নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৩

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু

সমাজে অগ্রগতি ও পুর্ণতা নির্ভর করে সমাজের বসবাসকারী সকলের সার্বিক কল্যানে এবং উন্নতির মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের শিশুরা দারিদ্রতার কারণে অবহেলিত। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষের জন্ম পূর্ববর্তীতে মায়ের অসতর্কতার কারণে বা জন্ম পরবর্তী কোন কারণে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু হয়ে জন্মে।



বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু একটি ব্যাপক অর্থ নির্দেশক শব্দ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর গড় মান সাধারন মানুষের থেকে বেশী হয় আবার কমও হয়। অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে বুদ্ধির দিক থেকে মেধাবী এবং গুরুতরভাবে প্রতিবন্ধী শিশু উভয়কে বুঝায়। এই দুই ধরনের শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

'বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু' সংজ্ঞা:

:) যে সকল শিশুর ইন্দ্রিয় ক্ষমতা বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা এতটাই ভিন্ন যে কারণে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন হয়। সেই সকল শিশুকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলে।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে সেই সব শিশুদের বুঝায় সমবয়স্কদের তুলনায় যাদের বুদ্ধি সংবেদন, শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রার কম বা বেশী হয় তাকেই ব্যতিক্রমী শিশু বলে আখ্যায়িত করা হয়। অর্থাৎ যারা সাধারণর বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ।

বুদ্ধাংকের দিক থেকে বলা যায় যাদের বুদ্ধাংক ৭৫ এর নিচে এবং ১২০ এর উপরে বা বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।



বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু লক্ষনাবলী :

১। বুদ্ধি :

সাধারন শিশুদের তুলনায় বুদ্ধিমত্তা গড় মানের চেয়ে কম বা বেশি হয়।

২। সংবেদনঃ

সংবেদন ক্ষমতার পার্থক্য হয়, এর মধ্যে যেমন চোখ ও কান প্রধান আবার তেমন শোনার ও দেখার পার্থক্য হয়।



৩। ভাববিনিময়ঃ

ভাববিনিময় করার ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়।

৪। আচরনগত পার্থক্যঃ

আচরনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী শিশুর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।



৫। শারীরিক ক্ষমতাঃ

শারীরিক নড়াচড়া অর্থাৎ অঙ্গ সঞ্চালন দক্ষতার অক্ষমতা। ইচ্ছামত নড়াচড়া করতে পারে না।

৬। সামাজিক দক্ষতাঃ

সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে অক্ষম হয় বা পার্থক্য দেখা যায়।



বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বৈশিষ্ট্য :



১। অনগ্রসর শিশু প্রধানত পরীক্ষায় কম নম্বর পায়। শ্রেণীতে চুপচাপ থাকে এবং সাধারণ সংশোধনের ব্যাপারেও ধীরগতি প্রদর্শন করে।



২। মানসিক ভাবে অনগ্রসরদের অভিযোজন ক্ষমতা কম হয়। নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোন সক্রিয়তা থাকে না।



৩। সাধারন ভাবে কোন পাঠ শিখতে যতটুকু সময় লাগার কথা তার চেয়ে বেশী সময় লাগে অথচ কিছু না বুঝলে অপরের সাহায্য গ্রহনেও ততটা আগ্রহ দেখায় না।



৪। ব্যতিক্রমী ছেলে-মেয়েরা সাধারন ও স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠে। তবে একটু বড় হবার সাথে সাথে অপরের তুলনায় তাদের গ্রহন ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কম হতে দেখা যায়।



বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রকারভেদ :



বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন -

(১) প্রতিভাবান শিশু,

(২) প্রতিবন্ধী শিশু।



নিচের চার্টের মাধ্যমে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর শ্রেনী বিভাগ তুলে ধরা হলো :







শিশুর আইকিউ



‘ইন্টেলিজেন্ট কৌশেনট’কে সংক্ষেপে ‘আইকিউ’ নামে অভিহিত করা হয়। জার্মান সাইকোলজিস্ট উইলিয়াম স্টার্ন ১৯১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কারও বুদ্ধির মাত্রা নিরূপণের জন্য আইকিউ স্কোর নির্ণয় করা হয়। এ জন্য নানা ধরনের মানসম্মত টেস্ট আছে। এর যেকোনো একটি ধরে আইকিউ স্কোর করে নেওয়া হয়। আসলে একটি ফর্মুলার ভিত্তিতেই আইকিউ মাপা হয়।

