নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সুন্দরবন

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১



আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সময় যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বারবার টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে ওঠে সেই বাঘকে যদি সত্যিই রক্ষা করতে হয় তাহলে প্রয়োজন সত্যিকার রেড অ্যালার্ট। তা না হলে কালক্রমে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বুক থেকে হারিয়ে যাবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার । ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে ইকো সিস্টেম। উইলিয়াম ব্লেইকের বিখ্যাত কবিতা আছে দি টাইগার। এখনো ছেলেমেয়েরা আবৃত্তি করে--

"Tiger, tiger burning bright

In the forest of the night,

What immortal hand of eye

Could frame thy fearful symmetry?"


ফিকে হয়ে যাবে এ কবিতা। ফিকে হয়ে যাবে সত্যজিতের "হীরক রাজার দেশে"র গোপী গাইন ও বাঘা বাইনের সেই বিখ্যাত গান--

"পায়ে পড়ি বাঘ মামা... তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত?"

✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺✺

আমরা এখন :রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার" সম্বন্ধে বিস্তারিত জানব---



✔ বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় যে সুদর্শন বাঘ দেখা যায় তা পৃখিবীব্যাপী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) নামে পরিচিত। কয়েক দশক আগেও (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০), বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ ছিলো। পঞ্চাশের দশকেও বর্তমান মধুপুর এবং ঢাকার গাজীপুর এলাকায় এই বাঘ দেখা যেতো; মধুপুরে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৬২ এবং গাজীপুরে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৩০০০-এর মতো আছে, তন্মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় উপমহাদেশে। এই সংখ্যা হিসাব করা হয় বাঘের জীবিত দুটি উপপ্রজাতি বা সাবস্পিসীজের সংখ্যাসহ। ২০০৪ সালের বাঘ শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪৫০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এর সংখ্যা ২০০-২৫০টির মতো।



░░░░░░░░░░░░ দৈহিক বৈশিষ্ট্য ░░░░░░░░░░░░



এর গায়ের রঙ হলুদ থেকে হালকা কমলা রঙের হয়, এবং ডোরার রঙ হয় গাঢ় ক্ষয়েরি থেকে কালো; পেটটি হচ্ছে সাদা, এবং লেজ কালো কালো আংটিযুক্ত সাদা। একটি বদলানো বাঘের জাতের (সাদা বাঘ) রয়েছে সাদা রঙের শরীরের উপর গাঢ় ক্ষয়েরি কিংবা উজ্জল গাঢ় রঙের ডোরা, এবং কিছু কিছু শুধুই সাদা। কালো বাঘের রয়েছে কমলা, হলুদ কিংবা সাদা রঙের ডোরা। স্মাগলারদের কাছ থেকে উদ্ধারিত হয় যে একটি কালো বাঘের ত্বকের মাপ হচ্ছে ২৫৯ সেঃমিঃ, এটি নিউ দিল্লীর National Museum of Natural History তে প্রদর্শন করা হয়। ডোরাবিহীন কালো বাঘ রিপোর্ট করা হয়েছে কিন্তু কোনো প্রমান এখনও পাওয়া যায়নি। লেজসহ একটি নর বাঘের দৈর্ঘ্য ২১০-৩১০ সেঃমিঃ, যেখানে মাদিদের দৈর্ঘ্য ২৪০-২৬৫ সেঃমিঃ। লেজের পরিমাপ হচ্ছে ৮৫-১১০ সেঃমিঃ, এবং ঘাড়ের উচ্চতা হচ্ছে ৯০-১১০ সেঃমিঃ। পুরুষদের গড় ওজন হচ্ছে ২২১.২ কেজি এবং মহিলাদের হচ্ছে ১৩৯.৭ কেজি। উত্তর ভারতের পুরুষ বাঘেরা সাইজে সাইবেরিয়ান বাঘের (Siberian tigers) মতোই, যার মাথার সর্ব্বেচ্চ দের্ঘ্য ৩৩২-৩৭৬ মিঃমিঃ।উত্তর ভারত ও নেপালে পুরুষদের গড় ওজন ২৩৫ কেজি আর মহিলাদের ১৪০ কেজি।বর্তমানে বিভিন্ন বাঘ জাতির ওজনের উপর পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে যে গড়ে বেঙ্গল টাইগারেরা সাইবেরিয়ান বাঘের চেয়ে বড়। একটি বেঙ্গল টাইগারের গর্জন ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত দুরে শোনা যায়।



