈশ্বর সর্পকে কহিলেন, তুমি এই কর্ম করিয়াছ, এইজন্য গ্রাম্য ও বন্য পশুগণের মধ্যে তুমি সর্বাপেক্ষা অধিক শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটিবে, এবং যাবজ্জীবন ধূলি ভোজন করিবে। (১৫) আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্র“তা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে। (১৬) পরে তিনি নারীকে কহিলেন, আমি তোমার গর্ভবেদনা অতিশয় বৃদ্ধি করিব, তুমি বেদনাতে সন্তান প্রসব করিবে, এবং স্বামীর প্রতি তোমার বাসনা থাকিবে ও সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করিবে। (১৭) আর তিনি আদমকে কহিলেন, যে বৃক্ষের ফলের বিষয়ে আমি তোমাকে বলিয়াছিলাম, তুমি তাহা ভোজন করিও না, তুমি তোমার স্ত্রীর কথা কথা শুনিয়া তাহার ফল ভোজন করিয়াছ, এইজন্য তোমার নিমিত্ত ভূমি অভিশপ্ত হইল। তুমি যাবজ্জীবন ক্লেশে উহা ভোগ করিবে; (১৮) আর উহাতে তোমার জন্য কণ্টক ও শেয়ালকাঁটা জন্মিবে এবং তুমি ক্ষেত্রের ওষধি ভোজন করিবে। (১৯) তুমি ঘর্মাক্ত মুখে আহার করিবে, যে পর্যন্ত তুমি মৃত্তিকায় প্রতিগমন না করিবে; তুমি ত তাহা হইতেই গৃহীত হইয়াছ; কেননা, তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে। (২০) পরে আদম আপন স্ত্রীর নাম হবা (জীবিত) রাখিলেন, কেননা তিনি জীবিত সকলের মাতা হইলেন। (২১) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম ও তাঁহার স্ত্রীর নিমিত্ত চর্মের বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া তাহাদিগকে পরাইলেন। (২২) আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, দেখ, মনুষ্য সদসদ্-জ্ঞান প্রাপ্ত হইবার বিষয়ে আমাদের একের মত হইল; এখন পাছে সে হস্ত বিস্তার করিয়া জীবনবৃক্ষের ফলও পাড়িয়া ভোজন করে ও অনন্তজীবী হয়। (২৩) এই নিমিত্ত সদাপ্রভু ঈশ্বর তাঁহাকে এদনের উদ্যান হইতে বাহির করিয়া দিলেন, যেন, তিনি যাহা হইতে গৃহীত সেই মৃত্তিকাতে কৃষিকর্ম করেন। (২৪) এইরূপে ঈশ্বর মনুষ্যকে তাড়াইয়া দিলেন, এবং জীবনবৃক্ষের পথ রক্ষা করিবার জন্য এদনস্থ উদ্যানের পূর্বদিকে করূবগণকে ও ঘূর্ণায়মান তেজোময় খড়গ রাখিলেন।