আইকিউ: ১০০ – মন-বয়স/স্বাভাবিক বয়স

তবে সারা জীবন একই আইকিউ বহাল রেখে একজন জীবন কাটাতে পারবে এর কোনো স্থির নিশ্চয়তা নেই।



শিশুর বুদ্ধি বিকাশে নানা প্রভাব:

আইকিউ নির্ধারণে যেসব ফ্যাক্টর ভূমিকা রাখে:

*সাধারণ বুদ্ধিমত্তা

*মানসিক প্রতিবন্ধিত্ব

*বংশগত

*পারিবারিক প্রতিবেশ

*গর্ভাবস্থায় শিশুভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশের সুবিধা-অসুবিধা

*পুষ্টি

*লিঙ্গ

*জাতিগোষ্ঠী প্রভৃতি।





শিশু কীভাবে দক্ষতা অর্জন করে:




শিশু যখন কোনো বিষয়ে নৈপুণ্য অর্জন করে, তা নানা ধাপ বেয়ে তবেই অর্জিত হয়। যেমন, ১. কৌতূহল থেকে নতুন কিছু চেনা। ২. নতুন চেনা থেকে নতুন আবিষ্কার। ৩.আবিষ্কার করে আনন্দ।৪. আনন্দ পুনঃপুনঃ কর্ম-প্রচেষ্টায় উদ্দীপনা আনে। ৫.পুনঃপুনঃ সম্পাদনা নিয়ে আসে দক্ষতা ও পারঙ্গমতা। ৬. পারঙ্গমতা নতুন দক্ষতার সূত্রপাত ঘটায়। ৭. নতুন দক্ষতা জন্ম দেয় আত্মবিশ্বাসের। ৮. আত্মবিশ্বাস নিজেকে পরখ করার, যাচাইয়ের সুবিধা এনে দেয়। ৯. নিজের ওপর আস্থা ও নিরাপত্তার ভিত খুঁজে পায়। ১০. এ ধরনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা আরও সৃজনশীলতা এবং আরও নতুনের খোঁজে উদ্যম আনে। ১১.নিজের নতুন সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ওঠে শিশু, বেড়ে ওঠে সে বিকাশের উচ্ছল প্রাণরসে।





নার্সারি বয়সের শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত না হলে সে এসবে পারদর্শিতা দেখাতে পারে:



১.নিজের নাম বলতে পারে। বলতে পারে পরিবারের সদস্যদের নাম।

২.উচ্চারণে ও ভাবভঙ্গি নিয়ে ছড়া আবৃত্তি করতে সক্ষম।

৩. শিশু গানে ও ছড়ার সুরে কণ্ঠ মেলাতে পারে।

৪. নিয়মনীতি মেনে খেলাধুলার আনন্দে অংশ নেয়।

৫. শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম জানাতে পারে।

৬. বিভিন্ন ছবির দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে গল্পের কাঠামো গড়ে নেয়।

৭. নিজের মতো করে নানা গল্প রচনা করে।

৮. প্রকৃতি বর্ণনায় সিদ্ধ; যেমন, ফুল, ফল, পাখি, পশু, গাছপালা চেনে এবং এসব সম্পর্কে বলতে পারে।

১০. অঙ্ক করার পূর্বধাপ হিসেবে ছোট-বড়, কম-বেশি—এসব বোঝাতে সক্ষম।

১১. ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা গুনতে পারে।

১২. সহজ প্রশ্নের উত্তরদানে সমর্থ, তা যদি তার পরিচিত ভুবনের হয়।

১৩.ছোটখাটো নির্দেশনা মেনে চলতে সমর্থ।

১৪.নিজে নিজে কাজ করে সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের চেষ্টা করে।

১৫,কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, তা শিখে যায়।

১৬.খেলা শেষে খেলার সরঞ্জাম গুছিয়ে রাখতে সক্ষম।

১৭.কতগুলো সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখে নেয়; যেমন অভ্যর্থনা জানানো, বড়দের সম্মান দেখানো, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ইত্যাদি।

১৮.রাগ, আনন্দ-বেদনা—এসব ভাবাবেগের অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে শিশু।