░░░░░░░░░░░ বাঘের খাদ্য ░░░░░░░░░░░░░

বিশেষজ্ঞর মতে, প্রতিদিন একটি বাঘের ১৮-৫০ কেজি খাবার প্রয়োজন হয়। সুন্দরবনের হরিণ, বানর, শূকর, বেজী, মাছ, কাঁকড়া, সাপ ও ব্যাঙ বাঘের খাদ্য। ইদানিং সুন্দরবনের বাঘের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। এই সূত্র জানান, প্রতিবছর নভেম্বর- ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত বাঘের মানুষ শিকার মাত্রা ৪৫.৫ শতাংশ, এপ্রিল- জুন মাস পর্যন্ত ৩২.৫ শতাংশ, বাকী ৫ মাসে ৯.৫ শতাংশ। বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খাদ্য। রাজকীয় এই প্রাণীর প্রধান খাদ্য হরিণ। সুন্দরবনের চোরা শিকারীদের হাতে প্রতিনিয়ত হরিণ নিধন হচ্ছে। ফলে বন থেকে হরিণ কমে যাচ্ছে। আর হরিণ কমতে থাকায় সুন্দরবনে বাঘেরও খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বিচরণ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঘের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সাধারণত একটি পূর্ন বয়স্ক স্ত্রী বাঘের ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার ও একটি পুরুষ বাঘ ৩৫ তেকে ৩৬ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বিচরণ করে থাকে। এর মধ্যে অন্য কোন বাঘ ঢুকে পড়লে আগে বিচরণ করা বাঘটির সঙ্গে তার সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এতে পরাজিত বাঘটি বন সংলগ্ন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। বয়স্ক বাঘও দিনের পর দিন বনের মধ্যে শিকার করতে না পেরে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে মানুষসহ গবাদিপশুর ওপর হামলা চালায়। তাছড়াা সুন্দরবনের ভেতরের যেসব প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ যুগ যুগ ধরে বাঘসহ বন্য প্রানীদের মিঠা পানির চাহিদা মিটিয়েছে সে সকল জলাধার সমূহ যুগ যুগ ধরে বাঘসহ অন্য প্রাণীদের মিঠা পানির চাহিদা মিটিয়েছে সে সকল জলাধার সিডর ও আইলাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মারাত্মকভাবে লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বনের মধ্যে মিঠা পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এসব জলাধারের লবণাক্ত পানি পান করে বাঘ লিভার সিরসিসে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া বনের ভিতরে প্রবাহিত বহু নদী- খাল ভরাট হয়ে গেছে। মূলত এ সকল কারণে বাঘ সহজেই লোকালয় প্রবেশ করছে। এদিকে বন সংলগ্ন গ্রামগুলোর মানুষও সব সময় বাঘ আতঙ্কে থাকে। ফলে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করলে গ্রামবাসী তাদের পিটিয়ে হত্যা করে। তার ওপর প্রাকৃতিকভাবেও প্রতি বছর বেশ কিছু বাঘ মারা যায়।



░░░░ মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার পরিমান বাড়ায় বাঘ নরখাদক হয় ░░░░



১৯৮১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জের প্রায় ৪শ’ জন নারী- পুরুষ বাঘের থাবায় নিহত হয়েছে। বাঘ নরখাদক হওয়ার কারণ ‘নুনের প্রভাব বাঘের মানুষ খাওয়ার লোভ বাড়ছে সুন্দরবনে’ সুন্দরবনের পানি ও মাটিতে নুনের ভাগ বেড়ে সুন্দরী গাছ কমে যাওয়ার পাশাপাশি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের স্বাভাবিক জীবন চক্র পাল্টে যাচ্ছে। বাড়ছে মানুষ খাওয়ার প্রবণতা। বাঘের আচরণ নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তারা বলেছেন যেভাবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বদলাচ্ছে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য রয়েল বেঙ্গল টাইগারের স্বভাব পাল্টাতে বাধ্য। এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জার্মান বাঘ বিশেষজ্ঞ রোনাল্ড হেন্ড্যাকে, মার্কিন পরিবেশ বিদ মর্গান ও ম্যাক ইন্টারের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে সুন্দরবনের পানি ও মাটিতে নুনের পরিমান বাড়ায় বাঘের নরখাদাক হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। মানুষের মাংস মিষ্টি, তাই বাঘের দৃষ্টি সেদিকে থাকে।