আবার মানবসৃষ্টি সম্পর্কে আল-কোরআনের সুরা আল আ ’রাফ-এর ১১-২৫ আয়াতে বলা হয়েছে,“(১১) আমিই তোমাদের বানিয়েছি, আমিই তোমাদের বিভিন্ন আকার-অবয়ব দান করেছি, অতপর আমি ফেরেশতাদের বলেছি, (সম্মানের নিদর্শন হিসেবে তোমরা) আদমকে সেজদা করো, (আমার আদেশে) সবাই (আদমকে) সেজদা করলোÑ একমাত্র ইবলিস ছাড়া, সে কিছুতেই সেজদাকারীদের মধ্যে শামিল হলো না। (১২) আল্লাহ তায়ালা বললেন, (হে ইবলিস) আমি যখন (নিজেই) তোমাকে সেজদা করার আদেশ দিলাম, তখন কোন্ জিনিস তোমাকে সেজদা করা থেকে বিরত রাখলো। ইবলিস বললো, আমি তো তার চাইতে উত্তম! তুমি আমাকে বানিয়েছো আগুন থেকে, আর তাকে বানিয়েছো মাটি থেকে। (১৩) আল্লাহ তায়ালা বললেন, তুমি এক্ষুণি এখান থেকে নেমে যাও! এখানে (বসে) অহংকার করবেÑ এটা তোমার পক্ষে কখনো সাজে না। যাও (এখান থেকে) বেরিয়ে যাও, তুমি অপমানিতদেরই একজন। (১৪) সে (ইবলিস) বললো (হে আল্লাহ তায়ালা,) তুমি আমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দাও, যেদিন এ (আদম সন্তান)-দের পুনরায় কবর থেকে উঠানো হবে। (১৫) আল্লাহতায়ালা বললেন, (হ্যাঁ, যাও) যাদের অবকাশ দেয়া হয়েছে তুমিও তাদের একজন। (১৬) সে (ইবলিস) বললো, যেহেতু তুমি (এই আদমের জন্যই) আমাকে পথভ্রষ্ট করলে (তাই) আমিও এদের (গোমরাহ করার) জন্য তোমার (প্রদর্শিত প্রতিটি) সরল পথে(-র বাঁকে বাঁকে ওৎ পেতে) বসে থাকবো, (১৭) অতপর (তাদের পথভ্রষ্ট করার জন্য ) আমি তাদের কাছে অবশ্যই আসবÑ আসব তাদের সামনের দিক থেকে, তাদের পেছন দিক থেকে, তাদের ডান দিক থেকে, তাদের বাম দিক থেকে, ফলে তুমি এদের অধিকাংশ লোককেই (তোমার নেয়ামতের প্রতি) কৃতজ্ঞতা আদায়কারী (হিসেবে দেখতে) পাবে না। (১৮) আল্লাহতায়ালা বললেন, বের হয়ে যাও তুমি এখান থেকেÑ অপমানিত ও বিতাড়িত অবস্থায়। (আদম সন্তানের) যারাই তোমার অনুসরণ করবে (তাদের এবং) তোমাদের সবাইকে দিয়ে নিশ্চয়ই একদিন আমি জাহান্নাম পূর্ণ করে দেবো। (১৯) (আল্লাহতায়ালা আদমকে বললেন) তুমি এবং তোমার সঙ্গিনী জান্নাতে বসবাস করতে থাকো এবং এর যেখানে যা কিছু চাও, তা তোমরা খেতে পারোÑ কিন্তু এই গাছটির কাছেও যেও না, (গেলে) তোমরা উভয়েই যালেমদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবে। (২০) অতপর শয়তান তাদের দুজনকে কুমন্ত্রণা দিল যেন সে তাদের নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহÑ যা তাদের পরস্পরের কাছ থেকে গোপন করে রাখা হয়েছিলÑ প্রকাশ করে দিতে পারে, সে (তাদের আরো) বললো, তোমাদের মালিক তোমাদের এই গাছটির (কাছে যাওয়া) থেকে তোমাদের যে বারণ করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য এছাড়া আর কিছুই নয় যে, (সেখানে গেলে) তোমরা উভয়েই ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা (এর ফলে) তোমরা জান্নাতে চিরস্থায়ী হয়ে যাবে। (২১) সে তাদের কাছে কসম করে বললো, আমি অবশ্যই তোমাদের উভয়ের হিতাকাঙ্খীদের একজন। (২২) এইভাবে সে এদের দুজনকেই প্রতারণার জালে আটকে ফেলল। অতপর (এক সময়) যখন তারা উভয়েই সে গাছ (ও তার ফল) আস্বাদন করলো, তখন তাদের লজ্জাস্থানসমূহ তাদের উভয়ের সামনে খুলে গেল, (সাথে সাথে) তারা জান্নাতের (বিভিন্ন) লতাপাতা নিজেদের ওপর জড়িয়ে (নিজেদের গোপন স্থানসমূহ) ঢাকতে শুরু করলো। তাদের মালিক (তখন) তাদের ডাক দিয়ে বললেন, আমি কি তোমাদের উভয়কে এই গাছটির (কাছে যাওয়া) থেকে নিষেধ করিনি? আমি কি তোমাদের এই কথা বলে দেইনি যে, শয়তান হচ্ছে তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য দুশমন? (২৩) (নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ) তারা দুজনেই বলে উঠলো, হে আমাদের মালিক, আমরা আমাদের নিজেদের ওপর যুলুম করেছি, তুমি যদি আমাদের মাফ না করো, তাহলে অবশ্যই আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্তদের দলে শামিল হয়ে যাবো। (২৪) আল্লাহ তায়ালা বললেন, (এবার তোমরা উভয়ই) এখান থেকে নেমে যাও। (আজ থেকে) তোমরা ও শয়তান চিরদিনের জন্য একে অপরের দুশমন, সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকার উদ্দেশ্যে তোমাদের জন্য সেখানে বসবাসের জায়গা ও জীবন-সামগ্রীর ব্যবস্থা থাকবে। (২৫) আল্লাহতায়ালা (আরো) বললেনÑ তোমরা সেখানেই জীবনযাপন করবে, সেখানেই তোমরা মৃত্যুবরণ করবে এবং সেখান থেকেই তোমাদের (পুনরায়) বের করে আনা হবে।”

অতএব, বাইবেল ও কোরআন এ বিষয়ে স্বাক্ষ্য দিচ্ছে যে, রাস্তাঘাটে আমরা যেমন কিছু লোককে ন্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখি, সেরকম ‘ল্যাংটা বাবা ও ল্যাংটা মা’ হিসেবে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে পর্যায়ক্রমে বুদ্ধিমান করে চলেছেন। আর কোরআন ও বাইবেল এ বিষয়েও স্বাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে যে, স্রষ্টার পরিকল্পনায় মানুষ আজো বুদ্ধিগত দিকে নাবালগত্বের স্তরে আছে। তাইতো রূপকথাজাতীয় কাহিনী শুনিয়েই মানুষকে সদসদ্ জ্ঞান প্রদানের চেষ্টা করতে হয়েছে স্রষ্টাকে। আর সদসদ্ জ্ঞানে পূর্ণতাপ্রাপ্তি আজো সম্ভব হয়নি মানুষের পক্ষে। তাইতো হিংসা-হানাহানিসহ নানা পাপ কার্যে লিপ্ত মানুষ।

বোধশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ সদসদ্জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করুক, এমনটাই স্রষ্টার চূড়ান্ত লক্ষ্য। বোধসম্পন্নরা একথা বুঝে সদসদ্ জ্ঞানে নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে পারলেই জগৎটা শান্তিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

সরকার পায়েল বলেছেন: মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান ।

মানুষ সৃষ্টি থেকেই জ্ঞানী। পৃথিবী হচ্ছে সেই উপলব্ধির স্থান।

এই জন্যই সৃষ্টির পর হুকুম হল , মানুষকে সেজদা কর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.