---------------------------------------------------------------------------------

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭

কাউসার আলম বলেছেন: আমার ব্লগে নিয়মিত লেখার খুব ইচ্ছে। ইনশাআল্লাহ অক্টোবর মাসের ৪ তারিখের পড়ে নিয়মিত লিখতে পারব বলে আশা করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

কাউসার আলম বলেছেন: মানসিক প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশু

মঙ্গল, ৫ এপ্রিল ২০১১, ২২ চৈত্র ১৪১৭

সম্প্রতি দেশে পালিত হইয়াছে ত্রয়োদশ জাতীয় প্রতিবন্ধী ও চতুর্থবারের মতো অটিজম সচেতনতা দিবস। এ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া বলিয়াছেন যে, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী বলিয়াছেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করিতে হইলে প্রতিবন্ধীদেরও অবস্থার পরিবর্তন ঘটাইতে হইবে। আর এ লক্ষ্যে সরকার মানসিক ও শারীরিকভাবে পিছাইয়া থাকা জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিরূপে গড়িয়া তুলিতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী যাহা বলিয়াছেন প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের ব্যাপারে, সত্য সত্যই সরকার তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে বহু পরিবারের যে দুশ্চিন্তা দূর হইবে সে তো বলাই বাহুল্য! আমরা আশা করিব যে, এ ধরনের কথা শুধু রাজনৈতিক কথার ফুলঝুরি হইয়া থাকিবে না বরং সরকার আন্তরিকভাবেই বিষয়টি লইয়া ভাবনা-চিন্তা করিবেন এবং প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত্ গড়িয়া তুলিতে তত্পর হইবেন এবং থাকিবেনও। মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরা বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিয়া থাকে। বিত্তবান ও ধনবান ব্যক্তিবর্গও সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রকার সহায়তামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিয়া থাকে। ফলে প্রতিবন্ধী বাচ্চারা সেখানে আর যাহাই হউক কোন প্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন যাপন করে না। তাহাদের দেখ-ভাল করার জন্য যেমন আধুনিক ব্যবস্থাদি রহিয়াছে, তেমনি তাহাদের মধ্যকার মেধা বিকাশের সুযোগ-সুবিধাদিও রহিয়াছে প্রচুর। কিন্তু আমাদের ন্যায় দরিদ্র দেশের চিত্র এক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবেই ভিন্ন। সীমিত সম্পদের এই বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক বাচ্চাদের পরিচর্যা কিংবা মেধা বিকাশের ব্যবস্থাদি নাই বলিলেই চলে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পরহিতৈষী ব্যক্তি এই জাতীয় শিশুদের জন্য ছোট-খাটো দুই-চারিটি প্রতিষ্ঠান যাওবা গড়িয়া তুলিয়াছেন উহাও সব সময় শিশুদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাইতে পারে না। ফলে এক বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুর ভার পিতা-মাতাকেই বহন করিতে হয়। আর উহা করিতে গিয়া পরিবারের মধ্যেও নানান বিপত্তি দেখা দেয় বৈ কী! প্রতিবন্ধী শিশুদের সাহায্যের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গের বিশেষ করিয়া ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আগাইয়া আসাটা খুবই জরুরি। মনে রাখা দরকার যে, প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক শিশুদেরকে স্বাভাবিক শিশুদের চাইতেও অধিক যত্ন দিয়া প্রতিপালন করিতে হয়। এই সকল শিশুকে পরিবারের বা সমাজের বোঝা হিসাবে গণ্য করা রীতিমত অন্যায়। কেননা, ইচ্ছা করিয়া কেহ প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দেয় না। শিশু মাত্রই নিষ্পাপ, তা সে স্বাভাবিকই হউক কিংবা প্রতিবন্ধী শিশুই হউক। মানসিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা লইয়া যে সন্তানেরা দিন পার করে তাহাদের অভিভাবকেরা সর্বদাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না থাকিয়া পারেন না। সরকারীভাবে তাহাদের দীর্ঘমেয়াদী বা সার্বক্ষণিক দেখ-ভালের ব্যবস্থা নাই। ফলে পরিবারগুলিরও দুশ্চিন্তার অন্ত নাই। অনেকে নিজ সম্পত্তি হইতে ট্রাস্ট গঠন করিয়া প্রতিবন্ধী শিশুর ভবিষ্যতের আর্থিক ও অন্যান্য সংকট মোচনের ব্যবস্থা করিয়া থাকেন। কিন্তু মানসিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত আইন নাই। বরং আইনে এ জাতীয় শিশুকে সম্পত্তির অধিকার হইতে বঞ্চিত করা হইয়াছে। ১৯১২ সালের ‘লুনাসী এ্যাক্ট’ হইতেছে পুরোপুরি মস্তিষ্ক বিকৃতদের জন্য। এ আইনে অভিভাবক নিয়োগের কথা বলা হইয়াছে। কিন্তু মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আইন না থাকায় তাহাদের ঐ লুনাসী এ্যাক্টের আওতায় বিচার করা হয়। আর আইন অনুযায়ী অভিভাবক নিয়োগ করা হইলেও অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সম্পত্তি কৌশলে দখল করিয়া নেয়। অর্থাত্, এই আইনটিরও যথাযথ প্রয়োগ নাই। তাই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক নূতন আইন প্রণয়নও জরুরি হইয়া দাঁড়াইয়াছে।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