░░░░░░░░░░ বাঘ বাচঁলে সুন্দরবন বাঁচবে ░░░░░░░░░░

বাঘ বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে একদিকে বন ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে ধ্বংস হওয়া এলাকায় নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। এতে বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। আর এ কারনে বাঘের স্বাভাবিক চলাচলের স্থান ক্রমশ: সঙ্কুচিত হচ্ছে। আবার ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর হঠাৎ করে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে। কারন সিডর ও আইলায় নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জোয়ারের পানি বনের ভেতরে প্রবেশ করে আর বের হতে পারছেনা। এতে বনের মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লোনাপানিতে ভরে যাওয়ায় বাঘ মিষ্টি পানির আশায় লোকলয়ে প্রবেশ বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দেরীতে হলেও বাঘ উপদ্রুত এলাকার মানুষকে বাঘের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তাছাড়া লোকালয়ে প্রবেশ করা বাঘকে ট্রাংকুলাইজার গান দিয়ে গুলি করে অচেতন করার জন্য বেশ কয়েকজন বনকর্মীকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, এতদিন বন বিভাগের কাছে ট্রাংকুলাইজার গান থাকলেও দক্ষ লোকের অভাবে তা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন থেকে লোকালয় ঢুকে পড়া অধিকাংশ বাঘকে জীবন্ত উদ্ধার করে চিকিৎসার পর পুনরায় বনে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।



❆❆❆❆❆❆❆ পুরাণের একটি গল্প❆❆❆❆❆❆

░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░একবার মহাসত্য তাঁর ছোট ভাইকে নিয়ে পাহাড়ের ওপর দিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ একটি হাড়সর্বস্ব বাঘিনীকে দুটি ছোট বাচ্চাসহ দেখতে পেলেন। বাঘিনী এতটাই ক্ষুধার্ত যে নিজের একটি বাচ্চা খেয়ে ফেলার উপক্রম করছে। মহাসত্য সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে ত্যাগ করে বাঘের সামনে গিয়ে হাজির হলেন। কিন্তু বাঘিনী এতটাই দুর্বল যে তাকে খাবার শক্তি পর্যন্ত তার নেই। মহাসত্য তাঁর শরীর ফুটো করে রক্ত বের করে দিলেন। বাঘ সে রক্ত পান করে শক্তি জুগিয়ে তাঁকে ভক্ষণ করল। এবার মহাসত্য বোধিসত্যরূপে ধরাধামে পুনর্জীবন লাভ করলেন।

একালের বিজ্ঞ জনেরা বলবেন, নিজেকে বাঘের সামনে সঁপে দেয়া বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু পুরাণের এ কাহিনীতে একটি মেসেজ আছে। বাঘকে স্বাভাবিক জীবনধারণের অধিকার দেওয়া আমাদের কর্তব্য। লোকালয়ে বাঘ ঢুকলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়াই শ্রেয়, পিটিয়ে হত্যা করা নয়। এ কথা বাংলাদেশের মানুষকে এখন উপলব্ধি করতে হবে। ░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░



বাংলাদেশে সুন্দরবনই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের শেষ আশ্রয়স্থল। মানুষের আগ্রাসনে গোলপাতার ঝোঁপ আর গাছ যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে বাঘের বিচরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। খাদ্যঘাটতি দেখা দিচ্ছে জঙ্গলের ভিতরে। এভাবে ক্রমে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিলুপ্তির হুমকিতে অবস্থান করছে । আসুন রক্ষা করি আমাদের বাংলার বাঘকে ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

কাউসার আলম বলেছেন: রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় গনমানুষের সচেতনা কাম্য ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কাউসার আলম বলেছেন: প্রকৃতির ভারসাম্য, বৈচিত্র্য সব কারণেই তার রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

কাউসার আলম বলেছেন: বাঘের বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: Carnivora
পরিবার: Felidae
গণ: Panthera
প্রজাতি: P. tigris

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবি জালাল রা এর একটি গানে উল্লেখ্য

জিন্দা পিরের মাঝার একখান গিয়ে দেখ সুন্দর বন
বাঘের ঢাকে মাটি কাপে হু হু রবে সমিরন
বেড়া ভাঙ্গা লোহা জুড়ি
চিতা আর ফুলেসরি
নানা রকম বাঘের আওয়াজ
উদ্দ্যুত তায় বিচরন

আসলেই এখন শুধুই ইতিহাস

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কাউসার আলম বলেছেন: এটি জানা ছিল না,




লিরিকস্ এর জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

Kawsar banggalii007 বলেছেন: প্রতিদিন একটা কইরা "খবিশ "বাঘরে উপহার দেওয়ার তেব্র প্রতিবাদ জানাই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

কাউসার আলম বলেছেন: বুঝলাম না...

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

নাঈম আহমেদ বলেছেন:
আমাদের গাজীপুরের ভাওয়াল রাজা
আমার মায়ের কাছে শুনেছি মায়ের নানার সরকারি বন্দুক ছিল বাঘ মারার জন্যে...

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

কাউসার আলম বলেছেন: সত্যজিতের 'রয়েল বেঙ্গল রহস্যে'র গল্প মতো নয়তো?

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

কাউসার আলম বলেছেন: সুন্দরবন সর্ম্পকিত বই সমূহ
১। "রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখোমুখি"-----সুন্দরবন ও বাঘ বিশেষজ্ঞ আকতারুজ্জামান কামাল (বইটিতে বাঘ সম্পর্কে রয়েছে বিপুল তথ্য ও তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ছাপ রয়েছে)।
২। "মিশুক" ---(শিশুতোষ গ্রন্থ)--আকতারুজ্জামান কামাল
৩। "চলো যাই সুন্দরবন"----আকতারুজ্জামান কামাল

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

কাউসার আলম বলেছেন: আমাদের দেশটিকে মনের বাঘে কুরে কুরে খাচ্ছে। দেশ, রাজনীতি, সমাজে ছড়িয়ে পড়া মনের বাঘ তাড়িয়ে বনের বাঘ সংরক্ষণ করার কাজটি না হলে আদৌ কোন পরিবর্তন ঘটবে না। কথায় বলে, ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়’।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

কাউসার আলম বলেছেন: পৃথিবীর সব রাষ্ট্র, জাতি, সব উদ্বিগ্ন মানুষকে বুঝতে হবে: যদি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করতে হয় তাহলে দেশে দেশে মানুষের দারিদ্র্য দূর করতে হবে। দারিদ্র্য কোনো আইন মানে না, কোনো সচেতনতা মানে না। পৃথিবীর যে সব দেশ প্রকৃতির বড় বড় ক্ষতিসাধন করে শিল্পোন্নত হয়েছে, তাদেরই ওই উন্নতির একটি ক্ষুদ্র অংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শেয়ার দিতে হবে। এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা না করে শুধু আইন, সচেতনতা ও সামান্য অনুদান দিয়ে প্রকৃতিকে রক্ষা করা যাবে না।

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: যারা বাঘ মাইরা শুখ পায় তারা বাঘ না পাইলে আমাগো মারতে আইব।

তামাশা করলাম ভাইজান। এই লিঙ্কগুলোতে আমার বাঘ নিয়ে একটা লেখা আছে।

http://www.prothom-aloblog.com/posts/41/168072

http://www.prothom-aloblog.com/posts/13/168220

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগলো..প্রিয়তে নিলাম।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

কাউসার আলম বলেছেন:

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
গতকাল প্রিয়তে নিয়েছি।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

এবং ব্রুটাস বলেছেন: (আমাদের বাঘ মামা, থাবা বাবা) শিরোনামে এই জিনিস দেখেতো ভড়কে গিয়েছিলাম। শিরোনাম এভাবে দে্ওয়ার হেতু কি?
তবে প্রিয়তে নিচ্ছি।ভালো পোস্ট।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

কাউসার আলম বলেছেন: সত্যজিতের "হীরক রাজার দেশে" দেখেননি, সেখানে বাঘের থাবাকে ভয় পেয়ে "থাবা বাবা" বলা হয়।

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

রাইসুল সাগর বলেছেন: বাঘকে যদি সত্যিই রক্ষা করতে হয় তাহলে প্রয়োজন সত্যিকার রেড অ্যালার্ট।