কাউসার আলম বলেছেন: শিশুর জন্মগত সমস্যা
লেখক:অধ্যাপক ডা: শুভাগত চৌধুরী পরিচালক ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম, ঢাকা।
শুক্র, ১৫ এপ্রিল ২০১১, ২ বৈশাখ ১৪১৮

জন্মত্রুটির মধ্যে সবচেয়ে সম্ভবত: বেশি দেখা যায় ডাউনস্ সিনড্রোম। এমন শিশু জন্মালে তার মধ্যে মানসমন্দন যেমন থাকে তেমনি দৈহিক বৈশিষ্ট্যও হয় কিছুটা অন্যরকম। এরকম অনেক শিশুর অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাও থাকে। জন্মগত এ ত্রুটিটি হয় বাড়তি একটি ক্রোমোজোম থাকার জন্য। ২১ নং বাড়তি এই ক্রোমোজোম থাকাতে এমন মুখাবয়ব হয় শিশুর দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও মানসমন্দন। ডাউন্স সিনড্রোমের সচরাচর ধরন হলো “ট্রাইজোমি ২১” কার্বন এদের থাকে ২১ নং ক্রোমোজোমের তিনটি প্রতিলিপি। কেন হয় এমন ত্রুটি:স্বাভাবিক ভাবে মানবদেহের প্রতিটি কোষে থাকে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম, এর মধ্যে রয়েছে জীনগত পদার্থ যা থেকে নির্ধারিত হয় জন্মগত বৈশিষ্ট্যগুলো। ক্রোমোজোম প্রতি জোড়ার একটি আমরা পাই মায়ের কাছ থেকে, অন্যটি পাই বাবার কাছ থেকে। সচরাচর ডাউনস্ ট্রাইজোমি ২১ এর রয়েছে বাড়তি ২১ নং ক্রোমোজোম। কেন এমন ক্রোমোজোম ত্রুটি হয় তা কেউ জানেনা। তবে মায়ের বেশি বয়সে বাচ্চা হলে এমন ত্রুটি হবার সম্ভাবনা বাড়ে। ডাউন সিনড্রোম প্রথম বর্ণনা করেন ডা: জন ল্যাংডন ডাউন ১৮৬৬ সালে। ইংল্যান্ডের এই চিকিত্সকের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো মানসমন্দন (Mental retardateon) বিষয়ে। পরে ১৯৫৯ সালে এর কার্বন, একটি বাড়তি ক্রোমোজোম ২১, আবিষ্কার করেন ডা: জোবোমে লেজেউনে। তিনি ছিলেন সাইটোজেনোটিকস বিশেষজ্ঞ। ক্রোমোজমে দেখা যায় অনুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে এবং ডা: জেবোমে প্রথম একজন ডাউনস সিনড্রোম রোগীর দেহকোষ পরীক্ষা করতে গিয়ে ৪৬টি ক্রোমোজোমের পরিবর্তে ৪৭টি ক্রোমোজোম লক্ষ্য করেন। আরও খোলাসা করে বলি:- মানবদেহের প্রতিটি কোষে জীনগত তথ্য থাকে ক্রোমোজোমের মধ্যে। দেহের কোষে থাকে ২৩ জোড়া অর্থাত্ ৪৬টি ক্রোমোজোম। ২২ জোড়া ক্রোমোজোম হলো অটোজোম এবং ১ জোড়া হলো যৌন ক্রোমোজোম। নারীদের থাকে X ও X যৌন ক্রোমোজোম এবং পুরুষের থাকে X ও Y যৌন ক্রোমোজোম, যাদের ডাউন সিনড্রোম থাকে এদের রয়েছে বাড়তি একটি ২১ নং ক্রোমোজোম। তাই দেহকোষে ৪৬টি ক্রোমোজোমের বদলে এদের থাকে ৪৭টি। ক্রোমোজোম ২১ নং এর তিনটি প্রতিলিপি। বর্তমানে ডাউন সিনড্রোম স্ক্রিনিং এর জন্য রয়েছে আলট্রাসাউন্ড ও