সহমত।

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

কাউসার আলম বলেছেন: অস্কার মনোনয়ন পাওয়া পরিচালক জর্জ বাটলার বাংলাদেশের সুন্দরবনে ‘টাইগার টাইগার’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছে ।তার ‘হোয়াইট মাউন্টেন ফিল্মস’ চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠানটি গরু-ছাগল অথবা অন্য কোনো গৃহপালিত পশুর নাড়ি-ভুড়ির লোভ দেখিয়ে (টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বা ‘বেটিং’ করে) বাঘ ডেকে এনে ক্যামেরায় ধারণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলো। কিন্তু বেটিং বা টোপ ব্যবহার না করার উপর লিখিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ।
দুবাই পরিবেশ বিভাগের সাবেক প্রকৃতিবিদ ও বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ আনিসুজ্জামান খান বলেন, বাঘজাতীয় প্রাণী আছে পৃথিবীর এমন দেশগুলোতে তিনটি কারণে টোপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রথমত গরু-ছাগল বা অন্য পোষা প্রাণীর দেহে যক্ষ্মা, ডায়রিয়া বা চর্মরোগের জীবাণু থাকলে তা সে প্রাণীর মাংসের সঙ্গে বাঘের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। পরে বাঘের মলমূত্রের মাধ্যমে তা বনের অন্য প্রাণীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

দ্বিতীয়ত, কোনো বাঘ যদি টোপ হিসেবে গরু একবার খায়, তাহলে পরবর্তীকালে ওই এলাকায় একই খাবারের খোঁজে সে আবার আসতে পারে। একে চোরা শিকারিদের বাঘ ধরা বা হত্যার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করার আশঙ্কা থাকে।

তৃতীয়ত, কোনো একটি বন্য প্রাণী সংরক্ষিত বনের মধ্যে ঢোকানোর ফলে তার শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু বনের পানি ও বায়ুর মাধ্যমে অন্য প্রাণীর দেহেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

নাস েটক বলেছেন: অসাধারন হইছে ভাই ।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কাউসার আলম বলেছেন: ☁`ヽ``☁ヽ"বাঘ বাচঁলে সুন্দরবন বাঁচবে"-ব্রিটেনের রাজকুমারী অ্যান সী প্লেনে সুন্দরবন পরিদর্শনকালে এই উক্তিটি করেন `、ヽ☁`ヽ``、ヽ`、ヽヽ☁`ヽ``、ヽ`、ヽヽヽ☁
কথায় আছে- "জলে কুমির,ডাঙায় বাঘ" -এই নিয়ে সুন্দর বন। ১৯৪৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুন্দরবনের ৪২৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ভারতের অংশ বলে চিহ্নিত করা হয়। এই অরন্যে প্রায় ৭০ রকমের ম্যানগ্রোভ পাওয়া যায়। ভারতের সমস্ত বনের মধ্যে এই সুন্দরবনেই সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে। ভারত সুন্দরবনের ২৫৮৫ বর্গকিমি এলাকাকে 'টাইগার রিজার্ভ ' হিসেবে ঘোষণা করেছে। টাইগার রিজার্ভের বেশীরভাগ অংশ পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে। সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভের “কোর এরিয়ার” আয়তন ১৩৩০ বর্গকিমি। ১৯৮৪ সালে কোর এরিয়াকে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালে কোর এরিয়া ওয়ার্ল্ড-হেরিটেজের মর্যাদা পায়। এছাড়া, ১২৫৫ বর্গকিমিকে বাফার এরিয়া হিসেবে ধরা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে সুন্দরবনের আয়তন প্রায় নয় হাজার বর্গ মাইল। টাইগার প্রজেক্টের দেওয়া তথ্য জানা যায় যে, বর্তমানে প্রায় ২৬৪ টি বাঘ সুন্দরবনে আছে। এর মধ্যে বেশ কিছু শাবক আছে। তবে চোর, শিকারী এবং প্রাকৃতিক বির্পযয়ে বেশ কিছু বাঘ মারা গেছে। অবিলম্বে বাঘ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
সেই সাথে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা অত্যন্ত জরুরী।কারণ-গত কয়েক বছরে সামুদ্রিক ঝড়ের (সিডর ও আইলার) তান্ডবে সুন্দরবনের বিশাল অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২২

কাউসার আলম বলেছেন: Anu Muhammad বলেছেন:
সুন্দরবনের পক্ষে সারাদেশের যে লক্ষ লক্ষ তরুণ ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের সামনে এখন পরীক্ষা। বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার যৌথভাবে বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবন ধ্বংস করবার সব আয়োজন চূড়ান্ত করেছে। এই সুন্দরবন আমাদের সর্বশেষ প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বর্ম, অসাধারণ জীববৈচিত্রের আধার, বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত অমূল্য সম্পদ।আগেই একাধিক বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা করে দেখিয়েছেন এই প্রকল্প সুন্দরবন ও বাংলাদেশের সর্বনাশ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবশে অভিঘাত সমীক্ষা (ইআইএ) করবার আগেই জমি দখল করা হয়েছে, মানুষ উচ্ছেদ করা হয়েছে।গত সপ্তাহে লোক দেখানো ইআইএ পর্যালোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এই প্রতারণামূলক দলিল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারপরও বিদ্যুতের মূলা ঝুলিয়ে, কতিপয় গোষ্ঠীর লাভের জন্য, এই চুক্তি স্বাক্ষর করে এই দেশকে এক বড় সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দুই সরকার। এর বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের মানুষের রুখে দাঁড়ানো কর্তব্য। সুন্দরবনের পক্ষে যারা ভোট দিলেন সেই তরুণদের এখন অনেক দায়িত্ব। দেশ ও সুন্দরবন এখন তাঁদেরই খুঁজছে।

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

কাউসার আলম বলেছেন: Zobaer Al Mahmud বলেছেন: গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ), বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ), যৌথ উদ্যোগ চুক্তির সম্পূরক (এসজেভিএ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে মূলত বিজয় হল ভারতীয় পুঁজির করপোরেট আগ্রাসনের, বিজয় হল ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর লুণ্ঠনের আর হেরে গেল এই অসম চুক্তির আয়োজনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসা নানান মহল!

কাঁচামাল আমাদের, জমি/ভূমি আমাদের, দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমরা সাপ্লাই দিব, আমাদেরই কৃষিজমি-বসত ভিটা-জল-জঙ্গল-জীবন ও অর্থনীতি ধবংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে- তারপরও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে আর দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে (এই ঋণ আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে) অন্যায়ভাবে ৮৫% মালিকানা তুলে দেয়া হল ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির হাতে আর সেই এনটিপিসি নিজের ইচ্ছামত চড়া দামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের কাছেই বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটবে। এই সব কিছুই ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিবে যে লুণ্ঠন ঔপনিবেশিক আমলের অবাধ লুণ্ঠনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। খোদ ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করেও এতো মুনাফা লুটতে পারবে না কোন ভারতীয় কোম্পানি। কিন্তু ভারতীয় লুণ্ঠন আর আধিপত্যবাদের কাছে জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দেয়ার এটাই শেষ পদক্ষেপ না, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে পরিমাণ মুনাফা করবে ভারতীয় কোম্পানি তার পুরোটাই যেন ভারতে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য কোম্পানিকে ১০ বছরের কররেয়াত সুবিধা দিয়ে দিল সরকার। এই কররেয়াত সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান মেনে নিয়ে সরকার ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে। এ ধরনের অন্যায্য, অসম চুক্তি যা সম্পূর্ণভাবেই বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। এ ধরনের অসম চুক্তি স্বাক্ষরের মানে হচ্ছে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির অধীনস্ততা মেনে নেয়া। এই অন্যায্য চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী ভারতের নয়া-উপনিবেশবাদী শোষণ-নিপীড়নকেই তরান্বিত করা হবে। এই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভারতীয় কোম্পানির সাথে যে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির আয়োজন পাকাপোক্ত করা হল তার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপি-জামাত জোটকেও আমরা উচ্চকণ্ঠ হতে দেখি নাই, এতোগুলো হরতাল দেয়া হল কোথাও এই সুন্দরবন বিধ্বংসী চুক্তির ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করা হল না! গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বিরোধী দলের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী যে কোন কার্যকলাপের কার্যকর প্রতিবাদ জানানো। এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অবহেলা করে বিরোধী দল বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় লুণ্ঠনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সংকটের অজুহাতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন বিধ্বংসী ও প্রাণ-পরিবেশ-প্রতিবেশ-জীবন-জীবিকা ধ্বংসকারী কোন প্রকল্প মেনে নেয়া যায় না। তাই অবিলম্বে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করতে হবে;

ভারতের কোম্পানির সাথে চুক্তির বিভিন্ন শর্ত এবং প্রস্তাবনায় সম্পূর্ণ ভাবে বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় লুণ্ঠনকে তরান্বিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এ চুক্তি স্বাক্ষরের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ।

বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতাকে এই ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ভারতীয় পুঁজির করপোরেট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

কাউসার আলম বলেছেন: রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.