রক্তপরীক্ষা। গর্ভবতী নারীদের ‘এমাইনোসেনটেনিস’ এবং কোরিওনিক ভিলাই সাম্পনিং’ এর মত পরীক্ষণ প্রয়োজন হয় জন্মত্রুটি নির্ণয়ের জন্য। এ ধরণের টেস্ট করা বেশ শ্রমসাধ্য। ইদানীং পরীক্ষামূলক একটি ডিনএ ব্লাড স্ক্রিনিং এর কথা শোনা যাচ্ছে, এটি চালু হলে এত কঠিন সব পরীক্ষার প্রয়োজন নাও হতে পারে। গবেষকরা বলেন, ডাউন সিনড্রোম শিশু প্রসবের উচ্চ ঝুঁকি যাদের, তাদের জন্য প্রয়োজন হয় আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান এবং হরমোন টেস্ট। এগুলো যাচাই করে বোঝা যায় তাদের জন্য আরো গভীর পরীক্ষা যেমন ‘এমাইনোসেন্টেসিস’ বা কোরিওনিক ভিলাই স্যাম্পলিং’ এর মত পরীক্ষা লাগবে কিনা, এমন পরীক্ষা করতে হয় খুব যত্ন নিয়ে। ১% ক্ষেত্রে এজন্য গর্ভপাত ঘটতেও পারে। জরায়ুর মধ্যে গর্ভের শিশুর চারপাশে যে তরল একে বলে ‘এমিনওটিক ক্লুইড’। এই তরলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলো এমাইনোসেন্টেসিস। আর একটি পরীক্ষা হলো কোরিওনিক ভিল্লাস স্যাম্পলিং। গর্ভফুলের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গুলী মত অঙ্গকে বলে কোরিওনিক ভিল্লাই, এদের কোষের নমুনা নিয়ে জেনেটিক টেস্ট করে জন্মত্রুটি সম্বন্ধে ধারনা করা সম্ভব হয়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের সাম্প্রতিক ইসুতে প্রকাশিত নিবন্ধে হংকং এর চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা নারীদের রক্তের নমুনায় গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুর জীনগত বস্তু বিশ্লেষণ করে দেখে ফলাফল প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে প্রচলিত রক্ত পরীক্ষা ও আলট্রাসাউন্ড করে ফলস্ পজেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে ৫%, অর্থাত্ পরীক্ষিত একশত জন নারীদের মধ্যে ৫% জানবে যে তাদের ডাউন সিনড্রোম শিশু হতেও পারে যা সঠিক নয়। এর পরিবর্তে এদেরকে প্রস্তাবিত ডিএনএ রক্ত পরীক্ষার মুখোমুখি করা হলো, বড় রকমের পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। বলেন গবেষকগণ। প্রধান জন্মত্রুটি ডাউনস সিনড্রোম, ট্রাইজোমি ২১ বলেও যা পরিচিত ৮০০টি জন্মের মধ্যে ১ জনের হতে পারে। আমরা জেনেছি ডাউনস সিনড্রোম হলে ক্রোমোজোম নং ২১ এর দুটো প্রতিলিপি না হয়ে তিনটি প্রতিলিপি হয়। এই নতুন টেস্টটি বড় সম্ভাবনার দু’য়ার খুলবে, মনে হয়।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

মামুন১২৬ বলেছেন: বিশেষ শিশুদের সম্পর্কে আরো জানতে ======== Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.